ইপেপার । আজ শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কলেজের খাতা চুরির তদন্তে সিআইডি

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৯:০০:৩১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৩ জুন ২০২২
  • / ২৩ বার পড়া হয়েছে

ঝিনাইদহ অফিস:ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ সরকারি মাহতাব উদ্দীন কলেজের গোডাউন থেকে কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের ৭ বস্তা মূল খাতা ও লুজ শিট চুরির ঘটনায় দায়েরকৃত মামলার তদন্ত শুরু করেছে সিআইডি। গতকাল বৃহস্পতিবার সিআইডির পরিদর্শক আতিয়ার রহমান সরেজমিনে কলেজ পরিদর্শন করে ২০১৪ সাল থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষার্থীদের সংখ্যা নেন। এসময় নমুনা হিসেবে কিছু আলামত জব্দ করেন। সিআইডির তদন্ত দল কলেজ পরিদর্শনকালে খাতা চুরির বিষয়টি প্রাথমিকভাবে সত্য মনে করছেন। এসময় কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাদিয়া জেরিনসহ প্রশাসনের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, গত ৮ মে কালীগঞ্জ আমলি আদালতে কলেজের অধ্যক্ষ ড. মাহবুবুর রহমান খাতা চুরির মামলাটি করেন, যার পিটিশন মামলা নম্বর ৫৩/২২। মামলার আসামি করা হয় সরকারি মাহতাব উদ্দীন কলেজের ব্যবসায় ব্যবস্থাপনা শাখার সাচিবিক বিদ্যা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ফয়লা গ্রামের মৃত নুরুল ইসলামের ছেলে রকিবুল ইসলাম মিল্টন ও সাবেক ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ কালীগঞ্জ মেইন বাসস্ট্যান্ড এলাকার মৃত ওয়াজেদ মণ্ডলের ছেলে আব্দুল মজিদ মণ্ডল।

মামলা সূত্রে জানা গেছে, আসামিরা পরস্পরের যোগসাজসে কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীন অনুষ্ঠিত ব্যবসায় ব্যবস্থাপনা শাখার বোর্ড পরীক্ষার পর অবশিষ্ট মূল খাতা ও লুজ শিট চুরি করে বিক্রি করে দেন। খাতা চুরির ঘটনা জানার পরও ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আব্দুল মজিদ কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি বরং ঘটনাটি ধামাচাপা দেন। এ বিষয়ে বিভিন্ন দৈনিকে তথ্যভিত্তিক খবর প্রকাশিত হলে বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষাবোর্ড কলেজ অধ্যক্ষ ড. মাহবুবুর রহমানকে মামলা করার পরামর্শ দেন। এদিকে, আদালতে মামলা করার পর সাক্ষীদের ওপর চাড়াও হয় আসামি মিল্টন ও আব্দুর মজিদ মণ্ডল। তারা কলেজ ক্যাম্পাসে বহিরাগতদের ডেকে এনে সাক্ষী এমইউ কলেজের গণিত বিভাগের সহকারী অধ্যাপক সাজ্জাদ হোসেন ও ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মোশাররফ হোসেনকে লাঞ্ছিত করেন। এ নিয়ে দেশব্যাপী তুমুল সমালোচনার সৃষ্টি হয়।

এদিকে সিআইডির পরিদর্শক আতিয়ার রহমান ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে বলেন, ‘কলেজ পরিদর্শন করে আমি সাক্ষীদের সঙ্গে কথা বলেছি। বিবাদীদের বিরুদ্ধে প্রাথমিকভাবে খাতা চুরির অভিযোগটি সত্য বলে মনে হচ্ছে।’ তিনি বলেন, এখন তো আর ৭ বস্তা চুরি হওয়া খাতা উদ্ধার সম্ভব নয়, তবে খাতার নমুনা আলামত হিসেবে জব্দ করা হয়েছে। তিনি বলেন, আদালতের নির্দেশনা মোতাবেক যথাসময়ে তদন্ত রিপোর্ট আদালতে পেশ করা হবে।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

কলেজের খাতা চুরির তদন্তে সিআইডি

আপলোড টাইম : ০৯:০০:৩১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৩ জুন ২০২২

ঝিনাইদহ অফিস:ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ সরকারি মাহতাব উদ্দীন কলেজের গোডাউন থেকে কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের ৭ বস্তা মূল খাতা ও লুজ শিট চুরির ঘটনায় দায়েরকৃত মামলার তদন্ত শুরু করেছে সিআইডি। গতকাল বৃহস্পতিবার সিআইডির পরিদর্শক আতিয়ার রহমান সরেজমিনে কলেজ পরিদর্শন করে ২০১৪ সাল থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষার্থীদের সংখ্যা নেন। এসময় নমুনা হিসেবে কিছু আলামত জব্দ করেন। সিআইডির তদন্ত দল কলেজ পরিদর্শনকালে খাতা চুরির বিষয়টি প্রাথমিকভাবে সত্য মনে করছেন। এসময় কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাদিয়া জেরিনসহ প্রশাসনের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, গত ৮ মে কালীগঞ্জ আমলি আদালতে কলেজের অধ্যক্ষ ড. মাহবুবুর রহমান খাতা চুরির মামলাটি করেন, যার পিটিশন মামলা নম্বর ৫৩/২২। মামলার আসামি করা হয় সরকারি মাহতাব উদ্দীন কলেজের ব্যবসায় ব্যবস্থাপনা শাখার সাচিবিক বিদ্যা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ফয়লা গ্রামের মৃত নুরুল ইসলামের ছেলে রকিবুল ইসলাম মিল্টন ও সাবেক ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ কালীগঞ্জ মেইন বাসস্ট্যান্ড এলাকার মৃত ওয়াজেদ মণ্ডলের ছেলে আব্দুল মজিদ মণ্ডল।

মামলা সূত্রে জানা গেছে, আসামিরা পরস্পরের যোগসাজসে কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীন অনুষ্ঠিত ব্যবসায় ব্যবস্থাপনা শাখার বোর্ড পরীক্ষার পর অবশিষ্ট মূল খাতা ও লুজ শিট চুরি করে বিক্রি করে দেন। খাতা চুরির ঘটনা জানার পরও ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আব্দুল মজিদ কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি বরং ঘটনাটি ধামাচাপা দেন। এ বিষয়ে বিভিন্ন দৈনিকে তথ্যভিত্তিক খবর প্রকাশিত হলে বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষাবোর্ড কলেজ অধ্যক্ষ ড. মাহবুবুর রহমানকে মামলা করার পরামর্শ দেন। এদিকে, আদালতে মামলা করার পর সাক্ষীদের ওপর চাড়াও হয় আসামি মিল্টন ও আব্দুর মজিদ মণ্ডল। তারা কলেজ ক্যাম্পাসে বহিরাগতদের ডেকে এনে সাক্ষী এমইউ কলেজের গণিত বিভাগের সহকারী অধ্যাপক সাজ্জাদ হোসেন ও ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মোশাররফ হোসেনকে লাঞ্ছিত করেন। এ নিয়ে দেশব্যাপী তুমুল সমালোচনার সৃষ্টি হয়।

এদিকে সিআইডির পরিদর্শক আতিয়ার রহমান ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে বলেন, ‘কলেজ পরিদর্শন করে আমি সাক্ষীদের সঙ্গে কথা বলেছি। বিবাদীদের বিরুদ্ধে প্রাথমিকভাবে খাতা চুরির অভিযোগটি সত্য বলে মনে হচ্ছে।’ তিনি বলেন, এখন তো আর ৭ বস্তা চুরি হওয়া খাতা উদ্ধার সম্ভব নয়, তবে খাতার নমুনা আলামত হিসেবে জব্দ করা হয়েছে। তিনি বলেন, আদালতের নির্দেশনা মোতাবেক যথাসময়ে তদন্ত রিপোর্ট আদালতে পেশ করা হবে।