ইপেপার । আজ মঙ্গলবার, ২২ অক্টোবর ২০২৪

শীতার্ত মানুষের পাশে সপরিবারে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম খান

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৭:৫৪:১৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৫ জানুয়ারী ২০২৩
  • / ২০ বার পড়া হয়েছে

সমীকরণ প্রতিবেদন:
আলমডাঙ্গা উপজেলার পারকৃষ্ণপুর মাথাভাঙ্গা নদীর তীরে তাঁবু পেতে বসবাসকারী বেদে সম্পদায়ের নারী-পুরুষ ও শিশু সদস্যদের জন্য গতকাল শনিবার ছিল অন্যরকম একদিন। শৈত্যপ্রবাহে জবুথবু বেদে সম্প্রদায়ের প্রায় শত সদস্যের জন্য এদিন বিকেলে উষ্ণ শুভেচ্ছা নিয়ে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম খান সপরিবারে উপস্থিত হন। ১ থেকে ১১৫ বছর বয়সী বেদে সম্প্রদায়ের সকল সদস্যের হাতে তুলে দেন নতুন সোয়েটার।

জেলা প্রশাসকের সঙ্গে এসময় উপস্থিত ছিলেন স্ত্রী মেহেনাজ খান বাঁধন, একমাত্র ছেলে শোয়াইব খান জাহিন ও একমাত্র মেয়ে মারদিয়া খান জায়ানা। এছাড়া নেজারত ডেপুটি কালেক্টর (এনডিসি) মোহাম্মদ সাদাত হোসেন, সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নাঈমা জাহান সুমাইয়া, মো. আব্দুর রহমান, সাইফুল ইসলাম সাইফ এবং প্রথম আলোর চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি শাহ আলম সনি ও প্রথম আলো বন্ধুসভার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহমুদ আল আরাফাত ফাগুন উপস্থিত ছিলেন।

চলতি বছরের জানুয়ারি মাসের ৩ তারিখে মুন্সীগঞ্জ জেলার লৌহজং উপজেলার বিক্রম থেকে বেদেদের একটি বহর চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলার খাদিমপুর ইউনিয়নের পারকৃষ্ণপুর গ্রামে মাথাভাঙ্গা নদীর খেয়াঘাটে তাঁবু পাতে। তাঁবু পাতার পর ১০ দিনের মধ্যে ৭ দিনই শৈত্যপ্রবাহের কবলে পড়ে ভাসমান এসব মানুষ। শীতের দিনে তাঁদের দুঃখ-দুর্দশা নিয়ে একটি জাতীয় দৈনিকে (প্রথম আলোতে) প্রতিবেদন প্রকাশ এবং পত্রিকাটির পাঠকদের সংগঠনের (প্রথম আলো বন্ধুসভা) সহযোগিতায় প্রথম আলো ট্রাস্ট শীতার্ত মানুষগুলোকে শীত মোকাবিলায় নতুন কম্বল উপহার দেন।

১১ জানুয়ারি কম্বল বিতরণকালে বেদে সম্প্রদায়ের বয়োজ্যেষ্ঠ সদস্য ১১৫ বছর বয়সী সলেমান সওদাগার বেদে বহরের শিশুদের জন্য শীতবস্ত্রের প্রয়োজনীয়তার কথা তুলে ধরেন। বিষয়টি জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম খানকে জানালে তিনি বেদে বহরের সকল সদস্য অর্থাৎ নারী-পুরুষ ও শিশুদের জন্যে উপহার হিসেবে নতুন সোয়েটার নিয়ে গতকাল শনিবার বিকেলে সপরিবারে বেদেবহরে গিয়ে উপস্থিত হন এবং সোয়েটারগুলো বিতরণ করেন। এসময় তিনি বেদেদের আয়-রোজগার ও জীবনযাপন বিষয়ে খোঁজখবর নেন। বেদেদের সরদার আব্দুল মান্নান সওদাগার বেদে সম্প্রদায়ের সকলের পক্ষ থেকে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

শীতার্ত মানুষের পাশে সপরিবারে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম খান

আপলোড টাইম : ০৭:৫৪:১৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৫ জানুয়ারী ২০২৩

সমীকরণ প্রতিবেদন:
আলমডাঙ্গা উপজেলার পারকৃষ্ণপুর মাথাভাঙ্গা নদীর তীরে তাঁবু পেতে বসবাসকারী বেদে সম্পদায়ের নারী-পুরুষ ও শিশু সদস্যদের জন্য গতকাল শনিবার ছিল অন্যরকম একদিন। শৈত্যপ্রবাহে জবুথবু বেদে সম্প্রদায়ের প্রায় শত সদস্যের জন্য এদিন বিকেলে উষ্ণ শুভেচ্ছা নিয়ে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম খান সপরিবারে উপস্থিত হন। ১ থেকে ১১৫ বছর বয়সী বেদে সম্প্রদায়ের সকল সদস্যের হাতে তুলে দেন নতুন সোয়েটার।

জেলা প্রশাসকের সঙ্গে এসময় উপস্থিত ছিলেন স্ত্রী মেহেনাজ খান বাঁধন, একমাত্র ছেলে শোয়াইব খান জাহিন ও একমাত্র মেয়ে মারদিয়া খান জায়ানা। এছাড়া নেজারত ডেপুটি কালেক্টর (এনডিসি) মোহাম্মদ সাদাত হোসেন, সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নাঈমা জাহান সুমাইয়া, মো. আব্দুর রহমান, সাইফুল ইসলাম সাইফ এবং প্রথম আলোর চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি শাহ আলম সনি ও প্রথম আলো বন্ধুসভার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহমুদ আল আরাফাত ফাগুন উপস্থিত ছিলেন।

চলতি বছরের জানুয়ারি মাসের ৩ তারিখে মুন্সীগঞ্জ জেলার লৌহজং উপজেলার বিক্রম থেকে বেদেদের একটি বহর চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলার খাদিমপুর ইউনিয়নের পারকৃষ্ণপুর গ্রামে মাথাভাঙ্গা নদীর খেয়াঘাটে তাঁবু পাতে। তাঁবু পাতার পর ১০ দিনের মধ্যে ৭ দিনই শৈত্যপ্রবাহের কবলে পড়ে ভাসমান এসব মানুষ। শীতের দিনে তাঁদের দুঃখ-দুর্দশা নিয়ে একটি জাতীয় দৈনিকে (প্রথম আলোতে) প্রতিবেদন প্রকাশ এবং পত্রিকাটির পাঠকদের সংগঠনের (প্রথম আলো বন্ধুসভা) সহযোগিতায় প্রথম আলো ট্রাস্ট শীতার্ত মানুষগুলোকে শীত মোকাবিলায় নতুন কম্বল উপহার দেন।

১১ জানুয়ারি কম্বল বিতরণকালে বেদে সম্প্রদায়ের বয়োজ্যেষ্ঠ সদস্য ১১৫ বছর বয়সী সলেমান সওদাগার বেদে বহরের শিশুদের জন্য শীতবস্ত্রের প্রয়োজনীয়তার কথা তুলে ধরেন। বিষয়টি জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম খানকে জানালে তিনি বেদে বহরের সকল সদস্য অর্থাৎ নারী-পুরুষ ও শিশুদের জন্যে উপহার হিসেবে নতুন সোয়েটার নিয়ে গতকাল শনিবার বিকেলে সপরিবারে বেদেবহরে গিয়ে উপস্থিত হন এবং সোয়েটারগুলো বিতরণ করেন। এসময় তিনি বেদেদের আয়-রোজগার ও জীবনযাপন বিষয়ে খোঁজখবর নেন। বেদেদের সরদার আব্দুল মান্নান সওদাগার বেদে সম্প্রদায়ের সকলের পক্ষ থেকে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।