ইপেপার । আজ বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

হরিণাকুন্ডুতে হাটের জমি থেকে হাট উচ্ছেদ!

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০১:৪৪:৫১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৩ মার্চ ২০২২
  • / ২৯ বার পড়া হয়েছে

ঝিনাইদহ অফিস:
ঝিনাইদহের হরিণাকুন্ডু উপজেলার পারমথুরাপুর বাজারটি নিজস্ব স্থান থেকে উচ্ছেদ করে রাস্তার উপর বসানোর অভিযোগ উঠেছে। এ নিয়ে ঘটছে দুর্ঘটনা। প্রকৃত ইজারাদারদের বিতাড়িত করে এলাকার একটি সুবিধা মহল হাটের টাকা উঠিয়ে পকেটস্থ করছে বলে অভিযেডাগ উঠেছে। এ ঘটনায় জেলা প্রশাসক ও হরিণাকুণ্ডু উপজেলা নির্বাহী অফিসারের (ইউএনও) কাছে ইজারাদাররা অভিযোগ করেছেন।
জানা গেছে ২০২১ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি পারমথুরাপুর হাটটি কাপাশহাটিয়া এবতেদায়ী মাদ্রসার অনুকুলে ইজারা প্রদাণ করে হরিণাকুণ্ডু উপজেলা প্রশাসন। এরপর এক চুক্তির মাধ্যমে হাটটি দ্বিতীয় পক্ষ কাপাশহাটিয়া গ্রামের সেলিম রেজা, পারমথুরাপুর গ্রামের আব্দুল মান্নান মালিথা ও বাবুল হাসানের কাছে হস্তান্তর করা হয়। হাটের চুক্তি চলতি বছরের ৩০ চৈত্র বলবৎ রয়েছে। অথচ গত সপ্তায় হরিণাকুণ্ডু থানার এসআই হুমায়ন রাজনৈতিক ভাবে প্রভাবিত হয়ে হাটের জায়গা থেকে হাটটি উচ্ছেদ করে জোর পুর্বক রাস্তার উপর বসিয়ে দেয় বলে বেশ কয়েকজন তরকারী বিক্রেতারা অভিযোগ করেন। গতকাল শনিবার পারমথুরাপুর হাটে গিয়ে এর সত্যতা পাওয়া যায়। সরেজমিন গিয়ে দেখা গেছে, হাটটি আর হাটের স্থানে নেই। একেবারেই রাস্তার উপর বসেছে।


হরিণাকুণ্ডু উপজেলা নির্বাহী অফিসারের(ইউএনও) কাছে দায়ের করা লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে, ইজারাদাররা হাটের নামে ৬ শতক জমি রেজিষ্ট্রে করে দিয়েই হাটটি বসিয়েছিলেন। সরকার তাদের অনুকুলে হাটটি ইজারাও দিয়েছে। অথচ পরমথুরাপুর গ্রামের আকবর জোয়ার্দ্দারের ছেলে হুজুর আলী, সাবু জোয়ার্দ্দারের ছেলে সিদ্দিকুর রহমান, হানেফ মৃধার ছেলে উসমান মৃধা ও মতিয়ার মৃধা, জিন্না শেখের ছেলে লিটন, উসমান মৃধার ছেলে জুয়েল, আকমল মৃধার ছেলে শরিফুল ইসলাম ও আব্দুল লতিফের ছেলে রণি পুলিশী সহায়তায় হাটটি ভেঙ্গে নিজেদের আয়াত্বে নিয়ে লুটেপুটে খাচ্ছে। সড়কের উপর হাট বসানোর ফলে এলাকার স্কুল ও মাদ্রাসাগামী শিক্ষার্থীরা দুর্ভোগে পড়েছে। বৈধ হাটটি এভাবে ছিনতাই হয়ে গেলেও ইজারাদাররা এখনো প্রশাসনিক কোন সহায়তা পাননি। “দেখছি, দেখা যাক, ব্যবস্থা নিচ্ছি” এমন সব অভয়বানীই এখন ইজারাদারদের পূঁজি।


বিষয়টি নিয়ে ইজারাদার আব্দুল মান্নান জানান, তাদের বৈধ হাটটি এভাবে ছিনতাই হয়ে যাওয়ায় তারা আর্থিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছেন। বিষয়টি তারা জেলা প্রশাসক, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ও হরিণাকুণ্ডু উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে অবহিত করেছেন বলে জানান। তারা প্রতিকারের আশ^াস দিয়েছেন।


এ ব্যাপারে হরিণাকুণ্ডু থানার এসআই হুমায়ন জানান, হাটটি ব্যক্তি মালিকানা জমিতে ছিল। এখন তিনি বাড়ি করবেন। তাছাড়া হাটটি যারা নিতে চাচ্ছেন তাদের নামে হাট নেই। তাই উপরের নির্দেশে হাটটি সরিয়ে সরকারী স্থানে বসিয়ে দিয়েছেন।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

হরিণাকুন্ডুতে হাটের জমি থেকে হাট উচ্ছেদ!

আপলোড টাইম : ০১:৪৪:৫১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৩ মার্চ ২০২২

ঝিনাইদহ অফিস:
ঝিনাইদহের হরিণাকুন্ডু উপজেলার পারমথুরাপুর বাজারটি নিজস্ব স্থান থেকে উচ্ছেদ করে রাস্তার উপর বসানোর অভিযোগ উঠেছে। এ নিয়ে ঘটছে দুর্ঘটনা। প্রকৃত ইজারাদারদের বিতাড়িত করে এলাকার একটি সুবিধা মহল হাটের টাকা উঠিয়ে পকেটস্থ করছে বলে অভিযেডাগ উঠেছে। এ ঘটনায় জেলা প্রশাসক ও হরিণাকুণ্ডু উপজেলা নির্বাহী অফিসারের (ইউএনও) কাছে ইজারাদাররা অভিযোগ করেছেন।
জানা গেছে ২০২১ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি পারমথুরাপুর হাটটি কাপাশহাটিয়া এবতেদায়ী মাদ্রসার অনুকুলে ইজারা প্রদাণ করে হরিণাকুণ্ডু উপজেলা প্রশাসন। এরপর এক চুক্তির মাধ্যমে হাটটি দ্বিতীয় পক্ষ কাপাশহাটিয়া গ্রামের সেলিম রেজা, পারমথুরাপুর গ্রামের আব্দুল মান্নান মালিথা ও বাবুল হাসানের কাছে হস্তান্তর করা হয়। হাটের চুক্তি চলতি বছরের ৩০ চৈত্র বলবৎ রয়েছে। অথচ গত সপ্তায় হরিণাকুণ্ডু থানার এসআই হুমায়ন রাজনৈতিক ভাবে প্রভাবিত হয়ে হাটের জায়গা থেকে হাটটি উচ্ছেদ করে জোর পুর্বক রাস্তার উপর বসিয়ে দেয় বলে বেশ কয়েকজন তরকারী বিক্রেতারা অভিযোগ করেন। গতকাল শনিবার পারমথুরাপুর হাটে গিয়ে এর সত্যতা পাওয়া যায়। সরেজমিন গিয়ে দেখা গেছে, হাটটি আর হাটের স্থানে নেই। একেবারেই রাস্তার উপর বসেছে।


হরিণাকুণ্ডু উপজেলা নির্বাহী অফিসারের(ইউএনও) কাছে দায়ের করা লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে, ইজারাদাররা হাটের নামে ৬ শতক জমি রেজিষ্ট্রে করে দিয়েই হাটটি বসিয়েছিলেন। সরকার তাদের অনুকুলে হাটটি ইজারাও দিয়েছে। অথচ পরমথুরাপুর গ্রামের আকবর জোয়ার্দ্দারের ছেলে হুজুর আলী, সাবু জোয়ার্দ্দারের ছেলে সিদ্দিকুর রহমান, হানেফ মৃধার ছেলে উসমান মৃধা ও মতিয়ার মৃধা, জিন্না শেখের ছেলে লিটন, উসমান মৃধার ছেলে জুয়েল, আকমল মৃধার ছেলে শরিফুল ইসলাম ও আব্দুল লতিফের ছেলে রণি পুলিশী সহায়তায় হাটটি ভেঙ্গে নিজেদের আয়াত্বে নিয়ে লুটেপুটে খাচ্ছে। সড়কের উপর হাট বসানোর ফলে এলাকার স্কুল ও মাদ্রাসাগামী শিক্ষার্থীরা দুর্ভোগে পড়েছে। বৈধ হাটটি এভাবে ছিনতাই হয়ে গেলেও ইজারাদাররা এখনো প্রশাসনিক কোন সহায়তা পাননি। “দেখছি, দেখা যাক, ব্যবস্থা নিচ্ছি” এমন সব অভয়বানীই এখন ইজারাদারদের পূঁজি।


বিষয়টি নিয়ে ইজারাদার আব্দুল মান্নান জানান, তাদের বৈধ হাটটি এভাবে ছিনতাই হয়ে যাওয়ায় তারা আর্থিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছেন। বিষয়টি তারা জেলা প্রশাসক, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ও হরিণাকুণ্ডু উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে অবহিত করেছেন বলে জানান। তারা প্রতিকারের আশ^াস দিয়েছেন।


এ ব্যাপারে হরিণাকুণ্ডু থানার এসআই হুমায়ন জানান, হাটটি ব্যক্তি মালিকানা জমিতে ছিল। এখন তিনি বাড়ি করবেন। তাছাড়া হাটটি যারা নিতে চাচ্ছেন তাদের নামে হাট নেই। তাই উপরের নির্দেশে হাটটি সরিয়ে সরকারী স্থানে বসিয়ে দিয়েছেন।