ইপেপার । আজ বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মেহেরপুরের গাংনীতে টিসিবির পণ্য বিক্রিতে ওজনে কম দেওয়ার অভিযোগ

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ১০:২৬:৫৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৪ মার্চ ২০২২
  • / ২৮ বার পড়া হয়েছে

প্রতিবেদক, গাংনী:

মেহেরপুরের গাংনীর উপজেলার কাজীপুর ইউনিয়নে টিসিবির পণ্য বিক্রিতে ওজনে কম দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। ইউনিয়নের নওদাপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে গতকাল বুধবার টিসিবির পণ্য বিক্রয়কালে ওজনে কম দেওয়ার অভিযোগ করে ক্রেতারা। তাঁর অভিযোগ করে বলেছেন, পণ্য কেনার পর ওজন দিলে ডাল ২ কেজি দেওয়ার কথা থাকলেও ৪ শ গ্রাম কম এবং চিনি ২ কেজি দেওয়ার কথা থাকলেও ৩ শ গ্রাম করে কম হয়। শুধুমাত্র সয়াবিন তেল বোতলজাত হওয়ায় সেটি পরিপূর্ণ মাপে পেয়েছেন তাঁরা।

টিসিবির পণ্য ক্রয় করতে আসা সাধারণ মানুষ এর প্রতিবাদ করলে টিসিবির পণ্য বিক্রেতা ডিলার হাজি ইছার উদ্দিনের ছেলে বিদ্যুৎ পণ্য বিক্রি কার্যক্রম বন্ধ করে দেন। এবং পণ্য ক্রয় করতে আসা সাধারণ মানুষের সাথে বিদ্যুৎ উচ্ছৃঙ্খল আচরণ করেন বলে অভিযোগ ওঠে। এতে ক্ষাভ প্রকাশ করেন ক্রেতারা। পরবর্তীতে গণমাধ্যমকর্মীরা পণ্য বিক্রির স্থানে উপস্থিত হলে পুনরায় সঠিক মাপে টিসিবির পণ্য বিক্রয় কার্যক্রম শুরু হয়।

নওদাপাড়া গ্রামের শরিফুল ইসলাম নামের এক ক্রেতা জানান, ‘আমি পণ্য ক্রয় করার পর ওজন করে ২ কেজিতে ২ শ-৩ শ গ্রাম করে কম পায়। আমি গিয়ে প্রতিবাদ করি, কারণ ন্যায্য টাকায় মাল কিনছি, ন্যায্য ওজন দেওয়া লাগবে।’ পণ্য ক্রয় করতে আসা সাহেবনগর গ্রামের আম্বিয়া খাতুন জানান, ‘সকালে এসেছি এখনো পণ্য পাইনি। ওজনে কম দেওয়ার জন্য ক্রয়-বিক্রয় অনেকক্ষণ বন্ধ ছিল।’ ওজনে কম পাওয়া আরেকজন ক্রেতা বেতবাড়ীয়া গ্রামের জাহিদ হোসেন জানান, ‘তেল বাদে অন্যান্য পণ্যগুলো কম দেওয়া হচ্ছিল, নওদাপাড়া গ্রামের একটা ছেলে প্রতিবাদ করলে ক্রয়-বিক্রয় বন্ধ ছিল।’

বিষয়টি নিয়ে গাংনী উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মৌসুমী খানম বলেন, ‘টিসিবির পণ্য সরকারিভাবি গোডাউন থেকে প্রস্তুত করে ডিলারদের কাছে পাঠানো হয়। কম-বেশি থাকতে পারে। কিন্তু ডিলারদের অবশ্যই পণ্য বিক্রির সময় স্কেল (মাপ যন্ত্র) রাখতে হবে। কোনো ক্রেতা যদি ওজন কম হওয়ার অভিযোগ করেন, তবে অবশ্যই ডিলার সেই পণ্য ফেরত নিয়ে সঠিক মাপে পণ্য দিতে বাধ্য।’

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

মেহেরপুরের গাংনীতে টিসিবির পণ্য বিক্রিতে ওজনে কম দেওয়ার অভিযোগ

আপলোড টাইম : ১০:২৬:৫৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৪ মার্চ ২০২২

প্রতিবেদক, গাংনী:

মেহেরপুরের গাংনীর উপজেলার কাজীপুর ইউনিয়নে টিসিবির পণ্য বিক্রিতে ওজনে কম দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। ইউনিয়নের নওদাপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে গতকাল বুধবার টিসিবির পণ্য বিক্রয়কালে ওজনে কম দেওয়ার অভিযোগ করে ক্রেতারা। তাঁর অভিযোগ করে বলেছেন, পণ্য কেনার পর ওজন দিলে ডাল ২ কেজি দেওয়ার কথা থাকলেও ৪ শ গ্রাম কম এবং চিনি ২ কেজি দেওয়ার কথা থাকলেও ৩ শ গ্রাম করে কম হয়। শুধুমাত্র সয়াবিন তেল বোতলজাত হওয়ায় সেটি পরিপূর্ণ মাপে পেয়েছেন তাঁরা।

টিসিবির পণ্য ক্রয় করতে আসা সাধারণ মানুষ এর প্রতিবাদ করলে টিসিবির পণ্য বিক্রেতা ডিলার হাজি ইছার উদ্দিনের ছেলে বিদ্যুৎ পণ্য বিক্রি কার্যক্রম বন্ধ করে দেন। এবং পণ্য ক্রয় করতে আসা সাধারণ মানুষের সাথে বিদ্যুৎ উচ্ছৃঙ্খল আচরণ করেন বলে অভিযোগ ওঠে। এতে ক্ষাভ প্রকাশ করেন ক্রেতারা। পরবর্তীতে গণমাধ্যমকর্মীরা পণ্য বিক্রির স্থানে উপস্থিত হলে পুনরায় সঠিক মাপে টিসিবির পণ্য বিক্রয় কার্যক্রম শুরু হয়।

নওদাপাড়া গ্রামের শরিফুল ইসলাম নামের এক ক্রেতা জানান, ‘আমি পণ্য ক্রয় করার পর ওজন করে ২ কেজিতে ২ শ-৩ শ গ্রাম করে কম পায়। আমি গিয়ে প্রতিবাদ করি, কারণ ন্যায্য টাকায় মাল কিনছি, ন্যায্য ওজন দেওয়া লাগবে।’ পণ্য ক্রয় করতে আসা সাহেবনগর গ্রামের আম্বিয়া খাতুন জানান, ‘সকালে এসেছি এখনো পণ্য পাইনি। ওজনে কম দেওয়ার জন্য ক্রয়-বিক্রয় অনেকক্ষণ বন্ধ ছিল।’ ওজনে কম পাওয়া আরেকজন ক্রেতা বেতবাড়ীয়া গ্রামের জাহিদ হোসেন জানান, ‘তেল বাদে অন্যান্য পণ্যগুলো কম দেওয়া হচ্ছিল, নওদাপাড়া গ্রামের একটা ছেলে প্রতিবাদ করলে ক্রয়-বিক্রয় বন্ধ ছিল।’

বিষয়টি নিয়ে গাংনী উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মৌসুমী খানম বলেন, ‘টিসিবির পণ্য সরকারিভাবি গোডাউন থেকে প্রস্তুত করে ডিলারদের কাছে পাঠানো হয়। কম-বেশি থাকতে পারে। কিন্তু ডিলারদের অবশ্যই পণ্য বিক্রির সময় স্কেল (মাপ যন্ত্র) রাখতে হবে। কোনো ক্রেতা যদি ওজন কম হওয়ার অভিযোগ করেন, তবে অবশ্যই ডিলার সেই পণ্য ফেরত নিয়ে সঠিক মাপে পণ্য দিতে বাধ্য।’