ইপেপার । আজ শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

চুয়াডাঙ্গা তিতুদহের গ্রামগুলোতে আমগাছে অধিক হারে মুকুল : মৌ মৌ মিষ্টি গন্ধে মুখরিত চারিপাশ

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৯:২৭:০২ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৫ ফেব্রুয়ারী ২০১৭
  • / ১১৬৯ বার পড়া হয়েছে

mukul

আকিমুল ইসলাম: ছয় ঋতুর এই বাংলাদেশে পাতাঝড়া ষড়ঋতুর রাজা বসন্ত। আবহমান বাংলার সৌর্ন্দযের রাজা বলে পরিচিত গ্রীষ্মকাল। ফাগুনের ছোঁয়ায় পলাশ-শিমুলের বনে লেগেছে আগুন রাঙা ফুলের মেলা। শীতের জড়তা কাটিয়ে কোকিলের সেই সুমধুর কুহুতানে মাতাল করতে আবারও ফিরে এলো বাংলার বুক মাতাল করতে ঋতুরাজ বসন্ত।রঙিন-বন ফুলের সমারোহে প্রকৃতি যেমন সেজেছে বর্ণিল সাজে, তেমনি নতুন সাজে যেন সেজেছে পার্শ্ববর্তী জেলার মত চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার তিতুদহ ইউনিয়নের প্রায় ৩শত বিঘা সমস্ত এলাকার আম বাগানগুলো। আমের মুকুলে ভরপুর আর ঘ্রাণে  সবত্র এলাকায় জানান দিচ্ছে বসন্তের আগমনী বার্তা। শোভা ছড়াচ্ছে নিজস্ব মহিমায়। মুকুলে মুকুলে ভরে গেছে বাগানগুলো প্রায় ৬০ শতাংশ গাছেই এসেছে মুকুল। বাগান মালিক, কৃষিবিদ, আমচাষিরা আশা করছেন বড় ধরনের কোন প্রাকৃতিক দূর্যোগ না হলে এবং আবহাওয়া অনুকুলে থাকলে চুয়াডাঙ্গার সমস্ত এলাকার এবার আমের বাম্পার ফলন হবে। আমচাষি ও বাগান মালিকরা বাগানে পরিচর্যা নিয়ে এখন ব্যস্ত সময় পার করছেন। অবশ্য গাছে মুকুল আশার আগে থেকেই গাছের পরিচর্যা করে আসছেন তারা। যাতে করে গাছে মুকুল বা গুটি বাঁধার সময় কোন সমস্যার সৃষ্টি না হয়। সারিবদ্ধ গাছে ভরপুর আমের মুকুল যেন শোভা ছড়াচ্ছে তার নিজস্ব মহিমায়। তিতুদহ ইউনিয়নজুড়ে ফজলি, খিড়সা, মোহনা, রাজভোগ, রূপালী, গোপালভোগসহ অন্যান্য জাতের আম চাষের উপযোক্ত হওয়ায় চাষীরা নিজ উদ্যোগে প্রথমে জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে চারা সংগ্রহ করে আমের বাগান সৃজন করলেও বর্তমানে তারা নিজেরাই চারা উৎপাদন করে তাদের ভাগ্য উন্নয়নের জন্য প্রাণপণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। সুফলও পেয়েছেন অনেকেই। আম চাষে সফল কৃষকেরর মধ্যে অনেকে বলেন পুরাপুরিভাবে এখনো সব গাছে মুকুল আসেনি কয়েকদিনের মধ্যেই সকল গাছেই মুকুল আসবে। আমরা এ চাষে থেকে অনেক টাকা আয় করেছি।আমচাষীরা জানান, ক্ষতিকারক পোকার আক্রমণ কম থাকায় এবার কাঙ্খিত ফলনের আশা করছেন আম চাষিরা। সুবিধাভোগীদের সুফল দেখে চাষিরা আম চাষে উৎসাহিত হয়ে নিজ নিজ উদ্যোগে নতুন নতুন বাগান সুজন করছেন। ধীরে ধীরে এ জেলার সমস্ত এলাকা জুড়ে সম্পসারিত হচ্ছে আমের বাগান। উৎপাদিত আম মানসম্মত হওয়ায় চাহিদাও বাড়বে বলে অনেকে আশা করছেন। এবিষয়ে অনেক আমচাষীরা সমীকরণকে  জানান যে বিরাজমান আবহাওয়া ও চুয়াডাঙ্গা জেলার প্রায় সমস্ত অঞ্চলের মাটিই আম চাষের জন্য বিশেষ উপযোগী। এ বছর আবহাওয়া অনুকুল থাকলে অবশ্যয় আমের উৎপাদন গত বছরের তুলনায় অনেক বেশি পাওয়া যাবে।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

চুয়াডাঙ্গা তিতুদহের গ্রামগুলোতে আমগাছে অধিক হারে মুকুল : মৌ মৌ মিষ্টি গন্ধে মুখরিত চারিপাশ

আপলোড টাইম : ০৯:২৭:০২ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৫ ফেব্রুয়ারী ২০১৭

mukul

আকিমুল ইসলাম: ছয় ঋতুর এই বাংলাদেশে পাতাঝড়া ষড়ঋতুর রাজা বসন্ত। আবহমান বাংলার সৌর্ন্দযের রাজা বলে পরিচিত গ্রীষ্মকাল। ফাগুনের ছোঁয়ায় পলাশ-শিমুলের বনে লেগেছে আগুন রাঙা ফুলের মেলা। শীতের জড়তা কাটিয়ে কোকিলের সেই সুমধুর কুহুতানে মাতাল করতে আবারও ফিরে এলো বাংলার বুক মাতাল করতে ঋতুরাজ বসন্ত।রঙিন-বন ফুলের সমারোহে প্রকৃতি যেমন সেজেছে বর্ণিল সাজে, তেমনি নতুন সাজে যেন সেজেছে পার্শ্ববর্তী জেলার মত চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার তিতুদহ ইউনিয়নের প্রায় ৩শত বিঘা সমস্ত এলাকার আম বাগানগুলো। আমের মুকুলে ভরপুর আর ঘ্রাণে  সবত্র এলাকায় জানান দিচ্ছে বসন্তের আগমনী বার্তা। শোভা ছড়াচ্ছে নিজস্ব মহিমায়। মুকুলে মুকুলে ভরে গেছে বাগানগুলো প্রায় ৬০ শতাংশ গাছেই এসেছে মুকুল। বাগান মালিক, কৃষিবিদ, আমচাষিরা আশা করছেন বড় ধরনের কোন প্রাকৃতিক দূর্যোগ না হলে এবং আবহাওয়া অনুকুলে থাকলে চুয়াডাঙ্গার সমস্ত এলাকার এবার আমের বাম্পার ফলন হবে। আমচাষি ও বাগান মালিকরা বাগানে পরিচর্যা নিয়ে এখন ব্যস্ত সময় পার করছেন। অবশ্য গাছে মুকুল আশার আগে থেকেই গাছের পরিচর্যা করে আসছেন তারা। যাতে করে গাছে মুকুল বা গুটি বাঁধার সময় কোন সমস্যার সৃষ্টি না হয়। সারিবদ্ধ গাছে ভরপুর আমের মুকুল যেন শোভা ছড়াচ্ছে তার নিজস্ব মহিমায়। তিতুদহ ইউনিয়নজুড়ে ফজলি, খিড়সা, মোহনা, রাজভোগ, রূপালী, গোপালভোগসহ অন্যান্য জাতের আম চাষের উপযোক্ত হওয়ায় চাষীরা নিজ উদ্যোগে প্রথমে জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে চারা সংগ্রহ করে আমের বাগান সৃজন করলেও বর্তমানে তারা নিজেরাই চারা উৎপাদন করে তাদের ভাগ্য উন্নয়নের জন্য প্রাণপণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। সুফলও পেয়েছেন অনেকেই। আম চাষে সফল কৃষকেরর মধ্যে অনেকে বলেন পুরাপুরিভাবে এখনো সব গাছে মুকুল আসেনি কয়েকদিনের মধ্যেই সকল গাছেই মুকুল আসবে। আমরা এ চাষে থেকে অনেক টাকা আয় করেছি।আমচাষীরা জানান, ক্ষতিকারক পোকার আক্রমণ কম থাকায় এবার কাঙ্খিত ফলনের আশা করছেন আম চাষিরা। সুবিধাভোগীদের সুফল দেখে চাষিরা আম চাষে উৎসাহিত হয়ে নিজ নিজ উদ্যোগে নতুন নতুন বাগান সুজন করছেন। ধীরে ধীরে এ জেলার সমস্ত এলাকা জুড়ে সম্পসারিত হচ্ছে আমের বাগান। উৎপাদিত আম মানসম্মত হওয়ায় চাহিদাও বাড়বে বলে অনেকে আশা করছেন। এবিষয়ে অনেক আমচাষীরা সমীকরণকে  জানান যে বিরাজমান আবহাওয়া ও চুয়াডাঙ্গা জেলার প্রায় সমস্ত অঞ্চলের মাটিই আম চাষের জন্য বিশেষ উপযোগী। এ বছর আবহাওয়া অনুকুল থাকলে অবশ্যয় আমের উৎপাদন গত বছরের তুলনায় অনেক বেশি পাওয়া যাবে।