ইপেপার । আজ শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৪

সাংবাদিক হুসাইন মালিকের পিতার মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত

সমীকরণ প্রতিবেদক:
  • আপলোড টাইম : ০৯:২৯:১৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৩ নভেম্বর ২০২১
  • / ৪৫ বার পড়া হয়েছে

দৈনিক সময়ের সমীকরণ-এর বার্তা সম্পাদক, জাতীয় দৈনিক নয়া দিগন্তের চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রতিনিধি হুসাইন মালিকের পিতা মরহুম আজিজুর রহমান মালিক (আজিবার মল্লিক)-এর ২২তম মৃত্যুবার্ষিকী পালিত হয়েছে। মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে গতকাল শুক্রবার জুমার নামাজের পর চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার গুলশানপাড়াস্থ আল-হেলাল মাধ্যমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন রাশেদ আল আছলি জামে মসজিদে এক দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। দোয়া মাহফিলের আগে মরহুমের বড় ছেলে কেরু এন্ড কোম্পানীর অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, বিশিষ্ট সমাজসেবক আনোয়ারুল হক মালিক সংক্ষিপ্ত বক্তব্য দেন।

বক্তব্যে উপস্থিত মুসল্লিদের উদ্যোগে তিনি বলেন, ‘আমরা সাত ভাই, এক বোন। আমার আব্বা মৃত্যুর আগে আমাদের সকল ভাই-বোনদের শিক্ষিত ও প্রতিষ্ঠিত করে গেছেন। আমরা ভাই-বোনেরা সকলেই নামাজ পড়ি এবং প্রতিনিয়ত আব্বার জন্য দোয়া করি। তারপরেও আমার ছোট ভাই আব্বার মৃত্যুবার্ষিকীর দিনে বিশেষভাবে দোয়া অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। তাই আপনারা সবাই আমার আব্বার অত্মার মাগফিরাত কামনায় আল্লাহর কাছে দোয়া করবেন।’

পরে রাশেদ আল আছলি জামে মসজিদের খতিব দোয়া পরিচালনা করেন। দোয়া মাহফিলটি পরিচালনা করেন রাশেদ আল আছলি জামে মসজিদের পেশ ইমাম মাওলানা নুরুজ্জামান।

উল্লেখ্য, মরহুম আজিজুর রহমান মালিক ওরফে আজিবার মল্লিক দর্শনা পৌর এলাকার শ্যামপুর মল্লিকপাড়ার সম্ভ্রান্ত মল্লিক পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৬৫ সালে কেরু এন্ড কোম্পানীতে কর্মজীবন শুরু করেন। সেসময় এ অঞ্চলের একমাত্র ইক্ষু সেন্টার চুয়াডাঙ্গা সদরের নীলমণিগঞ্জ আখ সেন্টারের প্রধান কর্মকর্তা ও ইনচার্জ (সিডিএ) হিসেবে যোগ দেন। সে সময় অর্থাৎ ১৯৬৫ সাল থেকে মরহুম আজিবার মল্লিক চুয়াডাঙ্গা শহরে বসবাস শুরু করেন। পরবর্তীতে তিনি নীলমণিগঞ্জ আখ সেন্টার সংলগ্ন আমিরপুর গ্রামে বিবাহের সূত্রধরে বসবাস শুরু করলে তার সাত সন্তানের মধ্যে কেউ চুয়াডাঙ্গা শহরের গুলশানপাড়ায় ও কেউ আমিরপুর গ্রামে স্থায়ী বসবাস শুরু করেন। তিনি সংসার জীবনে সাত ছেলে ও এক মেয়ের জনক ছিলেন। ২০০০ সালের ১২ নভেম্বর আজিজুর রহমান মালিক ওরফে আজিবার মল্লিক ৭৫ বছর বয়সে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেন। পরে তাঁর শেষ ইচ্ছা অনুযায়ী আমিরপুর জামে মসজিদের গেট সংলগ্ন স্থানে দাফন করা হয়।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

সাংবাদিক হুসাইন মালিকের পিতার মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত

আপলোড টাইম : ০৯:২৯:১৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৩ নভেম্বর ২০২১

দৈনিক সময়ের সমীকরণ-এর বার্তা সম্পাদক, জাতীয় দৈনিক নয়া দিগন্তের চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রতিনিধি হুসাইন মালিকের পিতা মরহুম আজিজুর রহমান মালিক (আজিবার মল্লিক)-এর ২২তম মৃত্যুবার্ষিকী পালিত হয়েছে। মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে গতকাল শুক্রবার জুমার নামাজের পর চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার গুলশানপাড়াস্থ আল-হেলাল মাধ্যমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন রাশেদ আল আছলি জামে মসজিদে এক দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। দোয়া মাহফিলের আগে মরহুমের বড় ছেলে কেরু এন্ড কোম্পানীর অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, বিশিষ্ট সমাজসেবক আনোয়ারুল হক মালিক সংক্ষিপ্ত বক্তব্য দেন।

বক্তব্যে উপস্থিত মুসল্লিদের উদ্যোগে তিনি বলেন, ‘আমরা সাত ভাই, এক বোন। আমার আব্বা মৃত্যুর আগে আমাদের সকল ভাই-বোনদের শিক্ষিত ও প্রতিষ্ঠিত করে গেছেন। আমরা ভাই-বোনেরা সকলেই নামাজ পড়ি এবং প্রতিনিয়ত আব্বার জন্য দোয়া করি। তারপরেও আমার ছোট ভাই আব্বার মৃত্যুবার্ষিকীর দিনে বিশেষভাবে দোয়া অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। তাই আপনারা সবাই আমার আব্বার অত্মার মাগফিরাত কামনায় আল্লাহর কাছে দোয়া করবেন।’

পরে রাশেদ আল আছলি জামে মসজিদের খতিব দোয়া পরিচালনা করেন। দোয়া মাহফিলটি পরিচালনা করেন রাশেদ আল আছলি জামে মসজিদের পেশ ইমাম মাওলানা নুরুজ্জামান।

উল্লেখ্য, মরহুম আজিজুর রহমান মালিক ওরফে আজিবার মল্লিক দর্শনা পৌর এলাকার শ্যামপুর মল্লিকপাড়ার সম্ভ্রান্ত মল্লিক পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৬৫ সালে কেরু এন্ড কোম্পানীতে কর্মজীবন শুরু করেন। সেসময় এ অঞ্চলের একমাত্র ইক্ষু সেন্টার চুয়াডাঙ্গা সদরের নীলমণিগঞ্জ আখ সেন্টারের প্রধান কর্মকর্তা ও ইনচার্জ (সিডিএ) হিসেবে যোগ দেন। সে সময় অর্থাৎ ১৯৬৫ সাল থেকে মরহুম আজিবার মল্লিক চুয়াডাঙ্গা শহরে বসবাস শুরু করেন। পরবর্তীতে তিনি নীলমণিগঞ্জ আখ সেন্টার সংলগ্ন আমিরপুর গ্রামে বিবাহের সূত্রধরে বসবাস শুরু করলে তার সাত সন্তানের মধ্যে কেউ চুয়াডাঙ্গা শহরের গুলশানপাড়ায় ও কেউ আমিরপুর গ্রামে স্থায়ী বসবাস শুরু করেন। তিনি সংসার জীবনে সাত ছেলে ও এক মেয়ের জনক ছিলেন। ২০০০ সালের ১২ নভেম্বর আজিজুর রহমান মালিক ওরফে আজিবার মল্লিক ৭৫ বছর বয়সে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেন। পরে তাঁর শেষ ইচ্ছা অনুযায়ী আমিরপুর জামে মসজিদের গেট সংলগ্ন স্থানে দাফন করা হয়।