ইপেপার । আজ বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

চুয়াডাঙ্গা ও মেহেরপুরে দিনভর গণটিকা কার্যক্রম সম্পন্ন

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৫:২৩:২৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৭ ফেব্রুয়ারী ২০২২
  • / ২৬ বার পড়া হয়েছে

সমীকরণ ডেস্ক:
করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ রোধে সারা দেশের ন্যায় চুয়াডাঙ্গা ও মেহেরপুরে গণটিকা প্রথম ডোজ প্রদানের কার্যক্রম সুষ্ঠভাবে সম্পন্ন হয়েছে। গতকাল শনিবার দিনব্যাপী টিকাদান কর্মসূচির মধ্যদিয়ে প্রথম ডোজ প্রদানের কার্যক্রম সম্পন্ন করে স্বাস্থ্য বিভাগ।
চুয়াডাঙ্গা:
করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ রোধে সারা দেশের ন্যায় চুয়াডাঙ্গায় গণটিকার প্রথম ডোজ প্রদানের কার্যক্রম সুষ্ঠভাবে সম্পন্ন হয়েছে। গতকাল শনিবার চুয়াডাঙ্গার বিভিন্ন টিকাদান কেন্দ্রে পরিদর্শন করে দেখা গেছে ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ নিতে অনেকে লম্বা লাইন দিয়ে দাঁড়িয়ে আছেন। চুয়াডাঙ্গায় গত কয়েদিন ধরে ব্যাপক প্রচার ও প্রচারণার কারণে সকল শ্রেণি পেশার মানুষ টিকা নিতে এসেছিলেন। তারা টিকাও নিয়েছেন।
চুয়াডাঙ্গার সিভিল সার্জন অফিস সূত্রে জানা যায়, গতকাল (২৬ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৯টা থেকে জেলার ১৮৭টি কেন্দ্রে একযোগে শুরু হয় গণটিকার কার্যক্রম। যেখানে কাজ করেছে প্রায় ৩ শতাধিক স্বাস্থকর্মী। এছাড়া স্কাউট, রোভার ও রেডক্রিসেন্টের স্বেচ্ছাসেবীরা শৃঙ্খলা রাখতে দায়িত্ব নিয়ে কাজ করেছে।


সরেজমিনে দেখা যায়, চুয়াডাঙ্গা জেলা সদর হাসপাতালে সকালের দিকে টিকা নিতে সাধারণ মানুষের ভিড়। অনলাইন নিবন্ধন ব্যতিত ভোটার আইডি কার্ড দিয়ে সহজেই টিকা দিতে পেরে খুশি অনেকেই। এদিকে, চুয়াডাঙ্গা জেলার আলমডাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পরিদর্শনে দেখা যায়, লম্বা লাইন ও স্বাস্থবিধি মেনে গণটিকা নিচ্ছেন। চুয়াডাঙ্গা জেলার সিভিল সার্জন ডা. সাজ্জাৎ হাসান জানান, ‘রেজিস্ট্রেশনের ঝামেলা ছাড়া শুধুমাত্র আইডি কার্ড, জন্মনিবন্ধন ও মোবাইল নাম্বারের ভিত্তিতে করোনার প্রথম ডোজ টিকা নিতে পারবেন জেলার ১২ বছরের ওপরের যেকোনো বাসিন্দা। জেলার চুয়াডাঙ্গা সদর, আলমডাঙ্গা, দামুড়হুদা ও জীবননগর উপজেলার ১৮৭টি কেন্দ্রে সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে গণটিকাদান কার্যক্রম চলেছে।’
এদিকে, করোনার টিকা কার্যক্রমের বিভিন্ন কেন্দ্র পরিদর্শণ করেছেন চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম খান, চুয়াডাঙ্গা সিভিল সার্জন ডা. সাজ্জাৎ হাসান, চুয়াডাঙ্গা পৌর মেয়র জাহাঙ্গীর আলম মালিক খোকন, চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আসাদুল হক, উপজেলা নির্বাহী অফিসার শামীম ভূইয়া, উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. আওলিয়ার রহমানসহ স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তা কর্মচারী ও স্বাস্থ্য কর্মীবৃন্দ।
চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার শামীম ভুইয়া বলেন, ‘চুয়াডাঙ্গা পৌরসভার ৯টি ওয়ার্ডে ৯টি কেন্দ্র ও ৭টি ইউনিয়নে ২১টি কেন্দ্রসহ মোট ৩০টি কেন্দ্রে একযোগে সকাল ৯টা থেকে গণটিকাদান কার্যক্রম শুরু হয়। বিকেল ৩টা পর্যন্ত সময় নির্ধারণ করা হলেও যতক্ষণ মানুষ টিকা নিতে আসবেন ততক্ষণ টিকাদান কার্যক্রম অব্যাহত রাখা হয়েছে।’


দামুড়হুদা:
দামুড়হুদা উপজেলায় একযোগে ৮টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভায় মোট ২৭টি কেন্দ্রে ১৯ হাজার ১ শ ৭১ জনকে টিকা প্রদান করা হয়েছে। গতকাল শনিবার সকাল ৯ থেকে বিকাল ৫ টা পযন্ত একযোগে এ টিকা প্রদান কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হয়। এরমধ্যে দর্শনা পৌরসভার ৪টি, দামুড়হুদা সদর ইউনিয়নে ৩টি, কার্পাসডাঙ্গা ইউনিয়নে ৩টি, জুড়ানপুর ইউনিয়নে ৩টি, নতিপোতা ইউনিয়নে ২টি, নাটুদাহ ইউনিয়নে ৩টি ও পারকৃষ্ণপুর-মদনা ইউনিয়নের ৩টিসহ উপজেলার মোট ২৭টি কেন্দ্রে ১৯ হাজার ১ শ ৭১ জনকে টিকা প্রদান করা হয়। এসময় বিভিন্ন টিকাদান কেন্দ্র পরিদর্শন করেন দামুড়হুদা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলী মুনছুর বাবু, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সুদীপ্ত কুমার সিংহ, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকতা আবু হেনা মোহাম্মদ জামাল শুভ, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মনিরুজ্জামান মনির, দর্শনা পৌরসভার মেয়র মতিয়ার রহমান, আব্দুল ওদুদ শাহ ডিগ্রি কলেজর অধাক্ষ্য কামাল হোসেন, দামুড়হুদা সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হযরত আলী, কার্পাসডাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল করিম, কুড়ুলগাছি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কামাল হোসেন, নতিপোতা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইয়ামিন আলী, নাটুদাহ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম, হাউলী ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান নিজাম উদ্দিন, পারকৃষ্ণপুর মদনা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এএসএম জাকারিয় আলম প্রমুখ।
দামুড়হুদা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকতা আবু হেনা মোহাম্মদ জামাল শুভ বলেন, প্রতিটি কেন্দ্রে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ টিকা প্রদান করা হয়েছে। কোথাও কোনো অসুবিধা হয়নি।
এদিকে, কার্পাসডাঙ্গা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নজির আহম্মেদ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সালাম বিশ্বাস, সাংগঠনিক সম্পাদক জাহিদুর রহমান মুকুল, ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজ কচি, ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সানাউল কবির শিরিন, কার্পাসডাঙ্গা পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই আতিকুর রহমান জুয়েল অত্র ইউনিয়নের টিকাদান কেন্দ্রগুলো পরিদর্শন করেন।


মেহেরপুর:
প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত সারা দেশে ১ কোটি টিকাদান কর্মসূচির আওতায় মেহেরপুর জেলায় ৩১ হাজার ৩৯১ জনকে টিকা দেওয়া হয়েছে। এরমধ্যে প্রথম ডোজ ২৫ হাজার ৭৯৬, দ্বিতীয় ডোজ ৪ হাজার ৭৫০ এবং তৃতীয় ডোজ ৮৪৫ জনকে প্রদান করা হয়েছে। শনিবার সকাল থেকে মেহেরপুর জেলার ৩টি উপজেলার ৫টি অস্থায়ী কেন্দ্রসহ মোট ৭২টি কেন্দ্রে একযোগে টিকাদান পর্ব শুরু হয়। ৭২টি টিকাদান কেন্দ্রে জন্য ১৪৪ জন কর্মী এবং ২১৬ জন ভলেন্টিয়ার টিকাদানকাজে সহযোগিতা করেন।
মেহেরপুর জেলা সিভিল সার্জন অফিস সূত্রে জানা গেছে, মেহেরপুর পৌর এলাকার ৯টি ওয়ার্ডে ১ হাজার ৮৪৯ জন, সদর উপজেলা ৯হাজার ৩৬০ জন, গাংনী উপজেলার ১৪ হাজার ৮৪২ জন এবং মুজিবনগর উপজেলায় ৫ হাজার ৩৪০ জনকে টিকা দেওয়া হয়। এদিকে, টিকাদান পর্ব চলাকালীন সময়ে সদর উপজেলা চেয়ারম্যান ও পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি ইয়ারুল ইসলাম ও পৌর মেয়র ও জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক মাহফুজুর রহমান রিটন বিভিন্ন টিকাদান কেন্দ্র পরিদর্শন করেন।


এদিকে, মহামারি থেকে মুক্তির প্রত্যাশা নিয়ে সারা দেশে শুরু হয়েছে ১ কোটি করোনা ভাইরাসের গণটিকাদান কর্মসূচি। মেহেরপুরে গণটিকা কার্যক্রম শুরু হওয়ার পর জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন মেহেরপুরের বিভিন্ন টিকা কেন্দ্র পরিদর্শন করেছেন। গতকাল শনিবার দুপুরের দিকে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন মেহেরপুর স্টেডিয়াম মাঠে টিকা কেন্দ্র এবং মেহেরপুর সদর উপজেলার মোমিনপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয় টিকা কেন্দ্র পরিদর্শন করেন। এসময় জেলা প্রশাসক ড.মুহাম্মদ মুনসুর আলম খান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জামিরুল ইসলাম সহ সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী উপস্থিত ছিলেন। এর আগে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ও মেহেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ফরহাদ হোসেন এমপি মেহেরপুরে পৌছালে তাকে গার্ড অব অনার প্রদান করা হয়। গতকাল শনিবার মেহেরপুর সার্কিট হাউজ প্রাঙ্গণে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী কে গার্ড অব অনার প্রদান করা হয়। এসময় জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন প্যারেড পরিদর্শন ও সালাম গ্রহণ করেন। গার্ড অব অনার প্রদানে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক ড. মুহাম্মদ মুনসুর আলম খান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জামিরুল ইসলাম। পরে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন সার্কিট হাউজের নির্মাণ কাজ পরিদর্শন করেন। এর আগে প্রতিমন্ত্রী সার্কিট হাউসে এসে পৌঁছালে জেলা প্রশাসক তাঁকে শুভেচ্ছা জানান।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

চুয়াডাঙ্গা ও মেহেরপুরে দিনভর গণটিকা কার্যক্রম সম্পন্ন

আপলোড টাইম : ০৫:২৩:২৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৭ ফেব্রুয়ারী ২০২২

সমীকরণ ডেস্ক:
করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ রোধে সারা দেশের ন্যায় চুয়াডাঙ্গা ও মেহেরপুরে গণটিকা প্রথম ডোজ প্রদানের কার্যক্রম সুষ্ঠভাবে সম্পন্ন হয়েছে। গতকাল শনিবার দিনব্যাপী টিকাদান কর্মসূচির মধ্যদিয়ে প্রথম ডোজ প্রদানের কার্যক্রম সম্পন্ন করে স্বাস্থ্য বিভাগ।
চুয়াডাঙ্গা:
করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ রোধে সারা দেশের ন্যায় চুয়াডাঙ্গায় গণটিকার প্রথম ডোজ প্রদানের কার্যক্রম সুষ্ঠভাবে সম্পন্ন হয়েছে। গতকাল শনিবার চুয়াডাঙ্গার বিভিন্ন টিকাদান কেন্দ্রে পরিদর্শন করে দেখা গেছে ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ নিতে অনেকে লম্বা লাইন দিয়ে দাঁড়িয়ে আছেন। চুয়াডাঙ্গায় গত কয়েদিন ধরে ব্যাপক প্রচার ও প্রচারণার কারণে সকল শ্রেণি পেশার মানুষ টিকা নিতে এসেছিলেন। তারা টিকাও নিয়েছেন।
চুয়াডাঙ্গার সিভিল সার্জন অফিস সূত্রে জানা যায়, গতকাল (২৬ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৯টা থেকে জেলার ১৮৭টি কেন্দ্রে একযোগে শুরু হয় গণটিকার কার্যক্রম। যেখানে কাজ করেছে প্রায় ৩ শতাধিক স্বাস্থকর্মী। এছাড়া স্কাউট, রোভার ও রেডক্রিসেন্টের স্বেচ্ছাসেবীরা শৃঙ্খলা রাখতে দায়িত্ব নিয়ে কাজ করেছে।


সরেজমিনে দেখা যায়, চুয়াডাঙ্গা জেলা সদর হাসপাতালে সকালের দিকে টিকা নিতে সাধারণ মানুষের ভিড়। অনলাইন নিবন্ধন ব্যতিত ভোটার আইডি কার্ড দিয়ে সহজেই টিকা দিতে পেরে খুশি অনেকেই। এদিকে, চুয়াডাঙ্গা জেলার আলমডাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পরিদর্শনে দেখা যায়, লম্বা লাইন ও স্বাস্থবিধি মেনে গণটিকা নিচ্ছেন। চুয়াডাঙ্গা জেলার সিভিল সার্জন ডা. সাজ্জাৎ হাসান জানান, ‘রেজিস্ট্রেশনের ঝামেলা ছাড়া শুধুমাত্র আইডি কার্ড, জন্মনিবন্ধন ও মোবাইল নাম্বারের ভিত্তিতে করোনার প্রথম ডোজ টিকা নিতে পারবেন জেলার ১২ বছরের ওপরের যেকোনো বাসিন্দা। জেলার চুয়াডাঙ্গা সদর, আলমডাঙ্গা, দামুড়হুদা ও জীবননগর উপজেলার ১৮৭টি কেন্দ্রে সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে গণটিকাদান কার্যক্রম চলেছে।’
এদিকে, করোনার টিকা কার্যক্রমের বিভিন্ন কেন্দ্র পরিদর্শণ করেছেন চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম খান, চুয়াডাঙ্গা সিভিল সার্জন ডা. সাজ্জাৎ হাসান, চুয়াডাঙ্গা পৌর মেয়র জাহাঙ্গীর আলম মালিক খোকন, চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আসাদুল হক, উপজেলা নির্বাহী অফিসার শামীম ভূইয়া, উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. আওলিয়ার রহমানসহ স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তা কর্মচারী ও স্বাস্থ্য কর্মীবৃন্দ।
চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার শামীম ভুইয়া বলেন, ‘চুয়াডাঙ্গা পৌরসভার ৯টি ওয়ার্ডে ৯টি কেন্দ্র ও ৭টি ইউনিয়নে ২১টি কেন্দ্রসহ মোট ৩০টি কেন্দ্রে একযোগে সকাল ৯টা থেকে গণটিকাদান কার্যক্রম শুরু হয়। বিকেল ৩টা পর্যন্ত সময় নির্ধারণ করা হলেও যতক্ষণ মানুষ টিকা নিতে আসবেন ততক্ষণ টিকাদান কার্যক্রম অব্যাহত রাখা হয়েছে।’


দামুড়হুদা:
দামুড়হুদা উপজেলায় একযোগে ৮টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভায় মোট ২৭টি কেন্দ্রে ১৯ হাজার ১ শ ৭১ জনকে টিকা প্রদান করা হয়েছে। গতকাল শনিবার সকাল ৯ থেকে বিকাল ৫ টা পযন্ত একযোগে এ টিকা প্রদান কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হয়। এরমধ্যে দর্শনা পৌরসভার ৪টি, দামুড়হুদা সদর ইউনিয়নে ৩টি, কার্পাসডাঙ্গা ইউনিয়নে ৩টি, জুড়ানপুর ইউনিয়নে ৩টি, নতিপোতা ইউনিয়নে ২টি, নাটুদাহ ইউনিয়নে ৩টি ও পারকৃষ্ণপুর-মদনা ইউনিয়নের ৩টিসহ উপজেলার মোট ২৭টি কেন্দ্রে ১৯ হাজার ১ শ ৭১ জনকে টিকা প্রদান করা হয়। এসময় বিভিন্ন টিকাদান কেন্দ্র পরিদর্শন করেন দামুড়হুদা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলী মুনছুর বাবু, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সুদীপ্ত কুমার সিংহ, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকতা আবু হেনা মোহাম্মদ জামাল শুভ, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মনিরুজ্জামান মনির, দর্শনা পৌরসভার মেয়র মতিয়ার রহমান, আব্দুল ওদুদ শাহ ডিগ্রি কলেজর অধাক্ষ্য কামাল হোসেন, দামুড়হুদা সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হযরত আলী, কার্পাসডাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল করিম, কুড়ুলগাছি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কামাল হোসেন, নতিপোতা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইয়ামিন আলী, নাটুদাহ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম, হাউলী ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান নিজাম উদ্দিন, পারকৃষ্ণপুর মদনা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এএসএম জাকারিয় আলম প্রমুখ।
দামুড়হুদা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকতা আবু হেনা মোহাম্মদ জামাল শুভ বলেন, প্রতিটি কেন্দ্রে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ টিকা প্রদান করা হয়েছে। কোথাও কোনো অসুবিধা হয়নি।
এদিকে, কার্পাসডাঙ্গা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নজির আহম্মেদ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সালাম বিশ্বাস, সাংগঠনিক সম্পাদক জাহিদুর রহমান মুকুল, ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজ কচি, ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সানাউল কবির শিরিন, কার্পাসডাঙ্গা পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই আতিকুর রহমান জুয়েল অত্র ইউনিয়নের টিকাদান কেন্দ্রগুলো পরিদর্শন করেন।


মেহেরপুর:
প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত সারা দেশে ১ কোটি টিকাদান কর্মসূচির আওতায় মেহেরপুর জেলায় ৩১ হাজার ৩৯১ জনকে টিকা দেওয়া হয়েছে। এরমধ্যে প্রথম ডোজ ২৫ হাজার ৭৯৬, দ্বিতীয় ডোজ ৪ হাজার ৭৫০ এবং তৃতীয় ডোজ ৮৪৫ জনকে প্রদান করা হয়েছে। শনিবার সকাল থেকে মেহেরপুর জেলার ৩টি উপজেলার ৫টি অস্থায়ী কেন্দ্রসহ মোট ৭২টি কেন্দ্রে একযোগে টিকাদান পর্ব শুরু হয়। ৭২টি টিকাদান কেন্দ্রে জন্য ১৪৪ জন কর্মী এবং ২১৬ জন ভলেন্টিয়ার টিকাদানকাজে সহযোগিতা করেন।
মেহেরপুর জেলা সিভিল সার্জন অফিস সূত্রে জানা গেছে, মেহেরপুর পৌর এলাকার ৯টি ওয়ার্ডে ১ হাজার ৮৪৯ জন, সদর উপজেলা ৯হাজার ৩৬০ জন, গাংনী উপজেলার ১৪ হাজার ৮৪২ জন এবং মুজিবনগর উপজেলায় ৫ হাজার ৩৪০ জনকে টিকা দেওয়া হয়। এদিকে, টিকাদান পর্ব চলাকালীন সময়ে সদর উপজেলা চেয়ারম্যান ও পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি ইয়ারুল ইসলাম ও পৌর মেয়র ও জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক মাহফুজুর রহমান রিটন বিভিন্ন টিকাদান কেন্দ্র পরিদর্শন করেন।


এদিকে, মহামারি থেকে মুক্তির প্রত্যাশা নিয়ে সারা দেশে শুরু হয়েছে ১ কোটি করোনা ভাইরাসের গণটিকাদান কর্মসূচি। মেহেরপুরে গণটিকা কার্যক্রম শুরু হওয়ার পর জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন মেহেরপুরের বিভিন্ন টিকা কেন্দ্র পরিদর্শন করেছেন। গতকাল শনিবার দুপুরের দিকে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন মেহেরপুর স্টেডিয়াম মাঠে টিকা কেন্দ্র এবং মেহেরপুর সদর উপজেলার মোমিনপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয় টিকা কেন্দ্র পরিদর্শন করেন। এসময় জেলা প্রশাসক ড.মুহাম্মদ মুনসুর আলম খান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জামিরুল ইসলাম সহ সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী উপস্থিত ছিলেন। এর আগে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ও মেহেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ফরহাদ হোসেন এমপি মেহেরপুরে পৌছালে তাকে গার্ড অব অনার প্রদান করা হয়। গতকাল শনিবার মেহেরপুর সার্কিট হাউজ প্রাঙ্গণে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী কে গার্ড অব অনার প্রদান করা হয়। এসময় জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন প্যারেড পরিদর্শন ও সালাম গ্রহণ করেন। গার্ড অব অনার প্রদানে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক ড. মুহাম্মদ মুনসুর আলম খান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জামিরুল ইসলাম। পরে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন সার্কিট হাউজের নির্মাণ কাজ পরিদর্শন করেন। এর আগে প্রতিমন্ত্রী সার্কিট হাউসে এসে পৌঁছালে জেলা প্রশাসক তাঁকে শুভেচ্ছা জানান।