ইপেপার । আজ শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ডাবল মার্ডারের দুই মামলায় আসামী ১৭

ঝিনাইদহ অফিস:
  • আপলোড টাইম : ০২:৪৫:২৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৭ এপ্রিল ২০২২
  • / ২৩ বার পড়া হয়েছে

ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুরে হাটের টোল তোলা নিয়ে আওয়ামী লীগের কোন্দলে জোড়া খুনের ঘটনায় মামলা হয়েছে। হত্যাকান্ডের তিনদিন পর গতকাল শনিবার নিহত আক্তার হোসেনের পিতা বাবু তালেব বাদী হয়ে কোটচাঁদপুর থানায় মামলাটি করেন, যার নম্বর ৭/২২। মামলায় ৮ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামী করা হয়েছে। পুলিশ এ ঘটনায় এজাহার নামীয় আসামী আব্বাসকে গ্রেপ্তার করেছেন।

এদিকে, ঘটনার দিন আহত সোহাগের পিতা দাউদ হোসেন বাদী হয়ে পাল্টা আরেকটি মামলা করেছেন। সোহাগ উপজেলা আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহজাহান গ্রুপের সমর্থক হিসেবে ঘটনার দিন আহত হন। সোহাগের পিতার দায়ের করা মামলায় ৯ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামী করা হয়েছে। এই মামলায় কোটচাঁদপুরের চৌগাছা বাসষ্ট্যান্ডের কাচা বাজারের ইজারাদান ইমন হোসেন ডনকে পুলিশ গ্রেপ্তার দেখিয়েছে। ডন কোটচাঁদপুর পৌরসভার মেয়র সহিদুজ্জামান সেলিমের সমর্থক হিসেবে পরিচিত।

এলাকাবাসী অভিযোগ করে বলেন, কোটচাঁদপুরের উঠতি বয়সী মাদক সেবী, মাদক ব্যবসায়ী, চাঁদাবাজ, কিশোর গ্যাং ও হত্যা ডাকাতি মামলার চিহ্নিত আসামীরা উপজেলা আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহজাহান ও মেয়র সেলিম গ্রুপের সমর্থক পরিচয় দিয়ে অসামাজিক কাজে লিপ্ত থাকে। তাদের দৌরাত্ম্যে কোটচাঁদপুরের মানুষ অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। আর এই চাঁদাবাজীর নিয়ন্ত্রন ও আধিপত্য বিস্তারের লড়াই নিয়ে গত বৃহস্পতিবার (১৪ এপ্রিল) জীবন হোসেন ও আক্তার নামে মেয়র গ্রুপের দুই সমর্থক নিহত হন।

এবিষয়ে কোটচাঁদপুর মডেল থানার ওসি মো. মঈন উদ্দিন জানান, হত্যা ও মারামারির বিষয়ে পাল্টাপাল্টি দুইটি মামলা হয়েছে। পুলিশ দুই মামলায় দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছেন। তিনি বলেন তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে আসামীদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। ডাবল মার্ডার মামলার তদন্ত কর্মকর্তা জগন্নাথ চন্দ্র সাহা বলেন, মামলার তদন্ত কাজ চলমান। একজন আসামী গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

ডাবল মার্ডারের দুই মামলায় আসামী ১৭

আপলোড টাইম : ০২:৪৫:২৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৭ এপ্রিল ২০২২

ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুরে হাটের টোল তোলা নিয়ে আওয়ামী লীগের কোন্দলে জোড়া খুনের ঘটনায় মামলা হয়েছে। হত্যাকান্ডের তিনদিন পর গতকাল শনিবার নিহত আক্তার হোসেনের পিতা বাবু তালেব বাদী হয়ে কোটচাঁদপুর থানায় মামলাটি করেন, যার নম্বর ৭/২২। মামলায় ৮ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামী করা হয়েছে। পুলিশ এ ঘটনায় এজাহার নামীয় আসামী আব্বাসকে গ্রেপ্তার করেছেন।

এদিকে, ঘটনার দিন আহত সোহাগের পিতা দাউদ হোসেন বাদী হয়ে পাল্টা আরেকটি মামলা করেছেন। সোহাগ উপজেলা আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহজাহান গ্রুপের সমর্থক হিসেবে ঘটনার দিন আহত হন। সোহাগের পিতার দায়ের করা মামলায় ৯ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামী করা হয়েছে। এই মামলায় কোটচাঁদপুরের চৌগাছা বাসষ্ট্যান্ডের কাচা বাজারের ইজারাদান ইমন হোসেন ডনকে পুলিশ গ্রেপ্তার দেখিয়েছে। ডন কোটচাঁদপুর পৌরসভার মেয়র সহিদুজ্জামান সেলিমের সমর্থক হিসেবে পরিচিত।

এলাকাবাসী অভিযোগ করে বলেন, কোটচাঁদপুরের উঠতি বয়সী মাদক সেবী, মাদক ব্যবসায়ী, চাঁদাবাজ, কিশোর গ্যাং ও হত্যা ডাকাতি মামলার চিহ্নিত আসামীরা উপজেলা আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহজাহান ও মেয়র সেলিম গ্রুপের সমর্থক পরিচয় দিয়ে অসামাজিক কাজে লিপ্ত থাকে। তাদের দৌরাত্ম্যে কোটচাঁদপুরের মানুষ অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। আর এই চাঁদাবাজীর নিয়ন্ত্রন ও আধিপত্য বিস্তারের লড়াই নিয়ে গত বৃহস্পতিবার (১৪ এপ্রিল) জীবন হোসেন ও আক্তার নামে মেয়র গ্রুপের দুই সমর্থক নিহত হন।

এবিষয়ে কোটচাঁদপুর মডেল থানার ওসি মো. মঈন উদ্দিন জানান, হত্যা ও মারামারির বিষয়ে পাল্টাপাল্টি দুইটি মামলা হয়েছে। পুলিশ দুই মামলায় দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছেন। তিনি বলেন তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে আসামীদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। ডাবল মার্ডার মামলার তদন্ত কর্মকর্তা জগন্নাথ চন্দ্র সাহা বলেন, মামলার তদন্ত কাজ চলমান। একজন আসামী গ্রেপ্তার করা হয়েছে।