মেহেরপুরে প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে মিথ্যা ধর্ষণচেষ্টা মামলা: নারীকে দুই বছরের কারাদণ্ড দিলেন আদালত
- আপলোড টাইম : ০৯:৪০:০৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৮ ফেব্রুয়ারী ২০২২
- / ২৩ বার পড়া হয়েছে
সমীকরণ প্রতিবেদন:
মেহেরপুরে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগ এনে মিথ্যা মামলা করায় দায়ে ডালিয়া নাসরিন নামের এক নারীকে দুই বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। সেই সঙ্গে ২০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ছয়মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। গতকাল রোববার বিকেলে মেহেরপুর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. তরিকুল ইসলাম এ রায় দেন। সাজাপ্রাপ্ত ডালিয়া নাসরিন মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার বাহাগুন্দা গ্রামের জমির উদ্দিনের মেয়ে। ট্রাইব্যুনালের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) এ কে এম আসাদুজ্জামান রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণে জানা যায়, ২০১৬ সালের ৩ অক্টোবর উপজেলার বাহাগুন্দা গ্রামের মুক্তার সাহার ছেলে আবুল কালাম একই গ্রামের জমির উদ্দিনের মেয়ে ডালিয়া নাসরিনসহ মহসিন আলী, জামেলা খাতুন, শহিদা খাতুনের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ করেন।
অভিযোগকারী কালাম উল্লেখ করেন, তাঁর বাড়ি ও আসামিদের বাড়ি পাশাপাশি। তাঁর মেয়ে কাকলিকে মারধর করার কারণে কাকলি গাংনী থানায় আসামিদের বিরুদ্ধে একটি মামলা করেন। মামলায় আসামি ডালিয়া নাসরিন জামিন লাভের পর আবুল কালামসহ একই গ্রামের গোলাম হোসেনের ছেলে লাল মিয়া এবং মেঘা শেখের ছেলে শাকিলের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগ এনে মামলা করেন।
ডালিয়া নাসরিনের করা ধর্ষণচেষ্টার মামলাটি তদন্ত করে মামলাটি মিথ্যা প্রমাণিত হওয়ায় তদন্তকারী কর্মকর্তা আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেন। প্রতিবেদনটি ২০১৭ সালের ২০ এপ্রিল গ্রহণ করে ট্রাইব্যুনাল। পরে ট্রাইব্যুনাল আসামিদের এ মামলা থেকে অব্যাহতি দেন। একই সঙ্গে অভিযোগকারীর বিরুদ্ধে মামলা করার অনুমতি দেন বিচারক। পরে ডালিয়া নাসরিনের বিরুদ্ধে আসামি আবুল কালাম অভিযোগকারী হিসেবে ট্রাইব্যুনালে নালিশি দরখাস্ত করেন। এ মামলায় মোট পাঁচজন সাক্ষী স্বাক্ষ্য দেন। অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় আদালত আজ এ রায় দেন।