ইপেপার । আজ বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আমঝুপিতে সেনা সদস্যের স্ত্রীর মরদেহ উদ্ধার

প্রতিবেদক, আমঝুপি:
  • আপলোড টাইম : ০৭:৫৬:০৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৫ এপ্রিল ২০২২
  • / ২৩ বার পড়া হয়েছে

মেহেরপুরের সদর উপজেলার আমঝুপি বাজারের একটি ভাড়া বাসা থেকে রওশানারা খাতুন (৩০) নামের এক সেনা সদস্যের স্ত্রীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। রওশানারা মেহেরপুর সদর উপজেলার রাজনগর গ্রামের খলিলুর রহমানের মেয়ে ও একই গ্রামের বদর উদ্দীনের ছেলে সেনা সদস্য মিঠু হোসেনের স্ত্রী। গতকাল রোববার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে মেহেরপুর সদর থানা পুলিশের একটি দল রওশানারা খাতুনের মরদেহ উদ্ধার করে।

নিহতের স্বজনদের দাবি, রওশনারাকে শারীরিক নির্যাতন ও শ্বাসরোধ করে হত্যা করে আত্মহত্যার নাটক সাজিয়েছেন তাঁর স্বামী সেনা সদস্য মিঠু। এ ঘটনায় নিহতের স্বজনরা স্বামী মিঠুকে আটক ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেছেন। স্থানীয়রা জানান, রওশনারা আমঝুপি বাজারের কারিগর পাড়ার আনসারের বাড়ির দ্বিতীয় তলার একটি ফ্লাটে ভাড়ায় থাকতেন।

নিহত রওশানারার মা আমিনা খাতুন জানান, মিঠুর পরকীয়া প্রেমে বাধা দেওয়ায় আমার মেয়েকে মিঠু প্রায়ই মারধর করতো। প্রতিনিয়ত সে মোবাইল ফোনে কথা বলাতে নিষেধ করতো রওশানারা। ৮ দিন আগে সেনা সদস্য মিঠু ছুটিতে বাড়িতে এসে আজকেই ছুটি শেষ করে কর্মস্থলে ফেরার কথা তার। তবে সকালের দিকে মিঠু তার স্ত্রীর পাশে বসে কান্না কান্নাকাটি করলেও রওশানার বাবার পরিবারের লোকজন আসার সাথে সাথে ছেলেকে নিয়ে পালিয়ে যায়।

নিহতের পিতা খলিলুর রহমান অভিযোগ করেন, ‘মিঠু আমার মেয়েকে প্রতিনিয়ত নির্যাতন করে আসছে। আমার মেয়ে প্রায় দিনই ফোন দিয়ে তার ওপর অকথ্য নির্যাতনের কথা বলেছে আমাদের। আমার জামাই মোবাইল ফোনে পরকীয়া প্রেম করে বলে জানিয়েছিল মেয়ে। রওশানা তার স্বামী মিঠুকে পরকীয়া প্রেম করতে নিষেধ করাই মারধর করতো সে।’

রওশানারার বড় চাচা আব্দুল গনি অভিযোগ করেন, মিঠু ও রওশানার সম্পর্ক করে বিয়ে করাই মিঠুর পরিবারের লোকজন মেনে নেয়নি। তারা বলত আজ হোক আর ১০ বছর পর হোক রওশানারাকে ছাড়িয়ে দেবে। মেয়েটি মৃত্যুর ভয়ে প্রায় কাতর থাকত। তাকে মেরে ফেলা হবে বলেও সে আভাস দিয়েছে। এ ঘটনায় মিঠুর বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছেন রওশানারার পরিবারের লোকজন।

মেহেরপুর সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শাহ দারা খান বলেন, রওশানারার পরিবারের লোকজনের তথ্যের ভিত্তিতে ঘটনাস্থল থেকে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করে ময়নাতদন্তের জন্য মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতাল মর্গে নেওয়া হয়েছে তার মরদেহ।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

আমঝুপিতে সেনা সদস্যের স্ত্রীর মরদেহ উদ্ধার

আপলোড টাইম : ০৭:৫৬:০৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৫ এপ্রিল ২০২২

মেহেরপুরের সদর উপজেলার আমঝুপি বাজারের একটি ভাড়া বাসা থেকে রওশানারা খাতুন (৩০) নামের এক সেনা সদস্যের স্ত্রীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। রওশানারা মেহেরপুর সদর উপজেলার রাজনগর গ্রামের খলিলুর রহমানের মেয়ে ও একই গ্রামের বদর উদ্দীনের ছেলে সেনা সদস্য মিঠু হোসেনের স্ত্রী। গতকাল রোববার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে মেহেরপুর সদর থানা পুলিশের একটি দল রওশানারা খাতুনের মরদেহ উদ্ধার করে।

নিহতের স্বজনদের দাবি, রওশনারাকে শারীরিক নির্যাতন ও শ্বাসরোধ করে হত্যা করে আত্মহত্যার নাটক সাজিয়েছেন তাঁর স্বামী সেনা সদস্য মিঠু। এ ঘটনায় নিহতের স্বজনরা স্বামী মিঠুকে আটক ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেছেন। স্থানীয়রা জানান, রওশনারা আমঝুপি বাজারের কারিগর পাড়ার আনসারের বাড়ির দ্বিতীয় তলার একটি ফ্লাটে ভাড়ায় থাকতেন।

নিহত রওশানারার মা আমিনা খাতুন জানান, মিঠুর পরকীয়া প্রেমে বাধা দেওয়ায় আমার মেয়েকে মিঠু প্রায়ই মারধর করতো। প্রতিনিয়ত সে মোবাইল ফোনে কথা বলাতে নিষেধ করতো রওশানারা। ৮ দিন আগে সেনা সদস্য মিঠু ছুটিতে বাড়িতে এসে আজকেই ছুটি শেষ করে কর্মস্থলে ফেরার কথা তার। তবে সকালের দিকে মিঠু তার স্ত্রীর পাশে বসে কান্না কান্নাকাটি করলেও রওশানার বাবার পরিবারের লোকজন আসার সাথে সাথে ছেলেকে নিয়ে পালিয়ে যায়।

নিহতের পিতা খলিলুর রহমান অভিযোগ করেন, ‘মিঠু আমার মেয়েকে প্রতিনিয়ত নির্যাতন করে আসছে। আমার মেয়ে প্রায় দিনই ফোন দিয়ে তার ওপর অকথ্য নির্যাতনের কথা বলেছে আমাদের। আমার জামাই মোবাইল ফোনে পরকীয়া প্রেম করে বলে জানিয়েছিল মেয়ে। রওশানা তার স্বামী মিঠুকে পরকীয়া প্রেম করতে নিষেধ করাই মারধর করতো সে।’

রওশানারার বড় চাচা আব্দুল গনি অভিযোগ করেন, মিঠু ও রওশানার সম্পর্ক করে বিয়ে করাই মিঠুর পরিবারের লোকজন মেনে নেয়নি। তারা বলত আজ হোক আর ১০ বছর পর হোক রওশানারাকে ছাড়িয়ে দেবে। মেয়েটি মৃত্যুর ভয়ে প্রায় কাতর থাকত। তাকে মেরে ফেলা হবে বলেও সে আভাস দিয়েছে। এ ঘটনায় মিঠুর বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছেন রওশানারার পরিবারের লোকজন।

মেহেরপুর সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শাহ দারা খান বলেন, রওশানারার পরিবারের লোকজনের তথ্যের ভিত্তিতে ঘটনাস্থল থেকে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করে ময়নাতদন্তের জন্য মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতাল মর্গে নেওয়া হয়েছে তার মরদেহ।