ইপেপার । আজ শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

চুয়াডাঙ্গা, মেহেরপুর ও ঝিনাইদহে বিএনপির বিক্ষোভ সমাবেশ

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০২:৩১:১০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৫ মে ২০২২
  • / ৩৫ বার পড়া হয়েছে

বিএনপিসহ বিরোধী নেতাকর্মীদের উপর সন্ত্রাসী হামলা ও নৈরাজ্যের প্রতিবাদে

সমীকরণ ডেস্ক:
বিএনপিসহ বিরোধী নেতাকর্মীদের উপর সন্ত্রাসী হামলা ও নৈরাজ্যের প্রতিবাদে চুয়াডাঙ্গা, মেহেরপুর ও ঝিনাইদহে বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল শনিবার এ জেলাগুলোতে পৃথক পৃথক স্থানে ভিন্ন ভিন্ন সময় এই সমাবেশের আয়োজন করে জেলা বিএনপি।

চুয়াডাঙ্গা:
বিএনপিসহ বিরোধী নেতাকর্মীদের উপর সন্ত্রাসী হামলা ও নৈরাজ্যের প্রতিবাদে চুয়াডাঙ্গায় বিএনপির বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল শনিবার বেলা ১১টায় পুরাতন সাহিত্য পরিষদ প্রাঙ্গনে এই বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপি এই বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করে।

চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ও কেন্দ্রীয় কমিটির উপ-কোষাধাক্ষ মাহমুদ হাসান খান বাবুর সভাপতিত্বে ও জেলা বিএনপির সদস্য সচিব শরীফুজ্জামান শরীফের সঞ্চালনায় বিক্ষোভ সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির চেয়ারপার্সনের রাজনৈতিক উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য, সাবেক হুইপ বীর মুক্তিযোদ্ধা মসিউর রহমান।

প্রধান অতিথি মসিউর রহমান বলেন, ‘এই মাসে দেশী-বিদেশী ষড়যন্ত্রে মহান স্বাধীনতার ঘোষক বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা, বীর মুক্তিযোদ্ধা, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানকে (বীর উত্তম) হত্যা করা হয়। এখন আমাদেরকেও শপথ নিতে হবে। জিয়াউর রহমানের আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে ভোট চোর সরকারকে উৎখাত করে জনগণের ভোটের অধিকার ফেরৎ দিতে হবে।’ এসময় তিনি বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং আওয়ামী লীগের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘এখনও সময় আছে শ্রীলঙ্কাকে দেখে শিক্ষা নিন। শ্রীলঙ্কার দিকে তাকিয়ে দেখেন কি অবস্থা। তা নাহলে ওদের মতো পালানোর পথ থাকবে না। এ দেশের জনগণ কাউকে পালানোর সুযোগ দেবে না।’

সভাপতির বক্তব্যে মাহমুদ হাসান খান বাবু বলেন, ‘বিএনপিসহ বিরোধী দলীয় নেতাকর্মীদের ওপর হামলা, মামলা ও নির্যাতণের বিরুদ্ধে আমরা তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি। অবিলম্বে সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার মুক্তি, তারেক রহমানের মামলা প্রত্যাহারসহ নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের জোর দাবিও জানাচ্ছি।’ এসময় বাবু খান দলীয় নেতাকর্মীদের ফেসবুক নির্ভরতা কমিয়ে তা থেকে বেরিয়ে রাজপথে নামার পরামর্শ দেন।

সদস্য সচিব শরীফুজ্জামান শরীফ বলেন, ‘বর্তমান সরকার এ দেশে মদকে বৈধ করতে চায়। যে দেশে ৯৫ শতাংশ মানুষই মুসলিম সেই দেশে মদকে বৈধতা দেওয়া মানে দেশের ধর্মপ্রাণ মানুষের বুকে কুঠারাঘাত করা। এই অবৈধ সরকারের ঘৃণ ফরমানকে আমরা কখনই মেনে নেব না।’

সমাবেশে উপস্থিত থেকে বক্তব্য দেন জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য খন্দকার আব্দুর জব্বার সোনা, খাজা আবুল হাসনাত, এম জেনারেল ইসলাম, রউফুন নাহার রিনা, সিরাজুল ইসলাম মনি, আব্দুল জব্বার বাবলু, আনোয়ার হোসেন খান (খোকন), আবু বক্কর সিদ্দিক (আবু), মনিরুজ্জামান মনির, রফিকুল হাসান তনু, আজিজুর রহমান পিণ্টু, রাফিতুল্লাহ মহলদার, হাবিবুর রহমান (বুলেট), মির্জা ফরিদুল ইসলাম শিপলু, নজরুল ইসলাম, আবুল কালাম আজাদ (উথলী), মনিরুজ্জামান লিটন, আমিনুল হক রোকন, আবুল হোসেন তোহা, নুর নবী সামদানী, ন্যাশনাল পিপলস পার্টি (এনপিপি) প্রেসিডিয়াম সদস্য নবী চৌধুরী, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি শফিকুল উসলাম পিটু, জেলা যুবদলের সাংগঠণিক সম্পাদক জাহেদ মোহাম্মদ রাজীব খান, জেলা কৃষকদলের আহ্বায়ক মোকাররম হোসেন, সদস্য সচিব তোবারক হোসেন, জেলা জাসাসের সাধারণ সম্পাদাক সেলিমুল হাবীব সেলিম, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি শাহ্জাহান খান ও সাধারণ সম্পাদক মোমিন মালিতা।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক সাইফুর রশিদ ঝণ্টু, জেলা মৎস্যজীবী দলের আহ্বায়ক আবু বক্কর সিদ্দিক বকুল, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক কামরুজ্জামান বাবলু, জেলা মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক জাহানারা খাতুন।
এছাড়াও সমাবেশে চুয়াডাঙ্গার বিভিন্ন উপজেলা, পৌরসভা, ইউনিয়ন, প্রত্যন্ত অঞ্চলের নেতাকর্মীরাসহ বিভিন্ন অঙ্গ সহযোগী সংগঠণের শত-শত নেতাকর্মীরা মিছিল সহকারে সমাবেত হয়।

 

মেহেরপুর:
দেশব্যাপী আওয়ামী সন্ত্রাস ও নৈরাজ্যের প্রতিবাদে মেহেরপুর জেলা বিএনপির উদ্যোগে বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। গতকাল শনিবার সকাল সাড়ে ১০টায় মেহেরপুর জেলা বিএনপি কার্যালয় চত্বরে বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করা হয়। মেহেরপুর জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য মাসুদ অরুনের সভাপতিত্বে বিক্ষোভ সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন, বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির পল্লী উন্নয়ন বিষয়ক সম্পাদক ও সাবেক পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট গৌতম চক্রবর্তী।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘আওয়ামী সরকারের অত্যাচার নির্যাতন নিপীড়নে বাংলাদেশের মানুষ নিঃস্ব হয়েছে। আমরা কোন জায়গাতে আন্দোলন-সংগ্রাম করতে পারিনা। মেহেরপুর বিএনপি’র একটি শক্তিশালী ঘাঁটি। আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি এই মেহেরপুর জেলা স্বৈরাচার হাসিনার সরকারকে পতনের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।’ তিনি আরো বলেন, ‘আমাদের হাজার হাজার নেতাকর্মীকে খুন করা হয়েছে। গুম করা হয়েছে। হাজার হাজার নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে দেওয়া হয়েছে মামলা।’ এসময় তিনি মেহেরপুর জেলা বিএনপির নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘আপনারা প্রস্তুত থাকুন যেকোনো সময় বৃহত্তর আন্দোলনের ডাক আসবে।’

বিক্ষোভ সমাবেশে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক জয়ন্ত কুমার কুণ্ডু, মেহেরপুর পৌর বিএনপির সভাপতি জাহাঙ্গীর বিশ্বাস, মেহেরপুর জেলা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সংসদ সদস্য আমজাদ হোসেন, জেলা বিএনপি’র সিনিয়র সহ-সভাপতি জাভেদ মাসুদ মিল্টন, সহ-সভাপতি আব্দুর রহমান প্রমূখ।

 

ঝিনাইদহ:
দেশব্যাপী বিএনপির নেতাকর্মীদের উপর হামলা ও নৈরাজ্য’ প্রতিবাদে আওয়ামী লীগকে দায়ী করে সারাদেশের ন্যায় ঝিনাইদহে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে বিএনপি। কেন্দ্রীয় কর্মসূচীর অংশ হিসেবে গতকাল শনিবার সকালে ঝিনাইদহ প্রেসক্লাবের সামনে এ কর্মসূচির আয়োজন করে ঝিনাইদহ জেলা বিএনপি। ঝিনাইদহ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাড. এসএম মশিউর রহমানের সভাপতিত্বে সদস্য সচিব অ্যাড. এমএ মজিদের সঞ্চালনায় সমাবেশে প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত।

প্রধান অতিথি অনিন্দ্য ইসলাম অমিত দেশব্যাপী বিএনপির নেতাকর্মীদের উপর হামলার জন্য আওয়ামী লীগকে দায়ী করে বলেন, ‘দেশে গণতন্ত্রকে ফিরিয়ে আনতে বিএনপি যে সংগ্রাম শুরু করেছে, তা কেউ দমাতে পারবে না। এ সরকারের দুর্নীতিবাজ মন্ত্রী, এমপি ও দলীয় নেতাকর্মীরা পালানোর পথ পাবে না।’

সমাবেশে বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুল মালেক, যুগ্ম আহ্বায়ক জাহিদুজ্জামান মনা, সদর থানা বিএনপির সভাপতি মুন্সী কামাল আজাদ পান্নু, পৌর বিএনপির সভাপতি আব্দুল মজিদ বিশ্বাস, কৃষকদল নেতা আনোয়ারুল ইসলাম বাদশা, শৈলকুপা উপজেলা বিএনপির সভাপতি আবুল হোসেন, সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. হুমায়ন বাবর ফিরোজ, পৌর বিএনপির সভাপতি আবু তালেব মিয়া, সাধারণ সম্পাদক সেলিম রেজা ঠান্ডু, হাসান মাস্টার, মেহেদি হাসান রনি, আব্দুল হামিদ প্রমুখ।

সমাবেশে বক্তারা দেশব্যাপী বিএনপির নেতাকর্মীদের উপর হামলা ও নৈরাজ্য’ আওয়ামী লীগকে দায়ী করে এর প্রতিবাদ জানান। সেই সাথে বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তি দাবী করে। একই সাথে দ্রব্যমুল্যের উর্দ্ধগতি রোধে সরকারের ব্যর্থতাকে দায়ী করেন।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

চুয়াডাঙ্গা, মেহেরপুর ও ঝিনাইদহে বিএনপির বিক্ষোভ সমাবেশ

আপলোড টাইম : ০২:৩১:১০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৫ মে ২০২২

বিএনপিসহ বিরোধী নেতাকর্মীদের উপর সন্ত্রাসী হামলা ও নৈরাজ্যের প্রতিবাদে

সমীকরণ ডেস্ক:
বিএনপিসহ বিরোধী নেতাকর্মীদের উপর সন্ত্রাসী হামলা ও নৈরাজ্যের প্রতিবাদে চুয়াডাঙ্গা, মেহেরপুর ও ঝিনাইদহে বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল শনিবার এ জেলাগুলোতে পৃথক পৃথক স্থানে ভিন্ন ভিন্ন সময় এই সমাবেশের আয়োজন করে জেলা বিএনপি।

চুয়াডাঙ্গা:
বিএনপিসহ বিরোধী নেতাকর্মীদের উপর সন্ত্রাসী হামলা ও নৈরাজ্যের প্রতিবাদে চুয়াডাঙ্গায় বিএনপির বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল শনিবার বেলা ১১টায় পুরাতন সাহিত্য পরিষদ প্রাঙ্গনে এই বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপি এই বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করে।

চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ও কেন্দ্রীয় কমিটির উপ-কোষাধাক্ষ মাহমুদ হাসান খান বাবুর সভাপতিত্বে ও জেলা বিএনপির সদস্য সচিব শরীফুজ্জামান শরীফের সঞ্চালনায় বিক্ষোভ সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির চেয়ারপার্সনের রাজনৈতিক উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য, সাবেক হুইপ বীর মুক্তিযোদ্ধা মসিউর রহমান।

প্রধান অতিথি মসিউর রহমান বলেন, ‘এই মাসে দেশী-বিদেশী ষড়যন্ত্রে মহান স্বাধীনতার ঘোষক বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা, বীর মুক্তিযোদ্ধা, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানকে (বীর উত্তম) হত্যা করা হয়। এখন আমাদেরকেও শপথ নিতে হবে। জিয়াউর রহমানের আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে ভোট চোর সরকারকে উৎখাত করে জনগণের ভোটের অধিকার ফেরৎ দিতে হবে।’ এসময় তিনি বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং আওয়ামী লীগের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘এখনও সময় আছে শ্রীলঙ্কাকে দেখে শিক্ষা নিন। শ্রীলঙ্কার দিকে তাকিয়ে দেখেন কি অবস্থা। তা নাহলে ওদের মতো পালানোর পথ থাকবে না। এ দেশের জনগণ কাউকে পালানোর সুযোগ দেবে না।’

সভাপতির বক্তব্যে মাহমুদ হাসান খান বাবু বলেন, ‘বিএনপিসহ বিরোধী দলীয় নেতাকর্মীদের ওপর হামলা, মামলা ও নির্যাতণের বিরুদ্ধে আমরা তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি। অবিলম্বে সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার মুক্তি, তারেক রহমানের মামলা প্রত্যাহারসহ নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের জোর দাবিও জানাচ্ছি।’ এসময় বাবু খান দলীয় নেতাকর্মীদের ফেসবুক নির্ভরতা কমিয়ে তা থেকে বেরিয়ে রাজপথে নামার পরামর্শ দেন।

সদস্য সচিব শরীফুজ্জামান শরীফ বলেন, ‘বর্তমান সরকার এ দেশে মদকে বৈধ করতে চায়। যে দেশে ৯৫ শতাংশ মানুষই মুসলিম সেই দেশে মদকে বৈধতা দেওয়া মানে দেশের ধর্মপ্রাণ মানুষের বুকে কুঠারাঘাত করা। এই অবৈধ সরকারের ঘৃণ ফরমানকে আমরা কখনই মেনে নেব না।’

সমাবেশে উপস্থিত থেকে বক্তব্য দেন জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য খন্দকার আব্দুর জব্বার সোনা, খাজা আবুল হাসনাত, এম জেনারেল ইসলাম, রউফুন নাহার রিনা, সিরাজুল ইসলাম মনি, আব্দুল জব্বার বাবলু, আনোয়ার হোসেন খান (খোকন), আবু বক্কর সিদ্দিক (আবু), মনিরুজ্জামান মনির, রফিকুল হাসান তনু, আজিজুর রহমান পিণ্টু, রাফিতুল্লাহ মহলদার, হাবিবুর রহমান (বুলেট), মির্জা ফরিদুল ইসলাম শিপলু, নজরুল ইসলাম, আবুল কালাম আজাদ (উথলী), মনিরুজ্জামান লিটন, আমিনুল হক রোকন, আবুল হোসেন তোহা, নুর নবী সামদানী, ন্যাশনাল পিপলস পার্টি (এনপিপি) প্রেসিডিয়াম সদস্য নবী চৌধুরী, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি শফিকুল উসলাম পিটু, জেলা যুবদলের সাংগঠণিক সম্পাদক জাহেদ মোহাম্মদ রাজীব খান, জেলা কৃষকদলের আহ্বায়ক মোকাররম হোসেন, সদস্য সচিব তোবারক হোসেন, জেলা জাসাসের সাধারণ সম্পাদাক সেলিমুল হাবীব সেলিম, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি শাহ্জাহান খান ও সাধারণ সম্পাদক মোমিন মালিতা।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক সাইফুর রশিদ ঝণ্টু, জেলা মৎস্যজীবী দলের আহ্বায়ক আবু বক্কর সিদ্দিক বকুল, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক কামরুজ্জামান বাবলু, জেলা মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক জাহানারা খাতুন।
এছাড়াও সমাবেশে চুয়াডাঙ্গার বিভিন্ন উপজেলা, পৌরসভা, ইউনিয়ন, প্রত্যন্ত অঞ্চলের নেতাকর্মীরাসহ বিভিন্ন অঙ্গ সহযোগী সংগঠণের শত-শত নেতাকর্মীরা মিছিল সহকারে সমাবেত হয়।

 

মেহেরপুর:
দেশব্যাপী আওয়ামী সন্ত্রাস ও নৈরাজ্যের প্রতিবাদে মেহেরপুর জেলা বিএনপির উদ্যোগে বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। গতকাল শনিবার সকাল সাড়ে ১০টায় মেহেরপুর জেলা বিএনপি কার্যালয় চত্বরে বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করা হয়। মেহেরপুর জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য মাসুদ অরুনের সভাপতিত্বে বিক্ষোভ সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন, বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির পল্লী উন্নয়ন বিষয়ক সম্পাদক ও সাবেক পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট গৌতম চক্রবর্তী।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘আওয়ামী সরকারের অত্যাচার নির্যাতন নিপীড়নে বাংলাদেশের মানুষ নিঃস্ব হয়েছে। আমরা কোন জায়গাতে আন্দোলন-সংগ্রাম করতে পারিনা। মেহেরপুর বিএনপি’র একটি শক্তিশালী ঘাঁটি। আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি এই মেহেরপুর জেলা স্বৈরাচার হাসিনার সরকারকে পতনের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।’ তিনি আরো বলেন, ‘আমাদের হাজার হাজার নেতাকর্মীকে খুন করা হয়েছে। গুম করা হয়েছে। হাজার হাজার নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে দেওয়া হয়েছে মামলা।’ এসময় তিনি মেহেরপুর জেলা বিএনপির নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘আপনারা প্রস্তুত থাকুন যেকোনো সময় বৃহত্তর আন্দোলনের ডাক আসবে।’

বিক্ষোভ সমাবেশে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক জয়ন্ত কুমার কুণ্ডু, মেহেরপুর পৌর বিএনপির সভাপতি জাহাঙ্গীর বিশ্বাস, মেহেরপুর জেলা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সংসদ সদস্য আমজাদ হোসেন, জেলা বিএনপি’র সিনিয়র সহ-সভাপতি জাভেদ মাসুদ মিল্টন, সহ-সভাপতি আব্দুর রহমান প্রমূখ।

 

ঝিনাইদহ:
দেশব্যাপী বিএনপির নেতাকর্মীদের উপর হামলা ও নৈরাজ্য’ প্রতিবাদে আওয়ামী লীগকে দায়ী করে সারাদেশের ন্যায় ঝিনাইদহে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে বিএনপি। কেন্দ্রীয় কর্মসূচীর অংশ হিসেবে গতকাল শনিবার সকালে ঝিনাইদহ প্রেসক্লাবের সামনে এ কর্মসূচির আয়োজন করে ঝিনাইদহ জেলা বিএনপি। ঝিনাইদহ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাড. এসএম মশিউর রহমানের সভাপতিত্বে সদস্য সচিব অ্যাড. এমএ মজিদের সঞ্চালনায় সমাবেশে প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত।

প্রধান অতিথি অনিন্দ্য ইসলাম অমিত দেশব্যাপী বিএনপির নেতাকর্মীদের উপর হামলার জন্য আওয়ামী লীগকে দায়ী করে বলেন, ‘দেশে গণতন্ত্রকে ফিরিয়ে আনতে বিএনপি যে সংগ্রাম শুরু করেছে, তা কেউ দমাতে পারবে না। এ সরকারের দুর্নীতিবাজ মন্ত্রী, এমপি ও দলীয় নেতাকর্মীরা পালানোর পথ পাবে না।’

সমাবেশে বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুল মালেক, যুগ্ম আহ্বায়ক জাহিদুজ্জামান মনা, সদর থানা বিএনপির সভাপতি মুন্সী কামাল আজাদ পান্নু, পৌর বিএনপির সভাপতি আব্দুল মজিদ বিশ্বাস, কৃষকদল নেতা আনোয়ারুল ইসলাম বাদশা, শৈলকুপা উপজেলা বিএনপির সভাপতি আবুল হোসেন, সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. হুমায়ন বাবর ফিরোজ, পৌর বিএনপির সভাপতি আবু তালেব মিয়া, সাধারণ সম্পাদক সেলিম রেজা ঠান্ডু, হাসান মাস্টার, মেহেদি হাসান রনি, আব্দুল হামিদ প্রমুখ।

সমাবেশে বক্তারা দেশব্যাপী বিএনপির নেতাকর্মীদের উপর হামলা ও নৈরাজ্য’ আওয়ামী লীগকে দায়ী করে এর প্রতিবাদ জানান। সেই সাথে বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তি দাবী করে। একই সাথে দ্রব্যমুল্যের উর্দ্ধগতি রোধে সরকারের ব্যর্থতাকে দায়ী করেন।