ইপেপার । আজ শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

উপবৃত্তির টাকা হাতিয়ে নিতে বোর্ডের কর্মকর্তা পরিচয়ে ফোন!

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৯:০৮:৫৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৩ মে ২০২২
  • / ২২ বার পড়া হয়েছে

ঝিনাইদহ অফিস: শিক্ষা উপবৃত্তির টাকা হাতিয়ে নিতে এবার গাজীপুর জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সেকশন অফিসার হিসেবে এক প্রতারক নিজেকে সাজ্জাদ পরিচয় দিয়ে ফোন করেছেন। ঝিনাইদহের সিনিয়র সাংবাদিক ও দৈনিক সময়ের সমীকরণের ব্যুরো প্রধান আসিফ কাজলের মুঠোফোনে গতকাল রোববার বিকেল ৫টা ৫ মিনিটে ফোন করেন। এর আগে গত শনিবার সন্ধ্যা ৬টা ৪৮ মিনিটে শিক্ষামন্ত্রী দিপু মনির নাম ভাঙিয়ে ০১৯৫৩৯৮৪১২৯ ম্যাসেজ পাঠায়। ম্যাসেজে লেখা ছিল ‘প্রিয় শিক্ষার্থী তোমাদের উপবৃত্তির ৪২০০ টাকা দেওয়া হচ্ছে। টাকা গ্রহণের জন্য নিম্নোক্ত শিক্ষা বোর্ডের ০১৮৪২৮৩৪৯১৬ নম্বরে যোগাযোগ করুন- শিক্ষামন্ত্রী দিপু মনি।’ এই ম্যাসেজ পাঠানোর একদিন পর প্রতারক উপবৃত্তি সংক্রান্ত কোনো ম্যাসেজ পেয়েছেন কি না, তা জানতে গতকাল রোববার বিকেলে সাংবাদিক আসিফ কাজলের কাছে জানতে চান।

হ্যাঁ সূচক উত্তর পেয়ে ওই প্রতারক কোন নম্বর বিকাশ করা ও শিক্ষার্থীর ব্যক্তিগত তথ্য হাতিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন। সাংবাদিক আসিফ কাজল প্রতি উত্তরে বলেন, ‘আমার মেয়েরা তো যশোর শিক্ষা বোর্ডের অধীনে পড়ালেখা করে। গাজীপুর শিক্ষাবোর্ড কেন ফোন করবে? আর শিক্ষামন্ত্রী দিপু মনিই বা কেন এ ধরণের ম্যাসেজ পাঠাবেন।’ এ কথা শুনে প্রতারক তেলে বেগুনে জ্বলে ওঠে এবং বলে ‘এই! মূর্খের লগেন কথা বলছেন কেন? কথা ভালো করে বোঝেন, এটা গাজীপুর জাতীয় শিক্ষাবোর্ড। এখান থেকে বাংলাদেশের সকল বোর্ড পরিচালিত হয়। দেশে একটাই বোর্ড সেটা গাজীপুরে।’ উত্তরে সাংবাদিক আসিফ কাজল বলেন, এখান থেকে কি কোনো সেকশন অফিসার বা প্রফেসর শিক্ষার্থীর অভিভাবককে ফোন দেয়? জবাবে প্রতারক অশ্লীল ভাষায় বলে ওঠে ‘আপনি যে মূর্খের ন্যায় কথা বলছেন। ফোন রাখেন। মুরব্বী হয়ে মূর্খের মতো কথা বলছেন, গাধা কোথাকার।’

তথ্য নিয়ে জানা গেছে, ঝিনাইদহসহ সারা দেশে এই প্রতারক চক্র শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তির টাকা হাতিয়ে নিতে জাল বিস্তার করেছে। এর আগে প্রাথমিক শিক্ষার্থীদের টাকা জেলা ও উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা আবার কখনো নগদের অফিসার সেজে গোপন পিন নম্বর নিয়ে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। বর্তমান বিভিন্ন কলেজে প্রথম বর্ষের ছাত্রীদের উপবৃত্তির টাকা বরাদ্দ দেওয়া হচ্ছে। তাই এই টাকা হাতিয়ে নিতে প্রথমে ম্যাসেজ ও পরে সরাসরি ফোন করে শিক্ষার্থীর মোবাইল, বিকাশ বা নগদের গোপন পিন নম্বরসহ গুরুত্বপূর্ণ তথ্য হাতিয়ে নিচ্ছে।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

উপবৃত্তির টাকা হাতিয়ে নিতে বোর্ডের কর্মকর্তা পরিচয়ে ফোন!

আপলোড টাইম : ০৯:০৮:৫৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৩ মে ২০২২

ঝিনাইদহ অফিস: শিক্ষা উপবৃত্তির টাকা হাতিয়ে নিতে এবার গাজীপুর জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সেকশন অফিসার হিসেবে এক প্রতারক নিজেকে সাজ্জাদ পরিচয় দিয়ে ফোন করেছেন। ঝিনাইদহের সিনিয়র সাংবাদিক ও দৈনিক সময়ের সমীকরণের ব্যুরো প্রধান আসিফ কাজলের মুঠোফোনে গতকাল রোববার বিকেল ৫টা ৫ মিনিটে ফোন করেন। এর আগে গত শনিবার সন্ধ্যা ৬টা ৪৮ মিনিটে শিক্ষামন্ত্রী দিপু মনির নাম ভাঙিয়ে ০১৯৫৩৯৮৪১২৯ ম্যাসেজ পাঠায়। ম্যাসেজে লেখা ছিল ‘প্রিয় শিক্ষার্থী তোমাদের উপবৃত্তির ৪২০০ টাকা দেওয়া হচ্ছে। টাকা গ্রহণের জন্য নিম্নোক্ত শিক্ষা বোর্ডের ০১৮৪২৮৩৪৯১৬ নম্বরে যোগাযোগ করুন- শিক্ষামন্ত্রী দিপু মনি।’ এই ম্যাসেজ পাঠানোর একদিন পর প্রতারক উপবৃত্তি সংক্রান্ত কোনো ম্যাসেজ পেয়েছেন কি না, তা জানতে গতকাল রোববার বিকেলে সাংবাদিক আসিফ কাজলের কাছে জানতে চান।

হ্যাঁ সূচক উত্তর পেয়ে ওই প্রতারক কোন নম্বর বিকাশ করা ও শিক্ষার্থীর ব্যক্তিগত তথ্য হাতিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন। সাংবাদিক আসিফ কাজল প্রতি উত্তরে বলেন, ‘আমার মেয়েরা তো যশোর শিক্ষা বোর্ডের অধীনে পড়ালেখা করে। গাজীপুর শিক্ষাবোর্ড কেন ফোন করবে? আর শিক্ষামন্ত্রী দিপু মনিই বা কেন এ ধরণের ম্যাসেজ পাঠাবেন।’ এ কথা শুনে প্রতারক তেলে বেগুনে জ্বলে ওঠে এবং বলে ‘এই! মূর্খের লগেন কথা বলছেন কেন? কথা ভালো করে বোঝেন, এটা গাজীপুর জাতীয় শিক্ষাবোর্ড। এখান থেকে বাংলাদেশের সকল বোর্ড পরিচালিত হয়। দেশে একটাই বোর্ড সেটা গাজীপুরে।’ উত্তরে সাংবাদিক আসিফ কাজল বলেন, এখান থেকে কি কোনো সেকশন অফিসার বা প্রফেসর শিক্ষার্থীর অভিভাবককে ফোন দেয়? জবাবে প্রতারক অশ্লীল ভাষায় বলে ওঠে ‘আপনি যে মূর্খের ন্যায় কথা বলছেন। ফোন রাখেন। মুরব্বী হয়ে মূর্খের মতো কথা বলছেন, গাধা কোথাকার।’

তথ্য নিয়ে জানা গেছে, ঝিনাইদহসহ সারা দেশে এই প্রতারক চক্র শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তির টাকা হাতিয়ে নিতে জাল বিস্তার করেছে। এর আগে প্রাথমিক শিক্ষার্থীদের টাকা জেলা ও উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা আবার কখনো নগদের অফিসার সেজে গোপন পিন নম্বর নিয়ে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। বর্তমান বিভিন্ন কলেজে প্রথম বর্ষের ছাত্রীদের উপবৃত্তির টাকা বরাদ্দ দেওয়া হচ্ছে। তাই এই টাকা হাতিয়ে নিতে প্রথমে ম্যাসেজ ও পরে সরাসরি ফোন করে শিক্ষার্থীর মোবাইল, বিকাশ বা নগদের গোপন পিন নম্বরসহ গুরুত্বপূর্ণ তথ্য হাতিয়ে নিচ্ছে।