ইপেপার । আজ শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মোবাইলে মজুরি পেয়ে উচ্ছ্বসিত শ্রমিকরা

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ১০:০৮:৫৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৯ এপ্রিল ২০২২
  • / ২১ বার পড়া হয়েছে

জাহিদুল হক বাবু, ঝিনাইদহ:

ঝিনাইদহ সদর উপজেলার হলিধানী ইউনিয়নে ২০২১-২০২২ অর্থবছরের অতিদরিদ্রদের জন্য কর্মসংস্থান ৪০ দিনের কর্মসূচির প্রথম পর্যায় প্রকল্পের কাজ সম্পন্ন হয়েছে। কাজ শেষে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে মজুরি পেয়েছেন শ্রমিকরা। নিজের মোবাইলেই টাকা পাওয়ায় খুশি ও সন্তোষ প্রকাশ করেছেন শ্রমিকরা।

জানা যায়, ঝিনাইদহ সদর উপজেলায় গত ১২ ফেব্রুয়ারি থেকে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা শাখার ২০২১- ২০২২ অর্থবছরের অতিদরিদ্রদের জন্য কর্মসংস্থান কর্মসূচির প্রথম পর্যায় প্রকল্পের কাজ গত ৩০ মার্চ সম্পন্ন হয়েছে। উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার দেওয়া তথ্য মতে, হলিধানী ইউনিয়নে ৪টি প্রকল্পের কাজ ইতঃমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে। কাজগুলো হলো- বেড়াদী আমিরুলের বাড়ির নিকট হতে কালিতলা পর্যন্ত মাটি দিয়ে পুনঃনির্মাণ কাজ, গাড়ামারা তহিদুলের বাড়ি হতে দাউদের আমবাগান পর্যন্ত এবং গাড়ামারা মসজিদ হতে মাঠ অভিমুখে রাস্তায় মাটি ভরাট, কোলা বকুলের বাড়ি হতে রশিদের বাড়ি পর্যন্ত রাস্তায় মাটি দিয়ে পুনঃনির্মাণ কাজ এবং রামচন্দ্রপুর জোয়াদ আলীর বাড়ি হতে মোশারেফের বাড়ি পর্যন্ত রাস্তায় মাটি দিয়ে পুনঃনির্মাণ। শ্রমিকরা প্রত্যেকে প্রতিদিন মজুরি হিসেবে ৪০০ টাকা করে পাবেন। যা ইতঃমধ্যে উপকারভোগীর মোবাইল ব্যাংকিং নগদ-এর মধ্যমে প্রথম কিস্তির টাকা পেয়েছেন।

ইউনিয়নের ৬ নম্বর বেড়াদী ওয়ার্ডের প্রকল্পের দায়িত্বে থাকা ইউপি সদস্য শ্রী সন্তোশ কুমার জানান, তাঁর ওয়ার্ডে ৪০ দিনের প্রকল্পের কাজে ২০ জন উপকারভোগীদের মধ্যে কয়েকজন মহিলাও আছে। তাঁরা ৪০ দিনের কাজ সম্পন্ন করেছে। উপকারভোগীদের তাদের মোবাইল ব্যাংকিং নগদ-এর মাধ্যমে দুই সপ্তাহের মুজরির টাকা পেয়েছেন। তাদের মোবাইল সিম তাদের কাছেই থাকে। টাকা তোলার সময় শুধু তারাই ওই টাকা তুলতে পারে।

বেড়াদী গ্রামের পূর্ণিমা রানীসহ কয়েকজন উপকারভোগী জানান, পরিবারে অস্বচ্ছলতার কারণে ৪০ দিনের প্রকল্পের কাজ করেন তাঁরা। তাঁদের প্রতিদিন ৪ শ টাকা দেওয়ার কথা। মোবাইল সিমে নগদের মাধ্যমে দুই সপ্তহের টাকা পেয়েছেন। এই কাজ করতে পেরে তারা সংসারের অভাব মেটাতে পারছেন।

হলিধানী ইউপি চেয়ারম্যান অ্যাড. এনামুল হক নিলু বলেন, ‘আমরা দুর্নীতি করি না, করতেও দেব না। চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পর প্রথম অতিদরিদ্রদের জন্য কর্মসংস্থান কর্মসূচির প্রকল্পের কাজ এসেছে। প্রকল্প আসার পর মেম্বারদের ডেকে মিটিংয়ের মাধ্যমে তাদের চারজন মেম্বারদের কাজগুলো বুঝিয়ে দিয়েছি। মেম্বারদের দায়িত্বে কাজগুলো ইতঃমধ্যে শেষও হয়েছে। এই কাজের সকল দায়দায়িত্ব মেম্বারদের। তবে আমার ইউনিয়নের কোন উপকারভোগী বলতে পারবে না চেয়ারম্যানের কাছে কোন সিমকার্ড দিয়েছে বা তাদের মজুরির টাকা ইউনিয়ন পরিষদ গ্রহণ করেছে।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

মোবাইলে মজুরি পেয়ে উচ্ছ্বসিত শ্রমিকরা

আপলোড টাইম : ১০:০৮:৫৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৯ এপ্রিল ২০২২

জাহিদুল হক বাবু, ঝিনাইদহ:

ঝিনাইদহ সদর উপজেলার হলিধানী ইউনিয়নে ২০২১-২০২২ অর্থবছরের অতিদরিদ্রদের জন্য কর্মসংস্থান ৪০ দিনের কর্মসূচির প্রথম পর্যায় প্রকল্পের কাজ সম্পন্ন হয়েছে। কাজ শেষে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে মজুরি পেয়েছেন শ্রমিকরা। নিজের মোবাইলেই টাকা পাওয়ায় খুশি ও সন্তোষ প্রকাশ করেছেন শ্রমিকরা।

জানা যায়, ঝিনাইদহ সদর উপজেলায় গত ১২ ফেব্রুয়ারি থেকে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা শাখার ২০২১- ২০২২ অর্থবছরের অতিদরিদ্রদের জন্য কর্মসংস্থান কর্মসূচির প্রথম পর্যায় প্রকল্পের কাজ গত ৩০ মার্চ সম্পন্ন হয়েছে। উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার দেওয়া তথ্য মতে, হলিধানী ইউনিয়নে ৪টি প্রকল্পের কাজ ইতঃমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে। কাজগুলো হলো- বেড়াদী আমিরুলের বাড়ির নিকট হতে কালিতলা পর্যন্ত মাটি দিয়ে পুনঃনির্মাণ কাজ, গাড়ামারা তহিদুলের বাড়ি হতে দাউদের আমবাগান পর্যন্ত এবং গাড়ামারা মসজিদ হতে মাঠ অভিমুখে রাস্তায় মাটি ভরাট, কোলা বকুলের বাড়ি হতে রশিদের বাড়ি পর্যন্ত রাস্তায় মাটি দিয়ে পুনঃনির্মাণ কাজ এবং রামচন্দ্রপুর জোয়াদ আলীর বাড়ি হতে মোশারেফের বাড়ি পর্যন্ত রাস্তায় মাটি দিয়ে পুনঃনির্মাণ। শ্রমিকরা প্রত্যেকে প্রতিদিন মজুরি হিসেবে ৪০০ টাকা করে পাবেন। যা ইতঃমধ্যে উপকারভোগীর মোবাইল ব্যাংকিং নগদ-এর মধ্যমে প্রথম কিস্তির টাকা পেয়েছেন।

ইউনিয়নের ৬ নম্বর বেড়াদী ওয়ার্ডের প্রকল্পের দায়িত্বে থাকা ইউপি সদস্য শ্রী সন্তোশ কুমার জানান, তাঁর ওয়ার্ডে ৪০ দিনের প্রকল্পের কাজে ২০ জন উপকারভোগীদের মধ্যে কয়েকজন মহিলাও আছে। তাঁরা ৪০ দিনের কাজ সম্পন্ন করেছে। উপকারভোগীদের তাদের মোবাইল ব্যাংকিং নগদ-এর মাধ্যমে দুই সপ্তাহের মুজরির টাকা পেয়েছেন। তাদের মোবাইল সিম তাদের কাছেই থাকে। টাকা তোলার সময় শুধু তারাই ওই টাকা তুলতে পারে।

বেড়াদী গ্রামের পূর্ণিমা রানীসহ কয়েকজন উপকারভোগী জানান, পরিবারে অস্বচ্ছলতার কারণে ৪০ দিনের প্রকল্পের কাজ করেন তাঁরা। তাঁদের প্রতিদিন ৪ শ টাকা দেওয়ার কথা। মোবাইল সিমে নগদের মাধ্যমে দুই সপ্তহের টাকা পেয়েছেন। এই কাজ করতে পেরে তারা সংসারের অভাব মেটাতে পারছেন।

হলিধানী ইউপি চেয়ারম্যান অ্যাড. এনামুল হক নিলু বলেন, ‘আমরা দুর্নীতি করি না, করতেও দেব না। চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পর প্রথম অতিদরিদ্রদের জন্য কর্মসংস্থান কর্মসূচির প্রকল্পের কাজ এসেছে। প্রকল্প আসার পর মেম্বারদের ডেকে মিটিংয়ের মাধ্যমে তাদের চারজন মেম্বারদের কাজগুলো বুঝিয়ে দিয়েছি। মেম্বারদের দায়িত্বে কাজগুলো ইতঃমধ্যে শেষও হয়েছে। এই কাজের সকল দায়দায়িত্ব মেম্বারদের। তবে আমার ইউনিয়নের কোন উপকারভোগী বলতে পারবে না চেয়ারম্যানের কাছে কোন সিমকার্ড দিয়েছে বা তাদের মজুরির টাকা ইউনিয়ন পরিষদ গ্রহণ করেছে।