ইপেপার । আজ বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পচা মিষ্টিতে সয়লাব গাংনীর বাজার

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০১:৪৩:০১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৮ মে ২০২২
  • / ২৯ বার পড়া হয়েছে

মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার বিভিন্ন হাট বাজারে মিষ্টি এবং দই কিনে প্রতিনিয়ত প্রতারিত হচ্ছে ক্রেতারা। বিশেষ করে গ্রামাঞ্চলের মিষ্টির কারখানাগুলোতে অস্বাস্থ্যকর আর নোংরা পরিবেশে তৈরী হচ্ছে দই, মিষ্টি, রসগোল্লা, ছানা ও রস মালাই। স্যাঁতস্যাতে পরিবেশে ময়লা কাপড় দিয়ে ঢেকে তৈরি করা হচ্ছে দই। অন্যদিকে উপজেলা শহরের নামকরা মিষ্টির দোকানের দই, মিষ্টি আর রসগোল্লাতেও ভেজাল! বেশ কয়েকটি দোকানে মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর রাসায়নিক ও মেয়াদোত্তীর্ণ রং মিশিয়ে তৈরি করা হচ্ছে দই, রসগোল্লা, চমচম ও রসমালাই।

সরেজমিনে বিভিন্ন মিষ্টির কারখানা ও দোকান ঘুরে দেখা গেছে, উপজেলা শহরের নামকরা মিষ্টির দোকানগুলো থেকে শুরু করে প্রত্যান্ত অঞ্চলের মিষ্টির দোকানগুলো একই কায়দায় ক্রেতাদের সাথে প্রতারণা করে আসছে। এসব দোকানে অসচেতনতার কারনে ক্রেতারা পন্যের গুণগত মানের পাশাপাশি ওজনে কম জিনিস নিয়েও বেশী দাম দিচ্ছে। মোট কথা যে পরিমান দাম দিয়ে দই মিষ্টি কিনলো সে পরিমান দই মিষ্টি ক্রেতারা কখনই পাচ্ছেনা। এর কারন হলো পাতিলের মিষ্টি কেজি হিসেবে বিক্রি করলেও কেজি পরিমান দই ক্রেতারা পাচ্ছেনা। মিষ্টির প্যাকেটের ভিতরে ওজন বাড়ানোর জন্য দোকানিরা ভারী কাগজ ব্যবহার করছেন। এতে বিক্রেতারা মিষ্টির সমপরিমান দাম দিয়েই কাগজ কিনেও নিচ্ছে। এতে করে বছরের পর বছর ক্রেতারা প্রতারিত হচ্ছে।

গাংনী বন-বিভাগ পাড়ার মোস্তাফিজুর নামের এক ভুক্তভোগী জানান, উপজেলা শহরের আমিন মিষ্টান্ন ভাণ্ডার থেকে আমি ২ কেজি চমচম ক্রয় করে আলমডাঙ্গা উপজেলার হাটবোয়ালীয়া গ্রামে আত্মীয়ের বাড়িতে নিয়ে যায়। সেখানে গিয়ে ওই মিষ্টি আমাদের কে আপ্যায়নের জন্য দিলে মুখে দিতেই পচা দুর্গন্ধ বের হয় যা একদমই খাওয়ার অনুপযোগী।
এবিষয়ে ভুক্তভোগী মোস্তাফিজুর আত্মীয় বাড়ি থেকে পচা দুর্গন্ধযুক্ত মিষ্টি ফেরত নিয়ে আসলে শুরু হয় হট্টগোল। এসময় সাংবাদিক সহ স্থানীয়রা জড়ো হয়ে আমিন মিষ্টান্ন ভাণ্ডার এর প্রোপাইটার রাশিদুল ইসলাম এর সাথে পচা দুর্গন্ধযুক্ত মিষ্টি বিক্রির বিষয়ে কথা বললে তিনি তাঁর ভুল স্বীকার করে।

গাংনী উপজেলা স্যানিটারি ইন্সপেক্টর ও নিরাপদ খাদ্য পরিদর্শক মশিউর রহমান বলেন, আমিন মিষ্টান্ন ভাণ্ডারে পচা ও বাসি মিষ্টি বিক্রির বিষয়টি আমার জানা ছিলো না, বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

পচা মিষ্টিতে সয়লাব গাংনীর বাজার

আপলোড টাইম : ০১:৪৩:০১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৮ মে ২০২২

মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার বিভিন্ন হাট বাজারে মিষ্টি এবং দই কিনে প্রতিনিয়ত প্রতারিত হচ্ছে ক্রেতারা। বিশেষ করে গ্রামাঞ্চলের মিষ্টির কারখানাগুলোতে অস্বাস্থ্যকর আর নোংরা পরিবেশে তৈরী হচ্ছে দই, মিষ্টি, রসগোল্লা, ছানা ও রস মালাই। স্যাঁতস্যাতে পরিবেশে ময়লা কাপড় দিয়ে ঢেকে তৈরি করা হচ্ছে দই। অন্যদিকে উপজেলা শহরের নামকরা মিষ্টির দোকানের দই, মিষ্টি আর রসগোল্লাতেও ভেজাল! বেশ কয়েকটি দোকানে মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর রাসায়নিক ও মেয়াদোত্তীর্ণ রং মিশিয়ে তৈরি করা হচ্ছে দই, রসগোল্লা, চমচম ও রসমালাই।

সরেজমিনে বিভিন্ন মিষ্টির কারখানা ও দোকান ঘুরে দেখা গেছে, উপজেলা শহরের নামকরা মিষ্টির দোকানগুলো থেকে শুরু করে প্রত্যান্ত অঞ্চলের মিষ্টির দোকানগুলো একই কায়দায় ক্রেতাদের সাথে প্রতারণা করে আসছে। এসব দোকানে অসচেতনতার কারনে ক্রেতারা পন্যের গুণগত মানের পাশাপাশি ওজনে কম জিনিস নিয়েও বেশী দাম দিচ্ছে। মোট কথা যে পরিমান দাম দিয়ে দই মিষ্টি কিনলো সে পরিমান দই মিষ্টি ক্রেতারা কখনই পাচ্ছেনা। এর কারন হলো পাতিলের মিষ্টি কেজি হিসেবে বিক্রি করলেও কেজি পরিমান দই ক্রেতারা পাচ্ছেনা। মিষ্টির প্যাকেটের ভিতরে ওজন বাড়ানোর জন্য দোকানিরা ভারী কাগজ ব্যবহার করছেন। এতে বিক্রেতারা মিষ্টির সমপরিমান দাম দিয়েই কাগজ কিনেও নিচ্ছে। এতে করে বছরের পর বছর ক্রেতারা প্রতারিত হচ্ছে।

গাংনী বন-বিভাগ পাড়ার মোস্তাফিজুর নামের এক ভুক্তভোগী জানান, উপজেলা শহরের আমিন মিষ্টান্ন ভাণ্ডার থেকে আমি ২ কেজি চমচম ক্রয় করে আলমডাঙ্গা উপজেলার হাটবোয়ালীয়া গ্রামে আত্মীয়ের বাড়িতে নিয়ে যায়। সেখানে গিয়ে ওই মিষ্টি আমাদের কে আপ্যায়নের জন্য দিলে মুখে দিতেই পচা দুর্গন্ধ বের হয় যা একদমই খাওয়ার অনুপযোগী।
এবিষয়ে ভুক্তভোগী মোস্তাফিজুর আত্মীয় বাড়ি থেকে পচা দুর্গন্ধযুক্ত মিষ্টি ফেরত নিয়ে আসলে শুরু হয় হট্টগোল। এসময় সাংবাদিক সহ স্থানীয়রা জড়ো হয়ে আমিন মিষ্টান্ন ভাণ্ডার এর প্রোপাইটার রাশিদুল ইসলাম এর সাথে পচা দুর্গন্ধযুক্ত মিষ্টি বিক্রির বিষয়ে কথা বললে তিনি তাঁর ভুল স্বীকার করে।

গাংনী উপজেলা স্যানিটারি ইন্সপেক্টর ও নিরাপদ খাদ্য পরিদর্শক মশিউর রহমান বলেন, আমিন মিষ্টান্ন ভাণ্ডারে পচা ও বাসি মিষ্টি বিক্রির বিষয়টি আমার জানা ছিলো না, বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।