ইপেপার । আজ শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ঝিনাইদহে স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থীর ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে হামলা-ভাঙচুর

ঝিনাইদহ অফিস:
  • আপলোড টাইম : ১১:৪২:০৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৬ মে ২০২২
  • / ১৯ বার পড়া হয়েছে

ঝিনাইদহ পৌরসভা নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী কাইয়ুম শাহরিয়ার জাহেদী হিজলের ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। গতকাল রোববার সন্ধ্যা ছয়টার দিকে একদল যুবক ঝিনাইদহ শহরের গার্লস স্কুল রোডে অবস্থিত কিংশুক বিপনীতে হামলা চালিয়ে এ ভাঙচুর ও লুটপাট করে। এসময় ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের সামনে থাকা কিংশুক বিপনীর পিকআপ ভ্যানের গ্লাস ভাঙচুর করা হয়।

কিংশুক বিপনীর কর্মচারীরা বলেন, তাদের দোকানের ক্যাশ থেকে প্রায় ১৫ লাখ টাকা লুট করা হয়েছে। হামলার সময় স্বতন্ত্র প্রার্থী কাইয়ুম শাহরীয়ার জাহেদী হিজল নির্বাচনী প্রচারণায় ব্যস্ত ছিলেন। খবর পেয়ে তিনি শত শত সমর্থক নিয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন। বাসায় ফিরে তাৎক্ষণিক এক সাংবাদিক সম্মেলনে কাইয়ুম শাহরীয়ার জাহেদী হিজল নৌকার কতিপয় সমর্থকদের এই হামলার জন্য দায়ী করে বলেন, ‘আমার পিতা মুছা মিয়া একজন ভাষা সৈনিক ও বীর মুক্তিযোদ্ধা। তিনি জীবনবাজী রেখে দেশ স্বাধীন করেছেন। আমার পিতা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। বঙ্গবন্ধু আমাদের বাড়িতে এসেছেন। অথচ আমি ভোটে দাঁড়িয়ে কী দোষ করেছি, যে আমার বাড়িতে হামলা করা হলো?’ হিজল বলেন, ‘১২০ বছরের ইতিহাসে তো নয়ই, এমনকি পাক আর্মিরাও আমাদের বাড়িতে হামলা করার সাহস দেখায়নি।’ তিনি বলেন, ‘ঝিনাইদহ থেকে সন্ত্রাস, দুর্নীতি ও পেশীশক্তি নির্মুলে আমার পরিবারের গায়ে এক বিন্দু রক্ত থাকতেও আমি আসন্ন পৌরসভা নির্বাচন থেকে পিছপা হবো না।’

এদিকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিজলের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ভাঙচুর করে যাওয়ার সময় পৌর বিএনপি নেতা মাহফুজুর রহমান লিপিয়ার ও আওয়ামী লীগ সমর্থক কটন আসলামকে পিটিয়ে জখম করা হয়। তাঁদের দুইজনকে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আসলাম আওয়ামী লীগ সমর্থক ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কনক কান্তির বন্ধু হিসেবে পরিচিত। অন্যদিকে যুবদল নেতা মাহফুজুর রহমান লিপিয়ারের বড় ভাই আলমগীর ঝিনাইদহ পৌরসভার কালীচরণপুর ওয়ার্ড থেকে কাউন্সিলর হিসেবে নির্বাচন করছেন। ভাইয়ের কারণে ছোট ভাইয়ের ওপর হামলা করা হয় বলে পারিবারিকভাবে অভিযোগ করা হয়েছে।
ঝিনাইদহ জেলা বিএনপি এই হামলার নিন্দা জানিয়ে বলেছেন, আওয়ামী লীগ নির্বাচনকে ভয় পায় বলেই দিনের ভোট রাতে করে ও কোন প্রতিদ্বন্দ্বী রাখতে চায় না। নির্বাচনে জিততে পারবে না বলেই তারা ঝিনাইদহ শহরে নৈরাজ্য কায়েম করছে বলেও বিএনপি অভিযোগ করেন। এ বিষয়ে ঝিনাইদহ সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শেখ সোহেল রানা বলেন, ‘হামলার পর আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। এখনো কেউ অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

ঝিনাইদহে স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থীর ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে হামলা-ভাঙচুর

আপলোড টাইম : ১১:৪২:০৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৬ মে ২০২২

ঝিনাইদহ পৌরসভা নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী কাইয়ুম শাহরিয়ার জাহেদী হিজলের ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। গতকাল রোববার সন্ধ্যা ছয়টার দিকে একদল যুবক ঝিনাইদহ শহরের গার্লস স্কুল রোডে অবস্থিত কিংশুক বিপনীতে হামলা চালিয়ে এ ভাঙচুর ও লুটপাট করে। এসময় ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের সামনে থাকা কিংশুক বিপনীর পিকআপ ভ্যানের গ্লাস ভাঙচুর করা হয়।

কিংশুক বিপনীর কর্মচারীরা বলেন, তাদের দোকানের ক্যাশ থেকে প্রায় ১৫ লাখ টাকা লুট করা হয়েছে। হামলার সময় স্বতন্ত্র প্রার্থী কাইয়ুম শাহরীয়ার জাহেদী হিজল নির্বাচনী প্রচারণায় ব্যস্ত ছিলেন। খবর পেয়ে তিনি শত শত সমর্থক নিয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন। বাসায় ফিরে তাৎক্ষণিক এক সাংবাদিক সম্মেলনে কাইয়ুম শাহরীয়ার জাহেদী হিজল নৌকার কতিপয় সমর্থকদের এই হামলার জন্য দায়ী করে বলেন, ‘আমার পিতা মুছা মিয়া একজন ভাষা সৈনিক ও বীর মুক্তিযোদ্ধা। তিনি জীবনবাজী রেখে দেশ স্বাধীন করেছেন। আমার পিতা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। বঙ্গবন্ধু আমাদের বাড়িতে এসেছেন। অথচ আমি ভোটে দাঁড়িয়ে কী দোষ করেছি, যে আমার বাড়িতে হামলা করা হলো?’ হিজল বলেন, ‘১২০ বছরের ইতিহাসে তো নয়ই, এমনকি পাক আর্মিরাও আমাদের বাড়িতে হামলা করার সাহস দেখায়নি।’ তিনি বলেন, ‘ঝিনাইদহ থেকে সন্ত্রাস, দুর্নীতি ও পেশীশক্তি নির্মুলে আমার পরিবারের গায়ে এক বিন্দু রক্ত থাকতেও আমি আসন্ন পৌরসভা নির্বাচন থেকে পিছপা হবো না।’

এদিকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিজলের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ভাঙচুর করে যাওয়ার সময় পৌর বিএনপি নেতা মাহফুজুর রহমান লিপিয়ার ও আওয়ামী লীগ সমর্থক কটন আসলামকে পিটিয়ে জখম করা হয়। তাঁদের দুইজনকে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আসলাম আওয়ামী লীগ সমর্থক ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কনক কান্তির বন্ধু হিসেবে পরিচিত। অন্যদিকে যুবদল নেতা মাহফুজুর রহমান লিপিয়ারের বড় ভাই আলমগীর ঝিনাইদহ পৌরসভার কালীচরণপুর ওয়ার্ড থেকে কাউন্সিলর হিসেবে নির্বাচন করছেন। ভাইয়ের কারণে ছোট ভাইয়ের ওপর হামলা করা হয় বলে পারিবারিকভাবে অভিযোগ করা হয়েছে।
ঝিনাইদহ জেলা বিএনপি এই হামলার নিন্দা জানিয়ে বলেছেন, আওয়ামী লীগ নির্বাচনকে ভয় পায় বলেই দিনের ভোট রাতে করে ও কোন প্রতিদ্বন্দ্বী রাখতে চায় না। নির্বাচনে জিততে পারবে না বলেই তারা ঝিনাইদহ শহরে নৈরাজ্য কায়েম করছে বলেও বিএনপি অভিযোগ করেন। এ বিষয়ে ঝিনাইদহ সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শেখ সোহেল রানা বলেন, ‘হামলার পর আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। এখনো কেউ অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’