ইপেপার । আজ বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মেহেরপুরে ঘাস মারা বিষ খেয়ে গৃহবধূর আত্মহত্যার চেষ্টা

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৩:৪২:০০ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৪ ফেব্রুয়ারী ২০২২
  • / ৩৫ বার পড়া হয়েছে

প্রতিবেদক, মেহেরপুর:

মেহেরপুরে ধর্ষণ মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি আ. রশিদ রায় হওয়ার ১৬ বছর পর আদালতে আত্মসমর্পণ করেছেন। আব্দুর রশিদ মেহেরপুর সদর উপজেলার কালিগাংনী গ্রামের বশির মণ্ডলের ছেলে।

জানা যায়, ২০০২ সালের ৫ আগস্ট রশিদ তাঁর প্রতিবেশী ভ্যানচালক আনছার আলীর বাড়ি প্রবেশ করে সেখানে তার ৮ বছর বয়সী মেয়েকে মুখ চেপে ধরে বাড়ি থেকে নিয়ে ধর্ষণ করে। পরে ওই রাতে তার অবস্থার অবন্নতি হলে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ওই ঘটনায় আনসার আলী বাদী হয়ে মেহেরপুর সদর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন বিশেষ ট্রাইবুনাল আদালতে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ এর ৯ (১) ধারায় একটি মামলা দায়ের করেন।

মামলায় ৮ জন সাক্ষী তাদের সাক্ষ্য প্রদান করেন। মামলায় রশিদ দোষী প্রমাণিত হওয়ায় ২০০৬ সালের ৮ মার্চ তৎকালীন মেহেরপুর জেলা ও দায়রা জজ, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক আব্দুল হামিদ আসামির রশিদকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড ১০ হাজার টাকা জরিমানা। অনাদায়ে আরও ৬ মাসের কারাদণ্ডাদেশ দেন। ওই সময় থেকে আসামি রশিদ পলাতক থাকেন। দীর্ঘ প্রায় ১৬ বছর পলাতক থাকার পর গতকাল রোববার দুপুরের দিকে মেহেরপুর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতের বিচারক মো. তৌহিদুল ইসলামের আদালতে আত্মসমর্পণ করলে বিজ্ঞ আদালত তাঁকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

মেহেরপুরে ঘাস মারা বিষ খেয়ে গৃহবধূর আত্মহত্যার চেষ্টা

আপলোড টাইম : ০৩:৪২:০০ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৪ ফেব্রুয়ারী ২০২২

প্রতিবেদক, মেহেরপুর:

মেহেরপুরে ধর্ষণ মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি আ. রশিদ রায় হওয়ার ১৬ বছর পর আদালতে আত্মসমর্পণ করেছেন। আব্দুর রশিদ মেহেরপুর সদর উপজেলার কালিগাংনী গ্রামের বশির মণ্ডলের ছেলে।

জানা যায়, ২০০২ সালের ৫ আগস্ট রশিদ তাঁর প্রতিবেশী ভ্যানচালক আনছার আলীর বাড়ি প্রবেশ করে সেখানে তার ৮ বছর বয়সী মেয়েকে মুখ চেপে ধরে বাড়ি থেকে নিয়ে ধর্ষণ করে। পরে ওই রাতে তার অবস্থার অবন্নতি হলে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ওই ঘটনায় আনসার আলী বাদী হয়ে মেহেরপুর সদর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন বিশেষ ট্রাইবুনাল আদালতে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ এর ৯ (১) ধারায় একটি মামলা দায়ের করেন।

মামলায় ৮ জন সাক্ষী তাদের সাক্ষ্য প্রদান করেন। মামলায় রশিদ দোষী প্রমাণিত হওয়ায় ২০০৬ সালের ৮ মার্চ তৎকালীন মেহেরপুর জেলা ও দায়রা জজ, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক আব্দুল হামিদ আসামির রশিদকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড ১০ হাজার টাকা জরিমানা। অনাদায়ে আরও ৬ মাসের কারাদণ্ডাদেশ দেন। ওই সময় থেকে আসামি রশিদ পলাতক থাকেন। দীর্ঘ প্রায় ১৬ বছর পলাতক থাকার পর গতকাল রোববার দুপুরের দিকে মেহেরপুর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতের বিচারক মো. তৌহিদুল ইসলামের আদালতে আত্মসমর্পণ করলে বিজ্ঞ আদালত তাঁকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।