ইপেপার । আজ বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

গাংনীতে প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর দেওয়ার নামে প্রতারণার অভিযোগ

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৭:৫৭:০৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২১ মার্চ ২০২২
  • / ৩০ বার পড়া হয়েছে

প্রতিবেদক, গাংনী:

আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের আওতায় মেহেরপুরের গাংনীতে প্রধানমন্ত্রীর ঘর উপহার দেওয়ার নাম করে এক নারীর কাছ থেকে ৩০ হাজার টাকা নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে উপজেলার ধানখোলা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ও হাড়িয়াদহ গ্রামের মৃত ফয়েজ উদ্দিনের ছেলে সিরাজুল ইসলামের (৫০) বিরুদ্ধে। অভিযোগকারী মিনারা খাতুন (৪৫) উপজেলার ধানখোলা ইউনিয়নের আড়পাড়া গ্রামের বাজার পাড়ার ঠান্ডুর স্ত্রী।

মিনারা খাতুন অভিযোগ করে জানান, ‘আমাকে সরকারি ঘর দেবে বলে ধানখোলা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক সিরাজুল ইসলাম ৩০ হাজার টাকা নিয়েছে। আমি গরীব মানুষ, টাকা না থাকায় ‘ব্যুরো বাংলাদেশ’ নামের একটি এনজিও থেকে ৪০ হাজার টাকা ঋণ তুলে সিরাজুল মাস্টারের হাতে ৩০ হাজার টাকা দিয়েছি। সিরাজুল, মনির ও তহসিলদার (ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা) মিলে এই টাকা নিয়ে ঘর দেবে বলে জানিয়েছে। অথচ কয়েক মাস পেরিয়ে গেলেও বাড়ির আশেপাশে বেশ কয়েকজনের ঘর তৈরি হচ্ছে অথচ আমার ঘর তৈরি হচ্ছে না।’

এ বিষয়ে ধানখোলা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক সিরাজুল ইসলাম জানান, ‘ঘর তৈরির জন্য আমি মনিরকে ২৫ হাজার টাকা দিয়েছি, বাকি টাকা আমার কাছে রেখেছি।’ কিন্তু পরবর্তীতে তিনি জানান, সম্পূর্ণ টাকা তাঁর কাছে আছে। তিনি বলেন, ‘মিনারা খাতুন আমার আত্মীয় হয়। টাকাটি উত্তোলন করে আমি তা আমার কাছে রেখেছি, তাকে ফেরত দিয়ে দেব।’ ভূমিহীনদের আপনি কি ঘর দিতে পারেন, এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি জানান, ‘ঘর দেওয়ার ক্ষমতা আমার নেই।’ তাহলে টাকা কেন নিলেন এমন প্রশ্নের কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি তিনি।

এবিষয়ে ধানখোলা ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তার সরকারি মোবাইল নম্বরে বারবার ফোন দিয়ে চেষ্টা করেও তাঁকে পাওয় যায়নি। ধানখোলা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রোকনুজ্জামান ওরফে মোকসেদ বলেন, ‘আমার এক বন্ধু সাংবাদিকের কাছ থেকে বিষয়টি শুনেছি। তাকে বলেছি আগামীকাল দেখা হবে।’ গাংনী উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মৌসুমী খানম জানান, ভুক্তভোগী যদি লিখিত অভিযোগ দেন, তাহলে ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে আইনগত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

 

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

গাংনীতে প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর দেওয়ার নামে প্রতারণার অভিযোগ

আপলোড টাইম : ০৭:৫৭:০৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২১ মার্চ ২০২২

প্রতিবেদক, গাংনী:

আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের আওতায় মেহেরপুরের গাংনীতে প্রধানমন্ত্রীর ঘর উপহার দেওয়ার নাম করে এক নারীর কাছ থেকে ৩০ হাজার টাকা নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে উপজেলার ধানখোলা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ও হাড়িয়াদহ গ্রামের মৃত ফয়েজ উদ্দিনের ছেলে সিরাজুল ইসলামের (৫০) বিরুদ্ধে। অভিযোগকারী মিনারা খাতুন (৪৫) উপজেলার ধানখোলা ইউনিয়নের আড়পাড়া গ্রামের বাজার পাড়ার ঠান্ডুর স্ত্রী।

মিনারা খাতুন অভিযোগ করে জানান, ‘আমাকে সরকারি ঘর দেবে বলে ধানখোলা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক সিরাজুল ইসলাম ৩০ হাজার টাকা নিয়েছে। আমি গরীব মানুষ, টাকা না থাকায় ‘ব্যুরো বাংলাদেশ’ নামের একটি এনজিও থেকে ৪০ হাজার টাকা ঋণ তুলে সিরাজুল মাস্টারের হাতে ৩০ হাজার টাকা দিয়েছি। সিরাজুল, মনির ও তহসিলদার (ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা) মিলে এই টাকা নিয়ে ঘর দেবে বলে জানিয়েছে। অথচ কয়েক মাস পেরিয়ে গেলেও বাড়ির আশেপাশে বেশ কয়েকজনের ঘর তৈরি হচ্ছে অথচ আমার ঘর তৈরি হচ্ছে না।’

এ বিষয়ে ধানখোলা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক সিরাজুল ইসলাম জানান, ‘ঘর তৈরির জন্য আমি মনিরকে ২৫ হাজার টাকা দিয়েছি, বাকি টাকা আমার কাছে রেখেছি।’ কিন্তু পরবর্তীতে তিনি জানান, সম্পূর্ণ টাকা তাঁর কাছে আছে। তিনি বলেন, ‘মিনারা খাতুন আমার আত্মীয় হয়। টাকাটি উত্তোলন করে আমি তা আমার কাছে রেখেছি, তাকে ফেরত দিয়ে দেব।’ ভূমিহীনদের আপনি কি ঘর দিতে পারেন, এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি জানান, ‘ঘর দেওয়ার ক্ষমতা আমার নেই।’ তাহলে টাকা কেন নিলেন এমন প্রশ্নের কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি তিনি।

এবিষয়ে ধানখোলা ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তার সরকারি মোবাইল নম্বরে বারবার ফোন দিয়ে চেষ্টা করেও তাঁকে পাওয় যায়নি। ধানখোলা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রোকনুজ্জামান ওরফে মোকসেদ বলেন, ‘আমার এক বন্ধু সাংবাদিকের কাছ থেকে বিষয়টি শুনেছি। তাকে বলেছি আগামীকাল দেখা হবে।’ গাংনী উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মৌসুমী খানম জানান, ভুক্তভোগী যদি লিখিত অভিযোগ দেন, তাহলে ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে আইনগত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।