ইপেপার । আজ শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ঝিনাইদহে বেসরকারি শিক্ষকদের মানববন্ধন ও স্মারকলিপি পেশ

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ১০:২৪:১৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৪ মার্চ ২০২২
  • / ২০ বার পড়া হয়েছে

ঝিনাইদহ অফিস:

শিক্ষাব্যবস্থা জাতীয়করণসহ ১১ দফা দাবি আদায়ের লক্ষে ঝিনাইদহে মানববন্ধন, বিক্ষোভ মিছিল ও জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছে বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি ঝিনাইদহ জেলা শাখা। কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে গতকাল বুধবার বেলা ১১টায় শহরের মুজিব চত্বরে এ মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমিতির সহসভাপতি আব্দুল মমিনের সভাপতিত্বে সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সমিতির কেন্দ্রীয় কমিটির সহসভাপতি এবং জেলা কমিটির সভাপতি মহিউদ্দীন।

বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ কলেজ বিশ^বিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির ঝিনাইদহ জেলা শাখার আহ্বায়ক অধ্যক্ষ সুব্রত কুমার মল্লিক ও বাংলাদেশ শিক্ষক-কর্মচারী ঐক্যজোটের ঝিনাইদহ জেলা শাখার আহ্বায়ক এম এ কবীর। অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন আব্দুর রহিম, পরিতোষ কুমার বিশ^াস, মশিয়ার রহমান, হারুন-অর রশিদ, আশরাফুল ইসলাম মিঠু, মাসুদ করিম, রেজাউল করিম, খলিলুর রহমান, মনিন্দ্র নাথ বিশ^াস, আব্দুর রজ্জাক প্রমুখ।

বক্তারা বলেন, আজ আমাদের পরিবার-পরিজন নিয়ে সংসার চালানো দায় হয়ে দাঁড়িয়েছে। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির এই বাজারে খাদ্য, বস্ত্র, চিকিৎসার জন্য অন্যের দ্বারে হাত পাততে হচ্ছে, যা লজ্জার। তারা অবিলম্বে ১১ দফা দাবি বাস্তবায়নের জন্য প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন। বক্তাগণ বলেন, ‘দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাব। শিক্ষা ক্ষেত্রে বিরাজমান সরকারি ও  বেসরকারি বৈষম্য দূরীকরণের লক্ষ্যে শিক্ষাব্যবস্থা জাতীয়করণসহ ১১ দফা দাবির মধ্যে রয়েছে মুজিববর্ষেই শিক্ষাব্যবস্থা জাতীয়করণ করা, আসন্ন ঈদের পূর্বেই সরকারি শিক্ষক-কর্মচারীদের ন্যায় এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের পূর্ণাঙ্গ উৎসব ভাতা, বাড়ি ভাড়া ও চিকিৎসা ভাতা প্রদান, পূর্ণাঙ্গ পেনশন প্রথা চালুকরণ এবং পেনশন প্রথা চালু না হওয়া পর্যন্ত অবসর গ্রহণের ৬ মাসের মধ্যে অবসর সুবিধা ও কল্যাণ ট্রাস্টের পাওনা প্রদান ও শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন থেকে অতিরিক্ত ৪% কর্তন বন্ধ করা, স্বীকৃতিপ্রাপ্ত সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত করা, সরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ন্যায় বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক ও সহকারী প্রধান শিক্ষকের বেতন স্কেল যথাক্রমে ৬ষ্ঠ ও ৭ম  গ্রেডে প্রদান, এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের বদলি প্রথা চালু করা, বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারীদের চাকরির বয়স সীমা ৬৫ বছরে উন্নীত করা, পাবলিক সার্ভিস কমিশনের ন্যায় শিক্ষক নিয়োগ কমিশন গঠন এবং শিক্ষা প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরে আনুপাতিক হারে এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের পদায়ন, করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত নন-এমপিও শিক্ষক-কর্মচারীদের আর্থিক প্রণোদনা এবং শিক্ষার্থীদের বিনামূল্যে শিক্ষা সহায়ক ডিভাইস প্রদান, ম্যানেজিং কমিটি/গভর্নিং বডির সদস্যদের ন্যূনতম শিক্ষাগত যোগ্যতা নির্ধারণ এবং শিক্ষা ক্ষেত্রে বিরাজমান সরকারি ও বেসরকারি সকল বৈষম্য দূর করার লক্ষ্যে শিক্ষানীতি-২০১০ এর দ্রুত বাস্তবায়ন।

সমাবেশ শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে শিক্ষকরা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে যান। এসময় জেলা প্রশাসক মনিরা বেগম স্মারকলিপিটি গ্রহণ করে বলেন, ‘আপনাদের দাবির সাথে আমরাও একমত পোষণ করছি এবং আপনাদের দাবির বিষয়টি আমরা যথাস্থানে পৌঁছে দেব।’ এসময় শিক্ষকদের দাবির সাথে একাত্বতা প্রকাশ করে বক্তব্য দেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাইদুল করিম মিণ্টু। স্মারকলিপিটি গ্রহণ করার সময় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রসাশক সার্বিক সেলিম রেজা পিএএ।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

ঝিনাইদহে বেসরকারি শিক্ষকদের মানববন্ধন ও স্মারকলিপি পেশ

আপলোড টাইম : ১০:২৪:১৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৪ মার্চ ২০২২

ঝিনাইদহ অফিস:

শিক্ষাব্যবস্থা জাতীয়করণসহ ১১ দফা দাবি আদায়ের লক্ষে ঝিনাইদহে মানববন্ধন, বিক্ষোভ মিছিল ও জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছে বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি ঝিনাইদহ জেলা শাখা। কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে গতকাল বুধবার বেলা ১১টায় শহরের মুজিব চত্বরে এ মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমিতির সহসভাপতি আব্দুল মমিনের সভাপতিত্বে সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সমিতির কেন্দ্রীয় কমিটির সহসভাপতি এবং জেলা কমিটির সভাপতি মহিউদ্দীন।

বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ কলেজ বিশ^বিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির ঝিনাইদহ জেলা শাখার আহ্বায়ক অধ্যক্ষ সুব্রত কুমার মল্লিক ও বাংলাদেশ শিক্ষক-কর্মচারী ঐক্যজোটের ঝিনাইদহ জেলা শাখার আহ্বায়ক এম এ কবীর। অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন আব্দুর রহিম, পরিতোষ কুমার বিশ^াস, মশিয়ার রহমান, হারুন-অর রশিদ, আশরাফুল ইসলাম মিঠু, মাসুদ করিম, রেজাউল করিম, খলিলুর রহমান, মনিন্দ্র নাথ বিশ^াস, আব্দুর রজ্জাক প্রমুখ।

বক্তারা বলেন, আজ আমাদের পরিবার-পরিজন নিয়ে সংসার চালানো দায় হয়ে দাঁড়িয়েছে। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির এই বাজারে খাদ্য, বস্ত্র, চিকিৎসার জন্য অন্যের দ্বারে হাত পাততে হচ্ছে, যা লজ্জার। তারা অবিলম্বে ১১ দফা দাবি বাস্তবায়নের জন্য প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন। বক্তাগণ বলেন, ‘দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাব। শিক্ষা ক্ষেত্রে বিরাজমান সরকারি ও  বেসরকারি বৈষম্য দূরীকরণের লক্ষ্যে শিক্ষাব্যবস্থা জাতীয়করণসহ ১১ দফা দাবির মধ্যে রয়েছে মুজিববর্ষেই শিক্ষাব্যবস্থা জাতীয়করণ করা, আসন্ন ঈদের পূর্বেই সরকারি শিক্ষক-কর্মচারীদের ন্যায় এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের পূর্ণাঙ্গ উৎসব ভাতা, বাড়ি ভাড়া ও চিকিৎসা ভাতা প্রদান, পূর্ণাঙ্গ পেনশন প্রথা চালুকরণ এবং পেনশন প্রথা চালু না হওয়া পর্যন্ত অবসর গ্রহণের ৬ মাসের মধ্যে অবসর সুবিধা ও কল্যাণ ট্রাস্টের পাওনা প্রদান ও শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন থেকে অতিরিক্ত ৪% কর্তন বন্ধ করা, স্বীকৃতিপ্রাপ্ত সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত করা, সরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ন্যায় বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক ও সহকারী প্রধান শিক্ষকের বেতন স্কেল যথাক্রমে ৬ষ্ঠ ও ৭ম  গ্রেডে প্রদান, এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের বদলি প্রথা চালু করা, বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারীদের চাকরির বয়স সীমা ৬৫ বছরে উন্নীত করা, পাবলিক সার্ভিস কমিশনের ন্যায় শিক্ষক নিয়োগ কমিশন গঠন এবং শিক্ষা প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরে আনুপাতিক হারে এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের পদায়ন, করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত নন-এমপিও শিক্ষক-কর্মচারীদের আর্থিক প্রণোদনা এবং শিক্ষার্থীদের বিনামূল্যে শিক্ষা সহায়ক ডিভাইস প্রদান, ম্যানেজিং কমিটি/গভর্নিং বডির সদস্যদের ন্যূনতম শিক্ষাগত যোগ্যতা নির্ধারণ এবং শিক্ষা ক্ষেত্রে বিরাজমান সরকারি ও বেসরকারি সকল বৈষম্য দূর করার লক্ষ্যে শিক্ষানীতি-২০১০ এর দ্রুত বাস্তবায়ন।

সমাবেশ শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে শিক্ষকরা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে যান। এসময় জেলা প্রশাসক মনিরা বেগম স্মারকলিপিটি গ্রহণ করে বলেন, ‘আপনাদের দাবির সাথে আমরাও একমত পোষণ করছি এবং আপনাদের দাবির বিষয়টি আমরা যথাস্থানে পৌঁছে দেব।’ এসময় শিক্ষকদের দাবির সাথে একাত্বতা প্রকাশ করে বক্তব্য দেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাইদুল করিম মিণ্টু। স্মারকলিপিটি গ্রহণ করার সময় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রসাশক সার্বিক সেলিম রেজা পিএএ।