ইপেপার । আজ বৃহস্পতিবার, ২৪ অক্টোবর ২০২৪

দর্শনার বারাদী সীমান্তে ভারতীয় বিএসএফএ‘র গুলিতে দুই বাংলাদেশি নিহতর ঘটনা

১৩ দিন পর লাশ ফেরত এসেও আবার ফিরে গেল ভারতে

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ১০:৩১:৩৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৩
  • / ৪০ বার পড়া হয়েছে

দর্শনা অফিস:
দর্শনার বারাদী সীমান্তে ভারতীয় বিএসএফএর গুলিতে দুই বাংলাদেশি নিহতের ১৩ দিন পর বিএসএফ ও বিজিবির মধ্যে পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। এর মাধ্যমে বিএসএফের গুলিতে নিহত দুই বাংলাদেশির লাশ চার দফায় ফেরত দেওয়ার সময় দিয়েও গতকাল বুধবার রাত সাড়ে ৮টা পর্যন্ত ফেরত আসেনি। গতকাল বিজিবিকে ভারতীয় বিএসএফ সকাল ১০টায়, বেলা ২টা, বিকেল ৫টায় সময় দিলেও সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা পর্যন্ত বিজিবি অপেক্ষা করে ভারত সীমান্ত থেকে ফিরে আসে। এরপর আবার বিএসএফ খবর পাঠায় লাশ দুটি ফেরত দিবে। এরপর রাতে পৌনে ৮টার দিকে লাশ দুটি ফেরত চায় বিজিবি। তবে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্র না থাকায় বিজিবি লাশ দুটি গ্রহণ না করে রাত সাড়ে ৮টার দিকে বিজিবি, পুলিশ ও ডাক্তার সীমান্ত থেকে ফিরে আসে।

এদিকে, লাশ ফেরতের কথা শুনে সীমান্ত এলাকায় এবং লাশ দুটির বাড়িতে শতশত লোক আসে। ফলে আজ বৃহস্পতিবার বিএসএফ লাশের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ময়নাতদন্ত রির্পোট নিয়ে এলে লাশ দুটি ফেরত নেবে বিজিবি। গত ১৬ ডিসেম্বর গভীর রাতে ছয়ঘরিয়া গ্রামের হায়দার আলীর ছেলে সাজেজুল ইসলাম (৩০) ও একই গ্রামের শরিউতুল্লা ওরফে ভুলুর ছেলে খাজা মঈনউদ্দিন খাজা মঈনউদ্দিন (৪০) ভারতে অনুপ্রবেশ করলে বিএসএফ গুলি করে তাদের হত্যা করে।

সাজেজুল ইসলামের ভাই মফিজুল ইসলাম জানান, গত ১৬ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় রাতের খাবার খেয়ে বাড়ি থেকে বের হয়। পারদিন রোববার সকাল ৯টার দিকে লোক মুখে শুনতে পায় ভারত সীমান্তে ৮২ প্রধান পিলারের অদূরে তার ভাইয়ের লাশ পড়ে আছে। সাজেজুল ইসলামের স্ত্রী ও সুমাইয়া খাতুন (৩) বছরের মেয়ে রয়েছে।

এদিকে খাজা মঈনউদ্দিনের মা কান্না জড়িত কণ্ঠে বলেন, ‘আমার বাবা শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে বাড়ি থেকে রাতের খাবার খেয়ে বের হয়ে আর বাড়ি ফেরেনি। পরদিন সকালে শুনতে পায় আমার ছেলেকে বিএসএফ গুলি করে মেরে ফেলে। আমার সোনার এক ছেলে সায়েম আলী (১২) ও এক মেয়ে জান্নাতুল (৭)।’

এ ঘটনার পর লাশ ফেরত চেয়ে বিজিবি বিএসএফ বরাবর পত্র প্রেরণ করে। ১৩ দিন পর গতকাল দর্শনা বারাদী সীমান্তের ৮২ নম্বর প্রধান পিলার নিকটবর্তী লাশ ফেরত এসেও কাগজপত্র ঠিক না থাকায় ফেরত লাশ গেল বিএসএফের কাছে।

সে সময় বাংলাদেশের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন বিজিবির সহকারী পরিচালক হায়দার আলীর নেতৃত্বে ১৫-২০ জন বিজিবি। দর্শনা থানা-পুলিশের পক্ষে এসআই সোহেল রানা সঙ্গীও ফোর্স এবং দামুড়হুদা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার আব্দুলাহ আল মামুন।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

দর্শনার বারাদী সীমান্তে ভারতীয় বিএসএফএ‘র গুলিতে দুই বাংলাদেশি নিহতর ঘটনা

১৩ দিন পর লাশ ফেরত এসেও আবার ফিরে গেল ভারতে

আপলোড টাইম : ১০:৩১:৩৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৩

দর্শনা অফিস:
দর্শনার বারাদী সীমান্তে ভারতীয় বিএসএফএর গুলিতে দুই বাংলাদেশি নিহতের ১৩ দিন পর বিএসএফ ও বিজিবির মধ্যে পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। এর মাধ্যমে বিএসএফের গুলিতে নিহত দুই বাংলাদেশির লাশ চার দফায় ফেরত দেওয়ার সময় দিয়েও গতকাল বুধবার রাত সাড়ে ৮টা পর্যন্ত ফেরত আসেনি। গতকাল বিজিবিকে ভারতীয় বিএসএফ সকাল ১০টায়, বেলা ২টা, বিকেল ৫টায় সময় দিলেও সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা পর্যন্ত বিজিবি অপেক্ষা করে ভারত সীমান্ত থেকে ফিরে আসে। এরপর আবার বিএসএফ খবর পাঠায় লাশ দুটি ফেরত দিবে। এরপর রাতে পৌনে ৮টার দিকে লাশ দুটি ফেরত চায় বিজিবি। তবে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্র না থাকায় বিজিবি লাশ দুটি গ্রহণ না করে রাত সাড়ে ৮টার দিকে বিজিবি, পুলিশ ও ডাক্তার সীমান্ত থেকে ফিরে আসে।

এদিকে, লাশ ফেরতের কথা শুনে সীমান্ত এলাকায় এবং লাশ দুটির বাড়িতে শতশত লোক আসে। ফলে আজ বৃহস্পতিবার বিএসএফ লাশের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ময়নাতদন্ত রির্পোট নিয়ে এলে লাশ দুটি ফেরত নেবে বিজিবি। গত ১৬ ডিসেম্বর গভীর রাতে ছয়ঘরিয়া গ্রামের হায়দার আলীর ছেলে সাজেজুল ইসলাম (৩০) ও একই গ্রামের শরিউতুল্লা ওরফে ভুলুর ছেলে খাজা মঈনউদ্দিন খাজা মঈনউদ্দিন (৪০) ভারতে অনুপ্রবেশ করলে বিএসএফ গুলি করে তাদের হত্যা করে।

সাজেজুল ইসলামের ভাই মফিজুল ইসলাম জানান, গত ১৬ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় রাতের খাবার খেয়ে বাড়ি থেকে বের হয়। পারদিন রোববার সকাল ৯টার দিকে লোক মুখে শুনতে পায় ভারত সীমান্তে ৮২ প্রধান পিলারের অদূরে তার ভাইয়ের লাশ পড়ে আছে। সাজেজুল ইসলামের স্ত্রী ও সুমাইয়া খাতুন (৩) বছরের মেয়ে রয়েছে।

এদিকে খাজা মঈনউদ্দিনের মা কান্না জড়িত কণ্ঠে বলেন, ‘আমার বাবা শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে বাড়ি থেকে রাতের খাবার খেয়ে বের হয়ে আর বাড়ি ফেরেনি। পরদিন সকালে শুনতে পায় আমার ছেলেকে বিএসএফ গুলি করে মেরে ফেলে। আমার সোনার এক ছেলে সায়েম আলী (১২) ও এক মেয়ে জান্নাতুল (৭)।’

এ ঘটনার পর লাশ ফেরত চেয়ে বিজিবি বিএসএফ বরাবর পত্র প্রেরণ করে। ১৩ দিন পর গতকাল দর্শনা বারাদী সীমান্তের ৮২ নম্বর প্রধান পিলার নিকটবর্তী লাশ ফেরত এসেও কাগজপত্র ঠিক না থাকায় ফেরত লাশ গেল বিএসএফের কাছে।

সে সময় বাংলাদেশের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন বিজিবির সহকারী পরিচালক হায়দার আলীর নেতৃত্বে ১৫-২০ জন বিজিবি। দর্শনা থানা-পুলিশের পক্ষে এসআই সোহেল রানা সঙ্গীও ফোর্স এবং দামুড়হুদা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার আব্দুলাহ আল মামুন।