ইপেপার । আজ বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

গাংনীর বিভিন্ন হাট-বাজারে জিলাপিতে ব্যবহার করা হচ্ছে পোড়া মবিল, বাড়ছে স্বাস্থ্যঝুঁকি

প্রতিবেদক, গাংনী:
  • আপলোড টাইম : ০৯:২৩:০৬ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ এপ্রিল ২০২২
  • / ২২ বার পড়া হয়েছে

মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজার, মুদি দোকান ও ফুটপাতে নির্বিঘেœ বিক্রি হচ্ছে ভেজাল, মেয়াদোত্তীর্ণ ও অস্বাস্থ্যকর ইফতার পণ্য। ফলে ভেজালমুক্ত ইফতার আশা করাটাই এখন দূর্বিষহ ব্যাপার। অধিক মুনাফার লোভে ব্যবসায়ীরা স্বাস্থ্যঝুকিপূর্ণ জিনিস ব্যবহার করছের পণ্য তৈরিতে। যেমন জিলাপি দীর্ঘক্ষণ মচমচে রাখতে ব্যবহার করা হচ্ছে পোড়া মবিল। বেগুনি, পেঁয়াজু, চপ ইত্যাদি তেলেভাজা খাদ্য-সামগ্রী আকর্ষণীয় করতে ব্যবহার করা হয় কেমিক্যাল রং। ভাজাপোড়ায় ব্যবহৃত তেল কতদিন ধরে কড়াইয়ে ফুটতে থাকে তার কোনো হিসেব নেই। ইফতারের অপরিহার্য উপকরণ খেজুরের ওপরও এখন বিশ্বাস উঠে গেছে, কারণ মেয়াদোত্তীর্ণ পচা খেজুরে বাজার সয়লাব।

স্থানীয়রা বলছেন, বছরের অন্যান্য সময়ের চেয়ে ভেজাল পণ্যের বাজারজাতকরণ, পচা, নোংরা ও মেয়াদোত্তীর্ণ খাবার বিক্রির অসুস্থ প্রতিযোগিতা শুরু হয় রোজার মাসেই। একটি ইফতার পার্টিতে মেহেরপুর রিপোর্টার্স ক্লাবের সভাপতি ও বাংলাদেশ প্রতিদিনের মেহেরপুর জেলা প্রতিনিধি মাহবুবুল হক পোলেন, গাংনী রিপোর্টার্স ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ডা. আল আমিন, সাংবাদিক অপু, রাব্বি ও রুবেল আহম্মেদ উপজেলার বাঁশবাড়ীয়া বাজারের একটি দোকানের পচা মেয়াদোত্তীর্ণ খেজুর খেয়ে অসুস্থ হয়েছেন। তাঁরা দাবি করেন, অধিকাংশ ইফতার বিক্রি হয় ফুটপাতে। আর সেই ফুটপাতের ৯০ ভাগ ইফতারই ভেজাল।

এ বিষয়ে গাংনী উপজেলা স্যানিটারি ইন্সপেক্টর ও নিরাপদ খাদ্য পরিদর্শক মশিউর রহমান বলেন, ‘আমরা গাংনী উপজেলার সমস্ত খাবার দোকানিদের খাদ্যে কোনো ধরণের কেমিক্যাল রং ব্যবহার না করার জন্য ইতঃপূর্বেই অবহিত করেছি। আমাদের নিয়মিত বাজার মনিটরিং চলছে।’

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

গাংনীর বিভিন্ন হাট-বাজারে জিলাপিতে ব্যবহার করা হচ্ছে পোড়া মবিল, বাড়ছে স্বাস্থ্যঝুঁকি

আপলোড টাইম : ০৯:২৩:০৬ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ এপ্রিল ২০২২

মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজার, মুদি দোকান ও ফুটপাতে নির্বিঘেœ বিক্রি হচ্ছে ভেজাল, মেয়াদোত্তীর্ণ ও অস্বাস্থ্যকর ইফতার পণ্য। ফলে ভেজালমুক্ত ইফতার আশা করাটাই এখন দূর্বিষহ ব্যাপার। অধিক মুনাফার লোভে ব্যবসায়ীরা স্বাস্থ্যঝুকিপূর্ণ জিনিস ব্যবহার করছের পণ্য তৈরিতে। যেমন জিলাপি দীর্ঘক্ষণ মচমচে রাখতে ব্যবহার করা হচ্ছে পোড়া মবিল। বেগুনি, পেঁয়াজু, চপ ইত্যাদি তেলেভাজা খাদ্য-সামগ্রী আকর্ষণীয় করতে ব্যবহার করা হয় কেমিক্যাল রং। ভাজাপোড়ায় ব্যবহৃত তেল কতদিন ধরে কড়াইয়ে ফুটতে থাকে তার কোনো হিসেব নেই। ইফতারের অপরিহার্য উপকরণ খেজুরের ওপরও এখন বিশ্বাস উঠে গেছে, কারণ মেয়াদোত্তীর্ণ পচা খেজুরে বাজার সয়লাব।

স্থানীয়রা বলছেন, বছরের অন্যান্য সময়ের চেয়ে ভেজাল পণ্যের বাজারজাতকরণ, পচা, নোংরা ও মেয়াদোত্তীর্ণ খাবার বিক্রির অসুস্থ প্রতিযোগিতা শুরু হয় রোজার মাসেই। একটি ইফতার পার্টিতে মেহেরপুর রিপোর্টার্স ক্লাবের সভাপতি ও বাংলাদেশ প্রতিদিনের মেহেরপুর জেলা প্রতিনিধি মাহবুবুল হক পোলেন, গাংনী রিপোর্টার্স ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ডা. আল আমিন, সাংবাদিক অপু, রাব্বি ও রুবেল আহম্মেদ উপজেলার বাঁশবাড়ীয়া বাজারের একটি দোকানের পচা মেয়াদোত্তীর্ণ খেজুর খেয়ে অসুস্থ হয়েছেন। তাঁরা দাবি করেন, অধিকাংশ ইফতার বিক্রি হয় ফুটপাতে। আর সেই ফুটপাতের ৯০ ভাগ ইফতারই ভেজাল।

এ বিষয়ে গাংনী উপজেলা স্যানিটারি ইন্সপেক্টর ও নিরাপদ খাদ্য পরিদর্শক মশিউর রহমান বলেন, ‘আমরা গাংনী উপজেলার সমস্ত খাবার দোকানিদের খাদ্যে কোনো ধরণের কেমিক্যাল রং ব্যবহার না করার জন্য ইতঃপূর্বেই অবহিত করেছি। আমাদের নিয়মিত বাজার মনিটরিং চলছে।’