ইপেপার । আজ বুধবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৪

সাপ সঙ্গে নিয়ে হাজির হলেন হাসপাতালে

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৭:৫৭:১৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১ মে ২০২৩
  • / ৩৩ বার পড়া হয়েছে

সমীকরণ প্রতিবেদক:
দামুড়হুদা উপজেলার জয়রামপুরে অঞ্জনা বেগম (৩০) নামের এক নারী সাপের কামড় খেয়ে সাপটিকে মেরে সঙ্গে নিয়ে হাসপাতালে হাজির হয়েছেন। গতকাল রোববার বেলা দুইটার দিকে দামুড়হুদা উপজেলার জয়রামপুর গ্রামে অঞ্জনার নিজ বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। হাসপাতালের জরুরি বিভাগে সাপটি দেখতে ভিড় করে চিকিৎসা নিতে আসা অন্য রোগী ও তাদের স্বজনরা। অঞ্জনা একই গ্রামের ব্যবসায়ী জাহিদ হাসানের স্ত্রী।

অঞ্জনা বেগমের স্বামী জাহিদ বলেন, ‘রোববার দুপুরে আমার বাবা মাঠ থেকে জ্বালানির জন্য কিছু বাঁশ নিয়ে এসেছিল। আমার স্ত্রী সেই বাঁশগুলো রান্না ঘরে রাখছিল। এসময় বাঁশের মধ্যে থাকা একটি সাপ তার হাতের তালুতে কামড় দেয়। পরে তাকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করি। চিকিৎসার সুবিধার্থে সাপটিও সঙ্গে করে নিয়ে এসেছি।’

এ বিষয়ে চুুয়াডাঙ্গার পরিবেশবাদী সংগঠন পানকৌড়ি’র প্রতিষ্ঠাতা ও স্কুলশিক্ষক বখতিয়ার হামিদ জানিয়েছেন, সাপটির নাম বেত আঁচড়া। এটি সম্পূর্ণ নির্বিষ সাপ। ভয়ের কিছু নেই। প্রাথমিক চিকিৎসায় রোগী সুস্থ হয়ে যাবেন।

চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক ওয়াদেহ মাহমুদ রবিন বলেন, ‘দুপুরে সাপের কামড়ে আহত এক নারীকে জরুরি বিভাগে নিয়ে আসেন তার পরিবারের সদস্যরা। তারা সঙ্গে একটি মৃত সাপ নিয়ে এসেছিলেন। প্রাথমিকভাবে চিকিৎসা দিয়ে তাকে পর্যবেক্ষণ করা হয়েছে। আপাতত তিনি শঙ্কামুক্ত বলে ধারণা করছি।’

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

সাপ সঙ্গে নিয়ে হাজির হলেন হাসপাতালে

আপলোড টাইম : ০৭:৫৭:১৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১ মে ২০২৩

সমীকরণ প্রতিবেদক:
দামুড়হুদা উপজেলার জয়রামপুরে অঞ্জনা বেগম (৩০) নামের এক নারী সাপের কামড় খেয়ে সাপটিকে মেরে সঙ্গে নিয়ে হাসপাতালে হাজির হয়েছেন। গতকাল রোববার বেলা দুইটার দিকে দামুড়হুদা উপজেলার জয়রামপুর গ্রামে অঞ্জনার নিজ বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। হাসপাতালের জরুরি বিভাগে সাপটি দেখতে ভিড় করে চিকিৎসা নিতে আসা অন্য রোগী ও তাদের স্বজনরা। অঞ্জনা একই গ্রামের ব্যবসায়ী জাহিদ হাসানের স্ত্রী।

অঞ্জনা বেগমের স্বামী জাহিদ বলেন, ‘রোববার দুপুরে আমার বাবা মাঠ থেকে জ্বালানির জন্য কিছু বাঁশ নিয়ে এসেছিল। আমার স্ত্রী সেই বাঁশগুলো রান্না ঘরে রাখছিল। এসময় বাঁশের মধ্যে থাকা একটি সাপ তার হাতের তালুতে কামড় দেয়। পরে তাকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করি। চিকিৎসার সুবিধার্থে সাপটিও সঙ্গে করে নিয়ে এসেছি।’

এ বিষয়ে চুুয়াডাঙ্গার পরিবেশবাদী সংগঠন পানকৌড়ি’র প্রতিষ্ঠাতা ও স্কুলশিক্ষক বখতিয়ার হামিদ জানিয়েছেন, সাপটির নাম বেত আঁচড়া। এটি সম্পূর্ণ নির্বিষ সাপ। ভয়ের কিছু নেই। প্রাথমিক চিকিৎসায় রোগী সুস্থ হয়ে যাবেন।

চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক ওয়াদেহ মাহমুদ রবিন বলেন, ‘দুপুরে সাপের কামড়ে আহত এক নারীকে জরুরি বিভাগে নিয়ে আসেন তার পরিবারের সদস্যরা। তারা সঙ্গে একটি মৃত সাপ নিয়ে এসেছিলেন। প্রাথমিকভাবে চিকিৎসা দিয়ে তাকে পর্যবেক্ষণ করা হয়েছে। আপাতত তিনি শঙ্কামুক্ত বলে ধারণা করছি।’