ইপেপার । আজ মঙ্গলবার, ২২ অক্টোবর ২০২৪

৩৯ কোটি টাকার রাস্তা দেড় বছরেই ধস!

ঝিনাইদহ অফিস:
  • আপলোড টাইম : ০৯:৩৪:৫৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ অক্টোবর ২০২৪
  • / ২ বার পড়া হয়েছে

ঝিনাইদহের মহেশপুরে ৩৯ কোটি টাকার রাস্তা দেড় বছর যেতে না যেতেই ভেঙে গেছে। ইতিমধ্যে ভাঙন ঠেকাতে দেড় বছরে রাস্তাটি তিন দফায় মেরামত করা হয়েছে। সর্বশেষ ১০২ মিটার ভাঙা সড়ক মেরামতে ৩২ লাখ টাকা ব্যয় করা হলেও কাজের কাজ কিছুই হয়নি।
তথ্য নিয়ে জানা গেছে, মহেশপুর পৌরসভার সামনে কপোতাক্ষ নদের ধার ঘেঁষে যাওয়া খালিশপুর-যাদবপুর ভায়া জিন্নানগর সড়কের ভাঙন ঠেকাতে মাত্র ৩ মাস আগে ব্যয় করা হয়েছে ৩২ লাখ টাকা। কিন্তু এই টাকা কোনো কাজে আসেনি। চলতি সপ্তাহের বৃষ্টিতে আবারো ধসে পড়েছে সড়কটি। এক বছর আগে সেখানে প্যালাসাইটিং বসিয়ে আরেক দফা ভাঙন রোধের চেষ্টা করা হয়।
অভিযোগ উঠেছে সংস্কার কাজ করা হলেও মান ঠিক না থাকায় মাস না যেতেই আগের অবস্থায় ফিরে যায়। তবে ঝিনাইদহ সড়ক বিভাগের দাবি, দুই বছর আগে নদী খননের সময় তলদেশ থেকে মাটি সরিয়ে ফেলা হয়েছে। ফলে তারা ভাঙন রোধে যেভাবেই চেষ্টা করছে, কোনো কাজে আসছে না।
এদিকে মহেশপুর উপজেলার ব্যস্ততম সড়ক এভাবে ভেঙে পড়ে থাকায় যানবাহন চলাচলে মারাত্মক ক্ষতি হচ্ছে। ভারি যানবাহন শহরের মধ্যদিয়ে চলাচল করায় তীব্র যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। স্থানীয় অধিবাসী আসাদুজ্জামান রিপন জানান, মহেশপুর উপজেলার মানুষের চলাচলের জন্য এই সড়কটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সড়কটি খালিশপুর থেকে কপোতাক্ষ নদের ধার দিয়ে মহেশপুর শহর হয়ে দত্তনগর, জীবননগর ও যাদবপুর গেছে। আগে সড়কটি খুবই খারাপ ছিল। ২০২০-২১ অর্থ বছরে ৩৯ কোটি টাকা ব্যয়ে ওই সড়কটির সাড়ে ৪৮ কিলোমিটার সংস্কার কাজ করা হয়। ২০২৩ সালের শেষ দিকে সড়কটিতে ধস দেখা দেয়। ওই স্থানের ১০২ মিটার জায়গার পিচ-পাথর ধসে গর্তের সৃষ্টি হয়। স্থানীয় বাসিন্দা জামিরুল ইসলাম জানান, সড়ক বিভাগ বারবার মেরামত করছে। কিন্তু বারবারই ধসে পড়ছে। এতে সরকারি অর্থের অপচয় হচ্ছে।
এ ব্যাপারে সড়ক ও জনপথ বিভাগের উপ-সহকারী প্রকৌশলী আহসান উল কবীর জানান, সড়কের এই ভাঙন নিয়ে তারাও চিন্তিত। সড়কটি ৩ বছর আগে যখন সংস্কার হয়েছিল, তখন কোনো সমস্য দেখা দেয়নি। পরে কপোতাক্ষ নদ খননের পর এই সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে। তিনি বলেন, খননের সময় ভেতরের মাটি কেটে পাড় বাঁধা হয়। এখানে সেটা করা হয়নি। নদ এর ভেতর থেকে কাটা মাটি সড়কের ওপর রাখা হয়েছিল, ওই মাটি পরে অন্যত্র সরিয়ে নেওয়ার ফলে এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। এখন তারা শক্ত কোনো প্রকল্প গ্রহণ করা যায় কি না তার সম্ভাব্যতা যাচাই করছেন।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

৩৯ কোটি টাকার রাস্তা দেড় বছরেই ধস!

আপলোড টাইম : ০৯:৩৪:৫৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ অক্টোবর ২০২৪

ঝিনাইদহের মহেশপুরে ৩৯ কোটি টাকার রাস্তা দেড় বছর যেতে না যেতেই ভেঙে গেছে। ইতিমধ্যে ভাঙন ঠেকাতে দেড় বছরে রাস্তাটি তিন দফায় মেরামত করা হয়েছে। সর্বশেষ ১০২ মিটার ভাঙা সড়ক মেরামতে ৩২ লাখ টাকা ব্যয় করা হলেও কাজের কাজ কিছুই হয়নি।
তথ্য নিয়ে জানা গেছে, মহেশপুর পৌরসভার সামনে কপোতাক্ষ নদের ধার ঘেঁষে যাওয়া খালিশপুর-যাদবপুর ভায়া জিন্নানগর সড়কের ভাঙন ঠেকাতে মাত্র ৩ মাস আগে ব্যয় করা হয়েছে ৩২ লাখ টাকা। কিন্তু এই টাকা কোনো কাজে আসেনি। চলতি সপ্তাহের বৃষ্টিতে আবারো ধসে পড়েছে সড়কটি। এক বছর আগে সেখানে প্যালাসাইটিং বসিয়ে আরেক দফা ভাঙন রোধের চেষ্টা করা হয়।
অভিযোগ উঠেছে সংস্কার কাজ করা হলেও মান ঠিক না থাকায় মাস না যেতেই আগের অবস্থায় ফিরে যায়। তবে ঝিনাইদহ সড়ক বিভাগের দাবি, দুই বছর আগে নদী খননের সময় তলদেশ থেকে মাটি সরিয়ে ফেলা হয়েছে। ফলে তারা ভাঙন রোধে যেভাবেই চেষ্টা করছে, কোনো কাজে আসছে না।
এদিকে মহেশপুর উপজেলার ব্যস্ততম সড়ক এভাবে ভেঙে পড়ে থাকায় যানবাহন চলাচলে মারাত্মক ক্ষতি হচ্ছে। ভারি যানবাহন শহরের মধ্যদিয়ে চলাচল করায় তীব্র যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। স্থানীয় অধিবাসী আসাদুজ্জামান রিপন জানান, মহেশপুর উপজেলার মানুষের চলাচলের জন্য এই সড়কটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সড়কটি খালিশপুর থেকে কপোতাক্ষ নদের ধার দিয়ে মহেশপুর শহর হয়ে দত্তনগর, জীবননগর ও যাদবপুর গেছে। আগে সড়কটি খুবই খারাপ ছিল। ২০২০-২১ অর্থ বছরে ৩৯ কোটি টাকা ব্যয়ে ওই সড়কটির সাড়ে ৪৮ কিলোমিটার সংস্কার কাজ করা হয়। ২০২৩ সালের শেষ দিকে সড়কটিতে ধস দেখা দেয়। ওই স্থানের ১০২ মিটার জায়গার পিচ-পাথর ধসে গর্তের সৃষ্টি হয়। স্থানীয় বাসিন্দা জামিরুল ইসলাম জানান, সড়ক বিভাগ বারবার মেরামত করছে। কিন্তু বারবারই ধসে পড়ছে। এতে সরকারি অর্থের অপচয় হচ্ছে।
এ ব্যাপারে সড়ক ও জনপথ বিভাগের উপ-সহকারী প্রকৌশলী আহসান উল কবীর জানান, সড়কের এই ভাঙন নিয়ে তারাও চিন্তিত। সড়কটি ৩ বছর আগে যখন সংস্কার হয়েছিল, তখন কোনো সমস্য দেখা দেয়নি। পরে কপোতাক্ষ নদ খননের পর এই সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে। তিনি বলেন, খননের সময় ভেতরের মাটি কেটে পাড় বাঁধা হয়। এখানে সেটা করা হয়নি। নদ এর ভেতর থেকে কাটা মাটি সড়কের ওপর রাখা হয়েছিল, ওই মাটি পরে অন্যত্র সরিয়ে নেওয়ার ফলে এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। এখন তারা শক্ত কোনো প্রকল্প গ্রহণ করা যায় কি না তার সম্ভাব্যতা যাচাই করছেন।