ইপেপার । আজ বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ঝিনাইদহে ধর্ষণে অন্তঃসত্ত্বা দুই কিশোরী স্কুলছাত্রী

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৮:০৭:২৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৯ মার্চ ২০২৩
  • / ৪২ বার পড়া হয়েছে

ঝিনাইদহ অফিস:

ঝিনাইদহে জোরপূর্বক ধর্ষণে মা হতে চলেছে ১৪ বছর বয়সী দুই কিশোরী। ঘটনাটি ঘটেছে ঝিনাইদহ সদর উপজেলার আমেরচারা ও শৈলকুপার মনোহরপুর ইউনিয়নের সোন্দাহ গ্রামে। বর্তমানে দুই কিশোরী যথাক্রমে চার ও সাত মাসের অন্তঃসত্ত্বা বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন। এ ঘটনায় ঝিনাইদহ সদর থানা ও শৈলকুপা থানায় পৃথক দুটি মামলা হয়েছে।

ঝিনাইদহ সদর উপজেলার সাগান্না ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হোসেন গতকাল বুধবার দুপুরে জানান, ‘সাগান্না আমেরচারা গ্রামের ফজর আলী ওই স্কুলছাত্রীকে ভয়-ভীতি দেখিয়ে ধর্ষণ করেছে। এটা একটা গুরুতর অনৈতিক কাজ হয়েছে। মেয়েটি সপ্তম শ্রেণিতে পড়ে বলে শুনেছি। সে এখন চার মাসের অন্তঃসত্ত্বা।’ তিনি এ ঘটনার বিচার দাবি করেন। ঝিনাইদহ সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শেখ সোহেল রানা জানান, কিশোরী ধর্ষণের ঘটনায় মামলা নিয়েছি। ঘটনা পরিদর্শন করে সত্যতা মিলেছে। ধর্ষককে গ্রেপ্তারে অভিযান চালানো হচ্ছে।

এদিকে শৈলকুপার সোন্দাহ গ্রামে আরেক স্কুলছাত্রী অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার ঘটনায় শৈলকুপা থানায় একটি মামলা হয়েছে। মামলায় সোন্দাহ গ্রামের আজাহার মোল্যার ছেলে তাইজাল মোল্যাহকে (৬০) আসামি করা হয়েছে। শিশুটির পিতা জানান, দীর্ঘদিন ধরে তার কিশোরী কন্যাকে একই গ্রামের তাইজাল বিশ্বাস বিভিন্নভাবে যৌন হয়রানি করে আসছিলেন। গত বছরের আগস্টের ৫ তারিখে তিনি ও তার স্ত্রী আত্মীয় বাড়িতে বেড়াতে গেলে লম্পট তাইজাল বাড়িতে একা পেয়ে ধর্ষণ করেন। ভয়ে মেয়েটি না বললেও কিছুদিন পরে তার মা গর্ভধারণের ঘটনাটি টের পান। মেয়েটি তার মায়ের কাছে জানায়, তাইজাল তার সর্বনাশ করেছেন। তাইজাল মোল্যার স্ত্রী আলেয়া খাতুন জানান, অনেকদিন ধরেই তিনি এ ঘটনাটি শুনে আসছেন। তবে তার স্বামী এ ধরনের কাজ করে থাকলে তিনিও ঘটনার বিচার দাবি করেন।

শৈলকুপার হিতামপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক গোলাম সরোয়ার জানান, অন্তঃসত্ত্বা কিশোরী গত বছর তার স্কুলে ৬ষ্ঠ শ্রেণিতে ভর্তি হয়। এ ঘটনা জানাজানি হলে সে লোকলজ্জার ভয়ে আর স্কুলে আসেনি। শৈলকুপা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আমিনুল ইসলাম বলেন, সোন্দাহ গ্রামের একটি কিশোরীর অবৈধ গর্ভধারণের ঘটনায় থানায় একটি মামলা দায়ের হয়েছে। ধর্ষক তাইজাল মোল্যাকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

ঝিনাইদহে ধর্ষণে অন্তঃসত্ত্বা দুই কিশোরী স্কুলছাত্রী

আপলোড টাইম : ০৮:০৭:২৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৯ মার্চ ২০২৩

ঝিনাইদহ অফিস:

ঝিনাইদহে জোরপূর্বক ধর্ষণে মা হতে চলেছে ১৪ বছর বয়সী দুই কিশোরী। ঘটনাটি ঘটেছে ঝিনাইদহ সদর উপজেলার আমেরচারা ও শৈলকুপার মনোহরপুর ইউনিয়নের সোন্দাহ গ্রামে। বর্তমানে দুই কিশোরী যথাক্রমে চার ও সাত মাসের অন্তঃসত্ত্বা বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন। এ ঘটনায় ঝিনাইদহ সদর থানা ও শৈলকুপা থানায় পৃথক দুটি মামলা হয়েছে।

ঝিনাইদহ সদর উপজেলার সাগান্না ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হোসেন গতকাল বুধবার দুপুরে জানান, ‘সাগান্না আমেরচারা গ্রামের ফজর আলী ওই স্কুলছাত্রীকে ভয়-ভীতি দেখিয়ে ধর্ষণ করেছে। এটা একটা গুরুতর অনৈতিক কাজ হয়েছে। মেয়েটি সপ্তম শ্রেণিতে পড়ে বলে শুনেছি। সে এখন চার মাসের অন্তঃসত্ত্বা।’ তিনি এ ঘটনার বিচার দাবি করেন। ঝিনাইদহ সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শেখ সোহেল রানা জানান, কিশোরী ধর্ষণের ঘটনায় মামলা নিয়েছি। ঘটনা পরিদর্শন করে সত্যতা মিলেছে। ধর্ষককে গ্রেপ্তারে অভিযান চালানো হচ্ছে।

এদিকে শৈলকুপার সোন্দাহ গ্রামে আরেক স্কুলছাত্রী অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার ঘটনায় শৈলকুপা থানায় একটি মামলা হয়েছে। মামলায় সোন্দাহ গ্রামের আজাহার মোল্যার ছেলে তাইজাল মোল্যাহকে (৬০) আসামি করা হয়েছে। শিশুটির পিতা জানান, দীর্ঘদিন ধরে তার কিশোরী কন্যাকে একই গ্রামের তাইজাল বিশ্বাস বিভিন্নভাবে যৌন হয়রানি করে আসছিলেন। গত বছরের আগস্টের ৫ তারিখে তিনি ও তার স্ত্রী আত্মীয় বাড়িতে বেড়াতে গেলে লম্পট তাইজাল বাড়িতে একা পেয়ে ধর্ষণ করেন। ভয়ে মেয়েটি না বললেও কিছুদিন পরে তার মা গর্ভধারণের ঘটনাটি টের পান। মেয়েটি তার মায়ের কাছে জানায়, তাইজাল তার সর্বনাশ করেছেন। তাইজাল মোল্যার স্ত্রী আলেয়া খাতুন জানান, অনেকদিন ধরেই তিনি এ ঘটনাটি শুনে আসছেন। তবে তার স্বামী এ ধরনের কাজ করে থাকলে তিনিও ঘটনার বিচার দাবি করেন।

শৈলকুপার হিতামপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক গোলাম সরোয়ার জানান, অন্তঃসত্ত্বা কিশোরী গত বছর তার স্কুলে ৬ষ্ঠ শ্রেণিতে ভর্তি হয়। এ ঘটনা জানাজানি হলে সে লোকলজ্জার ভয়ে আর স্কুলে আসেনি। শৈলকুপা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আমিনুল ইসলাম বলেন, সোন্দাহ গ্রামের একটি কিশোরীর অবৈধ গর্ভধারণের ঘটনায় থানায় একটি মামলা দায়ের হয়েছে। ধর্ষক তাইজাল মোল্যাকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।