ইপেপার । আজ শনিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৪

সাংবাদিকদের সাথে অসদাচরণ করায় দর্শনা কেরুজ ডিস্টিলারী ডিও জাফরুল্লাহ’র বদলি দাবি

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০১:১৩:৫৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ জানুয়ারী ২০২২
  • / ৫৭ বার পড়া হয়েছে

দীর্ঘ ৭ বছর বহাল তবিয়তে চাকরি করছেন দর্শনা কেরুজ ডিস্টিলারি গেটের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের ডিও এসএম জাফরুল্লাহ। দীর্ঘদিন একই স্থানে চাকরির সুবাধে এলাকার মদ চোরাকারবারীদের সাথে গড়ে উঠেছে সংখ্যতা। যে কারণে ডিস্টিলারিতে উৎপাদিত মদ চুরির ঘটনা ঘটছে দীর্ঘদিন ধরে। জাফরুল্লাহ’র বিরুদ্ধে এমনই অভিযোগ স্থানীয়সহ কেরুজ চাকরিজীবি অনেকের। জাফরুল্লাহ দাপটের সাথে একই স্থানে চাকরি করার সুবাদে এবার সাংবাদিকদের সাথে করেছেন অসদাচরণ। গতকাল সোমবার দুপুরে কেরুজ চিনিকলের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের অনুমতিক্রমে ডিস্টিলারি বিভাগে সংবাদ সংগ্রহের জন্য যান দর্শনা প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও স্থানীয় দৈনিক পশ্চিমাঞ্চল পত্রিকার দর্শনা অফিস সহকারী ব্যুরো প্রধান চঞ্চল মেহমুদ ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও জাতীয় দৈনিক জনবানী ও স্থানীয় দৈনিক মেহেরপুর প্রতিদিন পত্রিকার দর্শনা প্রতিনিধি আহসান হাবীব মামুন। তথ্য সংগ্রহ শেষে বের হওয়ার সময় জাফরুল্লাহ নিরাপত্তাকর্মীদের সাংবাদিকদের দেহ তল্লাশীর নির্দেশ দেন। একপর্যায় জাফরুল্লাহ এ দুই সাংবাদিকের সাথে অসদাচরণ করেন।

এবিষয়ে নিরাপত্তা অফিসার মোজাহিদুল ইসলাম জানান, এ ধরনের একটি ঘটনা আমি জানতে পেরেছি। পরে আমি ঘটনাস্থলে গিয়ে কর্তব্যরত নিরাপত্তাকর্মীকে বকাঝকা করেছি। এবিষয়ে (ডিও) এসএম জাফরুল্লাহ ঘটনা অস্বীকার করে বলেন, এ ধরনের কোনো ঘটনা ঘটেনি। বিষয়টি আমি জানি না।

এদিকে এ খবর সাংবাদিকমহলে ছড়ালে ক্ষুব্ধ হয়েছে দর্শনা প্রেসক্লাব ও সাংবাদিক সমিতির নেতৃবৃন্দ। গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় প্রেসক্লাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে প্রতিবাদ সভা। সভায় সংশ্লিষ্ট বিভাগের উর্ধতন কর্মকর্তাদের কাছে অবিলম্বে জাফরুল্লাহ’র অন্যত্র বদলির দাবি তোলা হয়েছে। ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ, নিন্দা ও বদলির দাবি তুলে বক্তব্য দেন দর্শনা প্রেসক্লাবের সভাপতি আওয়াল হোসেন, সাধারণ সম্পাদক এসএম ওসমান, সাংবাদিক সমিতির সভাপতি মনিরুজ্জামান ধীরু, সাধারণ সম্পাদক হারুন রাজু, সাবেক সভাপতি হানিফ মন্ডল, ইকরামুল হক পিপুল, সাবেক সাধারণ সম্পাদক চঞ্চল মেহমুদ, আহসান হাবীব মামুন, কামরুজ্জামান যুদ্ধ, মনিরুজ্জামান সুমন, মোস্তাফিজুর রহমান কচি, তারিক জামান, জিল্লুর রহমান মধু, জাহিদুল ইসলাম, নজরুল ইসলাম, মাহমুদ হাসান রনি, মেহদী হাসান তুহিন, রাজিব মল্লিক, সাব্বির আলীম, ইয়াছির আরাফাত মিলন, হাসমত আলী, আ. হান্নান, ইমতিয়াজ রয়েল, সুকমল চন্দ্র দাস বাঁধন, আবিদ হাসান রিফাত, সুজন মাহমুদ, ইয়াছিন জুয়েল প্রমুখ।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

সাংবাদিকদের সাথে অসদাচরণ করায় দর্শনা কেরুজ ডিস্টিলারী ডিও জাফরুল্লাহ’র বদলি দাবি

আপলোড টাইম : ০১:১৩:৫৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ জানুয়ারী ২০২২

দীর্ঘ ৭ বছর বহাল তবিয়তে চাকরি করছেন দর্শনা কেরুজ ডিস্টিলারি গেটের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের ডিও এসএম জাফরুল্লাহ। দীর্ঘদিন একই স্থানে চাকরির সুবাধে এলাকার মদ চোরাকারবারীদের সাথে গড়ে উঠেছে সংখ্যতা। যে কারণে ডিস্টিলারিতে উৎপাদিত মদ চুরির ঘটনা ঘটছে দীর্ঘদিন ধরে। জাফরুল্লাহ’র বিরুদ্ধে এমনই অভিযোগ স্থানীয়সহ কেরুজ চাকরিজীবি অনেকের। জাফরুল্লাহ দাপটের সাথে একই স্থানে চাকরি করার সুবাদে এবার সাংবাদিকদের সাথে করেছেন অসদাচরণ। গতকাল সোমবার দুপুরে কেরুজ চিনিকলের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের অনুমতিক্রমে ডিস্টিলারি বিভাগে সংবাদ সংগ্রহের জন্য যান দর্শনা প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও স্থানীয় দৈনিক পশ্চিমাঞ্চল পত্রিকার দর্শনা অফিস সহকারী ব্যুরো প্রধান চঞ্চল মেহমুদ ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও জাতীয় দৈনিক জনবানী ও স্থানীয় দৈনিক মেহেরপুর প্রতিদিন পত্রিকার দর্শনা প্রতিনিধি আহসান হাবীব মামুন। তথ্য সংগ্রহ শেষে বের হওয়ার সময় জাফরুল্লাহ নিরাপত্তাকর্মীদের সাংবাদিকদের দেহ তল্লাশীর নির্দেশ দেন। একপর্যায় জাফরুল্লাহ এ দুই সাংবাদিকের সাথে অসদাচরণ করেন।

এবিষয়ে নিরাপত্তা অফিসার মোজাহিদুল ইসলাম জানান, এ ধরনের একটি ঘটনা আমি জানতে পেরেছি। পরে আমি ঘটনাস্থলে গিয়ে কর্তব্যরত নিরাপত্তাকর্মীকে বকাঝকা করেছি। এবিষয়ে (ডিও) এসএম জাফরুল্লাহ ঘটনা অস্বীকার করে বলেন, এ ধরনের কোনো ঘটনা ঘটেনি। বিষয়টি আমি জানি না।

এদিকে এ খবর সাংবাদিকমহলে ছড়ালে ক্ষুব্ধ হয়েছে দর্শনা প্রেসক্লাব ও সাংবাদিক সমিতির নেতৃবৃন্দ। গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় প্রেসক্লাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে প্রতিবাদ সভা। সভায় সংশ্লিষ্ট বিভাগের উর্ধতন কর্মকর্তাদের কাছে অবিলম্বে জাফরুল্লাহ’র অন্যত্র বদলির দাবি তোলা হয়েছে। ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ, নিন্দা ও বদলির দাবি তুলে বক্তব্য দেন দর্শনা প্রেসক্লাবের সভাপতি আওয়াল হোসেন, সাধারণ সম্পাদক এসএম ওসমান, সাংবাদিক সমিতির সভাপতি মনিরুজ্জামান ধীরু, সাধারণ সম্পাদক হারুন রাজু, সাবেক সভাপতি হানিফ মন্ডল, ইকরামুল হক পিপুল, সাবেক সাধারণ সম্পাদক চঞ্চল মেহমুদ, আহসান হাবীব মামুন, কামরুজ্জামান যুদ্ধ, মনিরুজ্জামান সুমন, মোস্তাফিজুর রহমান কচি, তারিক জামান, জিল্লুর রহমান মধু, জাহিদুল ইসলাম, নজরুল ইসলাম, মাহমুদ হাসান রনি, মেহদী হাসান তুহিন, রাজিব মল্লিক, সাব্বির আলীম, ইয়াছির আরাফাত মিলন, হাসমত আলী, আ. হান্নান, ইমতিয়াজ রয়েল, সুকমল চন্দ্র দাস বাঁধন, আবিদ হাসান রিফাত, সুজন মাহমুদ, ইয়াছিন জুয়েল প্রমুখ।