ইপেপার । আজ শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদে চুয়াডাঙ্গা ও ঝিনাইদহে বিএনপির স্মারকলিপি পেশ

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৯:২৭:১৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৩ মার্চ ২০২২
  • / ৩৩ বার পড়া হয়েছে

সমীকরণ প্রতিবেদন:

নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদে চুয়াডাঙ্গা, ঝিনাইদহসহ সারা দেশে জেলা প্রশাসক বরাবর স্মারকলিপি পেশ করেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি। কেন্দ্র ঘোষিত লাগাতার কর্মসূচির অংশ হিসেবে গতকাল মঙ্গলবার সারা দেশে এ কর্মসূচি পালন করেন দলটির নেতা-কর্মীরা।

চুয়াডাঙ্গা:

নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদে লাগাতার কর্মসূচির অংশ হিসেবে জেলা প্রশাসক বরাবর স্মরকলিপি দিয়েছে চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপি। গতকাল মঙ্গলবার বেলা ১১টায় চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে বিএনপির নেতা-কর্মীরা এ স্মারকলিপিটি প্রদান করেন। এসময় স্মারকলিপিটি গ্রহণ করেন চুয়াডাঙ্গার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) সাজিয়া আফরিন।

চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির আহ্বায়ক মাহমুদ হাসান খান বাবু ও সদস্যসচিব মো. শরীফুজ্জামান শরীফ স্বাক্ষরিত এ স্মারকলিপিতে বলা হয়, বর্তমান বাজারে চাল, ডাল, ভোজ্য তেল, পেঁয়াজ, মরিচ গুঁড়ো দুধ, শাক-সবজিসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দামে অসহায় ক্রেতা। মোটা চাল এখন ৫৫ থেকে ৬০ টাকা, চিকন চাল ৭০ থেকে ৮০ টাকা, আটা ৪৫ থেকে ৫০ টাকা, ভোজ্য তেল ১৭০ থেকে ১৮০ টাকা, মসুর ডাল ১১০ থেকে ১৩০ টাকা, গুঁড়ো দুধ ৫৯০ থেকে ৬৫০ টাকা, কাঁচা মরিচ ১০০ টাকার নীচে নামে না। সবজিসহ প্রত্যেকটি জিনিস এই ভরা মৌসুমে বহুগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে।

স্মারকলিপিতে আরও বলা হয়, জ্যামিতিক হারে এই দাম বৃদ্ধি সরকারের গণবিরোধী নীতির বর্ধিত প্রকাশ। হরিলুট, টাকা পাচারসহ সীমাহীন দুর্নীতির মাধ্যমে জাতীয় অর্থনীতির ভয়াবহ ক্ষতি করে দফায় দফায় বিদ্যুৎ, জ্বালানি তেল, গ্যাস ও পানির দাম বৃদ্ধি করেছে আওয়ামী সরকার। এই বৃদ্ধির ‘চেইন রিঅ্যাকশন’ হিসেবেই নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম হু হু করে বাড়ছে। গত ১০ বছরে বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধি হয়েছে ৯০ শতাংশ, গ্যাসের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে ১৪৪ শতাংশ, ডিজেলের দাম বেড়েছে ৮২ শতাংশ এবং পানির দাম বেড়েছে ২৬৪ শতাংশ। এই দাম বৃদ্ধি নজিরবিহীন ও অস্বাভাবিক। জনগণের নির্বাচিত সরকার থাকলে এই ধরণের সীমাহীন দাম বৃদ্ধি পেত না। জবাবদিহিতা নেই বলেই দাম বৃদ্ধির পেছনে অনৈতিক সিন্ডিকেট কাজ করছে। ক্ষুধা ও অনাহারে ক্লিষ্ট জনগণের জীবনকে ঝুঁকির মধ্যে নিপতিত করেছে ক্ষমতাসীন গোষ্ঠী, সরকারের কোনো দায় নেই। সারা দেশে দুর্ভিক্ষের ছায়া প্রতিদিনই বিস্তৃত হচ্ছে।

স্মারকলিপিতে আরও বলা হয়, গাড়িভাড়া, বাড়িভাড়াসহ জীবনযাত্রার ব্যয় বাড়ছে লাগামহীনভাবে। এমনিতেই কর্মসংস্থান নেই, তার ওপর নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্যবৃদ্ধিতে নাভিশ্বাস সাধরণ মানুষের। মধ্যম ও নিম্ন আয়ের মানুষকে পথে বসিয়ে দিচ্ছে। অভাবের তাড়নায় মা সন্তান বিক্রি করছে, কেউ কেউ আত্মহত্যা করছে। চৈত্রের তীব্র রোদের মধ্যে দীর্ঘ সময় লাইনে দাঁড়িয়ে টিসিবি থেকে তুলনামূলক কম মূল্যে নিত্যপণ্য কেনার জন্য ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড়ে বোঝা যায় বর্তমান পরিস্থিতি কত ভয়াবহ। চাহিদার তুলনায় পণ্য কম থাকায় দুই-তিন ঘণ্টার মধ্যে শেষ হয়ে যায় বিক্রি এবং তার পরে পণ্য কিনতে আসা ক্রেতারা খালি হাতেই ফিরে যান। এমতাবস্থায় ক্ষুধা, অনাহার, অর্ধাহারে বিপণ্ন দেশের মানুষকে এই শ্বাসরুদ্ধকর পরিস্থিতি থেকে উত্তরণে অতিদ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বিএনপি আহবান জানাচ্ছে।

স্মারকলিপি প্রদানকালে উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য খন্দকার আব্দুল জব্বার সোনা, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ও জেলা মহিলা দল সভানেত্রী রউফুন নাহার রিনা, জেলা বিএনপির সদস্য এম জেনারেল ইসলাম, আব্দুল জব্বার বাবলু, সিরাজুল ইসলাম মনি, আবু বরক সিদ্দিক আবু, নজরুল ইসলাম নজু, মোকারম হোসেন, রাফাতুল্লা মহলদার, আমিনুল হক রোকন, মনিরুজ্জামান লিপ্টন, জেলা বিএনপি নেতা আবুল কালাম আজাদ, জেলা মৎস্যজীবী দলের আহ্বায়ক আবু বকর সিদ্দিক বকুল, জেলা জাসাসের সাধারণ সম্পাদক সেলিমুল হাবিব সেলিম, ইয়াছিন হাসান কাকন, জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক সাইফুর রশিদ ঝণ্টু, সহসভাপতি সুজন মালিক, সাংগঠনিক সম্পাদক জাহেদ মোহাম্মদ রাজিব খান, যুগ্ম সম্পদক জাহিদুল ইসলাম, সদর উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক এম এইচ মোস্তফা, পৌর যুবদলের যুব আহ্বায়ক অপু মালিক, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সহসভাপতি এসারুল হক স্বরাজ, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি মো. শাহাজাহান খান, যুগ্ম সম্পাদক জুয়েল মাহমুদ, সহসভাপতি মতিয়া রহমান মিশর, যুগ্ম সম্পাদক আমানুল্লাহ আমান প্রমুখ।

ঝিনাইদহ:

তেল, গ্যাসসহ নিত্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে ঝিনাইদহে জেলা প্রশাসক বরাবর স্মারকলিপি পেশ করেছে বিএনপি। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে দলটির বিপুল সংখ্যক নেতা-কর্মী অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট সালমা সেলিমের হাতে স্মারকলিপিটি প্রদান করেন।

এসময় উপস্থিত ছিলেন ঝিনাইদহ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাড এস এম মশিয়ুর রহমান, সদস্যসচিব অ্যাড. এম এ মজিদ, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুল মালেক, যুগ্ম আহ্বায়ক জাহিদুজ্জামান মনা, সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি অ্যাড. কামাল আজাদ পান্নু, পৌর বিএনপির সভাপতি আব্দুল মজিদ বিশ্বাস, সদর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আলমগীর হোসেন আলম, জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. জাকারিয়া মিলন, বর্তমান সভাপতি অ্যাড. রবিউল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. শামসুজ্জামান লাকীসহ বিএনপির নেতা-কর্মীরা।

স্মারকলিপি প্রদান শেষে বিএনপি নেতারা বলেন, নিত্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি রোধে সরকার ব্যবস্থা নিলেও বাজারে তার কোনো প্রভাব পড়েনি। যে যার মতো দাম বাড়িয়ে পণ্য কেনাবেচা করছে। কোনো কিছুই সরকারের নিয়ন্ত্রণে নেই। আজ দেশের অবস্থা খুবই ভয়াবহ। মানুষের হাতে টাকা নেই। দেনায় জর্জরিত গ্রাম-শহরের মানুষ। বিএনপি নেতারা বলেন, দাম বৃদ্ধির এই নজীরবিহীন ও অস্বাভাবিক প্রতিযোগিতা চলতে থাকলে দেশে দুর্ভিক্ষ নেমে আসবে।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদে চুয়াডাঙ্গা ও ঝিনাইদহে বিএনপির স্মারকলিপি পেশ

আপলোড টাইম : ০৯:২৭:১৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৩ মার্চ ২০২২

সমীকরণ প্রতিবেদন:

নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদে চুয়াডাঙ্গা, ঝিনাইদহসহ সারা দেশে জেলা প্রশাসক বরাবর স্মারকলিপি পেশ করেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি। কেন্দ্র ঘোষিত লাগাতার কর্মসূচির অংশ হিসেবে গতকাল মঙ্গলবার সারা দেশে এ কর্মসূচি পালন করেন দলটির নেতা-কর্মীরা।

চুয়াডাঙ্গা:

নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদে লাগাতার কর্মসূচির অংশ হিসেবে জেলা প্রশাসক বরাবর স্মরকলিপি দিয়েছে চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপি। গতকাল মঙ্গলবার বেলা ১১টায় চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে বিএনপির নেতা-কর্মীরা এ স্মারকলিপিটি প্রদান করেন। এসময় স্মারকলিপিটি গ্রহণ করেন চুয়াডাঙ্গার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) সাজিয়া আফরিন।

চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির আহ্বায়ক মাহমুদ হাসান খান বাবু ও সদস্যসচিব মো. শরীফুজ্জামান শরীফ স্বাক্ষরিত এ স্মারকলিপিতে বলা হয়, বর্তমান বাজারে চাল, ডাল, ভোজ্য তেল, পেঁয়াজ, মরিচ গুঁড়ো দুধ, শাক-সবজিসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দামে অসহায় ক্রেতা। মোটা চাল এখন ৫৫ থেকে ৬০ টাকা, চিকন চাল ৭০ থেকে ৮০ টাকা, আটা ৪৫ থেকে ৫০ টাকা, ভোজ্য তেল ১৭০ থেকে ১৮০ টাকা, মসুর ডাল ১১০ থেকে ১৩০ টাকা, গুঁড়ো দুধ ৫৯০ থেকে ৬৫০ টাকা, কাঁচা মরিচ ১০০ টাকার নীচে নামে না। সবজিসহ প্রত্যেকটি জিনিস এই ভরা মৌসুমে বহুগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে।

স্মারকলিপিতে আরও বলা হয়, জ্যামিতিক হারে এই দাম বৃদ্ধি সরকারের গণবিরোধী নীতির বর্ধিত প্রকাশ। হরিলুট, টাকা পাচারসহ সীমাহীন দুর্নীতির মাধ্যমে জাতীয় অর্থনীতির ভয়াবহ ক্ষতি করে দফায় দফায় বিদ্যুৎ, জ্বালানি তেল, গ্যাস ও পানির দাম বৃদ্ধি করেছে আওয়ামী সরকার। এই বৃদ্ধির ‘চেইন রিঅ্যাকশন’ হিসেবেই নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম হু হু করে বাড়ছে। গত ১০ বছরে বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধি হয়েছে ৯০ শতাংশ, গ্যাসের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে ১৪৪ শতাংশ, ডিজেলের দাম বেড়েছে ৮২ শতাংশ এবং পানির দাম বেড়েছে ২৬৪ শতাংশ। এই দাম বৃদ্ধি নজিরবিহীন ও অস্বাভাবিক। জনগণের নির্বাচিত সরকার থাকলে এই ধরণের সীমাহীন দাম বৃদ্ধি পেত না। জবাবদিহিতা নেই বলেই দাম বৃদ্ধির পেছনে অনৈতিক সিন্ডিকেট কাজ করছে। ক্ষুধা ও অনাহারে ক্লিষ্ট জনগণের জীবনকে ঝুঁকির মধ্যে নিপতিত করেছে ক্ষমতাসীন গোষ্ঠী, সরকারের কোনো দায় নেই। সারা দেশে দুর্ভিক্ষের ছায়া প্রতিদিনই বিস্তৃত হচ্ছে।

স্মারকলিপিতে আরও বলা হয়, গাড়িভাড়া, বাড়িভাড়াসহ জীবনযাত্রার ব্যয় বাড়ছে লাগামহীনভাবে। এমনিতেই কর্মসংস্থান নেই, তার ওপর নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্যবৃদ্ধিতে নাভিশ্বাস সাধরণ মানুষের। মধ্যম ও নিম্ন আয়ের মানুষকে পথে বসিয়ে দিচ্ছে। অভাবের তাড়নায় মা সন্তান বিক্রি করছে, কেউ কেউ আত্মহত্যা করছে। চৈত্রের তীব্র রোদের মধ্যে দীর্ঘ সময় লাইনে দাঁড়িয়ে টিসিবি থেকে তুলনামূলক কম মূল্যে নিত্যপণ্য কেনার জন্য ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড়ে বোঝা যায় বর্তমান পরিস্থিতি কত ভয়াবহ। চাহিদার তুলনায় পণ্য কম থাকায় দুই-তিন ঘণ্টার মধ্যে শেষ হয়ে যায় বিক্রি এবং তার পরে পণ্য কিনতে আসা ক্রেতারা খালি হাতেই ফিরে যান। এমতাবস্থায় ক্ষুধা, অনাহার, অর্ধাহারে বিপণ্ন দেশের মানুষকে এই শ্বাসরুদ্ধকর পরিস্থিতি থেকে উত্তরণে অতিদ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বিএনপি আহবান জানাচ্ছে।

স্মারকলিপি প্রদানকালে উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য খন্দকার আব্দুল জব্বার সোনা, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ও জেলা মহিলা দল সভানেত্রী রউফুন নাহার রিনা, জেলা বিএনপির সদস্য এম জেনারেল ইসলাম, আব্দুল জব্বার বাবলু, সিরাজুল ইসলাম মনি, আবু বরক সিদ্দিক আবু, নজরুল ইসলাম নজু, মোকারম হোসেন, রাফাতুল্লা মহলদার, আমিনুল হক রোকন, মনিরুজ্জামান লিপ্টন, জেলা বিএনপি নেতা আবুল কালাম আজাদ, জেলা মৎস্যজীবী দলের আহ্বায়ক আবু বকর সিদ্দিক বকুল, জেলা জাসাসের সাধারণ সম্পাদক সেলিমুল হাবিব সেলিম, ইয়াছিন হাসান কাকন, জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক সাইফুর রশিদ ঝণ্টু, সহসভাপতি সুজন মালিক, সাংগঠনিক সম্পাদক জাহেদ মোহাম্মদ রাজিব খান, যুগ্ম সম্পদক জাহিদুল ইসলাম, সদর উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক এম এইচ মোস্তফা, পৌর যুবদলের যুব আহ্বায়ক অপু মালিক, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সহসভাপতি এসারুল হক স্বরাজ, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি মো. শাহাজাহান খান, যুগ্ম সম্পাদক জুয়েল মাহমুদ, সহসভাপতি মতিয়া রহমান মিশর, যুগ্ম সম্পাদক আমানুল্লাহ আমান প্রমুখ।

ঝিনাইদহ:

তেল, গ্যাসসহ নিত্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে ঝিনাইদহে জেলা প্রশাসক বরাবর স্মারকলিপি পেশ করেছে বিএনপি। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে দলটির বিপুল সংখ্যক নেতা-কর্মী অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট সালমা সেলিমের হাতে স্মারকলিপিটি প্রদান করেন।

এসময় উপস্থিত ছিলেন ঝিনাইদহ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাড এস এম মশিয়ুর রহমান, সদস্যসচিব অ্যাড. এম এ মজিদ, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুল মালেক, যুগ্ম আহ্বায়ক জাহিদুজ্জামান মনা, সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি অ্যাড. কামাল আজাদ পান্নু, পৌর বিএনপির সভাপতি আব্দুল মজিদ বিশ্বাস, সদর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আলমগীর হোসেন আলম, জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. জাকারিয়া মিলন, বর্তমান সভাপতি অ্যাড. রবিউল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. শামসুজ্জামান লাকীসহ বিএনপির নেতা-কর্মীরা।

স্মারকলিপি প্রদান শেষে বিএনপি নেতারা বলেন, নিত্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি রোধে সরকার ব্যবস্থা নিলেও বাজারে তার কোনো প্রভাব পড়েনি। যে যার মতো দাম বাড়িয়ে পণ্য কেনাবেচা করছে। কোনো কিছুই সরকারের নিয়ন্ত্রণে নেই। আজ দেশের অবস্থা খুবই ভয়াবহ। মানুষের হাতে টাকা নেই। দেনায় জর্জরিত গ্রাম-শহরের মানুষ। বিএনপি নেতারা বলেন, দাম বৃদ্ধির এই নজীরবিহীন ও অস্বাভাবিক প্রতিযোগিতা চলতে থাকলে দেশে দুর্ভিক্ষ নেমে আসবে।