ইপেপার । আজ সোমবার, ২১ অক্টোবর ২০২৪

৬২নং আড়িয়া দাখিল মাদ্রাসার নিয়োগ পরীক্ষায় অনিয়মের অভিযোগ

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০১:৫২:৪৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ৬ নভেম্বর ২০২২
  • / ২১ বার পড়া হয়েছে

তিতুদহ ও হিজলগাড়ী, প্রতিবেদক,: চুয়াডাঙ্গার ৬২ নম্বর আড়িয়া দাখিল মাদ্রাসার নিরাপত্তাকর্মী পদে নিয়োগ পরীক্ষায় অনিয়মের অভিযোগ তুলেছেন নিয়োগ পরীক্ষায় অংশ নেওয়া চার প্রার্থী। মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির সভাপতি তাঁর আপন ভাতিজা আবু সাঈদকে পূর্বে থেকে নির্বাচন করে রেখে লোক দেখানো নিয়োগ পরীক্ষা নিয়েছেন। নিয়োগ পরীক্ষায় অনিয়মের অভিযোগ তুলে অন্যান্য প্রার্থীরা পরীক্ষা বর্জন করেছেন। গতকাল শনিবার বেলা ১১টায় পরীক্ষা শুরু হওয়ার কথা থাকলেও ২০ মিনিট সময় বিলম্ব করে পরীক্ষা শুরু করে কর্তৃপক্ষ। পরীক্ষায় ১২ জন প্রার্থী আবেদন করলেও সভাপতির ভাইয়ের ছেলের চাকরি নিশ্চিতের বিষয়ে জানতে পেরে মাত্র চারজন প্রার্থী পরীক্ষা দিয়েছেন। অনেকটা নাটকীয়ভাবে সকল কার্যক্রম চালানো হয়েছে বলে হিজলগাড়ী প্রেসক্লাবে লিখিতভাবে জানিয়েছেন অভিযোগকারীরা। আজ চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) ও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ করবেন বলে জানান ওই চার প্রার্থী।

লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, গতকাল চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার তিতুদহ ইউনিয়নের ৬২ নম্বর আড়িয়া দাখিল মাদ্রাসার নতুন সৃষ্ট একজন নিরাপত্তাকর্মী পদে গত ৮ আগস্ট স্থানীয় একটি পত্রিকায় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ। যার প্রেক্ষিতে ১২ জন চাকরি প্রার্থী নিয়ম মেনে আবেদন করেন। গতকাল বেলা ১১টায় ২০ নম্বরের লিখিত ও ১০ নম্বর মৌখিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন মাত্র ৮ জন। অন্য চারজন সভাপতির ভাতিজা নির্বাচিত জেনে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেননি। তাঁরা পরীক্ষায় অনিয়মের অভিযোগ তুলে পরীক্ষা বর্জন করেন। নিয়োগ পরীক্ষার অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে লিখিত অভিযোগ করেছেন তুহিন হোসেন, নাজমিন, শাহিন ও তৌহিদ নামের ওই চার চাকরি প্রার্থী।

এ বিষয়ে মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির সভাপতি আব্দুর রাজ্জাকের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘নিয়োগ পরীক্ষা নিয়ম মেনেই হয়েছে। এখানে ডিজির প্রতিনিধিরা ছিলেন। যারা অভিযোগ করছেন, তারা পরীক্ষা না দিয়ে বিভিন্ন জায়গায় অভিযোগ করে বেড়াচ্ছে। তাদের অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। প্রশ্নপত্র তৈরি করতে দেরি হবার কারণে পরীক্ষা নিতে সামান্য বিলম্ব হয়।’ মাদ্রাসার সুপার মো. ছানোয়ার হোসেনের কাছে জানতে চাইলে তিনিও পরীক্ষায় অনিয়মের অভিযোগ অস্বীকার করেন।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

৬২নং আড়িয়া দাখিল মাদ্রাসার নিয়োগ পরীক্ষায় অনিয়মের অভিযোগ

আপলোড টাইম : ০১:৫২:৪৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ৬ নভেম্বর ২০২২

তিতুদহ ও হিজলগাড়ী, প্রতিবেদক,: চুয়াডাঙ্গার ৬২ নম্বর আড়িয়া দাখিল মাদ্রাসার নিরাপত্তাকর্মী পদে নিয়োগ পরীক্ষায় অনিয়মের অভিযোগ তুলেছেন নিয়োগ পরীক্ষায় অংশ নেওয়া চার প্রার্থী। মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির সভাপতি তাঁর আপন ভাতিজা আবু সাঈদকে পূর্বে থেকে নির্বাচন করে রেখে লোক দেখানো নিয়োগ পরীক্ষা নিয়েছেন। নিয়োগ পরীক্ষায় অনিয়মের অভিযোগ তুলে অন্যান্য প্রার্থীরা পরীক্ষা বর্জন করেছেন। গতকাল শনিবার বেলা ১১টায় পরীক্ষা শুরু হওয়ার কথা থাকলেও ২০ মিনিট সময় বিলম্ব করে পরীক্ষা শুরু করে কর্তৃপক্ষ। পরীক্ষায় ১২ জন প্রার্থী আবেদন করলেও সভাপতির ভাইয়ের ছেলের চাকরি নিশ্চিতের বিষয়ে জানতে পেরে মাত্র চারজন প্রার্থী পরীক্ষা দিয়েছেন। অনেকটা নাটকীয়ভাবে সকল কার্যক্রম চালানো হয়েছে বলে হিজলগাড়ী প্রেসক্লাবে লিখিতভাবে জানিয়েছেন অভিযোগকারীরা। আজ চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) ও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ করবেন বলে জানান ওই চার প্রার্থী।

লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, গতকাল চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার তিতুদহ ইউনিয়নের ৬২ নম্বর আড়িয়া দাখিল মাদ্রাসার নতুন সৃষ্ট একজন নিরাপত্তাকর্মী পদে গত ৮ আগস্ট স্থানীয় একটি পত্রিকায় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ। যার প্রেক্ষিতে ১২ জন চাকরি প্রার্থী নিয়ম মেনে আবেদন করেন। গতকাল বেলা ১১টায় ২০ নম্বরের লিখিত ও ১০ নম্বর মৌখিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন মাত্র ৮ জন। অন্য চারজন সভাপতির ভাতিজা নির্বাচিত জেনে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেননি। তাঁরা পরীক্ষায় অনিয়মের অভিযোগ তুলে পরীক্ষা বর্জন করেন। নিয়োগ পরীক্ষার অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে লিখিত অভিযোগ করেছেন তুহিন হোসেন, নাজমিন, শাহিন ও তৌহিদ নামের ওই চার চাকরি প্রার্থী।

এ বিষয়ে মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির সভাপতি আব্দুর রাজ্জাকের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘নিয়োগ পরীক্ষা নিয়ম মেনেই হয়েছে। এখানে ডিজির প্রতিনিধিরা ছিলেন। যারা অভিযোগ করছেন, তারা পরীক্ষা না দিয়ে বিভিন্ন জায়গায় অভিযোগ করে বেড়াচ্ছে। তাদের অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। প্রশ্নপত্র তৈরি করতে দেরি হবার কারণে পরীক্ষা নিতে সামান্য বিলম্ব হয়।’ মাদ্রাসার সুপার মো. ছানোয়ার হোসেনের কাছে জানতে চাইলে তিনিও পরীক্ষায় অনিয়মের অভিযোগ অস্বীকার করেন।