ইপেপার । আজ বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

গাংনী উপজেলা আ.লীগের কমিটিকে রাজাকার মুক্ত করার দাবিতে সংবাদ সম্মেলন

সমীকরণ প্রতিবেদক:
  • আপলোড টাইম : ০৯:৩৭:৫৩ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ এপ্রিল ২০২২
  • / ২৬ বার পড়া হয়েছে

মেহেরপুরের গাংনী উপজেলা আওয়ামী লীগের কমিটিকে রাজাকার মুক্ত করার দাবিতে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল সোমবার দুপুরে মেহেরপুর রিপোর্টার্স ক্লাব মিলনায়তনে ‘রাজাকার, অনুপ্রবেশকারী ও হাইব্রিমুক্ত আওয়ামী লীগ গঠন বাস্তবায়ন পরিষদ’ নাম দিয়ে গাংনীর যুবলীগ, আওয়ামী লীগ ও কৃষক লীগের কয়েকজন নেতা এ সংবাদ সম্মেলন করেছেন।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বক্তারা বলেন, ‘স্বাধীনতার নেতৃত্বদানকারী দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগে স্বাধীনতার বিপক্ষের শক্তি যুদ্ধাপরাধী, রাজাকার পরিবারের সন্তান অনুপ্রবেশেকারী ছদ্মবেশে ঢুকে পড়েছে। এদের অত্যাচার নির্যাতন ও ষড়যন্ত্রে বঙ্গবন্ধুর প্রকৃত আদর্শ ও স্বাধীনতার মূল্যবোধ, ত্যাগী ও দুঃসময়ের নেতা-কর্মীরা আজ দলে অবহেলিত। দলের সভানেত্রী শেখ হাসিনা বারবার নির্দেশনা দিয়েছেন যে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কোনো গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় রাজাকার অনুপ্রবেশকারী থাকবে না। কিন্তু মেহেরপুর গাংনী উপজেলার সভাপতি শহিদুজ্জামান খোকন এমপি চিহ্নিত গণি রাজাকারের পুত্র ও সাধারণ সম্পাদক মকলেচুর রহমান মুকুল অপর চিহ্নিত কুখ্যাত রাজাকার আব্দুল মান্নানের পুত্র। আমরা এই দুই জনের অপসারন চাই।’
সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা আরও বলেন, ‘গত ১০ এপ্রিল গাংনী উপজেলা সম্মেলনে দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজ্জাম্মেল হক উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের নাম ঘোষণার পর দলের অন্য নেতারা হাউজ থেকে ওয়াকআউট করে এর প্রতিবাদ করেন। তারপরও বিএম মোজ্জাম্মেল সম্পূর্ণ পক্ষপাতমূলকভাবে দুই রাজাকার পুত্রকে দলের দায়িত্ব দিয়েছেন। তিনি এর দায় এড়াতে পারেন না। আমরা দলের এই দায়িত্বশীল ব্যক্তির পক্ষপাতিত্বমূলক আচরণের তদন্ত চাই। এই দুই কুখ্যাত রাজাকার পুত্রের অপসারণের ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপ কামনা করছি।’

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ‘রাজাকার অনুপ্রবেশকারী ও হাইব্রিডমুক্ত আওয়ামী লীগ গঠন বাস্তবায়ন পরিষদের’ সদস্য সচিব ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক সহসভাপতি মো. ইসমাইল হোসেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন ‘রাজাকার অনুপ্রবেশকারী ও হাইব্রিডমুক্ত আওয়ামী লীগ গঠন বাস্তবায়ন পরিষদের’ আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল লতিফ, মেহেরপুর কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক ওয়াসিম সাজ্জাদ লিখন, গাংনী উপজেলা যুবলীগের মোশারফ হোসেন প্রমুখ।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

গাংনী উপজেলা আ.লীগের কমিটিকে রাজাকার মুক্ত করার দাবিতে সংবাদ সম্মেলন

আপলোড টাইম : ০৯:৩৭:৫৩ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ এপ্রিল ২০২২

মেহেরপুরের গাংনী উপজেলা আওয়ামী লীগের কমিটিকে রাজাকার মুক্ত করার দাবিতে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল সোমবার দুপুরে মেহেরপুর রিপোর্টার্স ক্লাব মিলনায়তনে ‘রাজাকার, অনুপ্রবেশকারী ও হাইব্রিমুক্ত আওয়ামী লীগ গঠন বাস্তবায়ন পরিষদ’ নাম দিয়ে গাংনীর যুবলীগ, আওয়ামী লীগ ও কৃষক লীগের কয়েকজন নেতা এ সংবাদ সম্মেলন করেছেন।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বক্তারা বলেন, ‘স্বাধীনতার নেতৃত্বদানকারী দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগে স্বাধীনতার বিপক্ষের শক্তি যুদ্ধাপরাধী, রাজাকার পরিবারের সন্তান অনুপ্রবেশেকারী ছদ্মবেশে ঢুকে পড়েছে। এদের অত্যাচার নির্যাতন ও ষড়যন্ত্রে বঙ্গবন্ধুর প্রকৃত আদর্শ ও স্বাধীনতার মূল্যবোধ, ত্যাগী ও দুঃসময়ের নেতা-কর্মীরা আজ দলে অবহেলিত। দলের সভানেত্রী শেখ হাসিনা বারবার নির্দেশনা দিয়েছেন যে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কোনো গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় রাজাকার অনুপ্রবেশকারী থাকবে না। কিন্তু মেহেরপুর গাংনী উপজেলার সভাপতি শহিদুজ্জামান খোকন এমপি চিহ্নিত গণি রাজাকারের পুত্র ও সাধারণ সম্পাদক মকলেচুর রহমান মুকুল অপর চিহ্নিত কুখ্যাত রাজাকার আব্দুল মান্নানের পুত্র। আমরা এই দুই জনের অপসারন চাই।’
সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা আরও বলেন, ‘গত ১০ এপ্রিল গাংনী উপজেলা সম্মেলনে দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজ্জাম্মেল হক উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের নাম ঘোষণার পর দলের অন্য নেতারা হাউজ থেকে ওয়াকআউট করে এর প্রতিবাদ করেন। তারপরও বিএম মোজ্জাম্মেল সম্পূর্ণ পক্ষপাতমূলকভাবে দুই রাজাকার পুত্রকে দলের দায়িত্ব দিয়েছেন। তিনি এর দায় এড়াতে পারেন না। আমরা দলের এই দায়িত্বশীল ব্যক্তির পক্ষপাতিত্বমূলক আচরণের তদন্ত চাই। এই দুই কুখ্যাত রাজাকার পুত্রের অপসারণের ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপ কামনা করছি।’

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ‘রাজাকার অনুপ্রবেশকারী ও হাইব্রিডমুক্ত আওয়ামী লীগ গঠন বাস্তবায়ন পরিষদের’ সদস্য সচিব ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক সহসভাপতি মো. ইসমাইল হোসেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন ‘রাজাকার অনুপ্রবেশকারী ও হাইব্রিডমুক্ত আওয়ামী লীগ গঠন বাস্তবায়ন পরিষদের’ আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল লতিফ, মেহেরপুর কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক ওয়াসিম সাজ্জাদ লিখন, গাংনী উপজেলা যুবলীগের মোশারফ হোসেন প্রমুখ।