ইপেপার । আজ বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মৃত্যুর দুই বছর পর যুবকের লাশ উত্তোলন!

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৭:০৮:০১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৫ মার্চ ২০২২
  • / ৪০ বার পড়া হয়েছে

প্রতিবেদক, গাংনী: মেহেরপুরের গাংনীতে স্ত্রীর পরকীয়ার জেরে স্বামী আসাদুজ্জামানকে (৩৫) হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় মৃত্যুর দুই বছর পর আসাদুজ্জামানের মরদেহ কবর থেকে উত্তোলন করা হয়েছে। গতকাল সোমবার দুপুরে উপজেলার চাঁন্দামারী গ্রামে পারিবারিক কবরস্থান থেকে তাঁর মরদেহ উত্তোলন করা হয়। চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সাদাত হোসেন ও চুয়াডাঙ্গা সদর থানা পুলিশের একটি দল মরদেহ উত্তোলন করে।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, আসাদুজ্জামান একটি ওষুধ কোম্পানিতে চাকরির সুবাদে চুয়াডাঙ্গায় শ্বশুরবাড়িতে বসবাস করতেন। সে সময় তাঁর স্ত্রী লোপা খাতুনের সঙ্গে নরসিংদীর জনৈক হুমায়ুনের সঙ্গে পরকীয়া সম্পর্ক গড়ে তোলেন। এ নিয়ে পারিবারিক অশান্তি দেখা দেয়। ২০২০ সালের ২৭ মার্চ রাতে তিনি স্ট্রোক করে মারা যান বলে খবর পায় পরিবার। পরিবার মরদেহ দাফন করলেও মৃত্যু নিয়ে ধূম্রজাল সৃষ্টি হয়। একপর্যায়ে চুয়াডাঙ্গা আদালতে হত্যা মামলা করেন আসাদুজ্জামানের ভাই লিটন হোসেন। মামলায় আসাদুজ্জামানের স্ত্রী লোপা খাতুন ও তাঁর সন্দেহভাজন প্রেমিক হুমায়ুন কবিরকে আসামি করা হয়। পুলিশ তাঁদের দুজনকে গ্রেপ্তার করে আদালতে সোপর্দ করে।

চুয়াডাঙ্গা সদর থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মহসিন আলী জানান, মামলার তদন্তের স্বার্থে আদালতের নির্দেশে মরদেহ ময়নাতদন্ত করা হবে। যেহেতু দুই বছর আগে তার মৃত্যু হয়েছে, তাই মরদেহের অনেক অংশ পাওয়া যাবে না। হাড়গোড় যা কিছু পাওয়া গেছে, তা পুলিশের ফরেনসিক ল্যাবে পাঠানো হবে।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

মৃত্যুর দুই বছর পর যুবকের লাশ উত্তোলন!

আপলোড টাইম : ০৭:০৮:০১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৫ মার্চ ২০২২

প্রতিবেদক, গাংনী: মেহেরপুরের গাংনীতে স্ত্রীর পরকীয়ার জেরে স্বামী আসাদুজ্জামানকে (৩৫) হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় মৃত্যুর দুই বছর পর আসাদুজ্জামানের মরদেহ কবর থেকে উত্তোলন করা হয়েছে। গতকাল সোমবার দুপুরে উপজেলার চাঁন্দামারী গ্রামে পারিবারিক কবরস্থান থেকে তাঁর মরদেহ উত্তোলন করা হয়। চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সাদাত হোসেন ও চুয়াডাঙ্গা সদর থানা পুলিশের একটি দল মরদেহ উত্তোলন করে।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, আসাদুজ্জামান একটি ওষুধ কোম্পানিতে চাকরির সুবাদে চুয়াডাঙ্গায় শ্বশুরবাড়িতে বসবাস করতেন। সে সময় তাঁর স্ত্রী লোপা খাতুনের সঙ্গে নরসিংদীর জনৈক হুমায়ুনের সঙ্গে পরকীয়া সম্পর্ক গড়ে তোলেন। এ নিয়ে পারিবারিক অশান্তি দেখা দেয়। ২০২০ সালের ২৭ মার্চ রাতে তিনি স্ট্রোক করে মারা যান বলে খবর পায় পরিবার। পরিবার মরদেহ দাফন করলেও মৃত্যু নিয়ে ধূম্রজাল সৃষ্টি হয়। একপর্যায়ে চুয়াডাঙ্গা আদালতে হত্যা মামলা করেন আসাদুজ্জামানের ভাই লিটন হোসেন। মামলায় আসাদুজ্জামানের স্ত্রী লোপা খাতুন ও তাঁর সন্দেহভাজন প্রেমিক হুমায়ুন কবিরকে আসামি করা হয়। পুলিশ তাঁদের দুজনকে গ্রেপ্তার করে আদালতে সোপর্দ করে।

চুয়াডাঙ্গা সদর থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মহসিন আলী জানান, মামলার তদন্তের স্বার্থে আদালতের নির্দেশে মরদেহ ময়নাতদন্ত করা হবে। যেহেতু দুই বছর আগে তার মৃত্যু হয়েছে, তাই মরদেহের অনেক অংশ পাওয়া যাবে না। হাড়গোড় যা কিছু পাওয়া গেছে, তা পুলিশের ফরেনসিক ল্যাবে পাঠানো হবে।