ইপেপার । আজ বৃহস্পতিবার, ২৪ অক্টোবর ২০২৪

শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন, আলোচনা ও দোয়া অনুষ্ঠানের মধ্যদিয়ে চুয়াডাঙ্গা মুক্ত দিবস পালন

গভীর শ্রদ্ধা ও ভালোবাসায় বীর শহীদদের স্মরণ

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ১০:৪৭:২৫ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৮ ডিসেম্বর ২০২৩
  • / ৫২ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক:
গভীর শ্রদ্ধা ও যথাযোগ্য মর্যাদার সাথে ৭ ডিসেম্বর চুয়াডাঙ্গা হানাদার মুক্ত দিবস পালন করা হয়েছে। এ উপলক্ষে গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল ৭টায় চুয়াডাঙ্গা বড় বাজারের শহীদ হাসান চত্বরে শহীদ স্মৃতিস্তম্ভে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করে জেলা প্রশাসন, জেলা পুলিশ ও জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড। শ্রদ্ধা নিবেদনকালে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক ড. কিসিঞ্জার চাকমা, পুলিশ সুপার আর এম ফয়জুর রহমান পিপিএম-সেবা, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (উন্নয়ন ও মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনা) শারমিন আক্তার, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) আরাফাত রহমান, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট কবির হোসেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) নাজমুল হামিদ রেজা, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) রিয়াজুল ইসলাম (পুলিশ সুপার পদে পদোন্নতি প্রাপ্ত), অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস্) নাজিম উদ্দিন আল আজাদ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) আনিসুজ্জামান, চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. শামীম ভূঁইয়া, জেলা পুলিশের ডিআইও-১ আবু জিহাদ ফকরুল আলম খান প্রমুখ।

এসময় জেলা প্রশাসক ড. কিসিঞ্জার চাকমা বলেন, বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে চুয়াডাঙ্গার ভূমিকা অন্যতম। সীমান্ত ঘেষা জেলা হওয়ার সুবাদে এখান থেকেই যুদ্ধ পরিচলানাসহ নানা সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। জেলার এসব স্মৃতি রক্ষার্থে নানা ধরনের স্থাপনা গড়ে তোলা হয়েছে। তবে এখনো মুক্তিযোদ্ধাদের কিছু প্রত্যাশিত দাবি রয়েছে, সেসব দাবি পূরণে কাজ করছে জেলা প্রশাসন।
উল্লেখ্য, ৬ ডিসেম্বর পাক-বাহিনী মেহেরপুর থেকে ২৮ কিলোমিটার পথ পায়ে হেঁটে চুয়াডাঙ্গার দিকে আসে। ওই দিন সন্ধ্যায় চুয়াডাঙ্গার মাথাভাঙ্গা নদীর ব্রিজটি পাক-বাহিনী বোমা বিস্ফোরণ করে উড়িয়ে দেয়, যাতে মুক্তিবাহিনী তাদের অনুসরণ করতে না পারে। ৭ ডিসেম্বর সন্ধ্যার মধ্যে পাকবাহিনী চুয়াডাঙ্গা শহর ও আলমডাঙ্গা ছেড়ে কুষ্টিয়ার দিকে চলে গেলে চুয়াডাঙ্গা স¤পূর্ণ শত্রুমুক্ত হয়।

এদিকে, যথাযোগ্য মর্যাদায় চুয়াডাঙ্গা হানাদার মুক্ত দিবস পালন করেছে চুয়াডাঙ্গা জেলা আওয়ামী লীগ। গতকাল সকাল সাড়ে ৮টার দিকে জেলা আওয়ামী লীগের আয়োজনে নাটুদাহ আটকবরে শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করেন চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের সংসদ সদস্য জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুন। এরপরপরই নাটুদাহ আটকবর প্রাঙ্গনে একই স্থানে জাতীয় সংগীতের সাথে সাথে জাতীয় পতাকা ও মুক্তিযুদ্ধের পতাকা উত্তোলন করা হয়। পরে সেখানে সংক্ষিপ্ত আলোচনা ও দোয়া অনুষ্ঠিত হয়। দোয়া অনুষ্ঠানে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট ও ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে সকল শহীদদের রুহের মাগফিরাত কামনা করা হয়।

এসময় উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক পৌর মেয়র রিয়াজুল ইসলাম জোয়ার্দ্দার টোটন, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মুন্সি আলমগীর হান্নান, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক উপপ্রচার সম্পাদক শওকত আলী, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি আলাউদ্দীন হেলা, পিপি অ্যাড. বেলাল হোসেন, চুয়াডাঙ্গা রেডক্রিসেন্ট ইউনিটের সেক্রেটারি শহিদুল ইসলাম সাহানসহ আওয়ামী লীগের অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন, আলোচনা ও দোয়া অনুষ্ঠানের মধ্যদিয়ে চুয়াডাঙ্গা মুক্ত দিবস পালন

গভীর শ্রদ্ধা ও ভালোবাসায় বীর শহীদদের স্মরণ

আপলোড টাইম : ১০:৪৭:২৫ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৮ ডিসেম্বর ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক:
গভীর শ্রদ্ধা ও যথাযোগ্য মর্যাদার সাথে ৭ ডিসেম্বর চুয়াডাঙ্গা হানাদার মুক্ত দিবস পালন করা হয়েছে। এ উপলক্ষে গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল ৭টায় চুয়াডাঙ্গা বড় বাজারের শহীদ হাসান চত্বরে শহীদ স্মৃতিস্তম্ভে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করে জেলা প্রশাসন, জেলা পুলিশ ও জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড। শ্রদ্ধা নিবেদনকালে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক ড. কিসিঞ্জার চাকমা, পুলিশ সুপার আর এম ফয়জুর রহমান পিপিএম-সেবা, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (উন্নয়ন ও মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনা) শারমিন আক্তার, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) আরাফাত রহমান, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট কবির হোসেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) নাজমুল হামিদ রেজা, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) রিয়াজুল ইসলাম (পুলিশ সুপার পদে পদোন্নতি প্রাপ্ত), অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস্) নাজিম উদ্দিন আল আজাদ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) আনিসুজ্জামান, চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. শামীম ভূঁইয়া, জেলা পুলিশের ডিআইও-১ আবু জিহাদ ফকরুল আলম খান প্রমুখ।

এসময় জেলা প্রশাসক ড. কিসিঞ্জার চাকমা বলেন, বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে চুয়াডাঙ্গার ভূমিকা অন্যতম। সীমান্ত ঘেষা জেলা হওয়ার সুবাদে এখান থেকেই যুদ্ধ পরিচলানাসহ নানা সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। জেলার এসব স্মৃতি রক্ষার্থে নানা ধরনের স্থাপনা গড়ে তোলা হয়েছে। তবে এখনো মুক্তিযোদ্ধাদের কিছু প্রত্যাশিত দাবি রয়েছে, সেসব দাবি পূরণে কাজ করছে জেলা প্রশাসন।
উল্লেখ্য, ৬ ডিসেম্বর পাক-বাহিনী মেহেরপুর থেকে ২৮ কিলোমিটার পথ পায়ে হেঁটে চুয়াডাঙ্গার দিকে আসে। ওই দিন সন্ধ্যায় চুয়াডাঙ্গার মাথাভাঙ্গা নদীর ব্রিজটি পাক-বাহিনী বোমা বিস্ফোরণ করে উড়িয়ে দেয়, যাতে মুক্তিবাহিনী তাদের অনুসরণ করতে না পারে। ৭ ডিসেম্বর সন্ধ্যার মধ্যে পাকবাহিনী চুয়াডাঙ্গা শহর ও আলমডাঙ্গা ছেড়ে কুষ্টিয়ার দিকে চলে গেলে চুয়াডাঙ্গা স¤পূর্ণ শত্রুমুক্ত হয়।

এদিকে, যথাযোগ্য মর্যাদায় চুয়াডাঙ্গা হানাদার মুক্ত দিবস পালন করেছে চুয়াডাঙ্গা জেলা আওয়ামী লীগ। গতকাল সকাল সাড়ে ৮টার দিকে জেলা আওয়ামী লীগের আয়োজনে নাটুদাহ আটকবরে শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করেন চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের সংসদ সদস্য জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুন। এরপরপরই নাটুদাহ আটকবর প্রাঙ্গনে একই স্থানে জাতীয় সংগীতের সাথে সাথে জাতীয় পতাকা ও মুক্তিযুদ্ধের পতাকা উত্তোলন করা হয়। পরে সেখানে সংক্ষিপ্ত আলোচনা ও দোয়া অনুষ্ঠিত হয়। দোয়া অনুষ্ঠানে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট ও ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে সকল শহীদদের রুহের মাগফিরাত কামনা করা হয়।

এসময় উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক পৌর মেয়র রিয়াজুল ইসলাম জোয়ার্দ্দার টোটন, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মুন্সি আলমগীর হান্নান, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক উপপ্রচার সম্পাদক শওকত আলী, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি আলাউদ্দীন হেলা, পিপি অ্যাড. বেলাল হোসেন, চুয়াডাঙ্গা রেডক্রিসেন্ট ইউনিটের সেক্রেটারি শহিদুল ইসলাম সাহানসহ আওয়ামী লীগের অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা।