ইপেপার । আজ শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

হরিণাকুণ্ডুতে গৃহবধূকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ

প্রতিবেদক,হরিণাকুণ্ডু:
  • আপলোড টাইম : ০৯:৫২:২২ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১১ মে ২০২২
  • / ২৫ বার পড়া হয়েছে

ঝিনাইদহের হরিণাকুণ্ডু উপজেলার চাঁদপুর ইউনিয়নের বেড়বিন্নী গ্রামে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রতিবেশীর মারধরে আহত নারী আসমানী খাতুন (৪০) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। গতকাল মঙ্গলবার ভোরে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয়।

নিহতের স্বামী আমজাদ হোসেন জানান, বাঁচ্চাদের খেলা করা নিয়ে গত রোববার দুপুরে গ্রামের উজ্জল হোসেনের স্ত্রী সুমাইয়া খাতুনের সাথে আসমানীর ঝগড়া হয়। বিকেলে আসমানী খাতুন বাড়ির পাশের খালে হাস আনতে গেলে সুমাইয়া ও তার পরিবারের অন্যান্য সদস্য তাঁকে বেধড়ক মারপিট করে। এতে আসমানী গুরুতর আহত হলে প্রথমে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে গত সোমবার ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন চিকিৎসক। গতকাল মঙ্গলবার ভোরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ফরিদপুরে তাঁর মৃত্যু হয়। এদিকে এ ঘটনার পর পলাতক রয়েছেন প্রতিবেশী সুমাইয়া ও তাঁর স্বজনরা।

নিহতের ভাই আব্দুল কাদের বলেন, ‘আমার নিরীহ বোনটাকে ওরা পিটিয়ে হত্যা করেছে। আমার বোন মারা যাওয়ার খবর শুনেই যারা মারধর করেছিল তারা পালিয়ে গেছে। আমরা এই হত্যার সাথে জড়িতদের গ্রেপ্তারের দাবি জানাচ্ছি।’

চাঁদপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কামাল হোসেন বলেন, আসমানী খাতুন মারা যাওয়ার পর যারা মারধর করেছিল তার পালিয়ে গেছে। তারা যদি অপরাধ না করত, তাহলে তো পালাতো না। এ বিষয়ে হরিণাকুণ্ডু থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সাইফুল ইসলাম বলেন, মৃতদেহ ফরিদপুর থেকে বাড়িতে আনা হয়েছে। সেখানে পুলিশ পাঠিয়েছি। বিস্তারিত পরে জানানো যাবে।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

হরিণাকুণ্ডুতে গৃহবধূকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ

আপলোড টাইম : ০৯:৫২:২২ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১১ মে ২০২২

ঝিনাইদহের হরিণাকুণ্ডু উপজেলার চাঁদপুর ইউনিয়নের বেড়বিন্নী গ্রামে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রতিবেশীর মারধরে আহত নারী আসমানী খাতুন (৪০) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। গতকাল মঙ্গলবার ভোরে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয়।

নিহতের স্বামী আমজাদ হোসেন জানান, বাঁচ্চাদের খেলা করা নিয়ে গত রোববার দুপুরে গ্রামের উজ্জল হোসেনের স্ত্রী সুমাইয়া খাতুনের সাথে আসমানীর ঝগড়া হয়। বিকেলে আসমানী খাতুন বাড়ির পাশের খালে হাস আনতে গেলে সুমাইয়া ও তার পরিবারের অন্যান্য সদস্য তাঁকে বেধড়ক মারপিট করে। এতে আসমানী গুরুতর আহত হলে প্রথমে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে গত সোমবার ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন চিকিৎসক। গতকাল মঙ্গলবার ভোরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ফরিদপুরে তাঁর মৃত্যু হয়। এদিকে এ ঘটনার পর পলাতক রয়েছেন প্রতিবেশী সুমাইয়া ও তাঁর স্বজনরা।

নিহতের ভাই আব্দুল কাদের বলেন, ‘আমার নিরীহ বোনটাকে ওরা পিটিয়ে হত্যা করেছে। আমার বোন মারা যাওয়ার খবর শুনেই যারা মারধর করেছিল তারা পালিয়ে গেছে। আমরা এই হত্যার সাথে জড়িতদের গ্রেপ্তারের দাবি জানাচ্ছি।’

চাঁদপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কামাল হোসেন বলেন, আসমানী খাতুন মারা যাওয়ার পর যারা মারধর করেছিল তার পালিয়ে গেছে। তারা যদি অপরাধ না করত, তাহলে তো পালাতো না। এ বিষয়ে হরিণাকুণ্ডু থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সাইফুল ইসলাম বলেন, মৃতদেহ ফরিদপুর থেকে বাড়িতে আনা হয়েছে। সেখানে পুলিশ পাঠিয়েছি। বিস্তারিত পরে জানানো যাবে।