ইপেপার । আজ শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে মেধাবী ছাত্রী আফরিনা

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৮:৩০:৪৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৩০ মার্চ ২০২২
  • / ৮২ বার পড়া হয়েছে

ঝিনাইদহ অফিস:

স্বপ্ন ছিল বড় হয়ে খেলোয়াড় হবে। মুখ উজ্জল করবে মা-বাবা, গ্রাম ও দেশের। ফুটবলকে ভালোবেসে তাই ছোটকাল থেকেই খেলার প্রতি আগ্রহ ছিল তার। স্কুল থেকে কোনো খেলার আয়োজন করলে তাতে অংশ নিতো সে। উপজেলাসহ বিভিন্ন স্থানে দলের হয়ে খেলা করত আফরিনা। সেই খেলায় যেন তার কাল হলো। ফুটবল খেলতে গিয়ে পায়ের আঘাত পায় আফরিনা। সেই আঘাত এখন পরিণত হয়েছে মরণব্যাধী ক্যানসারে। মেয়ের ক্যানসারের চিকিৎসা করাতে সহায়-সম্বল বিক্রি করেও চিকিৎসা করতে পারছে না হতদরিদ্র পিতা আব্দুল আজিজ। আফরিনার বাড়ি ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার কাঁচেরকোল ইউনিয়নের বোয়ালিয়া গ্রামে।

পিতা আব্দুল আজিজ জানান, ২০১৫ সালে বোয়ালিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৫ম শ্রেণিতে অধ্যায়ণরত অবস্থায় বেনীপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে বঙ্গমাতা ফজিলাতুন্নেসা মুজিব ফুটবল টুর্নামেন্ট খেলতে যায় তার মেয়ে। ক্যাপ্টেনের দায়িত্ব থাকা অবস্থায় ফুটবল খেলতে গিয়ে বা পায়ে আঘাত পায় আফরিনা। সে সময় কিছু বুঝতে না পারলেও কয়েক বছর পর সেখানে শুরু হয় ব্যথা। দিনে দিনে সেখানে ফুলতে শুরু করে। কয়েক বছরের মধ্যে ব্যথাটা ফুলে এখন ক্যানসারে রূপ নিয়েছে। তিনি আরও জানান, ‘আমার মেয়ে বোয়ালিয়া স্কুল থেকে পঞ্চম শ্রেণিতে এ প্লাস পেয়ে পাস করে। কোনোদিন এক ছাড়া দুই রোল হয়নি তার। মেয়ের স্বপ্ন ছিল শিক্ষিত হবে। খেলোয়াড় হয়ে মুখ উজ্জল করবে। কিন্তু কী হয়ে গেল আমার মেয়ের। ব্যথার জ্বালায় দিন রাত-কান্না-কাটি করে। আমি কিছুই করতে পারছি না। যা টাকা-পয়সা ছিল, তা তো শেষ হয়ে গেছে। আমার মেয়েটাকে এখন চিকিৎসা করাতে ৩-৪ লাখ টাকা দরকার। এত টাকা আমি কোথায় পাব।’

রাজধানীর মহাখালী ক্যানসার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আফরিনা খাতুন বলেন, ‘আমার আর কষ্ট সহ্য হয় না। আমাকে আপনার বাঁচান। আমি আর ব্যথা সইতে পারছিনে। আমার আব্বা আমার জন্য সারারাত ধরে জেগে থাকে। আমার পা ডলে দেয়। এ কষ্ট আর সহ্য করতে পারছি না।’

শৈলকুপা উপজেলার উত্তর মির্জাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মোক্তাদির রুমী বলেন, ‘মেয়েটির চিকিৎসার জন্য আমরা মানুষের কাছে যাচ্ছি। এলাকা থেকে টাকা-পয়সা তুলে মেয়েটিকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। এখন কিছু রিপোর্ট এলে তার ভর্তির ব্যাপারে ডাক্তার পরামর্শ দিবেন। মেয়েটির বাবা খুবই অসহায়। সমাজের বিত্তবানরা যদি একটু সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয়, তবে মেয়েটি স্বাভাবিক জীবনযাপন করতে পারবে। আফরিনাকে কেউ সহযোগিতা করতে চাইলে ০১৩০৮-৩৪৬৫০১ (বিকাশ+নগদ) এই নম্বরে কথা বলতে পারেন।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে মেধাবী ছাত্রী আফরিনা

আপলোড টাইম : ০৮:৩০:৪৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৩০ মার্চ ২০২২

ঝিনাইদহ অফিস:

স্বপ্ন ছিল বড় হয়ে খেলোয়াড় হবে। মুখ উজ্জল করবে মা-বাবা, গ্রাম ও দেশের। ফুটবলকে ভালোবেসে তাই ছোটকাল থেকেই খেলার প্রতি আগ্রহ ছিল তার। স্কুল থেকে কোনো খেলার আয়োজন করলে তাতে অংশ নিতো সে। উপজেলাসহ বিভিন্ন স্থানে দলের হয়ে খেলা করত আফরিনা। সেই খেলায় যেন তার কাল হলো। ফুটবল খেলতে গিয়ে পায়ের আঘাত পায় আফরিনা। সেই আঘাত এখন পরিণত হয়েছে মরণব্যাধী ক্যানসারে। মেয়ের ক্যানসারের চিকিৎসা করাতে সহায়-সম্বল বিক্রি করেও চিকিৎসা করতে পারছে না হতদরিদ্র পিতা আব্দুল আজিজ। আফরিনার বাড়ি ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার কাঁচেরকোল ইউনিয়নের বোয়ালিয়া গ্রামে।

পিতা আব্দুল আজিজ জানান, ২০১৫ সালে বোয়ালিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৫ম শ্রেণিতে অধ্যায়ণরত অবস্থায় বেনীপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে বঙ্গমাতা ফজিলাতুন্নেসা মুজিব ফুটবল টুর্নামেন্ট খেলতে যায় তার মেয়ে। ক্যাপ্টেনের দায়িত্ব থাকা অবস্থায় ফুটবল খেলতে গিয়ে বা পায়ে আঘাত পায় আফরিনা। সে সময় কিছু বুঝতে না পারলেও কয়েক বছর পর সেখানে শুরু হয় ব্যথা। দিনে দিনে সেখানে ফুলতে শুরু করে। কয়েক বছরের মধ্যে ব্যথাটা ফুলে এখন ক্যানসারে রূপ নিয়েছে। তিনি আরও জানান, ‘আমার মেয়ে বোয়ালিয়া স্কুল থেকে পঞ্চম শ্রেণিতে এ প্লাস পেয়ে পাস করে। কোনোদিন এক ছাড়া দুই রোল হয়নি তার। মেয়ের স্বপ্ন ছিল শিক্ষিত হবে। খেলোয়াড় হয়ে মুখ উজ্জল করবে। কিন্তু কী হয়ে গেল আমার মেয়ের। ব্যথার জ্বালায় দিন রাত-কান্না-কাটি করে। আমি কিছুই করতে পারছি না। যা টাকা-পয়সা ছিল, তা তো শেষ হয়ে গেছে। আমার মেয়েটাকে এখন চিকিৎসা করাতে ৩-৪ লাখ টাকা দরকার। এত টাকা আমি কোথায় পাব।’

রাজধানীর মহাখালী ক্যানসার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আফরিনা খাতুন বলেন, ‘আমার আর কষ্ট সহ্য হয় না। আমাকে আপনার বাঁচান। আমি আর ব্যথা সইতে পারছিনে। আমার আব্বা আমার জন্য সারারাত ধরে জেগে থাকে। আমার পা ডলে দেয়। এ কষ্ট আর সহ্য করতে পারছি না।’

শৈলকুপা উপজেলার উত্তর মির্জাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মোক্তাদির রুমী বলেন, ‘মেয়েটির চিকিৎসার জন্য আমরা মানুষের কাছে যাচ্ছি। এলাকা থেকে টাকা-পয়সা তুলে মেয়েটিকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। এখন কিছু রিপোর্ট এলে তার ভর্তির ব্যাপারে ডাক্তার পরামর্শ দিবেন। মেয়েটির বাবা খুবই অসহায়। সমাজের বিত্তবানরা যদি একটু সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয়, তবে মেয়েটি স্বাভাবিক জীবনযাপন করতে পারবে। আফরিনাকে কেউ সহযোগিতা করতে চাইলে ০১৩০৮-৩৪৬৫০১ (বিকাশ+নগদ) এই নম্বরে কথা বলতে পারেন।