ইপেপার । আজ বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

চৈত্রে পুড়ছে মেহেরপুর, ঝরছে আমের গুটি

আল আমীন, গাংনী:
  • আপলোড টাইম : ০২:৩৯:২৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৭ এপ্রিল ২০২২
  • / ২২ বার পড়া হয়েছে

চৈত্রের খরতাপে পুড়ছে মেহেরপুরসহ আশেপাশের জেলাগুলো। বিচ্ছিন্নভাবে কয়েকবার ঝড়বৃষ্টি হলেও দীর্ঘদিন দেখা মেলেনি ভারী বৃষ্টির। ঠিক এমন আবহাওয়ায় গাছ থেকে ঝরে পড়ছে আমের গুটি। ভারী বৃষ্টিপাত না হওয়ায় বৃদ্ধি পাচ্ছে না আমের গুটির আকারও। এমতাবস্থায় দুশ্চিন্তায় ভুগছেন মেহেরপুরের আম চাষিরা। অপেক্ষায় রয়েছেন কবে হবে বৃষ্টি আর বৃদ্ধি পাবে তাদের আমের গুটির আকার।

মেহেরপুর সদর, গাংনী ও মুজিবনগর উপজেলার বেশ কয়েকটি আমবাগান ঘুরে দেখা গেছে, বাগান জুড়ে মুকুল এলেও চিন্তার ভাজ রয়েছে আম চাষিদের কপালে। দীর্ঘদিন ভারী বৃষ্টিপাত না হওয়ায় ফলন নিয়ে বেশ চিন্তিত সকলেই। তীব্র খরায় সেচ দিয়েও খুব একটা ফল পাচ্ছেন না বলে জানান চাষীরা। উৎপাদন খরচ বাড়লেও ফলন বিপর্যয়ের আশংকা থেকেই যাচ্ছে। চরম উৎকন্ঠায় ভুগছেন তারা। এদিকে বৃষ্টিহীনতার পাশাপাশি তাপমাত্রা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে গরমও বেড়েছে। বৃষ্টিপাত না হলে তাপমাত্রা আরও বেড়ে যেতে পারে। মেহেরপুর জেলায় প্রায় ২ হাজার ৩’শ হেক্টর জমিতে আমের বাগান রয়েছে।
আম চাষিদের অনেকেই জানান, সকল গাছে মুকুল না আসলেও কিছু আম গাছে আশানুরূপ মুকুল এসেছে এবং গুটিতে পরিণত হয়েছে। তবে বৃষ্টি না থাকার কারণে গুটি ঝরে পড়ছে। কেউ কেউ সেচ দিয়ে ঝরে যাওয়া রোধ করার চেষ্টা করছেন। তবে গুটি ঝরা অব্যাহত রয়েছে। মনে হচ্ছে এমন সেচে কোন লাভ হবেনা। এতে আম চাষিরা উদ্ধিগ্ন।
কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা জানান, মূলত কয়েকটি কারণে আমের গুটি ঝরে। এরমধ্যে গাছের পুষ্টির অভাব, পোকার আক্রমণ, রোগের আক্রমণ ও ধারণ ক্ষমতার বেশি আমের গুটি আসা। তবে এসময় তীব্র গরম ও খরার কারণে গুটি ঝরা অস্বাভাবিক কিছু নয়। প্রতি ১০-১৫ দিন পরপর সেচ দেওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন কৃষি অফিস।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

চৈত্রে পুড়ছে মেহেরপুর, ঝরছে আমের গুটি

আপলোড টাইম : ০২:৩৯:২৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৭ এপ্রিল ২০২২

চৈত্রের খরতাপে পুড়ছে মেহেরপুরসহ আশেপাশের জেলাগুলো। বিচ্ছিন্নভাবে কয়েকবার ঝড়বৃষ্টি হলেও দীর্ঘদিন দেখা মেলেনি ভারী বৃষ্টির। ঠিক এমন আবহাওয়ায় গাছ থেকে ঝরে পড়ছে আমের গুটি। ভারী বৃষ্টিপাত না হওয়ায় বৃদ্ধি পাচ্ছে না আমের গুটির আকারও। এমতাবস্থায় দুশ্চিন্তায় ভুগছেন মেহেরপুরের আম চাষিরা। অপেক্ষায় রয়েছেন কবে হবে বৃষ্টি আর বৃদ্ধি পাবে তাদের আমের গুটির আকার।

মেহেরপুর সদর, গাংনী ও মুজিবনগর উপজেলার বেশ কয়েকটি আমবাগান ঘুরে দেখা গেছে, বাগান জুড়ে মুকুল এলেও চিন্তার ভাজ রয়েছে আম চাষিদের কপালে। দীর্ঘদিন ভারী বৃষ্টিপাত না হওয়ায় ফলন নিয়ে বেশ চিন্তিত সকলেই। তীব্র খরায় সেচ দিয়েও খুব একটা ফল পাচ্ছেন না বলে জানান চাষীরা। উৎপাদন খরচ বাড়লেও ফলন বিপর্যয়ের আশংকা থেকেই যাচ্ছে। চরম উৎকন্ঠায় ভুগছেন তারা। এদিকে বৃষ্টিহীনতার পাশাপাশি তাপমাত্রা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে গরমও বেড়েছে। বৃষ্টিপাত না হলে তাপমাত্রা আরও বেড়ে যেতে পারে। মেহেরপুর জেলায় প্রায় ২ হাজার ৩’শ হেক্টর জমিতে আমের বাগান রয়েছে।
আম চাষিদের অনেকেই জানান, সকল গাছে মুকুল না আসলেও কিছু আম গাছে আশানুরূপ মুকুল এসেছে এবং গুটিতে পরিণত হয়েছে। তবে বৃষ্টি না থাকার কারণে গুটি ঝরে পড়ছে। কেউ কেউ সেচ দিয়ে ঝরে যাওয়া রোধ করার চেষ্টা করছেন। তবে গুটি ঝরা অব্যাহত রয়েছে। মনে হচ্ছে এমন সেচে কোন লাভ হবেনা। এতে আম চাষিরা উদ্ধিগ্ন।
কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা জানান, মূলত কয়েকটি কারণে আমের গুটি ঝরে। এরমধ্যে গাছের পুষ্টির অভাব, পোকার আক্রমণ, রোগের আক্রমণ ও ধারণ ক্ষমতার বেশি আমের গুটি আসা। তবে এসময় তীব্র গরম ও খরার কারণে গুটি ঝরা অস্বাভাবিক কিছু নয়। প্রতি ১০-১৫ দিন পরপর সেচ দেওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন কৃষি অফিস।