ইপেপার । আজ বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

গাংনী উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলন সম্পন্ন

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৯:৩৫:২১ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১১ এপ্রিল ২০২২
  • / ৩২ বার পড়া হয়েছে

স্বাধীনতা বিরোধী শক্তি আজও দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে: বিএম মোজাম্মেল হক

সমীকরণ প্রতিবেদন:
মেহেরপুরের গাংনী উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল রোববার বেলা তিনটায় গাংনী পাইলট স্কুল অ্যান্ড কলেজ মাঠে এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সম্মেলনের উদ্বোধন করেন মেহেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন এমপি। গাংনী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোহাম্মদ সাহিদুজ্জামান খোকনের সভাপতিত্বে সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের খুলনা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক।

প্রধান অতিথর বক্তব্যে বিএম মোজাম্মেল হক বলেন, বিদেশী শাসকরা বাংলাকে বারবার শাসন ও লুণ্ঠন করেছে। বৃটিশ ও তাদের পূর্বের বিদেশীদের শাসন ও শোষণের যাতাকলে বাঙালিরা নির্যাতিত হয়েছে। এখানকার মানুষের সুখ, নিরাপত্তা বিঘিœত করেছিল। এখানকার মানুষের গোলাভরা ধান থাকত, গোয়াল ভরা গরু থাকতো, নিরাপদে সুন্দর জীবনযাপন করত। এসব আমাদের পূর্বসূরীরা তাদের সেই গৌরবগাঁথাকে হারিয়ে ফেলেছিল। এই বাঙালি জাতিকে নিঃস্ব করে ফেলেছিল। এখানকার মানুষ প্রতিনিয়ত দারিদ্রতা অনাহারের বিরুদ্ধে লড়াই করেছিল এই বাংলা এবং বাংলার সন্তানরা। তাই শেখ মুজিব অঙ্গীকার করেছিলেন এই বাংলাকে মুক্ত করে আমাদের ভাগ্যকে প্রতিষ্ঠিত করব। সেই স্বপ্নকে ধারণ করে বঙ্গবন্ধু লড়াই ও সংগ্রাম করেছেন। বারবার কারাবরণ করেছেন। জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করেছিলেন।

তিনি আরও বলেন, ‘তুমি কে আমি কে, বাঙালি বাঙালি, তোমার আমার ঠিকানা পদ্মা মেঘনা যমুনা। এই স্লোগানে ঐক্যবদ্ধ হয়ে ১৯৭০-এর নির্বাচনে এই বাংলাদেশের মানুষ বঙ্গবন্ধুর মনোনীত প্রার্থীদের ভোট দিয়ে নিরুঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা দিয়েছিলেন। অবশেষে বঙ্গবন্ধু স্বপ্ন দেখেছিলেন বাংলাদেশ একটি স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ হবে। যে বাংলাদেশ বাঙালিরা আত্মনিয়ন্ত্রণ করবে এবং সুখী সমৃদ্ধ বাংলাদেশ হবে। ৩০ লক্ষ শহিদ ও ২ লক্ষ মা-বোনের ইজ্জতের বিনিময় আমরা স্বাধীনতা পেয়েছি। এ দেশের কৃষক, শ্রমিক, খেতমজুর, জেলে, তাঁতী, হিন্দু, মুসলমান, বৈদ্ধ, খ্রিষ্টান ঐক্যবদ্ধ হয়ে খালি হাতে বাঁশের লাঠি নিয়ে রক্ত দিল। লক্ষ্য ছিল আমরা পেট পুরে ভাত খাব, আমাদের পরনে কাপড় থাকবে, নিজেদের একটি বাসস্থান থাকবে। আমাদের ছেলে-মেয়েরা লেখাপড়া শিখবে। সে লক্ষ্য নিয়ে আমাদের পূর্বসূরীরা লড়াই করেছেন, যুদ্ধ করে মৃত্যুর মুখোমুখী হয়েছেন। বঙ্গবন্ধু নির্দেশ দিয়েছেন আমি যদি হুকুম দেবার না পারি, তোমাদের যার যা কিছু আছে তাই নিয়ে শত্রুর মোকাবিলা করবে।

২৫ মার্চের দিবাগত রাতের ২৬ মার্চের প্রথম প্রহরে বঙ্গবন্ধু বললেন এটিই আমার শেষ ম্যাসেজ। শত্রুর শেষ সৈন্যটি নিশ্চিহৃ না করা পর্যন্ত তোমরা যুদ্ধ চালিয়ে যাবে। এই আহবানে সমগ্র জাতি মুক্তযুদ্ধে ঝাপিয়ে পড়ল। লড়াই সংগ্রাম করে স্বাধীনতা ছিনিয়ে আনল। বাংলাদেশের মানুষের অর্থনৈতিক মুক্তি, রাজনৈতিক মুক্তি ও সামাজিক মুক্তি। সেই মুক্তির লক্ষে যখন কাজ করলেন, তখন ৭৫-এর ১৫ আগস্ট একাত্তরের পরাজিত শক্তি যারা আমাদের মুক্তিযুদ্ধের বিরোধীতা করেছিল, আল বদর, আল শামস, যারা পাকিস্থানী হানাদারদের সহযোগিতা করেছিল, তাদের দোষররা বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করল। এদিকে নব্য পাকিস্তানী দালাল খুনি মুস্তাক ও খুনি জিয়ার উত্থ্যান হলো।

পাকিস্তানের কবর রচনার মধ্যদিয়ে বাংলাদেশের সৃষ্টি হয়েছিল। বাংলাদেশের মূলনীতি সমাজতন্ত্র, গণতন্ত্র, ধর্মনিরপেক্ষতা, জাতীয়তাবাদ, সেই বাংলাদেশ একটি শোষণমুক্ত বাংলাদেশ খুনি জিয়া ক্ষমতায় আসার পর সেগুলো পদদলিত করে জাতীয়তাবাদকে বিকৃত করা হলো। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও মূল্যবোধ সেটিকে বিলুপ্ত করা হয়। গণতন্ত্রকে ছিনতাই করা হলো। খুনি জিয়াউর রহমান গণতন্ত্রণকে ছিনতাই করেছিল। উর্দি পরে একদিকে জেনারেল, সেনাবাহিনীর প্রধান অন্যদিকে রাষ্ট্রপতি। ১৯৭৯ সালের মে মাসে ‘না’ এর বাক্স উপুড় করে ‘হ্যা’ বাক্স চিৎ করে রেখে ভোট দিয়ে গণতন্ত্রের কবর রচনা করলেন জিয়াউর রহমান। ধর্মনিরপেক্ষতা কবর রচনা করে একটি সাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র বানালেন জিয়াউর রহমান। বঙ্গবন্ধুর হত্যা ও জাতীয় নেতা হত্যার বিচার করা যাবে না সেটিকে আইনে পরিণত করে ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ চালু করেছিল। সেই থেকে মানবাধিকার হরণ শুরু হয়েছে।

আজকে যখন বঙ্গবন্ধুর অবর্তমানে তার কন্যা শেখ হাসিনা দেশকে নেতৃত্ব দিয়ে উন্নয়নের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে, সারা বাংলাদেশে পরিবর্তন এনেছেন। রাস্তা-ঘাট, পুল ব্রিজ, স্কুল কলেজ, স্বাস্থ্য ব্যবস্থাসহ বড় বড় মেগা প্রকল্প নিয়ে যখন দেশকে উন্নয়ন করছেন, বাংলাদেশ যখন সারা দুনিয়ায় মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছে, সামাজিক নিরাপত্তা বিধান করার জন্য শেখ হাসিনা দরিদ্র জনগোষ্ঠির জন্য বিভিন্ন ভাতা ও সুযোগ সুবিধার ব্যবস্থা করছেন, আবার ষড়যন্ত্র করছেন ওই খুনি জিয়াউর রহমানের প্রেতাত্মা বিএনপি স্বাধীনতা বিরোধী শক্তি আজকে ষড়যন্ত্র করছে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে। ক্ষুধা, দারিদ্র, সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদমুক্ত বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার লড়াইকে স্তব্ধ করতে ওরা আজকে মিথ্যাচার করছে। মির্জা ফকরুল ইসলাম আলমগীর আজকে মিথ্যাচার করছে। তারা আজকে উন্নয়নকে থমকে দিতে জাতিকে বিভ্রান্ত করছে।

সম্মেলনে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য দেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির নির্বাহী সদস্য পারভীন জামান কল্পনা ও গ্লোরিয়া সরকার ঝর্ণা এমপি। এছাড়া বক্তব্য দেন মেহেরপুর-১ আসনের সাবেক এমপি জয়নাল আবেদীন, প্রফেসর আব্দুল মান্নান, মেহেরপুর-২ আসনের সাবেক এমপি মকবুল হোসেন, গাংনী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম মোস্তফা ও গাংনী পৌর আওয়ামী লীগের সম্পাদক আনারুল ইসলাম বাবু।

এদিকে, সম্মেলনের প্রথম অধিবেশন শেষে সন্ধ্যার পর সম্মেলনের দ্বিতীয় অধিবেশন শুরু হয়। গাংনী হাইস্কুল মাঠে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতা বিএম মোজাম্মেল হক, কেন্দ্রীয় কমিটির নির্বাহী সদস্য পারভীন জামান কল্পনা, গ্লোরিয়া সরকার ঝর্ণা এমপি এবং মেহেরপুর-১ আসনের জাতীয় সংসদ সদস্য ও জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেনের উপস্থিতিতে কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হয়।

কাউন্সিলে মোট ২২টি ভোটের মধ্যে ২২টি ভোটই পেয়ে সংসদ সদস্য মোহাম্মদ সাহিদুজ্জামান খোকন সভাপতি ও মকলেছুর রহমান মুকুল সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। তাঁদের অপর প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা কোনো ভোট না পেয়ে শূন্য হাতে ফিরেছেন বাড়িতে। উল্লেখ্য, গাংনী উপজেলা ত্রিবার্ষিক কাউন্সিলে সভাপতি পদে ৬ জন ও সাধারণ সম্পাদক পদে ১৬ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

গাংনী উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলন সম্পন্ন

আপলোড টাইম : ০৯:৩৫:২১ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১১ এপ্রিল ২০২২

স্বাধীনতা বিরোধী শক্তি আজও দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে: বিএম মোজাম্মেল হক

সমীকরণ প্রতিবেদন:
মেহেরপুরের গাংনী উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল রোববার বেলা তিনটায় গাংনী পাইলট স্কুল অ্যান্ড কলেজ মাঠে এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সম্মেলনের উদ্বোধন করেন মেহেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন এমপি। গাংনী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোহাম্মদ সাহিদুজ্জামান খোকনের সভাপতিত্বে সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের খুলনা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক।

প্রধান অতিথর বক্তব্যে বিএম মোজাম্মেল হক বলেন, বিদেশী শাসকরা বাংলাকে বারবার শাসন ও লুণ্ঠন করেছে। বৃটিশ ও তাদের পূর্বের বিদেশীদের শাসন ও শোষণের যাতাকলে বাঙালিরা নির্যাতিত হয়েছে। এখানকার মানুষের সুখ, নিরাপত্তা বিঘিœত করেছিল। এখানকার মানুষের গোলাভরা ধান থাকত, গোয়াল ভরা গরু থাকতো, নিরাপদে সুন্দর জীবনযাপন করত। এসব আমাদের পূর্বসূরীরা তাদের সেই গৌরবগাঁথাকে হারিয়ে ফেলেছিল। এই বাঙালি জাতিকে নিঃস্ব করে ফেলেছিল। এখানকার মানুষ প্রতিনিয়ত দারিদ্রতা অনাহারের বিরুদ্ধে লড়াই করেছিল এই বাংলা এবং বাংলার সন্তানরা। তাই শেখ মুজিব অঙ্গীকার করেছিলেন এই বাংলাকে মুক্ত করে আমাদের ভাগ্যকে প্রতিষ্ঠিত করব। সেই স্বপ্নকে ধারণ করে বঙ্গবন্ধু লড়াই ও সংগ্রাম করেছেন। বারবার কারাবরণ করেছেন। জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করেছিলেন।

তিনি আরও বলেন, ‘তুমি কে আমি কে, বাঙালি বাঙালি, তোমার আমার ঠিকানা পদ্মা মেঘনা যমুনা। এই স্লোগানে ঐক্যবদ্ধ হয়ে ১৯৭০-এর নির্বাচনে এই বাংলাদেশের মানুষ বঙ্গবন্ধুর মনোনীত প্রার্থীদের ভোট দিয়ে নিরুঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা দিয়েছিলেন। অবশেষে বঙ্গবন্ধু স্বপ্ন দেখেছিলেন বাংলাদেশ একটি স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ হবে। যে বাংলাদেশ বাঙালিরা আত্মনিয়ন্ত্রণ করবে এবং সুখী সমৃদ্ধ বাংলাদেশ হবে। ৩০ লক্ষ শহিদ ও ২ লক্ষ মা-বোনের ইজ্জতের বিনিময় আমরা স্বাধীনতা পেয়েছি। এ দেশের কৃষক, শ্রমিক, খেতমজুর, জেলে, তাঁতী, হিন্দু, মুসলমান, বৈদ্ধ, খ্রিষ্টান ঐক্যবদ্ধ হয়ে খালি হাতে বাঁশের লাঠি নিয়ে রক্ত দিল। লক্ষ্য ছিল আমরা পেট পুরে ভাত খাব, আমাদের পরনে কাপড় থাকবে, নিজেদের একটি বাসস্থান থাকবে। আমাদের ছেলে-মেয়েরা লেখাপড়া শিখবে। সে লক্ষ্য নিয়ে আমাদের পূর্বসূরীরা লড়াই করেছেন, যুদ্ধ করে মৃত্যুর মুখোমুখী হয়েছেন। বঙ্গবন্ধু নির্দেশ দিয়েছেন আমি যদি হুকুম দেবার না পারি, তোমাদের যার যা কিছু আছে তাই নিয়ে শত্রুর মোকাবিলা করবে।

২৫ মার্চের দিবাগত রাতের ২৬ মার্চের প্রথম প্রহরে বঙ্গবন্ধু বললেন এটিই আমার শেষ ম্যাসেজ। শত্রুর শেষ সৈন্যটি নিশ্চিহৃ না করা পর্যন্ত তোমরা যুদ্ধ চালিয়ে যাবে। এই আহবানে সমগ্র জাতি মুক্তযুদ্ধে ঝাপিয়ে পড়ল। লড়াই সংগ্রাম করে স্বাধীনতা ছিনিয়ে আনল। বাংলাদেশের মানুষের অর্থনৈতিক মুক্তি, রাজনৈতিক মুক্তি ও সামাজিক মুক্তি। সেই মুক্তির লক্ষে যখন কাজ করলেন, তখন ৭৫-এর ১৫ আগস্ট একাত্তরের পরাজিত শক্তি যারা আমাদের মুক্তিযুদ্ধের বিরোধীতা করেছিল, আল বদর, আল শামস, যারা পাকিস্থানী হানাদারদের সহযোগিতা করেছিল, তাদের দোষররা বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করল। এদিকে নব্য পাকিস্তানী দালাল খুনি মুস্তাক ও খুনি জিয়ার উত্থ্যান হলো।

পাকিস্তানের কবর রচনার মধ্যদিয়ে বাংলাদেশের সৃষ্টি হয়েছিল। বাংলাদেশের মূলনীতি সমাজতন্ত্র, গণতন্ত্র, ধর্মনিরপেক্ষতা, জাতীয়তাবাদ, সেই বাংলাদেশ একটি শোষণমুক্ত বাংলাদেশ খুনি জিয়া ক্ষমতায় আসার পর সেগুলো পদদলিত করে জাতীয়তাবাদকে বিকৃত করা হলো। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও মূল্যবোধ সেটিকে বিলুপ্ত করা হয়। গণতন্ত্রকে ছিনতাই করা হলো। খুনি জিয়াউর রহমান গণতন্ত্রণকে ছিনতাই করেছিল। উর্দি পরে একদিকে জেনারেল, সেনাবাহিনীর প্রধান অন্যদিকে রাষ্ট্রপতি। ১৯৭৯ সালের মে মাসে ‘না’ এর বাক্স উপুড় করে ‘হ্যা’ বাক্স চিৎ করে রেখে ভোট দিয়ে গণতন্ত্রের কবর রচনা করলেন জিয়াউর রহমান। ধর্মনিরপেক্ষতা কবর রচনা করে একটি সাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র বানালেন জিয়াউর রহমান। বঙ্গবন্ধুর হত্যা ও জাতীয় নেতা হত্যার বিচার করা যাবে না সেটিকে আইনে পরিণত করে ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ চালু করেছিল। সেই থেকে মানবাধিকার হরণ শুরু হয়েছে।

আজকে যখন বঙ্গবন্ধুর অবর্তমানে তার কন্যা শেখ হাসিনা দেশকে নেতৃত্ব দিয়ে উন্নয়নের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে, সারা বাংলাদেশে পরিবর্তন এনেছেন। রাস্তা-ঘাট, পুল ব্রিজ, স্কুল কলেজ, স্বাস্থ্য ব্যবস্থাসহ বড় বড় মেগা প্রকল্প নিয়ে যখন দেশকে উন্নয়ন করছেন, বাংলাদেশ যখন সারা দুনিয়ায় মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছে, সামাজিক নিরাপত্তা বিধান করার জন্য শেখ হাসিনা দরিদ্র জনগোষ্ঠির জন্য বিভিন্ন ভাতা ও সুযোগ সুবিধার ব্যবস্থা করছেন, আবার ষড়যন্ত্র করছেন ওই খুনি জিয়াউর রহমানের প্রেতাত্মা বিএনপি স্বাধীনতা বিরোধী শক্তি আজকে ষড়যন্ত্র করছে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে। ক্ষুধা, দারিদ্র, সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদমুক্ত বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার লড়াইকে স্তব্ধ করতে ওরা আজকে মিথ্যাচার করছে। মির্জা ফকরুল ইসলাম আলমগীর আজকে মিথ্যাচার করছে। তারা আজকে উন্নয়নকে থমকে দিতে জাতিকে বিভ্রান্ত করছে।

সম্মেলনে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য দেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির নির্বাহী সদস্য পারভীন জামান কল্পনা ও গ্লোরিয়া সরকার ঝর্ণা এমপি। এছাড়া বক্তব্য দেন মেহেরপুর-১ আসনের সাবেক এমপি জয়নাল আবেদীন, প্রফেসর আব্দুল মান্নান, মেহেরপুর-২ আসনের সাবেক এমপি মকবুল হোসেন, গাংনী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম মোস্তফা ও গাংনী পৌর আওয়ামী লীগের সম্পাদক আনারুল ইসলাম বাবু।

এদিকে, সম্মেলনের প্রথম অধিবেশন শেষে সন্ধ্যার পর সম্মেলনের দ্বিতীয় অধিবেশন শুরু হয়। গাংনী হাইস্কুল মাঠে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতা বিএম মোজাম্মেল হক, কেন্দ্রীয় কমিটির নির্বাহী সদস্য পারভীন জামান কল্পনা, গ্লোরিয়া সরকার ঝর্ণা এমপি এবং মেহেরপুর-১ আসনের জাতীয় সংসদ সদস্য ও জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেনের উপস্থিতিতে কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হয়।

কাউন্সিলে মোট ২২টি ভোটের মধ্যে ২২টি ভোটই পেয়ে সংসদ সদস্য মোহাম্মদ সাহিদুজ্জামান খোকন সভাপতি ও মকলেছুর রহমান মুকুল সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। তাঁদের অপর প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা কোনো ভোট না পেয়ে শূন্য হাতে ফিরেছেন বাড়িতে। উল্লেখ্য, গাংনী উপজেলা ত্রিবার্ষিক কাউন্সিলে সভাপতি পদে ৬ জন ও সাধারণ সম্পাদক পদে ১৬ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।