ইপেপার । আজ বুধবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৪

চুয়াডাঙ্গা, মেহেরপুর ও ঝিনাইদহে বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থীদের গণজমায়েত

রাষ্ট্রপতি চুপ্পুর পদত্যাগ ও ছাত্রলীগ নিষিদ্ধের দাবি

সমীকরণ প্রতিবেদক:
  • আপলোড টাইম : ১০:১৭:৩৬ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৪
  • / ৩ বার পড়া হয়েছে

রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন চুপ্পুর পদত্যাগ ও ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধের দাবিতে চুয়াডাঙ্গা, মেহেরপুর ও ঝিনাইদহের বিভিন্ন স্থানে গণজমায়েত কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকে গতকাল মঙ্গলবার সারাদেশের বিভিন্ন জেলা ও উপজেলায় এই কর্মসূচি পালিত হয়। এর আগে গত সোমবার ‘সন্ত্রাসী ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ ও ফ্যাসিবাদের দোসর রাষ্ট্রপতি চুপ্পুর (রাষ্ট্রপতির ডাকনাম) পদত্যাগের দাবিতে বিপ্লবী ছাত্র-জনতার গণজমায়েত কর্মসূচি ঘোষণা করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।

রাষ্ট্রপতি চুপ্পুর পদত্যাগ ও ছাত্রলীগ নিষিদ্ধের দাবিতে চুয়াডাঙ্গায় গণজমায়েত কর্মসূচি পালন করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা। গতকাল মঙ্গলবার বেলা সাড়ে তিনটায় চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজের সামনে এ গণজমায়েত অনুষ্ঠিত হয়। এসময় আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা কলেজ ফটকের সামনে ব্যানার নিয়ে অবস্থান করেন এবং রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন চুপ্পুর পদত্যাগ ও ছাত্রলীগ নিষিদ্ধের দাবি জানান। তারা হুঁশিয়ারি দেন, রাষ্ট্রপতি পদত্যাগ না করলে আওয়ামী লীগের পতিত প্রধানমন্ত্রীর মতো একই পরিণতি বরণ করতে হবে রাষ্ট্রপতি চুপ্পুকে।
এসময় শিক্ষার্থীরা, ‘‘তোমার আমার বাংলায় সন্ত্রাসী লীগের ঠাই নাই’’, ‘‘বাংলাদেশের দাবি এক, রাষ্ট্রপতির পদত্যাগ’’, এবং ‘‘দালালি না রাজপথ? রাজপথ! রাজপথ!’’ সহ বিভিন্ন স্লোগান দেন।

গণজমায়েতে বক্তারা বলেন, ‘ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের প্রধানমন্ত্রী ক্ষমতাচ্যুত হয়ে পালাতে বাধ্য হলেও ষড়যন্ত্র এখনো থেমে নেই। এখন গণভবন ও বঙ্গভবন থেকেও নানা ধরনের ষড়যন্ত্র চলছে। ছাত্র-জনতার বিপ্লব হাতছাড়া করতে ফ্যাসিস্টের দোসররা এখনো অপতৎপরতা চালাচ্ছে। দেশের মানুষ দোসরদের এই নীলনকশা মেনে নিবে না। মানুষ এখন প্রতিবাদী এবং সচেতন, তাই বিপ্লবের স্পিরিট ধরে রেখে এবং ফ্যাসিস্টবিরোধী আন্দোলনে গণমানুষ রুখে দিবে। অবিলম্বে অপতৎপরতায় মেতে থাকা দোসরদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানানো হয়।’ এসময় বক্তারা ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ করারও দাবি তোলা হয়।
গণজমায়েত কর্মসূচিতে বক্তব্য দেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থী ফাহিম, আমির হামজা সৈকত, হাসিবুল, হাসানুজ্জামান, আরাফাত রহমান, কাজল আহমেদ, আসলাম অর্ক, রাকিবের মাহমুদ, সজিব হোসেন প্রমুখ। এসময় উপস্থিত ছিলেন ছাত্র প্রতিনিধি ফাহিম উদ্দীন মভিন, মুশফিকুর রহমান, আব্দুল্লাহ আল কাফি, আসিফ আল আজাদ, মাহিম, খুশবু, তামান্না, অমি, সজিব প্রমুখ।

এদিকে, দামুড়হুদা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের উদ্যোগে গণজমায়েত ও মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার বেলা একটায় দামুড়হুদা শিল্পকলা একাডেমি প্রাঙ্গনে বিপ্লবী ছাত্র-জনতা ব্যানারে এ গণজমায়েতের আয়োজন করা হয়। বিভিন্ন কলেজের শিক্ষার্থী ও ছাত্র প্রতিনিধিরা উপজেলা শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে শিল্পকলা একাডেমি প্রাঙ্গনে গণজমায়েত করে।

এছাড়া, গতকাল বিকেল সাড়ে চারটার দর্শনায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের উদ্যোগে রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন চুপ্পুর পদত্যাগ ও ছাত্রলীগ নিষিদ্ধের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও গণজামায়েত অনুষ্ঠিত হয়। দর্শনা রেলবাজার শাহারিয়ার শুভ মুক্তমঞ্চ থেকে বিপ্লবী ছাত্র-জনতার আয়োজনে মিছিলটি বের করা হয়। মিছিলটি দর্শনার প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে দর্শনা বাসস্ট্যান্ড চৌরাস্তা মোড়ে এক পথসভায় মিলিত হয়।
পথসভায় বক্তারা অবিলম্বে ছাত্রলীগ নিষিদ্ধ করা ও ফ্যাসিবাদের দোসর রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন চুপ্পুর পদত্যাগের দাবি জানান। তারা বলেন, রাষ্ট্রপতি পদত্যাগ না করা পর্যন্ত এ আন্দোলন অব্যহত থাকবে। বক্তারা অভিযোগ করেন, বর্তমান সরকার ফ্যাসিবাদী চর্চা করছে এবং ছাত্রলীগ বিভিন্ন অপতৎপরতা চালানোর চেষ্টা করছে। ছাত্র-জনতা সজাগ থেকে যেকোনো ষড়যন্ত্র প্রতিহত করবে বলে তারা ঘোষণা দেন। এছাড়া সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রের ব্যাপারেও সতর্ক থাকার আহ্বান জানানো হয়।

পথসভায় বক্তব্য দেন দর্শনা থানা জামায়াতের সেক্রেটারি মাহবুবুর রহমান টুকু, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতা আন্দোলনের সমন্বয়ক রিফাত রহমান এবং তানভীর অনিক। অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থী নাঈম ফেরদৌস।

অপর দিকে, রাষ্ট্রপতির পদত্যাগের দাবিতে মেহেরপুরের গাংনীতে গণজমায়েত কর্মসূচি পালন করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। গতকাল দুপুরে বিপ্লবী ছাত্র-জনতার ব্যানারে গাংনী সরকারি ডিগ্রি কলেজ প্রাঙ্গণে এর আয়োজন করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রতিনিধিরা। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের গাংনী উপজেলা প্রতিনিধি মুজাহিদুল ইসলামের নেতৃত্ব দেন। গণজমায়েতে বক্তব্য দেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র প্রতিনিধি আমির হামজা, আফিফ হাসান, মাসুম রেজা, মোস্তাক আজম সোহাগসহ গাংনী সরকারি ডিগ্রি কলেজের শিক্ষার্থীরা।

অন্যদিকে, ফ্যাসিবাদের দোসর রাষ্ট্রপতি শহাবুদ্দিন চুপ্পুর পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে ঝিনাইদহ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রতিনিধিরা। বিকেল সাড়ে চারটার দিকে বিপ্লবী ছাত্র-জনতার ব্যানারে ঝিনাইদহ শহরের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার চত্বর থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়। মিছিলটি শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে পায়রা চত্বরে এসে শেষ হয়। আন্দোলনকারীরা স্লোগান দেন, ‘‘চুপ্পুর দুই গালে জুতা মারো তালে তালে”, ‘‘ফ্যাসিবাদের দালালরা হুসিয়ার সাবধান।’’
মিছিল শেষে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তব্য দেন ঝিনাইদহ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক আবু হুরাইরা, আবু রায়হান রিহান, সাইদুর রহমান, রত্না খাতুন ও শামিম আহম্মেদ। বক্তারা ছাত্রলীগকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে আখ্যা দিয়ে অবিলম্বে নিষিদ্ধের দাবি জানান। এর আগে জেলার বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে শিক্ষার্থীরা শহীদ মিনারে এসে জড়ো হয়। তাদের সঙ্গে যোগ দেন সাধারণ মানুষ।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

চুয়াডাঙ্গা, মেহেরপুর ও ঝিনাইদহে বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থীদের গণজমায়েত

রাষ্ট্রপতি চুপ্পুর পদত্যাগ ও ছাত্রলীগ নিষিদ্ধের দাবি

আপলোড টাইম : ১০:১৭:৩৬ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৪

রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন চুপ্পুর পদত্যাগ ও ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধের দাবিতে চুয়াডাঙ্গা, মেহেরপুর ও ঝিনাইদহের বিভিন্ন স্থানে গণজমায়েত কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকে গতকাল মঙ্গলবার সারাদেশের বিভিন্ন জেলা ও উপজেলায় এই কর্মসূচি পালিত হয়। এর আগে গত সোমবার ‘সন্ত্রাসী ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ ও ফ্যাসিবাদের দোসর রাষ্ট্রপতি চুপ্পুর (রাষ্ট্রপতির ডাকনাম) পদত্যাগের দাবিতে বিপ্লবী ছাত্র-জনতার গণজমায়েত কর্মসূচি ঘোষণা করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।

রাষ্ট্রপতি চুপ্পুর পদত্যাগ ও ছাত্রলীগ নিষিদ্ধের দাবিতে চুয়াডাঙ্গায় গণজমায়েত কর্মসূচি পালন করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা। গতকাল মঙ্গলবার বেলা সাড়ে তিনটায় চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজের সামনে এ গণজমায়েত অনুষ্ঠিত হয়। এসময় আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা কলেজ ফটকের সামনে ব্যানার নিয়ে অবস্থান করেন এবং রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন চুপ্পুর পদত্যাগ ও ছাত্রলীগ নিষিদ্ধের দাবি জানান। তারা হুঁশিয়ারি দেন, রাষ্ট্রপতি পদত্যাগ না করলে আওয়ামী লীগের পতিত প্রধানমন্ত্রীর মতো একই পরিণতি বরণ করতে হবে রাষ্ট্রপতি চুপ্পুকে।
এসময় শিক্ষার্থীরা, ‘‘তোমার আমার বাংলায় সন্ত্রাসী লীগের ঠাই নাই’’, ‘‘বাংলাদেশের দাবি এক, রাষ্ট্রপতির পদত্যাগ’’, এবং ‘‘দালালি না রাজপথ? রাজপথ! রাজপথ!’’ সহ বিভিন্ন স্লোগান দেন।

গণজমায়েতে বক্তারা বলেন, ‘ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের প্রধানমন্ত্রী ক্ষমতাচ্যুত হয়ে পালাতে বাধ্য হলেও ষড়যন্ত্র এখনো থেমে নেই। এখন গণভবন ও বঙ্গভবন থেকেও নানা ধরনের ষড়যন্ত্র চলছে। ছাত্র-জনতার বিপ্লব হাতছাড়া করতে ফ্যাসিস্টের দোসররা এখনো অপতৎপরতা চালাচ্ছে। দেশের মানুষ দোসরদের এই নীলনকশা মেনে নিবে না। মানুষ এখন প্রতিবাদী এবং সচেতন, তাই বিপ্লবের স্পিরিট ধরে রেখে এবং ফ্যাসিস্টবিরোধী আন্দোলনে গণমানুষ রুখে দিবে। অবিলম্বে অপতৎপরতায় মেতে থাকা দোসরদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানানো হয়।’ এসময় বক্তারা ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ করারও দাবি তোলা হয়।
গণজমায়েত কর্মসূচিতে বক্তব্য দেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থী ফাহিম, আমির হামজা সৈকত, হাসিবুল, হাসানুজ্জামান, আরাফাত রহমান, কাজল আহমেদ, আসলাম অর্ক, রাকিবের মাহমুদ, সজিব হোসেন প্রমুখ। এসময় উপস্থিত ছিলেন ছাত্র প্রতিনিধি ফাহিম উদ্দীন মভিন, মুশফিকুর রহমান, আব্দুল্লাহ আল কাফি, আসিফ আল আজাদ, মাহিম, খুশবু, তামান্না, অমি, সজিব প্রমুখ।

এদিকে, দামুড়হুদা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের উদ্যোগে গণজমায়েত ও মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার বেলা একটায় দামুড়হুদা শিল্পকলা একাডেমি প্রাঙ্গনে বিপ্লবী ছাত্র-জনতা ব্যানারে এ গণজমায়েতের আয়োজন করা হয়। বিভিন্ন কলেজের শিক্ষার্থী ও ছাত্র প্রতিনিধিরা উপজেলা শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে শিল্পকলা একাডেমি প্রাঙ্গনে গণজমায়েত করে।

এছাড়া, গতকাল বিকেল সাড়ে চারটার দর্শনায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের উদ্যোগে রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন চুপ্পুর পদত্যাগ ও ছাত্রলীগ নিষিদ্ধের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও গণজামায়েত অনুষ্ঠিত হয়। দর্শনা রেলবাজার শাহারিয়ার শুভ মুক্তমঞ্চ থেকে বিপ্লবী ছাত্র-জনতার আয়োজনে মিছিলটি বের করা হয়। মিছিলটি দর্শনার প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে দর্শনা বাসস্ট্যান্ড চৌরাস্তা মোড়ে এক পথসভায় মিলিত হয়।
পথসভায় বক্তারা অবিলম্বে ছাত্রলীগ নিষিদ্ধ করা ও ফ্যাসিবাদের দোসর রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন চুপ্পুর পদত্যাগের দাবি জানান। তারা বলেন, রাষ্ট্রপতি পদত্যাগ না করা পর্যন্ত এ আন্দোলন অব্যহত থাকবে। বক্তারা অভিযোগ করেন, বর্তমান সরকার ফ্যাসিবাদী চর্চা করছে এবং ছাত্রলীগ বিভিন্ন অপতৎপরতা চালানোর চেষ্টা করছে। ছাত্র-জনতা সজাগ থেকে যেকোনো ষড়যন্ত্র প্রতিহত করবে বলে তারা ঘোষণা দেন। এছাড়া সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রের ব্যাপারেও সতর্ক থাকার আহ্বান জানানো হয়।

পথসভায় বক্তব্য দেন দর্শনা থানা জামায়াতের সেক্রেটারি মাহবুবুর রহমান টুকু, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতা আন্দোলনের সমন্বয়ক রিফাত রহমান এবং তানভীর অনিক। অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থী নাঈম ফেরদৌস।

অপর দিকে, রাষ্ট্রপতির পদত্যাগের দাবিতে মেহেরপুরের গাংনীতে গণজমায়েত কর্মসূচি পালন করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। গতকাল দুপুরে বিপ্লবী ছাত্র-জনতার ব্যানারে গাংনী সরকারি ডিগ্রি কলেজ প্রাঙ্গণে এর আয়োজন করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রতিনিধিরা। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের গাংনী উপজেলা প্রতিনিধি মুজাহিদুল ইসলামের নেতৃত্ব দেন। গণজমায়েতে বক্তব্য দেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র প্রতিনিধি আমির হামজা, আফিফ হাসান, মাসুম রেজা, মোস্তাক আজম সোহাগসহ গাংনী সরকারি ডিগ্রি কলেজের শিক্ষার্থীরা।

অন্যদিকে, ফ্যাসিবাদের দোসর রাষ্ট্রপতি শহাবুদ্দিন চুপ্পুর পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে ঝিনাইদহ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রতিনিধিরা। বিকেল সাড়ে চারটার দিকে বিপ্লবী ছাত্র-জনতার ব্যানারে ঝিনাইদহ শহরের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার চত্বর থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়। মিছিলটি শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে পায়রা চত্বরে এসে শেষ হয়। আন্দোলনকারীরা স্লোগান দেন, ‘‘চুপ্পুর দুই গালে জুতা মারো তালে তালে”, ‘‘ফ্যাসিবাদের দালালরা হুসিয়ার সাবধান।’’
মিছিল শেষে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তব্য দেন ঝিনাইদহ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক আবু হুরাইরা, আবু রায়হান রিহান, সাইদুর রহমান, রত্না খাতুন ও শামিম আহম্মেদ। বক্তারা ছাত্রলীগকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে আখ্যা দিয়ে অবিলম্বে নিষিদ্ধের দাবি জানান। এর আগে জেলার বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে শিক্ষার্থীরা শহীদ মিনারে এসে জড়ো হয়। তাদের সঙ্গে যোগ দেন সাধারণ মানুষ।