ইপেপার । আজ বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ঝিনাইদহে শিক্ষকের কিলঘুষি লাথিতে দুই ছাত্র আহত

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৬:৩১:৫৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৫ ফেব্রুয়ারী ২০১৭
  • / ৩৩৫ বার পড়া হয়েছে

ঝিনাইদহ অফিস: ঝিনাইদহ শিশুকুঞ্জু স্কুল এন্ড কলেজের ষষ্ঠ শ্রেণীর দুই ছাত্রকে কিল ঘুষি লাথি মেরে আহত করা হয়েছে । এরা হলো  ঝিনাইদহ ক্যাডেট কলেজের কর্মচারি শফিকুল ইসলামের ছেলে লিমন ও আতিকুর রহমানের ছেলে আবির।  ঘটনা  তদন্তে  ৩ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। বিষয়টি শুক্রবার বিকেলে জানা জানি হলে এলাকায় তোলপাড় শুরু হয়। সংশ্লিষ্ট স্কুল এন্ড কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আলী রেজা খবরের সত্যতা স্বীকার করেন। তিনি বলেন গত বুধবার (২২ ফেব্রুয়ারি) ষষ্ঠ শ্রেণীর দুই ছাত্র লিমন ও আবির ক্লাসে দুষ্টমী করছিল। এ সময় কলেজ শাখার যুক্তিবিদ্যার সহকারী অধ্যাপক শফিকুল ওই ছাত্রদ্বয়কে কিল ঘুষি মারে। এতে তারা সামন্য আহত হয়। স্কুলের পাশেই ক্যাডেট কলেজ ক্যাম্পাসেই তাদের বাড়ি। ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আরো বলেন, ঘটনার সময় যশোর ছিলেন তিনি। স্কুলে ফিরে ঘটনা জানতে পেরে আহত দুই ছাত্রকে দেখতে তাদের বাড়িতে যান। পরের দিন বৃহস্পতিবার আহত ছাত্রদের  মায়েরা বিচার দাবী করে তার কাছে অভিযোগ করেন। অধ্যক্ষ আরো  বলেন ঘটনা তদন্তে ইতিমধ্যে কলেজ শাখার প্রভাষক শাহাবুদ্দিন আহম্মদকে আহবায়ক, প্রভাষক লাইজু আহম্মেদ ও স্কুল শাখার শিক্ষক বিদ্যুৎ কুমারকে সদস্য করে কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিকে আগামী রোববারের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করার জন্য নির্দেশ দেয়া হয়েছে। ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষর দেওয়া তথ্য মতে অভিযুক্ত শিক্ষক ২০১২ সালের মে মাস থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। ঘটনার বিষয়ে স্কুল শাখার শিক্ষক তপন কুমার বলেন, আহত দুই ছাত্র ঘটনার দিনে অপর সহপাঠিদের নামে নালিশ করলে সহকারী অধ্যাপক শফিকুল বাশার তাদের কিলঘুষি ও লাথি মারে। এতে ওই দুই ছাত্র মারাত্মক ভাবে আহত হয়। পরের দিন বৃহস্পতিবার অধ্যক্ষর কাছে আহত ছাত্রদের মায়েরা অভিযোগ করেন। এ ধরনের ঘটনায় শিক্ষক, সাধারন ছাত্র-ছাত্রী ও অভিভাবকদের মাঝে ক্ষোভ বিরাজ করছে বলেও জানান তিনি। আহত ছাত্রদের পারিবারিক ভাবে চিকিৎসা করানো হয়েছে। এখন তারা সুস্থ্য আছে বলে জানা গেছে। এদিকে আহত ছাত্র আবিরের বাবা আতিকুর রহমান ঝিনাইদহ ক্যাডেট কলেজে আর্টম্যান পদে চাকরি করেন। সে জানায় ছেলেকে মারপিট করার ঘটনা ক্যাডেট কলেজ কতৃপক্ষকে অবহিত করেছেন। তার ভাষায় আবিরের মা স্কুলের শিক্ষকদের কাছে অভিযোগ করেছেন। এর বেশী কিছু বলতে রাজি হননি তিনি। অপর দিকে গঠিত তদন্ত কমিটির আহবায়ক বলেছেন, কি ঘটনা ঘটেছে জানা নেই তার। ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ শুক্রবার সকালের দিকে ফোনে তাকে বিষয়টি অবহিত করেছেন। শনিবার স্কুলে যাওয়ার পরে  প্রকৃত  ঘটনা জানা সম্ভব হবে বলে দাবী করেন তিনি। একই কথা বলেন তদন্ত কমিটির অপর সদস্য বিদ্যুৎ কুমার। অভিযুক্ত শফিকুলের বক্তব্য নেওয়ার জন্য কলেজ কর্তৃপক্ষের দেওয়া ০১৭১১১৮৩৮৩৫ নাম্বারের মোবাইলে ফোন করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

ঝিনাইদহে শিক্ষকের কিলঘুষি লাথিতে দুই ছাত্র আহত

আপলোড টাইম : ০৬:৩১:৫৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৫ ফেব্রুয়ারী ২০১৭

ঝিনাইদহ অফিস: ঝিনাইদহ শিশুকুঞ্জু স্কুল এন্ড কলেজের ষষ্ঠ শ্রেণীর দুই ছাত্রকে কিল ঘুষি লাথি মেরে আহত করা হয়েছে । এরা হলো  ঝিনাইদহ ক্যাডেট কলেজের কর্মচারি শফিকুল ইসলামের ছেলে লিমন ও আতিকুর রহমানের ছেলে আবির।  ঘটনা  তদন্তে  ৩ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। বিষয়টি শুক্রবার বিকেলে জানা জানি হলে এলাকায় তোলপাড় শুরু হয়। সংশ্লিষ্ট স্কুল এন্ড কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আলী রেজা খবরের সত্যতা স্বীকার করেন। তিনি বলেন গত বুধবার (২২ ফেব্রুয়ারি) ষষ্ঠ শ্রেণীর দুই ছাত্র লিমন ও আবির ক্লাসে দুষ্টমী করছিল। এ সময় কলেজ শাখার যুক্তিবিদ্যার সহকারী অধ্যাপক শফিকুল ওই ছাত্রদ্বয়কে কিল ঘুষি মারে। এতে তারা সামন্য আহত হয়। স্কুলের পাশেই ক্যাডেট কলেজ ক্যাম্পাসেই তাদের বাড়ি। ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আরো বলেন, ঘটনার সময় যশোর ছিলেন তিনি। স্কুলে ফিরে ঘটনা জানতে পেরে আহত দুই ছাত্রকে দেখতে তাদের বাড়িতে যান। পরের দিন বৃহস্পতিবার আহত ছাত্রদের  মায়েরা বিচার দাবী করে তার কাছে অভিযোগ করেন। অধ্যক্ষ আরো  বলেন ঘটনা তদন্তে ইতিমধ্যে কলেজ শাখার প্রভাষক শাহাবুদ্দিন আহম্মদকে আহবায়ক, প্রভাষক লাইজু আহম্মেদ ও স্কুল শাখার শিক্ষক বিদ্যুৎ কুমারকে সদস্য করে কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিকে আগামী রোববারের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করার জন্য নির্দেশ দেয়া হয়েছে। ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষর দেওয়া তথ্য মতে অভিযুক্ত শিক্ষক ২০১২ সালের মে মাস থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। ঘটনার বিষয়ে স্কুল শাখার শিক্ষক তপন কুমার বলেন, আহত দুই ছাত্র ঘটনার দিনে অপর সহপাঠিদের নামে নালিশ করলে সহকারী অধ্যাপক শফিকুল বাশার তাদের কিলঘুষি ও লাথি মারে। এতে ওই দুই ছাত্র মারাত্মক ভাবে আহত হয়। পরের দিন বৃহস্পতিবার অধ্যক্ষর কাছে আহত ছাত্রদের মায়েরা অভিযোগ করেন। এ ধরনের ঘটনায় শিক্ষক, সাধারন ছাত্র-ছাত্রী ও অভিভাবকদের মাঝে ক্ষোভ বিরাজ করছে বলেও জানান তিনি। আহত ছাত্রদের পারিবারিক ভাবে চিকিৎসা করানো হয়েছে। এখন তারা সুস্থ্য আছে বলে জানা গেছে। এদিকে আহত ছাত্র আবিরের বাবা আতিকুর রহমান ঝিনাইদহ ক্যাডেট কলেজে আর্টম্যান পদে চাকরি করেন। সে জানায় ছেলেকে মারপিট করার ঘটনা ক্যাডেট কলেজ কতৃপক্ষকে অবহিত করেছেন। তার ভাষায় আবিরের মা স্কুলের শিক্ষকদের কাছে অভিযোগ করেছেন। এর বেশী কিছু বলতে রাজি হননি তিনি। অপর দিকে গঠিত তদন্ত কমিটির আহবায়ক বলেছেন, কি ঘটনা ঘটেছে জানা নেই তার। ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ শুক্রবার সকালের দিকে ফোনে তাকে বিষয়টি অবহিত করেছেন। শনিবার স্কুলে যাওয়ার পরে  প্রকৃত  ঘটনা জানা সম্ভব হবে বলে দাবী করেন তিনি। একই কথা বলেন তদন্ত কমিটির অপর সদস্য বিদ্যুৎ কুমার। অভিযুক্ত শফিকুলের বক্তব্য নেওয়ার জন্য কলেজ কর্তৃপক্ষের দেওয়া ০১৭১১১৮৩৮৩৫ নাম্বারের মোবাইলে ফোন করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।