ইপেপার । আজ বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ভিক্ষুকের কাফনের চিন্তা দুর!

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৯:১৫:১৮ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১ এপ্রিল ২০২২
  • / ২১ বার পড়া হয়েছে

বাবু/হামিদুল:

বয়স ৮০ ছুঁই ছুঁই। ভিক্ষাবৃত্তি করেই জীবিকা নির্বাহ করেন। বয়সের ভারে এখন আর আগের মতো ছুটতে পারেন না। তাই আয়-রোজগারও কম হওয়ায় কোনোরকমে কাটে দিন। জীবনমৃত্যুর এই ক্ষণে এসে এখন তার একটাই ভাবনা মৃত্যুর পরে কাফনের কাপড় পাবেন কোথায়? বলছিলাম, মেহেরপুর সদর উপজেলার হাসানাবাদ গ্রামের মৃত সদর উদ্দীনের মেজ ছেলে মঙ্গল উদ্দীন মঙ্গলের কথা। ভিক্ষাবৃত্তি করেই তিন সদস্যের সংসার চালিয়ে নিতে হিমশিম অবস্থা তার। প্রথম স্ত্রী মারা গেলে সংসারের হাল ধরতে ঘরে আনেন ২য় স্ত্রী। এ ঘরে জন্ম নেয় তিন মেয়ে ও এক ছেলে। এর মধ্যে দুই মেয়েকে বিয়েও দিয়েছেন। এছাড়া প্রথম স্ত্রীর রেখে যাওয়া ৩ ছেলে। এরমধ্যে একটি ছেলে মারা গেছে অনেক আগেই। তবে অপর দুই ছেলে ও দ্বিতীয় পক্ষের এক ছেলে এখন আলাদা বসবাস করেন। তার নিজের সংসার নিয়েই ব্যস্ত। ছোট মেয়ে আর স্ত্রীকে নিয়েই এখন সংসার মঙ্গলের। শারীরিক কর্মক্ষমতা কমে যাওয়ায় বেছে নিয়েছেন ভিক্ষাবৃত্তি পেশা। এছাড়া বাড়ীর জমিটুকু ছাড়া তার কোনো সম্বলও নেই। তাই তিনি চিন্তিত মৃত্যুর পর তার কাফনের কাপড়ের টাকা তার পরিবার কোথায় পাবে। তবে তার সেই চিন্তা থেকে মুক্ত করতে এগিয়ে এলেন মেহেরপুরের বারাদী বাজারের ওষুধ ব্যবসায়ী সালেহা মেডিকো ও উৎস মেডিকেলের সত্বাধিকারী আব্দুল মালেক। এই উদারমনা ওষুধ ব্যবসায়ী গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ভিক্ষুক মঙ্গলকে জায়নামাজ, টুপি, আতর, মিসওয়াক, তসবি উপহার দেন। এসময় ব্যবসায়ী আব্দুল মালেক মঙ্গলের মৃত্যুর পরে কাফনের দশগজ সাদা থান কাপড়ও দেবেন বলে আশ্বস্ত করেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন মোমিনপুর কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের খতিব মাওলানা মনিরুল ইসলাম।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

ভিক্ষুকের কাফনের চিন্তা দুর!

আপলোড টাইম : ০৯:১৫:১৮ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১ এপ্রিল ২০২২

বাবু/হামিদুল:

বয়স ৮০ ছুঁই ছুঁই। ভিক্ষাবৃত্তি করেই জীবিকা নির্বাহ করেন। বয়সের ভারে এখন আর আগের মতো ছুটতে পারেন না। তাই আয়-রোজগারও কম হওয়ায় কোনোরকমে কাটে দিন। জীবনমৃত্যুর এই ক্ষণে এসে এখন তার একটাই ভাবনা মৃত্যুর পরে কাফনের কাপড় পাবেন কোথায়? বলছিলাম, মেহেরপুর সদর উপজেলার হাসানাবাদ গ্রামের মৃত সদর উদ্দীনের মেজ ছেলে মঙ্গল উদ্দীন মঙ্গলের কথা। ভিক্ষাবৃত্তি করেই তিন সদস্যের সংসার চালিয়ে নিতে হিমশিম অবস্থা তার। প্রথম স্ত্রী মারা গেলে সংসারের হাল ধরতে ঘরে আনেন ২য় স্ত্রী। এ ঘরে জন্ম নেয় তিন মেয়ে ও এক ছেলে। এর মধ্যে দুই মেয়েকে বিয়েও দিয়েছেন। এছাড়া প্রথম স্ত্রীর রেখে যাওয়া ৩ ছেলে। এরমধ্যে একটি ছেলে মারা গেছে অনেক আগেই। তবে অপর দুই ছেলে ও দ্বিতীয় পক্ষের এক ছেলে এখন আলাদা বসবাস করেন। তার নিজের সংসার নিয়েই ব্যস্ত। ছোট মেয়ে আর স্ত্রীকে নিয়েই এখন সংসার মঙ্গলের। শারীরিক কর্মক্ষমতা কমে যাওয়ায় বেছে নিয়েছেন ভিক্ষাবৃত্তি পেশা। এছাড়া বাড়ীর জমিটুকু ছাড়া তার কোনো সম্বলও নেই। তাই তিনি চিন্তিত মৃত্যুর পর তার কাফনের কাপড়ের টাকা তার পরিবার কোথায় পাবে। তবে তার সেই চিন্তা থেকে মুক্ত করতে এগিয়ে এলেন মেহেরপুরের বারাদী বাজারের ওষুধ ব্যবসায়ী সালেহা মেডিকো ও উৎস মেডিকেলের সত্বাধিকারী আব্দুল মালেক। এই উদারমনা ওষুধ ব্যবসায়ী গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ভিক্ষুক মঙ্গলকে জায়নামাজ, টুপি, আতর, মিসওয়াক, তসবি উপহার দেন। এসময় ব্যবসায়ী আব্দুল মালেক মঙ্গলের মৃত্যুর পরে কাফনের দশগজ সাদা থান কাপড়ও দেবেন বলে আশ্বস্ত করেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন মোমিনপুর কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের খতিব মাওলানা মনিরুল ইসলাম।