ইপেপার । আজ শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ধর্ষণে ব্যর্থ হয়ে নারীর নাক ফাটালেন লম্পট!

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৮:৩০:৫৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৩০ মার্চ ২০২২
  • / ২৬ বার পড়া হয়েছে

ঝিনাইদহ অফিস:

ঝিনাইদহ সদর উপজেলার পানামী গ্রামে পঞ্চাশোর্ধ এক নারীকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। পরে ধর্ষণে ব্যর্থ হয়ে ওই নারীকে পিটিয়ে নাক ফাটিয়ে দিয়েছেন এক লম্পট। বাঁধা দিতে গিয়ে আহত হয়েছেন ওই নারীর ছেলে কবির হোসেন। ঘটনাটি ঘটেছে গত রোববার রাতে। এ ঘটনায় ঝিনাইদহ সদর থানায় একটি এজাহার দাখিল করা হয়েছে।

এজাহার সূত্রে জানা গেছে, হরিশংকরপুর ইউনিয়নের পানামী গ্রামে ঘটনার দিন রাতে পঞ্চাশোর্ধ এক নারী ঘরে বসেছিলেন। রাত ৯টার দিকে গ্রামের আতর আলী জোয়ারদারের ছেলে স্বপন অসৎ উদ্দেশ্যে ঘরে প্রবেশ করে। স্বপন অনেক আগে থেকেই ওই নারীকে অনৈতিক দিয়ে আসছিল। ঘরে ঢুকে স্বপন ওই নারীকে ধর্ষণের চেষ্টা করে। ওই নারীর চিৎকারে তার ছেলে কবিরসহ বাড়ির আশপাশের লোকজন ছুটে আসে। এক পর্যায়ে স্বপনকে ঘরের মধ্যে তারা আটকে ফেলে। স্বপনকে আটকানোর খবর পেয়ে এজাহারে বর্ণিত আসামি বাহারুল, মিটুল, আব্দুল্লাহ, আব্দুল মালেকসহ আরও ৫-৬ জন অজ্ঞাত ব্যক্তি জোটবদ্ধ হয়ে দরজা ভেঙে ঘরের মধ্যে প্রবেশ করে স্বপনকে ছাড়িয়ে নিয়ে যায়।

এসময় আসামি আব্দুল্লাহ লোহার রড দিয়ে ওই নারীকে আঘাত করলে তার নাক ফেটে যায়। মায়ের রক্তাক্ত জখম দেখে ছেলে কবির এগিয়ে আসলে তাকেও পিটিয়ে জখম করে আসামিরা। আহত ওই নারীকে মুমূর্ষু অবস্থায় ঝিনাইদহ থেকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এঘটনায় আহত নারীর ছেলে রবিউল ইসলাম ঝিনাইদহ সদর থানায় একটি অভিযোগ করেছেন।

এ বিষয়ে ঝিনাইদহ সদর থানার ওসি (তদন্ত) ইমদাদুল হক গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে জানান, ‘হরিশংকরপুর ইউনিয়নের বিষয়টি আমাদের নলেজে আছে। ভিকটিমকে এজাহার দিতে বলা হয়েছিল। যদি তারা এজাহার দেন, তবে অবশ্যই মামলা হবে।’   

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

ধর্ষণে ব্যর্থ হয়ে নারীর নাক ফাটালেন লম্পট!

আপলোড টাইম : ০৮:৩০:৫৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৩০ মার্চ ২০২২

ঝিনাইদহ অফিস:

ঝিনাইদহ সদর উপজেলার পানামী গ্রামে পঞ্চাশোর্ধ এক নারীকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। পরে ধর্ষণে ব্যর্থ হয়ে ওই নারীকে পিটিয়ে নাক ফাটিয়ে দিয়েছেন এক লম্পট। বাঁধা দিতে গিয়ে আহত হয়েছেন ওই নারীর ছেলে কবির হোসেন। ঘটনাটি ঘটেছে গত রোববার রাতে। এ ঘটনায় ঝিনাইদহ সদর থানায় একটি এজাহার দাখিল করা হয়েছে।

এজাহার সূত্রে জানা গেছে, হরিশংকরপুর ইউনিয়নের পানামী গ্রামে ঘটনার দিন রাতে পঞ্চাশোর্ধ এক নারী ঘরে বসেছিলেন। রাত ৯টার দিকে গ্রামের আতর আলী জোয়ারদারের ছেলে স্বপন অসৎ উদ্দেশ্যে ঘরে প্রবেশ করে। স্বপন অনেক আগে থেকেই ওই নারীকে অনৈতিক দিয়ে আসছিল। ঘরে ঢুকে স্বপন ওই নারীকে ধর্ষণের চেষ্টা করে। ওই নারীর চিৎকারে তার ছেলে কবিরসহ বাড়ির আশপাশের লোকজন ছুটে আসে। এক পর্যায়ে স্বপনকে ঘরের মধ্যে তারা আটকে ফেলে। স্বপনকে আটকানোর খবর পেয়ে এজাহারে বর্ণিত আসামি বাহারুল, মিটুল, আব্দুল্লাহ, আব্দুল মালেকসহ আরও ৫-৬ জন অজ্ঞাত ব্যক্তি জোটবদ্ধ হয়ে দরজা ভেঙে ঘরের মধ্যে প্রবেশ করে স্বপনকে ছাড়িয়ে নিয়ে যায়।

এসময় আসামি আব্দুল্লাহ লোহার রড দিয়ে ওই নারীকে আঘাত করলে তার নাক ফেটে যায়। মায়ের রক্তাক্ত জখম দেখে ছেলে কবির এগিয়ে আসলে তাকেও পিটিয়ে জখম করে আসামিরা। আহত ওই নারীকে মুমূর্ষু অবস্থায় ঝিনাইদহ থেকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এঘটনায় আহত নারীর ছেলে রবিউল ইসলাম ঝিনাইদহ সদর থানায় একটি অভিযোগ করেছেন।

এ বিষয়ে ঝিনাইদহ সদর থানার ওসি (তদন্ত) ইমদাদুল হক গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে জানান, ‘হরিশংকরপুর ইউনিয়নের বিষয়টি আমাদের নলেজে আছে। ভিকটিমকে এজাহার দিতে বলা হয়েছিল। যদি তারা এজাহার দেন, তবে অবশ্যই মামলা হবে।’