ইপেপার । আজ শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ড্রাইভিং ভর্তি ও প্রশিক্ষণ কার্যক্রমে অনিয়ম!

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৯:৫০:৫৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৮ ফেব্রুয়ারী ২০২২
  • / ৩২ বার পড়া হয়েছে

ঝিনাইদহ অফিস:

স্কিল ফর এমপ্লোয়মেন্ট অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট প্রোগ্রামের (এসইআইপি)-এর আওতায় ঝিনাইদহে ড্রাইভিং ভর্তি ও প্রশিক্ষণ কার্যক্রমে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। টাকার বিনিময়ে এখানে ভর্তি ও ড্রাইভিং করানো হচ্ছে।

জানা গেছে, চলতি সেশনে ঝিনাইদহ সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে দুই শিফটে ৪০ জন ছাত্র-ছাত্রী প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণ করেন। ইতঃমধ্যে তাদের লিখিত, ব্যবহারিক ও ভাইভা পরীক্ষা শেষ হয়েছে। প্রশিক্ষণার্থীদের অভিযোগ পরীক্ষায় পাশ করানোর জন্য তাদের প্রত্যেকের কাছ থেকে দুই হাজার করে টাকা নেওয়া হয়েছে। প্রকল্পের নিয়ম অনুযায়ী সফলভাবে প্রশিক্ষণ শেষ করলে প্রশিক্ষণার্থীদের যাতায়াত খরচ হিসেবে প্রায় সাড়ে ৮ হাজার টাকা ও শিক্ষানবিশ লাইসেন্স প্রদান করা হয়। দুই শিফটের এই প্রশিক্ষণার্থীদের পুলিশ ভেরিফিকেশনের জন্যেও টাকা নেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ রযেছে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে প্রশিক্ষণার্থীরা অভিযোগ করেন, ঝিনাইদহ সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের এই প্রকল্পের কো-অর্ডিনেটর জাহিদুর রহমান এই টাকা আদায় করেন। প্রতি ব্যাচের কাছ থেকে তিনি টাকা আদায় করেন।

টাকা নেওয়ার বিষয়ে জানতে জাহিদুর রহমানকে ফোন করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি। তবে কলেজের অধ্যক্ষ মো. খলিলুর রহমান জানান, ‘এই প্রকল্পের বিষয়ে আমি কিছু জানি না। প্রকল্পের কো-অর্ডিনেটর জাহিদ সবকিছু বলতে পারবেন।’

অন্যদিকে ঝিনাইদহের বিআরটিসি ট্রেনিং ইনস্টিটিউটে ২০২০ সাল থেকে এখন পর্যন্ত ৪টি ব্যাচ বের হয়েছে। প্রতি ব্যাচে ১০০ জন করে প্রশিক্ষণ নিয়েছেন। এখানেও দুই থেকে তিনি হাজার টাকা নেওয়া হয়েছে। ভর্তির সময় আসলে লাউদিয়ার গ্রামের কয়েকজন রাজনৈতিক ব্যক্তির নিজস্ব লোকেরা ভর্তি ফর্ম বিক্রি করেন এবং তাদের বাছাইকৃত লোকেরায় ভর্তির সুযোগ পায়।

ট্রেনিং ম্যানেজার মোশারফ হোসেন জানান, তিনি জানুয়ারির ১০ তারিখে ঝিনাইদহে যোগদান করেছেন। এর আগে কোনো অনিয়ম হলে তিনি বলতে পারবেন না। তবে এখন কোনো অনিয়মের সুযোগ নেই।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

ড্রাইভিং ভর্তি ও প্রশিক্ষণ কার্যক্রমে অনিয়ম!

আপলোড টাইম : ০৯:৫০:৫৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৮ ফেব্রুয়ারী ২০২২

ঝিনাইদহ অফিস:

স্কিল ফর এমপ্লোয়মেন্ট অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট প্রোগ্রামের (এসইআইপি)-এর আওতায় ঝিনাইদহে ড্রাইভিং ভর্তি ও প্রশিক্ষণ কার্যক্রমে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। টাকার বিনিময়ে এখানে ভর্তি ও ড্রাইভিং করানো হচ্ছে।

জানা গেছে, চলতি সেশনে ঝিনাইদহ সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে দুই শিফটে ৪০ জন ছাত্র-ছাত্রী প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণ করেন। ইতঃমধ্যে তাদের লিখিত, ব্যবহারিক ও ভাইভা পরীক্ষা শেষ হয়েছে। প্রশিক্ষণার্থীদের অভিযোগ পরীক্ষায় পাশ করানোর জন্য তাদের প্রত্যেকের কাছ থেকে দুই হাজার করে টাকা নেওয়া হয়েছে। প্রকল্পের নিয়ম অনুযায়ী সফলভাবে প্রশিক্ষণ শেষ করলে প্রশিক্ষণার্থীদের যাতায়াত খরচ হিসেবে প্রায় সাড়ে ৮ হাজার টাকা ও শিক্ষানবিশ লাইসেন্স প্রদান করা হয়। দুই শিফটের এই প্রশিক্ষণার্থীদের পুলিশ ভেরিফিকেশনের জন্যেও টাকা নেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ রযেছে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে প্রশিক্ষণার্থীরা অভিযোগ করেন, ঝিনাইদহ সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের এই প্রকল্পের কো-অর্ডিনেটর জাহিদুর রহমান এই টাকা আদায় করেন। প্রতি ব্যাচের কাছ থেকে তিনি টাকা আদায় করেন।

টাকা নেওয়ার বিষয়ে জানতে জাহিদুর রহমানকে ফোন করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি। তবে কলেজের অধ্যক্ষ মো. খলিলুর রহমান জানান, ‘এই প্রকল্পের বিষয়ে আমি কিছু জানি না। প্রকল্পের কো-অর্ডিনেটর জাহিদ সবকিছু বলতে পারবেন।’

অন্যদিকে ঝিনাইদহের বিআরটিসি ট্রেনিং ইনস্টিটিউটে ২০২০ সাল থেকে এখন পর্যন্ত ৪টি ব্যাচ বের হয়েছে। প্রতি ব্যাচে ১০০ জন করে প্রশিক্ষণ নিয়েছেন। এখানেও দুই থেকে তিনি হাজার টাকা নেওয়া হয়েছে। ভর্তির সময় আসলে লাউদিয়ার গ্রামের কয়েকজন রাজনৈতিক ব্যক্তির নিজস্ব লোকেরা ভর্তি ফর্ম বিক্রি করেন এবং তাদের বাছাইকৃত লোকেরায় ভর্তির সুযোগ পায়।

ট্রেনিং ম্যানেজার মোশারফ হোসেন জানান, তিনি জানুয়ারির ১০ তারিখে ঝিনাইদহে যোগদান করেছেন। এর আগে কোনো অনিয়ম হলে তিনি বলতে পারবেন না। তবে এখন কোনো অনিয়মের সুযোগ নেই।