ইপেপার । আজ শনিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৪

সরোজগঞ্জ ও কার্পাসডাঙ্গায় দুটি ক্লিনিক বন্ধ ঘোষণা, তিন প্রতিষ্ঠানকে সতর্ক

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ১০:০৫:১৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১ জুন ২০২২
  • / ২৩ বার পড়া হয়েছে

সরোজগঞ্জ:

চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার সরোজগঞ্জ বাজারে স্বাস্থ্য বিভাগের বিশেষ অভিযানে দুটি ক্লিনিক সাময়িকভাবে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে সরোজগঞ্জ বাজারের আতর আলী মার্কেটের দ্বিতীয়তলার ঢাকা ডেন্টাল হোম ক্লিনিকের মালিক ঠান্ডুকে তাঁর প্রতিষ্ঠানের ডেন্টালের প্রশিক্ষণের কাগজপত্র না থাকায় ও ডাক্তারের ডিগ্রি না থাকায় সাময়িকভাবে প্রতিষ্ঠান বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়।

অপর দিকে, সরোজগঞ্জ বাজারে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের অবসারপ্রাপ্ত ডাক্তার আব্দুল হকের ব্যবহৃত প্যাডে নামের ক্ষেত্রে ডা. পদবি ব্যবহার করতে পারবেন না, সেই সাপেক্ষে সাময়িকভাবে ক্লিনিক সেন্টার বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়। বিশেষ অভিযান পরিচালনা করেন চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাজহারুল ইসলাম ও স্বাস্থ্য বিভাগের ডা. শামীমা ইয়াসমিন। সহযোগিতায় ছিলেন সরোজগঞ্জ ক্যাম্পের এসআই জাহিদ হোসেনসহ পুলিশ কর্মকর্তা।

কার্পাসডাঙ্গা:

দামুড়হুদা উপজেলার ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে অভিযান শুরু করেছে উপজেলা প্রশাসন ও স্বাস্থ্য বিভাগ। গতকাল মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে  কার্পাসডাঙ্গা বাজারে এ অভিযান শুরু করেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সুদীপ্ত কুমার সিংহ ও উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা আবু হেনা মোহাম্মদ জামাল শুভ। এ সময় দুটি ডায়াগনস্টিক সেন্টার সাময়িক বন্ধ করে দেওয়া হয় ও তিনটি ক্লিনিক মালিককে মৌখিক সর্তক করে দেওয়া হয়। এসময় একজন পল্লী চিকিৎসককে জরিমানা করা হয়।

অভিযান সূত্রে জানা গেছে, অভিযানের প্রথম দিনে উপজেলার সীমান্তবর্তী কার্পাসডাঙ্গায় দুটি ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও তিনটি ক্লিনিকে অভিযান পরিচালনা করা হয়। এসময় বাজারের নিউ জনতার মালিক মেহেদি হাসান ও নিউ সেবার মালিক লাল্টু হোসেন ডায়াগনস্টিক সেন্টারের বৈধ কাগজপত্র না থাকায় মৌখিকভাবে সাময়িক বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয় ও তিনটি ক্লিনিক পরিবেশ নোংরা থাকায় মৌখিকভাবে সর্তক করে দেওয়া হয়। এসময় আজাদ আলী নামে একজন পল্লী চিকিৎসক ব্যবস্থাপত্রে নামের আগে ডাক্তার লেখায় তাঁকে তিন হাজার টাকা ও সুফিয়া ফার্মেসিতে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

অভিযানে সহায়তা করেন কার্পাসডাঙ্গা ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল করিম বিশ্বাস, উপজেলা স্যানেটারি ইন্সপেক্টর জামাত আলী ও কার্পাসডাঙ্গা ফাঁড়ির পুলিশ। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা আবু হেনা মোহাম্মদ জামাল শুভ জানান, উপজেলায় ২৫টি ডায়াগনস্টিক সেন্টার রয়েছে, পর্যায়ক্রমে সবগুলোতে অভিযান পরিচালনা করা হবে।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

সরোজগঞ্জ ও কার্পাসডাঙ্গায় দুটি ক্লিনিক বন্ধ ঘোষণা, তিন প্রতিষ্ঠানকে সতর্ক

আপলোড টাইম : ১০:০৫:১৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১ জুন ২০২২

সরোজগঞ্জ:

চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার সরোজগঞ্জ বাজারে স্বাস্থ্য বিভাগের বিশেষ অভিযানে দুটি ক্লিনিক সাময়িকভাবে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে সরোজগঞ্জ বাজারের আতর আলী মার্কেটের দ্বিতীয়তলার ঢাকা ডেন্টাল হোম ক্লিনিকের মালিক ঠান্ডুকে তাঁর প্রতিষ্ঠানের ডেন্টালের প্রশিক্ষণের কাগজপত্র না থাকায় ও ডাক্তারের ডিগ্রি না থাকায় সাময়িকভাবে প্রতিষ্ঠান বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়।

অপর দিকে, সরোজগঞ্জ বাজারে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের অবসারপ্রাপ্ত ডাক্তার আব্দুল হকের ব্যবহৃত প্যাডে নামের ক্ষেত্রে ডা. পদবি ব্যবহার করতে পারবেন না, সেই সাপেক্ষে সাময়িকভাবে ক্লিনিক সেন্টার বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়। বিশেষ অভিযান পরিচালনা করেন চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাজহারুল ইসলাম ও স্বাস্থ্য বিভাগের ডা. শামীমা ইয়াসমিন। সহযোগিতায় ছিলেন সরোজগঞ্জ ক্যাম্পের এসআই জাহিদ হোসেনসহ পুলিশ কর্মকর্তা।

কার্পাসডাঙ্গা:

দামুড়হুদা উপজেলার ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে অভিযান শুরু করেছে উপজেলা প্রশাসন ও স্বাস্থ্য বিভাগ। গতকাল মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে  কার্পাসডাঙ্গা বাজারে এ অভিযান শুরু করেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সুদীপ্ত কুমার সিংহ ও উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা আবু হেনা মোহাম্মদ জামাল শুভ। এ সময় দুটি ডায়াগনস্টিক সেন্টার সাময়িক বন্ধ করে দেওয়া হয় ও তিনটি ক্লিনিক মালিককে মৌখিক সর্তক করে দেওয়া হয়। এসময় একজন পল্লী চিকিৎসককে জরিমানা করা হয়।

অভিযান সূত্রে জানা গেছে, অভিযানের প্রথম দিনে উপজেলার সীমান্তবর্তী কার্পাসডাঙ্গায় দুটি ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও তিনটি ক্লিনিকে অভিযান পরিচালনা করা হয়। এসময় বাজারের নিউ জনতার মালিক মেহেদি হাসান ও নিউ সেবার মালিক লাল্টু হোসেন ডায়াগনস্টিক সেন্টারের বৈধ কাগজপত্র না থাকায় মৌখিকভাবে সাময়িক বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয় ও তিনটি ক্লিনিক পরিবেশ নোংরা থাকায় মৌখিকভাবে সর্তক করে দেওয়া হয়। এসময় আজাদ আলী নামে একজন পল্লী চিকিৎসক ব্যবস্থাপত্রে নামের আগে ডাক্তার লেখায় তাঁকে তিন হাজার টাকা ও সুফিয়া ফার্মেসিতে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

অভিযানে সহায়তা করেন কার্পাসডাঙ্গা ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল করিম বিশ্বাস, উপজেলা স্যানেটারি ইন্সপেক্টর জামাত আলী ও কার্পাসডাঙ্গা ফাঁড়ির পুলিশ। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা আবু হেনা মোহাম্মদ জামাল শুভ জানান, উপজেলায় ২৫টি ডায়াগনস্টিক সেন্টার রয়েছে, পর্যায়ক্রমে সবগুলোতে অভিযান পরিচালনা করা হবে।