ইপেপার । আজ শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মুক্তিযোদ্ধার সন্তান হয়েও ফুটবলার ওহিদুলের ভাগ্যে জোটেনি সরকারী চাকুরী

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৫:০২:৪৫ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৩ ফেব্রুয়ারী ২০১৭
  • / ৩১৭ বার পড়া হয়েছে

Jhenaidah-Ohidul-Islam--Phoঝিনাইদহ অফিস: বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান হয়েও দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলের মাঠ কাপানো ফুটবলার ওহিদুলের ভাগ্যে সরকারি চাকরী জোটেনি। খেলা থেকে অবসরে না গেলেও মনের কষ্টে এখন ঘরের মধ্যেই কাটে তার জীবন। বিভিন্ন অফিসে দেন দরবার করেও কোন ফল হয়নি। বিভিন্ন  মাঠে দারুন খেলা দেখিয়ে অর্জিত সার্টিফিকেট, মেডেল, ক্রেস্ট দেখিয়ে ওহিদুলের আক্ষেপ সারা জীবন সে কি বেকারই থেকে যাবে। ঝিনাইদহ জেলার কালীগঞ্জ পৌরসভার বলিদাপাড়া গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুল আমীন ওরফে কালাপাহাড় এর ছেলে ওহিদুল। ওহিদুল ইসলাম জানান, বাবা একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা। চার ভাই ও এক বোনের সংসার। বাবা মোবারকগঞ্জ চিনিকলের একজন শ্রমিক ছিলেন। অবসরে গেছেন বেশ কয়েক বছর আগে। সংসারে হাল ধরতে হবে তার। কিন্তু নেই কোন কাজ। খেলা ধুলার পেছনে সময় দিতে গিয়ে পড়াশোনা করতে পারেনি ঠিক মতো। অষ্টম শ্রেণী পর্যন্ত পড়াশোনা করেছে সে।  ফুটবলকে সাথে নিয়ে চষে বেড়িয়েছে সারা দেশে। দেশের এ মাথা থেকে ও মাথা পর্যন্ত গেছেন ফুলবল খেলতে।  ২০০০ সালে  ২য় ঢাকা বিভাগ লীগে সেরা গোলদাতা সে, ২০০৫ সালে প্রথম বিভাগ ঢাকা লীগেও সে সেরা গোলদাতা হয়। তার ঝুলিতে রয়েছে অর্ধশতাধিক  ক্রেস্ট,মেডেল ও সার্টিফিকেট। কিন্তু তার  কপালে জোটেটি একটি চাকুরি। ওহিদুল ইসলাম জানান, এখন আর তেমন ফুটবল খেলতে পারি না। শারিরিক ভাবে অসুস্থ্যও হয়ে পড়েছে সে। চাকুরি বাকরি নেই। সারাদিন ঘরেই বসে থাকি। সংসারের হালও ধরতে পারছি না।  তিনি আরো জানান, সরকার মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের জন্য অনেক সুযোগ সুবিধা করেছে। আমার খেলার কোটাও আছে। কিন্তু তার কোন চাকরী হচ্ছে না। তিনি ছোটখাট একটা সরকারী চাকরী দাবী করেছেন।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

মুক্তিযোদ্ধার সন্তান হয়েও ফুটবলার ওহিদুলের ভাগ্যে জোটেনি সরকারী চাকুরী

আপলোড টাইম : ০৫:০২:৪৫ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৩ ফেব্রুয়ারী ২০১৭

Jhenaidah-Ohidul-Islam--Phoঝিনাইদহ অফিস: বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান হয়েও দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলের মাঠ কাপানো ফুটবলার ওহিদুলের ভাগ্যে সরকারি চাকরী জোটেনি। খেলা থেকে অবসরে না গেলেও মনের কষ্টে এখন ঘরের মধ্যেই কাটে তার জীবন। বিভিন্ন অফিসে দেন দরবার করেও কোন ফল হয়নি। বিভিন্ন  মাঠে দারুন খেলা দেখিয়ে অর্জিত সার্টিফিকেট, মেডেল, ক্রেস্ট দেখিয়ে ওহিদুলের আক্ষেপ সারা জীবন সে কি বেকারই থেকে যাবে। ঝিনাইদহ জেলার কালীগঞ্জ পৌরসভার বলিদাপাড়া গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুল আমীন ওরফে কালাপাহাড় এর ছেলে ওহিদুল। ওহিদুল ইসলাম জানান, বাবা একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা। চার ভাই ও এক বোনের সংসার। বাবা মোবারকগঞ্জ চিনিকলের একজন শ্রমিক ছিলেন। অবসরে গেছেন বেশ কয়েক বছর আগে। সংসারে হাল ধরতে হবে তার। কিন্তু নেই কোন কাজ। খেলা ধুলার পেছনে সময় দিতে গিয়ে পড়াশোনা করতে পারেনি ঠিক মতো। অষ্টম শ্রেণী পর্যন্ত পড়াশোনা করেছে সে।  ফুটবলকে সাথে নিয়ে চষে বেড়িয়েছে সারা দেশে। দেশের এ মাথা থেকে ও মাথা পর্যন্ত গেছেন ফুলবল খেলতে।  ২০০০ সালে  ২য় ঢাকা বিভাগ লীগে সেরা গোলদাতা সে, ২০০৫ সালে প্রথম বিভাগ ঢাকা লীগেও সে সেরা গোলদাতা হয়। তার ঝুলিতে রয়েছে অর্ধশতাধিক  ক্রেস্ট,মেডেল ও সার্টিফিকেট। কিন্তু তার  কপালে জোটেটি একটি চাকুরি। ওহিদুল ইসলাম জানান, এখন আর তেমন ফুটবল খেলতে পারি না। শারিরিক ভাবে অসুস্থ্যও হয়ে পড়েছে সে। চাকুরি বাকরি নেই। সারাদিন ঘরেই বসে থাকি। সংসারের হালও ধরতে পারছি না।  তিনি আরো জানান, সরকার মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের জন্য অনেক সুযোগ সুবিধা করেছে। আমার খেলার কোটাও আছে। কিন্তু তার কোন চাকরী হচ্ছে না। তিনি ছোটখাট একটা সরকারী চাকরী দাবী করেছেন।