ইপেপার । আজ শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ঝিনাইদহে প্রেস ব্রিফিংয়ে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. এ জেড এম জাহিদ

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৮:২১:১০ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৭ মে ২০২২
  • / ২২ বার পড়া হয়েছে

ঝিনাইদহ অফিস: বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন বলেছেন, ‘জনগণের ভোটাধিকার, গণতন্ত্র, বাক ও ব্যক্তি স্বাধীনতা ফিরিয়ে দিতে আমরা যে লড়াই শুরু করেছি, তা একটি নিরপেক্ষ নির্বাচনের মধ্যদিয়ে শেষ হবে। এর বাইরে আর কোনো পথ খোলা নেই। দেশে একটি জবাবদিহি ও জনপ্রতিনিধিত্ব সরকার গঠনের মাধ্যমে জাতির বুকে চেপে বসা দুঃশাসনের অবসান ঘটানো বিএনপির প্রধান লক্ষ্য। এই লক্ষ্য অর্জনে অতীতের মতো দেশের গণমাধ্যম ও সাংবাদিকদের পাশে চাই।’

তিনি বলেন, ‘আমরা এক হিরক রাজার দেশে বসবাস করছি। মানুষ কথা বলতে পারছে না। সাংবাদিকরা লিখতে পারছে না। এখন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে লিখলে এমনকি লাইক-কমেন্ট করলেও কালো আইন তৈরি করে নিপীড়ন করা হচ্ছে। বছরের পর বছর হাসিনার নিষ্ঠুর কারাগারে বন্দি রাখা হচ্ছে।’

অধ্যাপক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন গতকাল বৃহস্পতিবার ঝিনাইদহ জেলা বিএনপির কার্যালয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব কথা বলেন। আগামী ২৮ মে ঝিনাইদহ জেলা বিএনপির সম্মেলন উপলক্ষে এই প্রেস ব্রিফিংয়ের আয়োজন করা হয়। জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট এস এম মশিয়ূর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে কেন্দ্রীয় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত, কেন্দ্রীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক বাবু জয়ন্ত কুমার কুণ্ডু, কেন্দ্রীয় নেতা আমিরুজ্জামান খান শিমুল, জেলা বিএনপির সদস্যসচিব অ্যাড. এম এ মজিদ, জেলা বিএনপির নির্বাচন পরিচালনা কমিটির প্রধান কমিশনার অ্যাড. দবির হোসেন, দলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মালেক, এ কে এম ওয়াজেদ, জাহিদুজ্জামান মনা, আক্তারুজ্জামান, আব্দুল মজিদ বিশ্বাস, মুন্সি কামাল আজাদ পান্নু, আশরাফুল ইসলাম পিণ্টু, মহেশপুরের দবির উদ্দীন ও মেহেদী হাসান রনি উপস্থিত ছিলেন।

প্রেস বিফ্রিংয়ে অধ্যাপক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন আরও বলেন, দেশের মানুষ আজ দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির আগুনে পুড়ছে। অথচ এই সরকারের কোনো মাথা ব্যধা নেই। তারা দেশের সাধরণ মানুষের কথা চিন্তা করে না। কারণ তারা দিনের ভোট রাতে করে ক্ষমতায় এসেছে। এই দুঃসহ অবস্থা থেকে দেশের মানুষ মুক্তি চায়। হাসিনা ও তার দোসররা দেশে যে ভয়াবহ সংকট তৈরি করেছে, তার জন্য আমরা একাত্তর সালে যুদ্ধ করিনি। তিনি বলেন, বিএনপি কোনো আজ্ঞাবহ নির্বাচন কমিশনের অধীনে ভোটে যাবে না। গণতন্ত্র আন্দোলনে আমরা শুধু ডান-বাম বুঝি না। সকল দল-মতের ঊর্ধ্বে দেশের সব শ্রেণি-পেশার মানুষের সহায়তা নিয়ে বিএনপি এগিয়ে যেতে চায়।

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে অধ্যাপক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন বলেন, বিএনপি কোনো ইস্যু তৈরি করেনি। হাসিনা সরকারই একটার পর একটা সংকট ও ইস্যু তৈরি করে দিয়েছে জনগণের সামনে। আমরা সরকারকে বারবার সাবধান করছি। সরকার আমাদের কথা আমলে না নিয়ে দেশ শ্রীলংকার মতো হবে বলেছি। অধ্যাপক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন বলেন, বিএনপি গণতন্ত্রে বিশ্বাসী একটি বৃহৎ রাজনৈতিক দল। তাই এই দলের জেলা সম্মেলন হচ্ছে সম্পূর্ণ গণতান্ত্রিক পন্থায়। সিলেট ও দিনাজপুর বিএনপির কমিটি সেভাবেই হয়েছে। তিনি বলেন, আগামী ২৮ মে ঝিনাইদহ জেলা বিএনপির সম্মেলনে ১০১০ জন ভোটার গোপন ব্যালটে ভোট দিয়ে তারা নেতা নির্বাচিত করবেন। বিএনপি তৃণমূল থেকে নেতৃত্ব তুলে আনতে চায়। সংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে অধ্যাপক জাহিদ আরও বলেন, সিইসি বলেছেন ইভিএম ত্রুটি মুক্ত না। তাই বিএনপি ইভিএম পদ্ধতিতে নয়, ব্যালটের মাধ্যমে ভোটে বিশ্বাসী এবং আগামী নির্বাচন ব্যালটেই হবে ইনশাল্লাহ।

কেন্দ্রীয় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত প্রেস ব্রিফিংয়ে বলেন, গণতান্ত্রিক আন্দোলনে দেশের সাংবাদিক সমাজকে আমরা সবসময় পাশে পেয়েছি। ঝিনাইদহ জেলা বিএনপির সম্মেলনে বিএনপির মাহাসচিব মির্জা ফকরুল ইসলাম আলমগীর বক্তব্য দিবেন। তিনি ঝিনাইদহের জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন ও জেলার সর্বস্তরের মানুষের সহায়তা কামনা করে বলেন, বিএনপি সাধরণ মানুষের প্রতিনিধিত্ব ফিরিয়ে দিতে বদ্ধ পরিকর। সেই লড়াইয়ে ঝিনাইদহ জেলাবাসীকে তিনি পাশে চান। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ সম্মেলন স্থল পরিদর্শন করতে সদর উপজেলার ডাকবাংলা আব্দুর রউফ কলেজ মাঠ পরিদর্শন করেন।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

ঝিনাইদহে প্রেস ব্রিফিংয়ে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. এ জেড এম জাহিদ

আপলোড টাইম : ০৮:২১:১০ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৭ মে ২০২২

ঝিনাইদহ অফিস: বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন বলেছেন, ‘জনগণের ভোটাধিকার, গণতন্ত্র, বাক ও ব্যক্তি স্বাধীনতা ফিরিয়ে দিতে আমরা যে লড়াই শুরু করেছি, তা একটি নিরপেক্ষ নির্বাচনের মধ্যদিয়ে শেষ হবে। এর বাইরে আর কোনো পথ খোলা নেই। দেশে একটি জবাবদিহি ও জনপ্রতিনিধিত্ব সরকার গঠনের মাধ্যমে জাতির বুকে চেপে বসা দুঃশাসনের অবসান ঘটানো বিএনপির প্রধান লক্ষ্য। এই লক্ষ্য অর্জনে অতীতের মতো দেশের গণমাধ্যম ও সাংবাদিকদের পাশে চাই।’

তিনি বলেন, ‘আমরা এক হিরক রাজার দেশে বসবাস করছি। মানুষ কথা বলতে পারছে না। সাংবাদিকরা লিখতে পারছে না। এখন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে লিখলে এমনকি লাইক-কমেন্ট করলেও কালো আইন তৈরি করে নিপীড়ন করা হচ্ছে। বছরের পর বছর হাসিনার নিষ্ঠুর কারাগারে বন্দি রাখা হচ্ছে।’

অধ্যাপক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন গতকাল বৃহস্পতিবার ঝিনাইদহ জেলা বিএনপির কার্যালয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব কথা বলেন। আগামী ২৮ মে ঝিনাইদহ জেলা বিএনপির সম্মেলন উপলক্ষে এই প্রেস ব্রিফিংয়ের আয়োজন করা হয়। জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট এস এম মশিয়ূর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে কেন্দ্রীয় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত, কেন্দ্রীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক বাবু জয়ন্ত কুমার কুণ্ডু, কেন্দ্রীয় নেতা আমিরুজ্জামান খান শিমুল, জেলা বিএনপির সদস্যসচিব অ্যাড. এম এ মজিদ, জেলা বিএনপির নির্বাচন পরিচালনা কমিটির প্রধান কমিশনার অ্যাড. দবির হোসেন, দলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মালেক, এ কে এম ওয়াজেদ, জাহিদুজ্জামান মনা, আক্তারুজ্জামান, আব্দুল মজিদ বিশ্বাস, মুন্সি কামাল আজাদ পান্নু, আশরাফুল ইসলাম পিণ্টু, মহেশপুরের দবির উদ্দীন ও মেহেদী হাসান রনি উপস্থিত ছিলেন।

প্রেস বিফ্রিংয়ে অধ্যাপক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন আরও বলেন, দেশের মানুষ আজ দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির আগুনে পুড়ছে। অথচ এই সরকারের কোনো মাথা ব্যধা নেই। তারা দেশের সাধরণ মানুষের কথা চিন্তা করে না। কারণ তারা দিনের ভোট রাতে করে ক্ষমতায় এসেছে। এই দুঃসহ অবস্থা থেকে দেশের মানুষ মুক্তি চায়। হাসিনা ও তার দোসররা দেশে যে ভয়াবহ সংকট তৈরি করেছে, তার জন্য আমরা একাত্তর সালে যুদ্ধ করিনি। তিনি বলেন, বিএনপি কোনো আজ্ঞাবহ নির্বাচন কমিশনের অধীনে ভোটে যাবে না। গণতন্ত্র আন্দোলনে আমরা শুধু ডান-বাম বুঝি না। সকল দল-মতের ঊর্ধ্বে দেশের সব শ্রেণি-পেশার মানুষের সহায়তা নিয়ে বিএনপি এগিয়ে যেতে চায়।

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে অধ্যাপক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন বলেন, বিএনপি কোনো ইস্যু তৈরি করেনি। হাসিনা সরকারই একটার পর একটা সংকট ও ইস্যু তৈরি করে দিয়েছে জনগণের সামনে। আমরা সরকারকে বারবার সাবধান করছি। সরকার আমাদের কথা আমলে না নিয়ে দেশ শ্রীলংকার মতো হবে বলেছি। অধ্যাপক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন বলেন, বিএনপি গণতন্ত্রে বিশ্বাসী একটি বৃহৎ রাজনৈতিক দল। তাই এই দলের জেলা সম্মেলন হচ্ছে সম্পূর্ণ গণতান্ত্রিক পন্থায়। সিলেট ও দিনাজপুর বিএনপির কমিটি সেভাবেই হয়েছে। তিনি বলেন, আগামী ২৮ মে ঝিনাইদহ জেলা বিএনপির সম্মেলনে ১০১০ জন ভোটার গোপন ব্যালটে ভোট দিয়ে তারা নেতা নির্বাচিত করবেন। বিএনপি তৃণমূল থেকে নেতৃত্ব তুলে আনতে চায়। সংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে অধ্যাপক জাহিদ আরও বলেন, সিইসি বলেছেন ইভিএম ত্রুটি মুক্ত না। তাই বিএনপি ইভিএম পদ্ধতিতে নয়, ব্যালটের মাধ্যমে ভোটে বিশ্বাসী এবং আগামী নির্বাচন ব্যালটেই হবে ইনশাল্লাহ।

কেন্দ্রীয় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত প্রেস ব্রিফিংয়ে বলেন, গণতান্ত্রিক আন্দোলনে দেশের সাংবাদিক সমাজকে আমরা সবসময় পাশে পেয়েছি। ঝিনাইদহ জেলা বিএনপির সম্মেলনে বিএনপির মাহাসচিব মির্জা ফকরুল ইসলাম আলমগীর বক্তব্য দিবেন। তিনি ঝিনাইদহের জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন ও জেলার সর্বস্তরের মানুষের সহায়তা কামনা করে বলেন, বিএনপি সাধরণ মানুষের প্রতিনিধিত্ব ফিরিয়ে দিতে বদ্ধ পরিকর। সেই লড়াইয়ে ঝিনাইদহ জেলাবাসীকে তিনি পাশে চান। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ সম্মেলন স্থল পরিদর্শন করতে সদর উপজেলার ডাকবাংলা আব্দুর রউফ কলেজ মাঠ পরিদর্শন করেন।