ইপেপার । আজ শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ঝিনাইদহে ধর্ষণ মামলায় কারাগারে ইউপি চেয়ারম্যান

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৯:২৩:৫২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২ জুন ২০২২
  • / ৪৪ বার পড়া হয়েছে

ঝিনাইদহ অফিস: ঝিনাইদহ সদর উপজেলার হরিশংকরপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও বহিষ্কৃত ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি খন্দকার ফারুকুজ্জামান ফরিদকে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। গতকাল বুধবার দুপুরে একটি ধর্ষণ মামলায় উচ্চআদালতের নির্দেশে হাজির হলে বিচারিক আদালত তাঁকে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন। এই মামলায় তাঁর গাড়িচালক নজরুল ইসলামকেও আসামি করা হয়।

জানা যায়, গত ১৯ শে এপ্রিল চম্পা খাতুন নামে এক নারী ঝিনাইদহ সদর থানায় নিজে বাদী হয়ে চেয়ারম্যান ফরিদ ও তাঁর গাড়িচালকের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা করেন। ১৫ এপ্রিল ওই নারী একজন বিচারপ্রার্থী হিসেবে চেয়ারম্যানের দারস্ত হলে ফারুকুজ্জামান ফরিদ তাঁর গ্রামের বাড়ি সদর উপজেলার নরহরিদ্রা গ্রামে ধর্ষণ করেন। ধর্ষণ মামলা দায়েরের পর উচ্চআদালত থেকে আগাম জামিন নেন চেয়ারম্যান ফরিদ।

ওই নারী গতকাল বুধবার গণমাধ্যমকর্মীদের জানান, বিচার চাইতে গিয়ে ফরিদ চেয়ারম্যানের লালসার শিকার হন তিনি। মামলায় তিনি অভিযোগ করেন, কয়েক মাস আগে শহরতলীর কোরাপাড়া বটতলার আমির হোসেনের ছেলে মহসিনের সাথে ওই নারীর বিয়ে হয়। কয়েক মাস স্বামী-স্ত্রী হিসেবে বসবাস করলেও পরে বিয়ে অস্বীকার করে মহসিন। বিষয়টি সমাধানের জন্য একপর্যায়ে ওই নারী তাঁর পূর্ব পরিচিত চেয়ারম্যান ফরিদের সাথে আলাপ করেন। সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দিয়ে চেয়ারম্যান গত ১৫ এপ্রিল নরহরিদ্রা গ্রামে তাঁর বাড়িতে ডেকে নেন। ওই নারীর ভাষ্যমতে, ঘটনার দিন বিকেলে তিনি ফরিদের গ্রামের বাড়িতে পৌঁছালে তাঁকে দুইতলার একটি কক্ষে নিয়ে যান এবং নেশা জাতীয় কিছু সেবন করিয়ে ফরিদ ও তাঁর গাড়িচালক নজরুল মিলে পালাক্রমে ধর্ষণ করে।

অভিযোগে তিনি আরও উল্লেখ করেছেন, চেয়ারম্যান তাঁকে ধর্ষণ ছাড়াও শারীরিকভাবে নির্যাতন করেন। ধর্ষণের পর চেয়ারম্যান ফরিদ এই ঘটনা কাউকে না বলার জন্য নিষেধ করেন। ধর্ষণ শেষে চেয়ারম্যানের গাড়িচালককে দিয়ে চম্পাকে বিজয়পুর বাজারে রেখে যান। ১৬ এপ্রিল শারীরিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়লে তিনি ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে ভর্তি হন। চেয়ারম্যান ফারুকুজ্জামান ফরিদ তাঁর বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা হওয়ার পর থেকেই বলে আসছেন বিষয়টি তাঁর বিরুদ্ধে সম্পূর্ণ ষড়যন্ত্রের অংশ। ওই নারী তাঁর কাছে বিচারের জন্য যখন আসেন, তখন তাঁর কাছে অন্তত ৫০ জন ব্যক্তি উপস্থিত ছিলেন। তিনি তাঁর ফেসবুকে স্ট্যটাস লিখে দাবি করেন, তাঁর বিরুদ্ধে ওই নারীকে দিয়ে মামলা সাজিয়েছেন সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও পোড়াহাটি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম হিরন।

 

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

ঝিনাইদহে ধর্ষণ মামলায় কারাগারে ইউপি চেয়ারম্যান

আপলোড টাইম : ০৯:২৩:৫২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২ জুন ২০২২

ঝিনাইদহ অফিস: ঝিনাইদহ সদর উপজেলার হরিশংকরপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও বহিষ্কৃত ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি খন্দকার ফারুকুজ্জামান ফরিদকে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। গতকাল বুধবার দুপুরে একটি ধর্ষণ মামলায় উচ্চআদালতের নির্দেশে হাজির হলে বিচারিক আদালত তাঁকে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন। এই মামলায় তাঁর গাড়িচালক নজরুল ইসলামকেও আসামি করা হয়।

জানা যায়, গত ১৯ শে এপ্রিল চম্পা খাতুন নামে এক নারী ঝিনাইদহ সদর থানায় নিজে বাদী হয়ে চেয়ারম্যান ফরিদ ও তাঁর গাড়িচালকের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা করেন। ১৫ এপ্রিল ওই নারী একজন বিচারপ্রার্থী হিসেবে চেয়ারম্যানের দারস্ত হলে ফারুকুজ্জামান ফরিদ তাঁর গ্রামের বাড়ি সদর উপজেলার নরহরিদ্রা গ্রামে ধর্ষণ করেন। ধর্ষণ মামলা দায়েরের পর উচ্চআদালত থেকে আগাম জামিন নেন চেয়ারম্যান ফরিদ।

ওই নারী গতকাল বুধবার গণমাধ্যমকর্মীদের জানান, বিচার চাইতে গিয়ে ফরিদ চেয়ারম্যানের লালসার শিকার হন তিনি। মামলায় তিনি অভিযোগ করেন, কয়েক মাস আগে শহরতলীর কোরাপাড়া বটতলার আমির হোসেনের ছেলে মহসিনের সাথে ওই নারীর বিয়ে হয়। কয়েক মাস স্বামী-স্ত্রী হিসেবে বসবাস করলেও পরে বিয়ে অস্বীকার করে মহসিন। বিষয়টি সমাধানের জন্য একপর্যায়ে ওই নারী তাঁর পূর্ব পরিচিত চেয়ারম্যান ফরিদের সাথে আলাপ করেন। সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দিয়ে চেয়ারম্যান গত ১৫ এপ্রিল নরহরিদ্রা গ্রামে তাঁর বাড়িতে ডেকে নেন। ওই নারীর ভাষ্যমতে, ঘটনার দিন বিকেলে তিনি ফরিদের গ্রামের বাড়িতে পৌঁছালে তাঁকে দুইতলার একটি কক্ষে নিয়ে যান এবং নেশা জাতীয় কিছু সেবন করিয়ে ফরিদ ও তাঁর গাড়িচালক নজরুল মিলে পালাক্রমে ধর্ষণ করে।

অভিযোগে তিনি আরও উল্লেখ করেছেন, চেয়ারম্যান তাঁকে ধর্ষণ ছাড়াও শারীরিকভাবে নির্যাতন করেন। ধর্ষণের পর চেয়ারম্যান ফরিদ এই ঘটনা কাউকে না বলার জন্য নিষেধ করেন। ধর্ষণ শেষে চেয়ারম্যানের গাড়িচালককে দিয়ে চম্পাকে বিজয়পুর বাজারে রেখে যান। ১৬ এপ্রিল শারীরিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়লে তিনি ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে ভর্তি হন। চেয়ারম্যান ফারুকুজ্জামান ফরিদ তাঁর বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা হওয়ার পর থেকেই বলে আসছেন বিষয়টি তাঁর বিরুদ্ধে সম্পূর্ণ ষড়যন্ত্রের অংশ। ওই নারী তাঁর কাছে বিচারের জন্য যখন আসেন, তখন তাঁর কাছে অন্তত ৫০ জন ব্যক্তি উপস্থিত ছিলেন। তিনি তাঁর ফেসবুকে স্ট্যটাস লিখে দাবি করেন, তাঁর বিরুদ্ধে ওই নারীকে দিয়ে মামলা সাজিয়েছেন সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও পোড়াহাটি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম হিরন।