ইপেপার । আজ বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

দত্তনগর কৃষি খামারে বাইরের বীজ কিনে প্রতারিত হচ্ছেন কৃষকরা

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৭:৫১:০৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৬ মার্চ ২০২২
  • / ৫১ বার পড়া হয়েছে

ঝিনাইদহ অফিস:

ঝিনাইদহের মহেশপুরে অবস্থিত এশিয়ার বৃহত্তম দত্তনগর কৃষি খামার সরকারি নির্দেশনার বাইরে ফসলের জাত নির্ধারণ ও কৃষকের চাহিদানুযায়ী বীজ উৎপাদন করতে পারে না। ফলে ঝিনাইদহের কৃষকরা ফসলের বীজের জন্য ডিলার ও আমদানীকারকদের ওপর নির্ভশীল হয়ে পড়েছে। সুযোগ বুঝে বীজ বিক্রেতারা ভোজাল ও মানহীন বীজ সরবরাহ করে কৃষকদের প্রতারিত করে আসছে। জেলার কৃষক ও বীজ উৎপাদনকারী খামার কর্মকর্তা ও কৃষি বিভাগের সাথে কথা বলে এ বিষয়ে নানাবিধ তথ্য বেরিয়ে এসেছে।

জানা যায়, কৃষি প্রধান বাংলাদেশের অন্যতম জেলা ঝিনাইদহ। দেশের অন্যান্য জেলার মতো এ জেলার কৃষকরা এক সময় শস্য উৎপাদনের জন্য নিজেরাই পরবর্তী বছরের বীজ উৎপাদন ও সংরক্ষণ করতো। কিন্তু কালের বিবর্তনে জমির পরিমাণ বাড়েনি, বেড়েছে জনসংখ্যা। ফলে বর্ধিত জনসংখ্যার খাদ্যের চাহিদা মেটাতে সরকারের কৃষি বিভাগ গবেষণার মাধ্যমে হাইব্রিড জাতের শস্য বীজ তৈরি করে। যেখানে কৃষকের তৈরি সাধারণ বীজে বিঘা প্রতি ৮-১০ মণ ধান উৎপাদন হতো, সেখানে হাইব্রিড বীজে ২৫-৩০ মণ উৎপাদন হচ্ছে। একইভাবে গম, ভুট্টা, পাট, আলু ও রবি শস্য উৎপাদন হাইব্রিড বীজের কারণে বৃদ্ধি পেয়েছে। যে কারণে কৃষকরা তাঁদের চাহিদা মেটাতে আদি জাতের ফসলের বীজ তৈরি বা সংরক্ষণ থেকে বেরিয়ে এসে হাইব্রিড ফসলের উৎপাদন শুরু করেছে। কৃষকরা নিজে হাইব্রিড ফসলের বীজ উৎপাদন বা সংরক্ষণ করতে পারে না বিধায় তাঁদের ফসলের বীজের জন্য সরকারি ও বেসরকারি বীজ উৎপাদনকারী খামার ও আমদানীকারকদের বীজের ওপর এখন নির্ভরশীল থাকতে হচ্ছে। ফলে অনেক কৃষক বীজ কিনতে গিয়ে বিএডিসির ডিলার, বেসরকারি খামার ও আমদানী করা বীজ কিনে প্রতারণার শিকার হচ্ছেন বলে অভিযোগ আছে।

এ বিষয়ে দত্তনগর কৃষি খামারের দায়িত্বে থাকা যুগ্ম পরিচালক (খামার) কৃষিবিদ এ কে এম কামারুজ্জামান বলেন, ‘আমরা ইচ্ছামতো বীজ উৎপাদন বা বীজের জাত নির্ধারণ করতে পারি না। সরকার আমাদের সুনির্দিষ্ট জাত উল্লেখ করে তার পরিমাণ নির্ধারণ করে দেয়। যেটি কৃষকদের চাহিদার গড় হার ৪০ শতাংশ হবে।’ তিনি আরও জানান, বীজের উপযোগী পাঁচটি খামারে ফসল উৎপাদন করে বীজ প্রসেসিং সেন্টারে পাঠানো হয়। সেখানে মান পরীক্ষার পরের বছর ডিলারদের মাধ্যমে কৃষকদের নিকট পৌঁছে দেয়। এছাড়া সরকারি বীজ প্রণোদনা হিসেবেও গরীব ও ক্ষুদ্র কৃষকদের মাঝে বিতরণ করা হয়ে থাকে। তিনি জোর দিয়ে বলেন, সরকারি খামারের বীজ কখনো নিম্নমানের বা ভেজাল জাতের হয় না। তবে তাঁদের বীজ উৎপাদনের ক্ষেত্রে সীমাবদ্ধতা থাকায় কৃষকের শতভাগ চাহিদা তাঁরা মেটাতে পারছেন না।

এদিকে, বেনাপোলের বীজ আমদানীকারক সাজেদুর রহমান দাবি করেন, তাঁদের আমদানি করা কোনো বীজ নিম্নমানের নয়। তিনি পাল্টা অভিযোগ করে বলেন, সরকারি খামারের বীজে ভেজাল থাকে। এ বিষয়ে বেনাপোল বন্দরে দায়িত্বরত আমদানীকৃত বীজের মান যাচাইকারী সরকারি প্রতিষ্ঠান কোয়ারান্টাইনের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ সুব্রত চক্রবর্তী জানান, তাঁরা ভারত থেকে আমদানীকৃত ধান, পাট, ভুট্টা ও সবজি বীজের নমুনা গ্রহণ করে উপযোগী কি না সেটা যাচাই করতে ৭২ ঘণ্টা সময় নিয়ে পরীক্ষা করে থাকেন। এছাড়া বীজের মান ও ফাঙ্গাস আছে কি না সেটাও পরীক্ষা করে তবে ছাড়পত্র দেন। যে কারণে তাঁর দাবি, আমদানীকৃত বীজের মান যাচাই করেই দেশে প্রবেশ করার ছাড়পত্র দেওয়া হয়। যদি বীজ নিয়ে কোনো প্রশ্ন বা কোনো অনিয়ম হয়ে থাকে, তবে তা দেশের মধ্যে অসাধু ব্যবসায়ীরা করে থাকতে পারেন।

এদিকে, ঝিনাইদহ জেলার বিভিন্ন বীজ ব্যবসায়ীদের বীজ কিনে কৃষকরা প্রতারিত হচ্ছেন এমন অহরহ অভিযোগ পাওয়া যায়। শহরের অগ্নিবীণা সড়কের শহিদ বীজ ভান্ডার থেকে গত মৌসুমে আবাদের জন্য হরিণাকুণ্ডু উপজেলার চাঁদপুর ইউনিয়নের হাকিমপুর গ্রামের কৃষক জনাব আলী, লিমন হোসেন আজিজার মণ্ডল, আতিয়ার রহমান, নুজির আলী খাঁ, সজল হোসেন ও আকাশ মিয়া স্বর্ণা ধানের বীজ কিনে প্রতারিত হন বলে কথিত আছে। কিন্তু শহীদ বীজ ভান্ডারের মালিক সেই অভিযোগ খণ্ডন করে বলেন, তাঁর ব্যবসায় সুনাম ক্ষুণ্ন করতে এমন অভিযোগ করে একটি মহল। ফলে জরিমানা হিসেবে ৭ জন কৃষকের ২৫ বিঘা জমির জন্য ২ লাখ ২৯ হাজার ৫ শ টাকা ক্ষতিপূরণ আদায় করে ভোক্তা অধিকার।

ঝিনাইদহ সদর উপজেলার ভুটিয়ারগাতী গ্রামের কওছার আলী শহরের অগ্নিবীণা সড়কেরে একটি বীজের দোকান থেকে বিআর-৬৩ জাতের ৪০ কেজি হাইব্রিড বীজ কিনে প্রতারিত হন। ওই বীজে চারা গজায়নি। একই গ্রামের কৃষক দুলাল জোয়ার্দ্দার অভিযোগ করেন, তিনি বিএডিসির ধানের বীজ কিনে জমিতে রোপণ করার পর একই বস্তার বীজ থেকে অন্তত চার জাতের ধানের চারা গজিয়েছে।

ঝিনাইদহ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. আজগার আলী বলেন, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের আধুনিক প্রযুক্তি ব্যহারের মাধ্যমে চাষি পর্যায়ে ধান, গম, পাট বীজ এবং ডাল, তৈল, মসলা উৎপাদন ও সংরক্ষণ প্রকল্পের মাধ্যমে উন্নত ানের বীজ উৎপাদন করছে। যেগুলো কৃষকদের মাঝে সরবরাহ করে নিয়মিত মনিটারিং করা হয়ে থাকে।

ঝিনাইদহ জেলা বীজ প্রত্যায়ন কর্মকর্তা মো. ইসমাইল হোসেন বলেন, তিনি শুধু সরকারি ও সরকার অনুমোদিত বীজ উৎপাদনকারী খামারের বীজ ল্যাবরেটরিতে পরীক্ষা করে সঠিক মান নিশ্চিত হলে তাঁর প্রত্যায়ন করে ট্যাগ দিয়ে থাকেন। যদি কোনো অসাধু ব্যবসায়ী গোপনে নিম্নমানের বীজ বিক্রি করেন বা অভিযোগ আসে, সেক্ষেত্রে জেলা ভোক্তা অধিকার দপ্তর বা বীজ ল্যাবে পরীক্ষা করে ব্যবস্থা নিয়ে থাকেন।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

দত্তনগর কৃষি খামারে বাইরের বীজ কিনে প্রতারিত হচ্ছেন কৃষকরা

আপলোড টাইম : ০৭:৫১:০৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৬ মার্চ ২০২২

ঝিনাইদহ অফিস:

ঝিনাইদহের মহেশপুরে অবস্থিত এশিয়ার বৃহত্তম দত্তনগর কৃষি খামার সরকারি নির্দেশনার বাইরে ফসলের জাত নির্ধারণ ও কৃষকের চাহিদানুযায়ী বীজ উৎপাদন করতে পারে না। ফলে ঝিনাইদহের কৃষকরা ফসলের বীজের জন্য ডিলার ও আমদানীকারকদের ওপর নির্ভশীল হয়ে পড়েছে। সুযোগ বুঝে বীজ বিক্রেতারা ভোজাল ও মানহীন বীজ সরবরাহ করে কৃষকদের প্রতারিত করে আসছে। জেলার কৃষক ও বীজ উৎপাদনকারী খামার কর্মকর্তা ও কৃষি বিভাগের সাথে কথা বলে এ বিষয়ে নানাবিধ তথ্য বেরিয়ে এসেছে।

জানা যায়, কৃষি প্রধান বাংলাদেশের অন্যতম জেলা ঝিনাইদহ। দেশের অন্যান্য জেলার মতো এ জেলার কৃষকরা এক সময় শস্য উৎপাদনের জন্য নিজেরাই পরবর্তী বছরের বীজ উৎপাদন ও সংরক্ষণ করতো। কিন্তু কালের বিবর্তনে জমির পরিমাণ বাড়েনি, বেড়েছে জনসংখ্যা। ফলে বর্ধিত জনসংখ্যার খাদ্যের চাহিদা মেটাতে সরকারের কৃষি বিভাগ গবেষণার মাধ্যমে হাইব্রিড জাতের শস্য বীজ তৈরি করে। যেখানে কৃষকের তৈরি সাধারণ বীজে বিঘা প্রতি ৮-১০ মণ ধান উৎপাদন হতো, সেখানে হাইব্রিড বীজে ২৫-৩০ মণ উৎপাদন হচ্ছে। একইভাবে গম, ভুট্টা, পাট, আলু ও রবি শস্য উৎপাদন হাইব্রিড বীজের কারণে বৃদ্ধি পেয়েছে। যে কারণে কৃষকরা তাঁদের চাহিদা মেটাতে আদি জাতের ফসলের বীজ তৈরি বা সংরক্ষণ থেকে বেরিয়ে এসে হাইব্রিড ফসলের উৎপাদন শুরু করেছে। কৃষকরা নিজে হাইব্রিড ফসলের বীজ উৎপাদন বা সংরক্ষণ করতে পারে না বিধায় তাঁদের ফসলের বীজের জন্য সরকারি ও বেসরকারি বীজ উৎপাদনকারী খামার ও আমদানীকারকদের বীজের ওপর এখন নির্ভরশীল থাকতে হচ্ছে। ফলে অনেক কৃষক বীজ কিনতে গিয়ে বিএডিসির ডিলার, বেসরকারি খামার ও আমদানী করা বীজ কিনে প্রতারণার শিকার হচ্ছেন বলে অভিযোগ আছে।

এ বিষয়ে দত্তনগর কৃষি খামারের দায়িত্বে থাকা যুগ্ম পরিচালক (খামার) কৃষিবিদ এ কে এম কামারুজ্জামান বলেন, ‘আমরা ইচ্ছামতো বীজ উৎপাদন বা বীজের জাত নির্ধারণ করতে পারি না। সরকার আমাদের সুনির্দিষ্ট জাত উল্লেখ করে তার পরিমাণ নির্ধারণ করে দেয়। যেটি কৃষকদের চাহিদার গড় হার ৪০ শতাংশ হবে।’ তিনি আরও জানান, বীজের উপযোগী পাঁচটি খামারে ফসল উৎপাদন করে বীজ প্রসেসিং সেন্টারে পাঠানো হয়। সেখানে মান পরীক্ষার পরের বছর ডিলারদের মাধ্যমে কৃষকদের নিকট পৌঁছে দেয়। এছাড়া সরকারি বীজ প্রণোদনা হিসেবেও গরীব ও ক্ষুদ্র কৃষকদের মাঝে বিতরণ করা হয়ে থাকে। তিনি জোর দিয়ে বলেন, সরকারি খামারের বীজ কখনো নিম্নমানের বা ভেজাল জাতের হয় না। তবে তাঁদের বীজ উৎপাদনের ক্ষেত্রে সীমাবদ্ধতা থাকায় কৃষকের শতভাগ চাহিদা তাঁরা মেটাতে পারছেন না।

এদিকে, বেনাপোলের বীজ আমদানীকারক সাজেদুর রহমান দাবি করেন, তাঁদের আমদানি করা কোনো বীজ নিম্নমানের নয়। তিনি পাল্টা অভিযোগ করে বলেন, সরকারি খামারের বীজে ভেজাল থাকে। এ বিষয়ে বেনাপোল বন্দরে দায়িত্বরত আমদানীকৃত বীজের মান যাচাইকারী সরকারি প্রতিষ্ঠান কোয়ারান্টাইনের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ সুব্রত চক্রবর্তী জানান, তাঁরা ভারত থেকে আমদানীকৃত ধান, পাট, ভুট্টা ও সবজি বীজের নমুনা গ্রহণ করে উপযোগী কি না সেটা যাচাই করতে ৭২ ঘণ্টা সময় নিয়ে পরীক্ষা করে থাকেন। এছাড়া বীজের মান ও ফাঙ্গাস আছে কি না সেটাও পরীক্ষা করে তবে ছাড়পত্র দেন। যে কারণে তাঁর দাবি, আমদানীকৃত বীজের মান যাচাই করেই দেশে প্রবেশ করার ছাড়পত্র দেওয়া হয়। যদি বীজ নিয়ে কোনো প্রশ্ন বা কোনো অনিয়ম হয়ে থাকে, তবে তা দেশের মধ্যে অসাধু ব্যবসায়ীরা করে থাকতে পারেন।

এদিকে, ঝিনাইদহ জেলার বিভিন্ন বীজ ব্যবসায়ীদের বীজ কিনে কৃষকরা প্রতারিত হচ্ছেন এমন অহরহ অভিযোগ পাওয়া যায়। শহরের অগ্নিবীণা সড়কের শহিদ বীজ ভান্ডার থেকে গত মৌসুমে আবাদের জন্য হরিণাকুণ্ডু উপজেলার চাঁদপুর ইউনিয়নের হাকিমপুর গ্রামের কৃষক জনাব আলী, লিমন হোসেন আজিজার মণ্ডল, আতিয়ার রহমান, নুজির আলী খাঁ, সজল হোসেন ও আকাশ মিয়া স্বর্ণা ধানের বীজ কিনে প্রতারিত হন বলে কথিত আছে। কিন্তু শহীদ বীজ ভান্ডারের মালিক সেই অভিযোগ খণ্ডন করে বলেন, তাঁর ব্যবসায় সুনাম ক্ষুণ্ন করতে এমন অভিযোগ করে একটি মহল। ফলে জরিমানা হিসেবে ৭ জন কৃষকের ২৫ বিঘা জমির জন্য ২ লাখ ২৯ হাজার ৫ শ টাকা ক্ষতিপূরণ আদায় করে ভোক্তা অধিকার।

ঝিনাইদহ সদর উপজেলার ভুটিয়ারগাতী গ্রামের কওছার আলী শহরের অগ্নিবীণা সড়কেরে একটি বীজের দোকান থেকে বিআর-৬৩ জাতের ৪০ কেজি হাইব্রিড বীজ কিনে প্রতারিত হন। ওই বীজে চারা গজায়নি। একই গ্রামের কৃষক দুলাল জোয়ার্দ্দার অভিযোগ করেন, তিনি বিএডিসির ধানের বীজ কিনে জমিতে রোপণ করার পর একই বস্তার বীজ থেকে অন্তত চার জাতের ধানের চারা গজিয়েছে।

ঝিনাইদহ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. আজগার আলী বলেন, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের আধুনিক প্রযুক্তি ব্যহারের মাধ্যমে চাষি পর্যায়ে ধান, গম, পাট বীজ এবং ডাল, তৈল, মসলা উৎপাদন ও সংরক্ষণ প্রকল্পের মাধ্যমে উন্নত ানের বীজ উৎপাদন করছে। যেগুলো কৃষকদের মাঝে সরবরাহ করে নিয়মিত মনিটারিং করা হয়ে থাকে।

ঝিনাইদহ জেলা বীজ প্রত্যায়ন কর্মকর্তা মো. ইসমাইল হোসেন বলেন, তিনি শুধু সরকারি ও সরকার অনুমোদিত বীজ উৎপাদনকারী খামারের বীজ ল্যাবরেটরিতে পরীক্ষা করে সঠিক মান নিশ্চিত হলে তাঁর প্রত্যায়ন করে ট্যাগ দিয়ে থাকেন। যদি কোনো অসাধু ব্যবসায়ী গোপনে নিম্নমানের বীজ বিক্রি করেন বা অভিযোগ আসে, সেক্ষেত্রে জেলা ভোক্তা অধিকার দপ্তর বা বীজ ল্যাবে পরীক্ষা করে ব্যবস্থা নিয়ে থাকেন।