ইপেপার । আজ শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৪

চুয়াডাঙ্গায় কৃষি অফিসের গেস্ট রুমে দুই মাস ধরে তিন কর্মকর্তার বসবাস

সাংবাদিকের তৎপরতায় তড়িঘড়ি করে দিলেন ভাড়া

নিজস্ব প্রতিবেদক:
  • আপলোড টাইম : ০৯:৪১:২৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৬ অক্টোবর ২০২৪
  • / ১৪ বার পড়া হয়েছে

চুয়াডাঙ্গা জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তিন কর্মকর্তা থাকতেন অফিসের গেস্ট হাউজে। সরকারি হিসেব মতো ভাড়া না দিলেও হঠাৎ সাংবাদিকের তথ্য নেয়া দেখে তড়িঘড়ি করে এবার টাকা জমা দিলেন তারা। বিষয়টি নিয়ে হাস্যরসের সৃষ্টি হয়েছে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরেই।

জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গা জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অফিসে কয়েকটি গেস্ট রুম আছে। ওই রুমে অফিসের লোকজনের জন্য নির্ধারিত ভাড়া মাত্র ২০০ টাকা এবং বাইরের মানুষের জন্য ভাড়া ৩০০ টাকা। মূলত, বিভিন্ন প্রশিক্ষণসহ সরকারি কাজে কৃষি বিভাগের লোকজন জেলায় আসলে থাকার জন্য ওই গেস্ট রুম। তবে ওই গেস্ট রুমে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. মাসুদুর রহমান সরকার আছেন গত ৭ই আগস্ট থেকে। এদিনই তিনি চুয়াডাঙ্গায় যোগদান করেন। এছাড়াও অতিরিক্ত উপ-পরিচালক মোমরেজ আলী এবং অতিরিক্ত উপ-পরিচালক কায়ছার ইকবাল আরও কিছুদিন আগে থেকেই থাকতেন। তবে নিজেরা অফিসের কর্মকর্তা হওয়ায় নিয়মকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে সরকার নির্ধারিত কোনো ভাড়ায় তারা দিতেন না।

নাম প্রকাশ না করার শর্ত দিয়ে জেলা কৃষি অফিসের একাধিক কর্মকর্তা-কর্মচারী বলছেন, ‘তারা অফিসের কর্তা হওয়ায় ভাড়া নিয়ে আগে কখনোই কোনো প্রকার কথা হয়নি। ভাড়া দেয় কি না, সেটাও অনেকেই জানতেন না। তবে হঠাৎ পত্রিকার এক সাংবাদিক এসে এ বিষয়ে খোঁজখবর নেয়া শুরু করেন গত ১৪ অক্টোবর। এদিনই উপ-পরিচালকসহ ওই দুইজন অতিরিক্ত উপ-পরিচালক দুই মাসের ভাড়া হিসেব-নিকেশ করে পরিশোধ করেন। ভাড়ার টাকা ১৫ অক্টোবর মঙ্গলবার সরকারি কোষাগারে জমা দেয়া হয়েছে। এ নিয়ে আমাদের মধ্যেই চলছে হাসাহাসি।’

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মাসুদুর রহমান সরকার বলেন, ‘গেস্ট রুমে আমিসহ তিনজন কর্মকর্তা থাকি। আমরা দুই মাসের ভাড়ার টাকা পরিশোধ করেছি। ৭৫ শতাংশ টাকা কোষাগারে জমা হয়। ২৫ শতাংশ টাকা সার্ভিস চার্জ হিসেবে থাকে। দুই মাসে ৬-৭ হাজার টাকা মতো কোষাগারে জমা হয়েছে। এই টাকা ১৪ তারিখ সোমবার আমি দিয়েছিলাম এবং আজ ১৫ তারিখ টাকা কোষাগারে জমা হয়েছে।’

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

চুয়াডাঙ্গায় কৃষি অফিসের গেস্ট রুমে দুই মাস ধরে তিন কর্মকর্তার বসবাস

সাংবাদিকের তৎপরতায় তড়িঘড়ি করে দিলেন ভাড়া

আপলোড টাইম : ০৯:৪১:২৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৬ অক্টোবর ২০২৪

চুয়াডাঙ্গা জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তিন কর্মকর্তা থাকতেন অফিসের গেস্ট হাউজে। সরকারি হিসেব মতো ভাড়া না দিলেও হঠাৎ সাংবাদিকের তথ্য নেয়া দেখে তড়িঘড়ি করে এবার টাকা জমা দিলেন তারা। বিষয়টি নিয়ে হাস্যরসের সৃষ্টি হয়েছে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরেই।

জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গা জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অফিসে কয়েকটি গেস্ট রুম আছে। ওই রুমে অফিসের লোকজনের জন্য নির্ধারিত ভাড়া মাত্র ২০০ টাকা এবং বাইরের মানুষের জন্য ভাড়া ৩০০ টাকা। মূলত, বিভিন্ন প্রশিক্ষণসহ সরকারি কাজে কৃষি বিভাগের লোকজন জেলায় আসলে থাকার জন্য ওই গেস্ট রুম। তবে ওই গেস্ট রুমে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. মাসুদুর রহমান সরকার আছেন গত ৭ই আগস্ট থেকে। এদিনই তিনি চুয়াডাঙ্গায় যোগদান করেন। এছাড়াও অতিরিক্ত উপ-পরিচালক মোমরেজ আলী এবং অতিরিক্ত উপ-পরিচালক কায়ছার ইকবাল আরও কিছুদিন আগে থেকেই থাকতেন। তবে নিজেরা অফিসের কর্মকর্তা হওয়ায় নিয়মকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে সরকার নির্ধারিত কোনো ভাড়ায় তারা দিতেন না।

নাম প্রকাশ না করার শর্ত দিয়ে জেলা কৃষি অফিসের একাধিক কর্মকর্তা-কর্মচারী বলছেন, ‘তারা অফিসের কর্তা হওয়ায় ভাড়া নিয়ে আগে কখনোই কোনো প্রকার কথা হয়নি। ভাড়া দেয় কি না, সেটাও অনেকেই জানতেন না। তবে হঠাৎ পত্রিকার এক সাংবাদিক এসে এ বিষয়ে খোঁজখবর নেয়া শুরু করেন গত ১৪ অক্টোবর। এদিনই উপ-পরিচালকসহ ওই দুইজন অতিরিক্ত উপ-পরিচালক দুই মাসের ভাড়া হিসেব-নিকেশ করে পরিশোধ করেন। ভাড়ার টাকা ১৫ অক্টোবর মঙ্গলবার সরকারি কোষাগারে জমা দেয়া হয়েছে। এ নিয়ে আমাদের মধ্যেই চলছে হাসাহাসি।’

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মাসুদুর রহমান সরকার বলেন, ‘গেস্ট রুমে আমিসহ তিনজন কর্মকর্তা থাকি। আমরা দুই মাসের ভাড়ার টাকা পরিশোধ করেছি। ৭৫ শতাংশ টাকা কোষাগারে জমা হয়। ২৫ শতাংশ টাকা সার্ভিস চার্জ হিসেবে থাকে। দুই মাসে ৬-৭ হাজার টাকা মতো কোষাগারে জমা হয়েছে। এই টাকা ১৪ তারিখ সোমবার আমি দিয়েছিলাম এবং আজ ১৫ তারিখ টাকা কোষাগারে জমা হয়েছে।’