ইপেপার । আজ শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ঈদে চুয়াডাঙ্গা ও ঝিনাইদহে জমিসহ ঘর পাচ্ছে ৫১৭টি পরিবার

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৮:১৯:২৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৫ এপ্রিল ২০২২
  • / ৩১ বার পড়া হয়েছে

মুজিববর্ষ উপলক্ষে তৃতীয় পর্যায়ে সারা দেশে ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে জমিসহ ঘর উপহার প্রদান করা হবে আগামীকাল মঙ্গলবার (২৬ এপ্রিল)। এ উপলক্ষে গতকাল রোববার চুয়াডাঙ্গা ও ঝিনাইদহে প্রেস ব্রিফিং অনুষ্ঠিত হয়েছে।

চুয়াডাঙ্গা:

মুজিববর্ষ উপলক্ষে তৃতীয় পর্যায়ে চুয়াডাঙ্গায় ১৫১টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবার জমিসহ ঘর পাচ্ছে। এর মধ্যে সদর উপজেলায় ৪৯টি, আলমডাঙ্গা উপজেলায় ৪৩টি, দামুড়হুদা উপজেলায় ২৩টি ও জীবননগর উপজেলায় ৩৬টি। গতকাল রোববার বিকেলে চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসকের সম্মেলনকক্ষে সংবাদ সম্মেলনে জেলা প্রশাসক আমিনুল ইসলাম খান এ তথ্য নিশ্চিত করেন। ঈদ উপহার হিসেবে ঈদের আগেই আগামীকাল মঙ্গলবার (২৬ এপ্রিল) গণভবণ থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে উপকারভোগীদের চাবি হস্তান্তর করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম খান জানান, মুজিববর্ষ উপলক্ষে তৃতীয পর্যায়ে ভূমিহীন ও গৃহহীন (ক শ্রেণি) পরিবারের জন্য নির্মিত ঘরগুলো এবারের ঈদ উপহার হিসেবে হস্তান্তর করা হবে। এ পর্যায়ে চুয়াডাঙ্গায় ৪টি উপজেলায় ৩১৭টি পরিবারের ঘর প্রদান করা হবে। এর মধ্যে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলায় ৯১টি, আলমডাঙ্গা উপজেলায় ৮০টি, দামুড়হুদা উপজেলায় ৬১টি ও জীবননগর উপজেলায় ৮৫টি। তিনি বলেন, প্রথম দুই পর্যায়ে ঘর বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছিল। বাকি ঘরের নির্মাণকাজ অব্যাহত রয়েছে। কাজ শেষ হলে সেগুলো বুঝিয়ে দেওয়া হবে। এগুলো জুনের মধ্যে কাজ শেষ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এর আগে দুই পর্বে ৩০৯টি ঘর হস্তান্তর করা হয়েছে। প্রতিটি ঘর বাবদ প্রথম পর্বে ১ লাখ ৭১ হাজার টাকা, দ্বিতীয় পর্বে ১ লাখ ৯০ হাজার টাকা ও তৃতীয় পর্বে খরচ হয়েছে ২ লাখ ৬০ হাজার টাকা। এসব ঘরে বিদ্যুৎ, স্যানিটারি, পানিসহ সব সুবিধার ব্যবস্থা রয়েছে বলে সংবাদ সম্মেলনে জানান জেলা প্রশাসক।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) শারমিন আক্তার, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শামীম ভূঁইয়া, সহকারী কমিশনার শেখ মো. রাসেল প্রমুখ। সংবাদ সম্মেলনে জেলা প্রশাসক আমিনুল ইসলাম খান আরও বলেন, ভূমিহীনদের সম্পূর্ণ বিনামূল্যে জমি ও ঘর প্রদানের বিষয়টি বিশ্বে বিরল। এটি ইতঃমধ্যে অন্তর্ভুক্তমূলক উন্নয়নে শেখ হাসিনা মডেল হিসেবে স্বীকৃতিলাভ করেছে। ঘর পাওয়া ভূমিহীনদের পুনর্বাসন স্থায়িত্বকরণের লক্ষ্যে সরকারের সমাজসেবা অধিদপ্তর, কৃষি অধিদপ্তর, মৎস্য ও পশুসম্পদ বিভাগ, পরিবার পরিকল্পনাসহ সংশ্লিষ্ট সকলে এখানে যার যার অর্পিত দায়িত্ব পালন করবে।

আলমডাঙ্গা:

মুজিববর্ষ উপলক্ষে ৩য় পর্যায়ে আগামী ২৬ এপ্রিল জমি ও গৃহ প্রদান কার্যক্রমের উদ্বোধন উপলক্ষে আলমডাঙ্গায় প্রেস ব্রিফিং অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল রোববার বিকেলে উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে এ ব্রিফিং অনুষ্ঠিত হয়। প্রেস ব্রিফিং করেন আলমডাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী অফিসার রনি আলম নূর। এসময় উপস্থিত ছিলেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) রেজওয়ানা নাহিদ, প্রকৌশলী আব্দুর রশিদ, প্রকল্প কর্মকর্তা এনামুল হক ও প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক হামিদুল ইসলাম আজম।

ব্রিফিংকালে ইউএনও রনি আলম নূর জানান, তৃতীয় পর্যায়ে প্রতিটি ঘর ২ লাখ ৫৯ হাজার ৫ শ টাকা ব্যয়ে নির্মাণ হচ্ছে। তৃতীয় পর্যায়ে আলমডাঙ্গায় ৮০টি ঘর নির্মাণকাজ চলমান রয়েছে। এর মধ্যে ১৭টি নির্মাণ সম্পন্ন হয়েছে। এই ১৭টি আগামী ২৬ এপ্রিল গৃহহীনদের মাঝে প্রদান করা হবে। পবিত্র ঈদ উপলক্ষে তাদের মাঝে জমি এবং নতুন ঘর প্রদান করা হবে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আগামী ২৬ এপ্রিল ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে একযোগে জমিসহ ঘর প্রদান কার্যক্রমের উদ্বোধন করবেন।

উল্লেখ্য, উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন ভিত্তিক ৮০টি ঘরের মধ্যে হারদী ইউনিয়নে ২০টি, ডাউকি ইউনিয়নে ২টি, কুমারী ইউনিয়নে ৪টি, চিৎলা ইউনিয়নে ২২টি, খাসকররা ইউনিয়নে ৯টি, নাগদাহ ইউনিয়নে ৫টি, আইলহাঁস ইউনিয়নে ১টি, গাংনী ইউনিয়নে ১৩টি ও বেলগাছি ইউনিয়নে ৪টি ঘর নির্মিত হচ্ছে। ইতঃপূর্বে সরকার বরাদ্দকৃত প্রথম পর্যায়ে ৫০টি পরিবারকে ঘর নির্মাণ করে দেওয়া হয়। প্রতিটি ঘরের নির্মাণ ব্যয় ছিল ১ লাখ ৭১ হাজার টাকা, ২য় পর্যায়ে ৪৫টি পরিবারের মাঝে ঘর প্রদান করা হয়। ঘর প্রতি নির্মাণ ব্যয় ছিল ১ লাখ ৯০ হাজার টাকা।

ঝিনাইদহ:

ঈদে নতুন বাড়ি! ভাবতেই আনন্দে গাঁ শিউরে ওঠে। হ্যাঁ ঘর-বাড়িহীন পরিবারের স্বপ্ন এবার সত্যি হচ্ছে। তাঁরা উপহার হিসেবে পাচ্ছেন নতুন বাড়ি। এ যেন এক নতুন স্বপ্ন। প্রধানমন্ত্রীর ঈদ উপহার হিসেবে ঝিনাইদহের ৩৬৬টি পরিবারকে নতুন পাকা বাড়ি দেওয়া হচ্ছে। বরাদ্দপ্রাপ্তদের তালিকা ইতঃমধ্যে শেষ হয়েছে। আগামীকাল মঙ্গলবার (২৬ এপ্রিল) আনুষ্ঠানিকভাবে সুবিধাভোগী এই সকল পরিবারের সদস্যদের হাতে ঘরের চাবি তুলে দেওয়া হবে। এই ঘর নির্মাণ করতে ব্যয় হয়েছে ৯ কোটি ৭৫ হাজার টাকা। গতকাল রোববার বিকেলে ঝিনাইদহ জেলা প্রশাসকের সম্মেলনকক্ষে প্রেস বিফ্রিংয়ে এ তথ্য জানান জেলা প্রশাসক মনিরা বেগম।

জেলা প্রশাসক জানান, ‘আশ্রয়নের অধিকার শেখ হাসিনার উপহার’ এ স্লোগানকে প্রতিপাদ্য করে সারাদেশের ন্যায় ঝিনাইদহেও ভূমিহীন ও গৃহহীনদের জন্য নির্মিত হয়েছে স্বপ্নের নীড়। জেলায় ৩য় ধাপে ৬৭৩টি পরিবারের মাঝে ঘর বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। নির্মাণকাজ শেষ হওয়ায় আগামী ২৬ এপ্রিল জেলার ৬ উপজেলার ৩৬৬টি পরিবারের মাঝে ঘর হস্তান্তর করা হবে। প্রায় ৫০০ বর্গফুটের এই বাড়িতে রয়েছে ২টি শোবার ঘর, রান্নাঘর, টয়লেট ও বারান্দা। ইটের দেয়াল, কংক্রিটের মেঝে ও রঙিন টিনের ছাউনি দিয়ে নির্মিত প্রতিটি এই নতুন ঘরের নির্মাণ ব্যয় হয়েছে ২ লাখ ৫৯ হাজার ৫০০ টাকা। সেই হিসেবে ৩৬৬টি বাড়ির সরকারি ব্যয় ৯ কোটি ৭৫ লাখ ৩৯ হাজার টাকা।

অনুষ্ঠানে স্থানীয় সরকারের উপ-পরিচালক ইয়ারুল ইসলাম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) সেলিম রেজা, জেলা পরিষদের সচিব রেজাই রাফিন সরকার, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) রাজীবুল ইসলাম খান, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এস এম শাহীনসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

ঈদে চুয়াডাঙ্গা ও ঝিনাইদহে জমিসহ ঘর পাচ্ছে ৫১৭টি পরিবার

আপলোড টাইম : ০৮:১৯:২৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৫ এপ্রিল ২০২২

মুজিববর্ষ উপলক্ষে তৃতীয় পর্যায়ে সারা দেশে ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে জমিসহ ঘর উপহার প্রদান করা হবে আগামীকাল মঙ্গলবার (২৬ এপ্রিল)। এ উপলক্ষে গতকাল রোববার চুয়াডাঙ্গা ও ঝিনাইদহে প্রেস ব্রিফিং অনুষ্ঠিত হয়েছে।

চুয়াডাঙ্গা:

মুজিববর্ষ উপলক্ষে তৃতীয় পর্যায়ে চুয়াডাঙ্গায় ১৫১টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবার জমিসহ ঘর পাচ্ছে। এর মধ্যে সদর উপজেলায় ৪৯টি, আলমডাঙ্গা উপজেলায় ৪৩টি, দামুড়হুদা উপজেলায় ২৩টি ও জীবননগর উপজেলায় ৩৬টি। গতকাল রোববার বিকেলে চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসকের সম্মেলনকক্ষে সংবাদ সম্মেলনে জেলা প্রশাসক আমিনুল ইসলাম খান এ তথ্য নিশ্চিত করেন। ঈদ উপহার হিসেবে ঈদের আগেই আগামীকাল মঙ্গলবার (২৬ এপ্রিল) গণভবণ থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে উপকারভোগীদের চাবি হস্তান্তর করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম খান জানান, মুজিববর্ষ উপলক্ষে তৃতীয পর্যায়ে ভূমিহীন ও গৃহহীন (ক শ্রেণি) পরিবারের জন্য নির্মিত ঘরগুলো এবারের ঈদ উপহার হিসেবে হস্তান্তর করা হবে। এ পর্যায়ে চুয়াডাঙ্গায় ৪টি উপজেলায় ৩১৭টি পরিবারের ঘর প্রদান করা হবে। এর মধ্যে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলায় ৯১টি, আলমডাঙ্গা উপজেলায় ৮০টি, দামুড়হুদা উপজেলায় ৬১টি ও জীবননগর উপজেলায় ৮৫টি। তিনি বলেন, প্রথম দুই পর্যায়ে ঘর বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছিল। বাকি ঘরের নির্মাণকাজ অব্যাহত রয়েছে। কাজ শেষ হলে সেগুলো বুঝিয়ে দেওয়া হবে। এগুলো জুনের মধ্যে কাজ শেষ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এর আগে দুই পর্বে ৩০৯টি ঘর হস্তান্তর করা হয়েছে। প্রতিটি ঘর বাবদ প্রথম পর্বে ১ লাখ ৭১ হাজার টাকা, দ্বিতীয় পর্বে ১ লাখ ৯০ হাজার টাকা ও তৃতীয় পর্বে খরচ হয়েছে ২ লাখ ৬০ হাজার টাকা। এসব ঘরে বিদ্যুৎ, স্যানিটারি, পানিসহ সব সুবিধার ব্যবস্থা রয়েছে বলে সংবাদ সম্মেলনে জানান জেলা প্রশাসক।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) শারমিন আক্তার, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শামীম ভূঁইয়া, সহকারী কমিশনার শেখ মো. রাসেল প্রমুখ। সংবাদ সম্মেলনে জেলা প্রশাসক আমিনুল ইসলাম খান আরও বলেন, ভূমিহীনদের সম্পূর্ণ বিনামূল্যে জমি ও ঘর প্রদানের বিষয়টি বিশ্বে বিরল। এটি ইতঃমধ্যে অন্তর্ভুক্তমূলক উন্নয়নে শেখ হাসিনা মডেল হিসেবে স্বীকৃতিলাভ করেছে। ঘর পাওয়া ভূমিহীনদের পুনর্বাসন স্থায়িত্বকরণের লক্ষ্যে সরকারের সমাজসেবা অধিদপ্তর, কৃষি অধিদপ্তর, মৎস্য ও পশুসম্পদ বিভাগ, পরিবার পরিকল্পনাসহ সংশ্লিষ্ট সকলে এখানে যার যার অর্পিত দায়িত্ব পালন করবে।

আলমডাঙ্গা:

মুজিববর্ষ উপলক্ষে ৩য় পর্যায়ে আগামী ২৬ এপ্রিল জমি ও গৃহ প্রদান কার্যক্রমের উদ্বোধন উপলক্ষে আলমডাঙ্গায় প্রেস ব্রিফিং অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল রোববার বিকেলে উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে এ ব্রিফিং অনুষ্ঠিত হয়। প্রেস ব্রিফিং করেন আলমডাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী অফিসার রনি আলম নূর। এসময় উপস্থিত ছিলেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) রেজওয়ানা নাহিদ, প্রকৌশলী আব্দুর রশিদ, প্রকল্প কর্মকর্তা এনামুল হক ও প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক হামিদুল ইসলাম আজম।

ব্রিফিংকালে ইউএনও রনি আলম নূর জানান, তৃতীয় পর্যায়ে প্রতিটি ঘর ২ লাখ ৫৯ হাজার ৫ শ টাকা ব্যয়ে নির্মাণ হচ্ছে। তৃতীয় পর্যায়ে আলমডাঙ্গায় ৮০টি ঘর নির্মাণকাজ চলমান রয়েছে। এর মধ্যে ১৭টি নির্মাণ সম্পন্ন হয়েছে। এই ১৭টি আগামী ২৬ এপ্রিল গৃহহীনদের মাঝে প্রদান করা হবে। পবিত্র ঈদ উপলক্ষে তাদের মাঝে জমি এবং নতুন ঘর প্রদান করা হবে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আগামী ২৬ এপ্রিল ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে একযোগে জমিসহ ঘর প্রদান কার্যক্রমের উদ্বোধন করবেন।

উল্লেখ্য, উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন ভিত্তিক ৮০টি ঘরের মধ্যে হারদী ইউনিয়নে ২০টি, ডাউকি ইউনিয়নে ২টি, কুমারী ইউনিয়নে ৪টি, চিৎলা ইউনিয়নে ২২টি, খাসকররা ইউনিয়নে ৯টি, নাগদাহ ইউনিয়নে ৫টি, আইলহাঁস ইউনিয়নে ১টি, গাংনী ইউনিয়নে ১৩টি ও বেলগাছি ইউনিয়নে ৪টি ঘর নির্মিত হচ্ছে। ইতঃপূর্বে সরকার বরাদ্দকৃত প্রথম পর্যায়ে ৫০টি পরিবারকে ঘর নির্মাণ করে দেওয়া হয়। প্রতিটি ঘরের নির্মাণ ব্যয় ছিল ১ লাখ ৭১ হাজার টাকা, ২য় পর্যায়ে ৪৫টি পরিবারের মাঝে ঘর প্রদান করা হয়। ঘর প্রতি নির্মাণ ব্যয় ছিল ১ লাখ ৯০ হাজার টাকা।

ঝিনাইদহ:

ঈদে নতুন বাড়ি! ভাবতেই আনন্দে গাঁ শিউরে ওঠে। হ্যাঁ ঘর-বাড়িহীন পরিবারের স্বপ্ন এবার সত্যি হচ্ছে। তাঁরা উপহার হিসেবে পাচ্ছেন নতুন বাড়ি। এ যেন এক নতুন স্বপ্ন। প্রধানমন্ত্রীর ঈদ উপহার হিসেবে ঝিনাইদহের ৩৬৬টি পরিবারকে নতুন পাকা বাড়ি দেওয়া হচ্ছে। বরাদ্দপ্রাপ্তদের তালিকা ইতঃমধ্যে শেষ হয়েছে। আগামীকাল মঙ্গলবার (২৬ এপ্রিল) আনুষ্ঠানিকভাবে সুবিধাভোগী এই সকল পরিবারের সদস্যদের হাতে ঘরের চাবি তুলে দেওয়া হবে। এই ঘর নির্মাণ করতে ব্যয় হয়েছে ৯ কোটি ৭৫ হাজার টাকা। গতকাল রোববার বিকেলে ঝিনাইদহ জেলা প্রশাসকের সম্মেলনকক্ষে প্রেস বিফ্রিংয়ে এ তথ্য জানান জেলা প্রশাসক মনিরা বেগম।

জেলা প্রশাসক জানান, ‘আশ্রয়নের অধিকার শেখ হাসিনার উপহার’ এ স্লোগানকে প্রতিপাদ্য করে সারাদেশের ন্যায় ঝিনাইদহেও ভূমিহীন ও গৃহহীনদের জন্য নির্মিত হয়েছে স্বপ্নের নীড়। জেলায় ৩য় ধাপে ৬৭৩টি পরিবারের মাঝে ঘর বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। নির্মাণকাজ শেষ হওয়ায় আগামী ২৬ এপ্রিল জেলার ৬ উপজেলার ৩৬৬টি পরিবারের মাঝে ঘর হস্তান্তর করা হবে। প্রায় ৫০০ বর্গফুটের এই বাড়িতে রয়েছে ২টি শোবার ঘর, রান্নাঘর, টয়লেট ও বারান্দা। ইটের দেয়াল, কংক্রিটের মেঝে ও রঙিন টিনের ছাউনি দিয়ে নির্মিত প্রতিটি এই নতুন ঘরের নির্মাণ ব্যয় হয়েছে ২ লাখ ৫৯ হাজার ৫০০ টাকা। সেই হিসেবে ৩৬৬টি বাড়ির সরকারি ব্যয় ৯ কোটি ৭৫ লাখ ৩৯ হাজার টাকা।

অনুষ্ঠানে স্থানীয় সরকারের উপ-পরিচালক ইয়ারুল ইসলাম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) সেলিম রেজা, জেলা পরিষদের সচিব রেজাই রাফিন সরকার, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) রাজীবুল ইসলাম খান, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এস এম শাহীনসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।