ইপেপার । আজ শনিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৪

৮ বছর পর দর্শনায় সাবেক শাশুড়ীকে কুপিয়ে হত্যা মামলার রায় ঘোষণা

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ১০:০৯:৪৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১ জুন ২০২২
  • / ২৯ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক: দর্শনায় সাবেক শাশুড়ীকে কুপিয়ে হত্যার দায়ে জামাইকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এ মামলায় আরও ৪ জনের ৭ বছর করে কারাদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে চুয়াডাঙ্গা জেলা জজ আদালতের বিচারক জিয়া হায়দার এ রায় ঘোষণা করেন। পরে তাঁদেরকে জেলা কারাগারে নেওয়া হয়।

দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- যশোরের চৌগাছা থানার গুয়াতলী গ্রামের মৃত শের আলী মণ্ডলের ছেলে আতিয়ার রহমান। তাঁকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়। এছাড়া একই গ্রামের মৃত জহর আলী মণ্ডলের আব্দুল লতিফ, লিয়াকত আলীর ছেলে মোমিন, মৃত হুজুর আলী মণ্ডলের ছেলে আব্দুল গনি ও একই উপজেলান বাদেখানপুর মাঝপাড়ার মৃত ইসমাইল বিশ্বাসের ছেলে আনোয়ার হোসেন আনুকে ৭ বছর করে কারাদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়।

মামলা সূত্রে জানা গেছে, দামুড়হুদা থানার দর্শনার আজিমপুর স্কুলপাড়ার আব্দুল কাদেরের মেয়ে জোসনা খাতুনের সাথে বিয়ে হয় চৌগাছার আতিয়ার রহমানের। এরপর তাঁদের বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটে। বিচ্ছেদের জের ধরে ২০১৪ সালের ২৬ জুন আতিয়ারসহ ৫ আসামি জোসনা খাতুনের বাড়িতে হানা দেয়। এসময় সাবেক স্ত্রী জোসনাকে অপহরণ করে নিয়ে যাওয়ার সময় জোসনার মা তহমিনা খাতুন বাধা দিলে তাঁকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করা হয়। পরে তাঁকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নিলে সেখানে মারা যান তহমিনা খাতুন।

এ ঘটনায় ৫ জনকে আসামি করে পরদিন দামুড়হুদা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন তহমিনা খাতুনের স্বামী আব্দুল কাদের। মামলাটির তদন্ত শেষে ২০১৪ সালের ৩১ অক্টোবর আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন দর্শনা পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের তৎকালীন এসআই মিজানুর রহমান। এরপর ১৪ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ ও পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে দীর্ঘ ৮ বছর পর এ মামলায় রায় ঘোষণা করা হয়। রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী হিসেবে মামলাটি পরিচালনা করেন পিপি বেলাল হোসেন।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

৮ বছর পর দর্শনায় সাবেক শাশুড়ীকে কুপিয়ে হত্যা মামলার রায় ঘোষণা

আপলোড টাইম : ১০:০৯:৪৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১ জুন ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক: দর্শনায় সাবেক শাশুড়ীকে কুপিয়ে হত্যার দায়ে জামাইকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এ মামলায় আরও ৪ জনের ৭ বছর করে কারাদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে চুয়াডাঙ্গা জেলা জজ আদালতের বিচারক জিয়া হায়দার এ রায় ঘোষণা করেন। পরে তাঁদেরকে জেলা কারাগারে নেওয়া হয়।

দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- যশোরের চৌগাছা থানার গুয়াতলী গ্রামের মৃত শের আলী মণ্ডলের ছেলে আতিয়ার রহমান। তাঁকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়। এছাড়া একই গ্রামের মৃত জহর আলী মণ্ডলের আব্দুল লতিফ, লিয়াকত আলীর ছেলে মোমিন, মৃত হুজুর আলী মণ্ডলের ছেলে আব্দুল গনি ও একই উপজেলান বাদেখানপুর মাঝপাড়ার মৃত ইসমাইল বিশ্বাসের ছেলে আনোয়ার হোসেন আনুকে ৭ বছর করে কারাদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়।

মামলা সূত্রে জানা গেছে, দামুড়হুদা থানার দর্শনার আজিমপুর স্কুলপাড়ার আব্দুল কাদেরের মেয়ে জোসনা খাতুনের সাথে বিয়ে হয় চৌগাছার আতিয়ার রহমানের। এরপর তাঁদের বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটে। বিচ্ছেদের জের ধরে ২০১৪ সালের ২৬ জুন আতিয়ারসহ ৫ আসামি জোসনা খাতুনের বাড়িতে হানা দেয়। এসময় সাবেক স্ত্রী জোসনাকে অপহরণ করে নিয়ে যাওয়ার সময় জোসনার মা তহমিনা খাতুন বাধা দিলে তাঁকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করা হয়। পরে তাঁকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নিলে সেখানে মারা যান তহমিনা খাতুন।

এ ঘটনায় ৫ জনকে আসামি করে পরদিন দামুড়হুদা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন তহমিনা খাতুনের স্বামী আব্দুল কাদের। মামলাটির তদন্ত শেষে ২০১৪ সালের ৩১ অক্টোবর আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন দর্শনা পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের তৎকালীন এসআই মিজানুর রহমান। এরপর ১৪ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ ও পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে দীর্ঘ ৮ বছর পর এ মামলায় রায় ঘোষণা করা হয়। রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী হিসেবে মামলাটি পরিচালনা করেন পিপি বেলাল হোসেন।