ইপেপার । আজ বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ঘুষের টাকা ফেরত চেয়ে আনছারদের বিক্ষোভ!

প্রতিবেদক, মুজিবনগর:
  • আপলোড টাইম : ০৮:০৭:২১ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৫ এপ্রিল ২০২২
  • / ২৪ বার পড়া হয়েছে

৫০০-৭০০ টাকা ঘুষের বিনিময়ে প্রাপ্ত ডিউটির সম্মানি হিসেবে পাচ্ছেন মাত্র ২১০০ টাকা। জীবনবাজি রাখা সরকারি এই ডিউটি পালন করতে যাওয়া আনছার ভিডিপি সদস্যরা শেষ পর্যন্ত ঘুষের টাকা ফেরত চেয়ে বিক্ষোভ করেছেন। গতকাল রোবববার দুপুরে মেহেরপুরের মুজিবনগর উপজেলা আনছার ভিডিপি কার্যালয়ের সামনে তাঁরা অবস্থান নেন।

ভুক্তভোগীরা জানান, দ্বিতীয় ধাপে মুজিবনগর উপজেলায় চারটি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে মুজিবনগর উপজেলায় ৬০০ আনছার ভিডিপি সদস্য দায়িত্ব পালন করেন। ভুক্তভোগীরা জানান, ইউনিয়ন কমান্ডারদের মাধ্যমে উপজেলা আনছার কার্যালয় ভোটের ডিউটির জন্য তালিকা প্রস্তুত করে। ইউনিয়ন কমান্ডারদের সুপারিশ ছাড়া ডিউটি হয় না। ডিউটি পাওয়ার জন্য মাথাপিছু ৫০০-৭০০ টাকা ঘুষ নিয়েছেন ইউনিয়ন কমান্ডাররা। তিন দিন ধরে নির্বাচনী ডিউটি করে ভাতা মিলছে ২১০০ টাকা। অনেক বেশি টাকা দেওয়ার কথা বলে টাকা নিয়েছিলেন ইউনিন কমান্ডাররা। তাই ওই টাকা ফেরতের দাবিতে অনড় রয়েছেন ভুক্তভোগী আনছার সদস্যরা।

ভুক্তভোগী সাইদুর রহমান, আরিফুল ইসলাম ও মোমিননুল ইসলাম জানান, ইউনিয়ন দলনেতারা বেশি টাকা ভাতা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে ৫০০-৭০০ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। এখন সরকারি ভাতা দেওয়া হচ্ছে কম। দুপুরের খাওয়ার টাকাও দেওয়া হয়নি। দরিদ্র আনছার সদস্যরা বিষয়টি নিয়ে বিষ্মিত। তাঁরা আরও জানান, ইউনিয়ন দলনেতারা বেশি টাকা ভাতা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে ৫০০-৭০০ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। এখন সরকারি ভাতা দেওয়া হচ্ছে কম। জানা গেছে, সাম্প্রতিক সময়ে সারা দেশের মতো মেহেরপুর জেলায় ইউনিয়ন নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে। নির্বাচনের ভাতা প্রদানের জন্য গতকাল রোববার উপজেলা আনছার-ভিডিপি কার্যালয়ে ডাকা হয় তাঁদের। ঘুষের টাকা ফেরতের দাবিতে অফিসের সামনেই বিক্ষোভ করেন তাঁরা।

এ বিষয়ে মুজিবনগর উপজেলা আনছার ও ভিডিপি কর্মকর্তা মিরাজুল ইসলাম বলেন, যারা ঘুষ নিয়েছে তাদের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ পাওয়া না গেলে আমার কিছু করার নেই। অভিযোগ দিলেই অবশ্যই ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

মুজিবনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার সুজন সরকার ও মেহেরপুর জেলা কমান্ড্যান্ট শাহাদাত হোসেন বিষয়টির খোঁজ নিতে আনছার ভিডিপি কার্যালয় পরিদর্শন করেন। এসময় তিনি আনছার ভিডিপি সদস্যদের সাথে আলোচনা বসেন। এ বিষয়ে তিনি বলেন, চার ইউনিয়নের চারজন ভুক্তভোগীর লিখিত অভিযোগ নেওয়া হয়েছে। তদন্ত করে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। অন্যদিকে সরকারি বরাদ্দকৃত ২১০০ টাকা গ্রহণের অন্য আনছার-ভিডিপি সদস্যদের অনুরোধ করা হয়েছে।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

ঘুষের টাকা ফেরত চেয়ে আনছারদের বিক্ষোভ!

আপলোড টাইম : ০৮:০৭:২১ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৫ এপ্রিল ২০২২

৫০০-৭০০ টাকা ঘুষের বিনিময়ে প্রাপ্ত ডিউটির সম্মানি হিসেবে পাচ্ছেন মাত্র ২১০০ টাকা। জীবনবাজি রাখা সরকারি এই ডিউটি পালন করতে যাওয়া আনছার ভিডিপি সদস্যরা শেষ পর্যন্ত ঘুষের টাকা ফেরত চেয়ে বিক্ষোভ করেছেন। গতকাল রোবববার দুপুরে মেহেরপুরের মুজিবনগর উপজেলা আনছার ভিডিপি কার্যালয়ের সামনে তাঁরা অবস্থান নেন।

ভুক্তভোগীরা জানান, দ্বিতীয় ধাপে মুজিবনগর উপজেলায় চারটি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে মুজিবনগর উপজেলায় ৬০০ আনছার ভিডিপি সদস্য দায়িত্ব পালন করেন। ভুক্তভোগীরা জানান, ইউনিয়ন কমান্ডারদের মাধ্যমে উপজেলা আনছার কার্যালয় ভোটের ডিউটির জন্য তালিকা প্রস্তুত করে। ইউনিয়ন কমান্ডারদের সুপারিশ ছাড়া ডিউটি হয় না। ডিউটি পাওয়ার জন্য মাথাপিছু ৫০০-৭০০ টাকা ঘুষ নিয়েছেন ইউনিয়ন কমান্ডাররা। তিন দিন ধরে নির্বাচনী ডিউটি করে ভাতা মিলছে ২১০০ টাকা। অনেক বেশি টাকা দেওয়ার কথা বলে টাকা নিয়েছিলেন ইউনিন কমান্ডাররা। তাই ওই টাকা ফেরতের দাবিতে অনড় রয়েছেন ভুক্তভোগী আনছার সদস্যরা।

ভুক্তভোগী সাইদুর রহমান, আরিফুল ইসলাম ও মোমিননুল ইসলাম জানান, ইউনিয়ন দলনেতারা বেশি টাকা ভাতা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে ৫০০-৭০০ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। এখন সরকারি ভাতা দেওয়া হচ্ছে কম। দুপুরের খাওয়ার টাকাও দেওয়া হয়নি। দরিদ্র আনছার সদস্যরা বিষয়টি নিয়ে বিষ্মিত। তাঁরা আরও জানান, ইউনিয়ন দলনেতারা বেশি টাকা ভাতা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে ৫০০-৭০০ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। এখন সরকারি ভাতা দেওয়া হচ্ছে কম। জানা গেছে, সাম্প্রতিক সময়ে সারা দেশের মতো মেহেরপুর জেলায় ইউনিয়ন নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে। নির্বাচনের ভাতা প্রদানের জন্য গতকাল রোববার উপজেলা আনছার-ভিডিপি কার্যালয়ে ডাকা হয় তাঁদের। ঘুষের টাকা ফেরতের দাবিতে অফিসের সামনেই বিক্ষোভ করেন তাঁরা।

এ বিষয়ে মুজিবনগর উপজেলা আনছার ও ভিডিপি কর্মকর্তা মিরাজুল ইসলাম বলেন, যারা ঘুষ নিয়েছে তাদের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ পাওয়া না গেলে আমার কিছু করার নেই। অভিযোগ দিলেই অবশ্যই ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

মুজিবনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার সুজন সরকার ও মেহেরপুর জেলা কমান্ড্যান্ট শাহাদাত হোসেন বিষয়টির খোঁজ নিতে আনছার ভিডিপি কার্যালয় পরিদর্শন করেন। এসময় তিনি আনছার ভিডিপি সদস্যদের সাথে আলোচনা বসেন। এ বিষয়ে তিনি বলেন, চার ইউনিয়নের চারজন ভুক্তভোগীর লিখিত অভিযোগ নেওয়া হয়েছে। তদন্ত করে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। অন্যদিকে সরকারি বরাদ্দকৃত ২১০০ টাকা গ্রহণের অন্য আনছার-ভিডিপি সদস্যদের অনুরোধ করা হয়েছে।