ইপেপার । আজ শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কালীগঞ্জ অগ্রণী ব্যাংকে দুই কোটি টাকা জালিয়াতি; তিনজনের নামে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৪:০৪:০০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২০ ফেব্রুয়ারী ২০২২
  • / ২৪ বার পড়া হয়েছে

ঝিনাইদহ অফিস:

ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ অগ্রণী ব্যাংকের সাময়িক বরখাস্তকৃত দুই ব্যাংক কর্মকর্তা ও এক কর্মচারীর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা-জারি হয়েছে। ব্যাংক ম্যানেজার নাজমুস সাদাতের দায়েরকৃত মামলায় বিজ্ঞ আদালত তাদের বিরুদ্ধে এই পরোয়ানা জারি করেন। আসামিরা হলেন- কালীগঞ্জ অগ্রণী ব্যাংকের তৎকালীন সিনিয়র প্রিন্সিপাল অফিসার কালীগঞ্জের নিশ্চিন্তপুর গ্রামের জগন্নাথ চন্দ্র বিশ্বাসের ছেলে শৈলেন কুমার বিশ্বাস, হরিণাকুন্ডু উপজেলার ভেড়াখালী গ্রামের গনি বিশ্বাসের ছেলে সাময়িক বরখাস্তকৃত ক্যাশ অফিসার আব্দুস সালাম ও কালীগঞ্জের কাশিপুর গ্রামের বারিক মন্ডলের ছেলে চাকরিচ্যুত অস্থায়ী মাঠকর্মী আজির আলী। এরআগে গত ২৪ ডিসেম্বর কালীগঞ্জ উপজেলার পুকুরিয়া গ্রামের কৃষক আইনুল ইসলাম, বদর উদ্দীন ও মনোহরপুর গ্রামের ইন্তাজ আলী বাদী হয়ে কালীগঞ্জের বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আমলী আদালতে ঋণ জালিয়াতির মামলা করেন। মামলাটি ঝিনাইদহ পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) তদন্ত করছেন। ঝিনাইদহ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তৃতীয় আদালতে গত ১৭ জানুয়ারি দায়েরকৃত মামলায় কালীগঞ্জ অগ্রণী ব্যাংকের ম্যানেজার নাজমুস সাদাত উল্লেখ করেন আসামীরা পরস্পরের যোগসাজসে ঋণ গ্রহীতাদের টাকা আদায় করে ব্যাংকে জমা না দিয়ে প্রায় দুই কোটি টাকা আত্মসাৎ করেন। তারা প্রায় দুই তিন’শ লোকের নামে জাল জালিয়াতির মাধ্যমে লোন উত্তোলন করেন। বিজ্ঞ আদালত ৪০৬, ৪০৮, ৪১৮, ৪৬৭, ৪৬৮, ৪৭১ ও ১০৯ ধারায় মামলাটি আমলে নিয়ে আসামিদের বিরুদ্ধে ওয়ারেন্ট ইস্যু করে। মামলার পরবর্তী তারিখ আগামী ৭ মার্চ ধার্য্য করা হয়েছে। আদালত থেকে গ্রেপ্তারি পরোয়ানার চিঠি ঝিনাইদহ পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে পৌছালে গত ১২ ফেব্রুয়ারি পুলিশ সুপার স্বাক্ষর করে আসামিদের নিজ নিজ থানায় পাঠিয়ে দেন। কালীগঞ্জ থানায় বৃহস্পতিবার বিকেলে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা পৌছায় বলে কালীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহফুজুর রহমান জানান।

তথ্য নিয়ে জানা গেছে, এই মামলার আসামি শৈলেন কুমার বিশ্বাস ও আজির আলী গ্রেপ্তারি পরোয়ানা থানায় পৌছানোর আগেই তারা আত্মগোপনে চলে গেছেন।

এদিকে হরিণাকুন্ডু থানার ওসি আব্দুর রহিম মোল্লা গতকাল শনিবার জানান, তিনি এখনো ওয়ারেন্টের কপি পাননি। ওয়ারেন্ট অফিসারের সাথে কথা বলে জানাতে পারবো। তবে পুলিশ সুপার ও কোর্ট পরিদর্শকের দপ্তর থেকে বলা হয়েছে হরিণাকুন্ডু উপজেলার ভেড়াখালী গ্রামের গনি বিশ্বাসের ছেলে সাময়িক বরখাস্তকৃত ক্যাশ অফিসার আব্দুস সালামকে গ্রেপ্তারের জন্য ওয়ারেন্টের কপি গত ১২ ফেব্রুয়ারি থানায় পাঠানো হয়েছে।

কালীগঞ্জ থানা পুলিশ ওয়ারেন্টের কপি পেলেও একই সঙ্গে পাঠানো হরিণাকুন্ডু থানা পাবে না কেন এমন প্রশ্ন তোলেন আদালতের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা। অভিযোগ উঠেছে ইতিপুর্বে অস্ত্র আইনে দায়েরকৃত একটি মামলার ওয়ারেন্টের কপি হরিণাকুন্ডু থানা ৬ মাস গোপন রেখে আসামিকে সহায়তা করেছিল। এছাড়া হরিণাকুন্ডুর একজন নবনির্বাচিত ইউপি চেয়ারম্যান ঝিনাইদহ পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) অফিসে গিয়ে ব্যাংকের টাকা লুটের সঙ্গে জড়িত আসামীদের পক্ষে তদ্বীর করেন বলে পিবিআই’র এক কর্মকর্তা জানান।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

কালীগঞ্জ অগ্রণী ব্যাংকে দুই কোটি টাকা জালিয়াতি; তিনজনের নামে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা

আপলোড টাইম : ০৪:০৪:০০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২০ ফেব্রুয়ারী ২০২২

ঝিনাইদহ অফিস:

ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ অগ্রণী ব্যাংকের সাময়িক বরখাস্তকৃত দুই ব্যাংক কর্মকর্তা ও এক কর্মচারীর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা-জারি হয়েছে। ব্যাংক ম্যানেজার নাজমুস সাদাতের দায়েরকৃত মামলায় বিজ্ঞ আদালত তাদের বিরুদ্ধে এই পরোয়ানা জারি করেন। আসামিরা হলেন- কালীগঞ্জ অগ্রণী ব্যাংকের তৎকালীন সিনিয়র প্রিন্সিপাল অফিসার কালীগঞ্জের নিশ্চিন্তপুর গ্রামের জগন্নাথ চন্দ্র বিশ্বাসের ছেলে শৈলেন কুমার বিশ্বাস, হরিণাকুন্ডু উপজেলার ভেড়াখালী গ্রামের গনি বিশ্বাসের ছেলে সাময়িক বরখাস্তকৃত ক্যাশ অফিসার আব্দুস সালাম ও কালীগঞ্জের কাশিপুর গ্রামের বারিক মন্ডলের ছেলে চাকরিচ্যুত অস্থায়ী মাঠকর্মী আজির আলী। এরআগে গত ২৪ ডিসেম্বর কালীগঞ্জ উপজেলার পুকুরিয়া গ্রামের কৃষক আইনুল ইসলাম, বদর উদ্দীন ও মনোহরপুর গ্রামের ইন্তাজ আলী বাদী হয়ে কালীগঞ্জের বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আমলী আদালতে ঋণ জালিয়াতির মামলা করেন। মামলাটি ঝিনাইদহ পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) তদন্ত করছেন। ঝিনাইদহ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তৃতীয় আদালতে গত ১৭ জানুয়ারি দায়েরকৃত মামলায় কালীগঞ্জ অগ্রণী ব্যাংকের ম্যানেজার নাজমুস সাদাত উল্লেখ করেন আসামীরা পরস্পরের যোগসাজসে ঋণ গ্রহীতাদের টাকা আদায় করে ব্যাংকে জমা না দিয়ে প্রায় দুই কোটি টাকা আত্মসাৎ করেন। তারা প্রায় দুই তিন’শ লোকের নামে জাল জালিয়াতির মাধ্যমে লোন উত্তোলন করেন। বিজ্ঞ আদালত ৪০৬, ৪০৮, ৪১৮, ৪৬৭, ৪৬৮, ৪৭১ ও ১০৯ ধারায় মামলাটি আমলে নিয়ে আসামিদের বিরুদ্ধে ওয়ারেন্ট ইস্যু করে। মামলার পরবর্তী তারিখ আগামী ৭ মার্চ ধার্য্য করা হয়েছে। আদালত থেকে গ্রেপ্তারি পরোয়ানার চিঠি ঝিনাইদহ পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে পৌছালে গত ১২ ফেব্রুয়ারি পুলিশ সুপার স্বাক্ষর করে আসামিদের নিজ নিজ থানায় পাঠিয়ে দেন। কালীগঞ্জ থানায় বৃহস্পতিবার বিকেলে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা পৌছায় বলে কালীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহফুজুর রহমান জানান।

তথ্য নিয়ে জানা গেছে, এই মামলার আসামি শৈলেন কুমার বিশ্বাস ও আজির আলী গ্রেপ্তারি পরোয়ানা থানায় পৌছানোর আগেই তারা আত্মগোপনে চলে গেছেন।

এদিকে হরিণাকুন্ডু থানার ওসি আব্দুর রহিম মোল্লা গতকাল শনিবার জানান, তিনি এখনো ওয়ারেন্টের কপি পাননি। ওয়ারেন্ট অফিসারের সাথে কথা বলে জানাতে পারবো। তবে পুলিশ সুপার ও কোর্ট পরিদর্শকের দপ্তর থেকে বলা হয়েছে হরিণাকুন্ডু উপজেলার ভেড়াখালী গ্রামের গনি বিশ্বাসের ছেলে সাময়িক বরখাস্তকৃত ক্যাশ অফিসার আব্দুস সালামকে গ্রেপ্তারের জন্য ওয়ারেন্টের কপি গত ১২ ফেব্রুয়ারি থানায় পাঠানো হয়েছে।

কালীগঞ্জ থানা পুলিশ ওয়ারেন্টের কপি পেলেও একই সঙ্গে পাঠানো হরিণাকুন্ডু থানা পাবে না কেন এমন প্রশ্ন তোলেন আদালতের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা। অভিযোগ উঠেছে ইতিপুর্বে অস্ত্র আইনে দায়েরকৃত একটি মামলার ওয়ারেন্টের কপি হরিণাকুন্ডু থানা ৬ মাস গোপন রেখে আসামিকে সহায়তা করেছিল। এছাড়া হরিণাকুন্ডুর একজন নবনির্বাচিত ইউপি চেয়ারম্যান ঝিনাইদহ পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) অফিসে গিয়ে ব্যাংকের টাকা লুটের সঙ্গে জড়িত আসামীদের পক্ষে তদ্বীর করেন বলে পিবিআই’র এক কর্মকর্তা জানান।