ইপেপার । আজ সোমবার, ২১ অক্টোবর ২০২৪

যথাযোগ্য মর্যাদায় চুয়াডাঙ্গা মুক্ত দিবস পালন, শ্রদ্ধা নিবেদনকালে এমপি ছেলুন জোয়ার্দ্দার

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৩:৫৪:৪০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৮ ডিসেম্বর ২০২২
  • / ১৭ বার পড়া হয়েছে

সমীকরণ প্রতিবেদক:
গভীর শ্রদ্ধা ও যথাযোগ্য মর্যাদায় ৭ ডিসেম্বর চুয়াডাঙ্গা হানাদার মুক্ত দিবস পালন করা হয়েছে। এ উপলক্ষে গতকাল বুধবার সকাল ৯টায় চুয়াডাঙ্গা বড় বাজারের শহীদ হাসান চত্বরে শহীদ স্মৃতিস্তম্ভে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করে জেলা প্রশাসন, জেলা পুলিশ ও জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড। শ্রদ্ধা নিবেদনকালে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম খান, পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ আল মামুন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) সাজিয়া আফরিন, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আরাফাত রহমান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবু তারেক প্রমুখ।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম খান বলেন, ‘বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে চুয়াডাঙ্গার ভূমিকা অন্যতম। সীমান্ত ঘেষা জেলা হওয়ার সুবাদে এখান থেকেই যুদ্ধ পরিচলানাসহ নানা সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। জেলার এসব স্মৃতি রক্ষার্থে নানা ধরনের স্থাপনা গড়ে তোলা হয়েছে। তবে এখনো মুক্তিযোদ্ধাদের কিছু প্রত্যাশিত দাবি রয়েছে, সেসব দাবি পূরণে কাজ করছে জেলা প্রশাসন।’

উল্লেখ্য, ৬ ডিসেম্বর পাক-বাহিনী মেহেরপুর থেকে ২৮ কিলোমিটার পথ পায়ে হেঁটে চুয়াডাঙ্গার দিকে আসেন। ওই দিন সন্ধ্যায় চুয়াডাঙ্গার মাথাভাঙ্গা নদীর ব্রিজটি পাক-বাহিনী বোমা বিস্ফোরণ করে উড়িয়ে দেয়, যাতে মুক্তিবাহিনী তাদের অনুসরণ করতে না পারে। ৭ ডিসেম্বর সন্ধ্যার মধ্যে পাক-বাহিনী চুয়াডাঙ্গা শহর ও আলমডাঙ্গা ছেড়ে কুষ্টিয়ার দিকে চলে গেলে চুয়াডাঙ্গা স¤পূর্ণ শত্রুমুক্ত হয়।

চুয়াডাঙ্গা জেলা আওয়ামী লীগের কর্মসূচি:
নানা কর্মসূচির মধ্যদিয়ে যথাযোগ্য মর্যাদায় ৭ ডিসেম্বর চুয়াডাঙ্গা মুক্ত দিবস পালন করেছে চুয়াডাঙ্গা জেলা আওয়ামী লীগ। দিবসটি উপলক্ষে গতকাল বুধবার সকাল ৭টায় চুয়াডাঙ্গা বড় বাজারের শহীদ হাসান চত্বরে শহীদ স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পমাল্য অর্পণ করা হয়। এরপর সকাল আটটায় দামুড়হুদার নাটুদাহে অবস্থিত আটকবর স্মৃতি কমপ্লেক্সে আট বীর শহীদের সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও দোয়ার অনুষ্ঠান করা হয়। সকল কর্মসূচিতে সভাপতিত্ব করেন চুয়াডাঙ্গা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুন।

এসময় এমপি ছেলুন জোয়ার্দ্দার বলেন, ‘অনেক ত্যাগ, তিতিক্ষা ও কষ্টের বিনিময়ে আমরা স্বাধীন রাষ্ট্র পেয়েছি। একে একে পুরো দেশকে পাক হানাদারবাহিনী মুক্ত করতে বুকের তাজা রক্ত দিয়েছে বাঙালি জাতি। এ দেশ স্বাধীন করতে বীরঙ্গণাদের ত্যাগও কম নয়। বঙ্গবন্ধু সঠিক নির্দেশনা দিয়েছিলেন বলেই আমরা স্বাধীন রাষ্ট্র পেয়েছি। চুয়াডাঙ্গাকে হানাদার বাহিনী মুক্ত করতেও অনেকে শহীদ হয়েছেন। তাঁদের সেই আত্মত্যাগকে আমরা ভুলতে পারি না।’
এসময় উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক রিয়াজুল ইসলাম জোয়ার্দ্দার টোটন, সাংগঠনিক সম্পাদক মুন্সি আলমগীর হান্নান, মুফতি মাসুদুজ্জামান লিটু বিশ্বাস, মুক্তিযোদ্ধাবিষয়ক সম্পাদক নুরুল ইসলাম, কার্যনির্বাহী সদস্য অ্যাড. বেলাল হোসেন, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি আলাউদ্দিন হেলা, সাবেক জেলা কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু হোসেন, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি শাহাবুল হোসেন, চুয়াডাঙ্গা কলেজ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ও যুবলীগ নেতা তানিম হাসান তারেক, যুবলীগ নেতা ফিরোজ জোয়ার্দ্দার, বাপ্পি আহমেদ, ছাত্রলীগ নেতা সোয়েব রিগান, রেজোয়ান, মুন্না, আলিফ নূর, রহিমসহ অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীবৃন্দ।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

যথাযোগ্য মর্যাদায় চুয়াডাঙ্গা মুক্ত দিবস পালন, শ্রদ্ধা নিবেদনকালে এমপি ছেলুন জোয়ার্দ্দার

আপলোড টাইম : ০৩:৫৪:৪০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৮ ডিসেম্বর ২০২২

সমীকরণ প্রতিবেদক:
গভীর শ্রদ্ধা ও যথাযোগ্য মর্যাদায় ৭ ডিসেম্বর চুয়াডাঙ্গা হানাদার মুক্ত দিবস পালন করা হয়েছে। এ উপলক্ষে গতকাল বুধবার সকাল ৯টায় চুয়াডাঙ্গা বড় বাজারের শহীদ হাসান চত্বরে শহীদ স্মৃতিস্তম্ভে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করে জেলা প্রশাসন, জেলা পুলিশ ও জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড। শ্রদ্ধা নিবেদনকালে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম খান, পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ আল মামুন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) সাজিয়া আফরিন, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আরাফাত রহমান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবু তারেক প্রমুখ।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম খান বলেন, ‘বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে চুয়াডাঙ্গার ভূমিকা অন্যতম। সীমান্ত ঘেষা জেলা হওয়ার সুবাদে এখান থেকেই যুদ্ধ পরিচলানাসহ নানা সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। জেলার এসব স্মৃতি রক্ষার্থে নানা ধরনের স্থাপনা গড়ে তোলা হয়েছে। তবে এখনো মুক্তিযোদ্ধাদের কিছু প্রত্যাশিত দাবি রয়েছে, সেসব দাবি পূরণে কাজ করছে জেলা প্রশাসন।’

উল্লেখ্য, ৬ ডিসেম্বর পাক-বাহিনী মেহেরপুর থেকে ২৮ কিলোমিটার পথ পায়ে হেঁটে চুয়াডাঙ্গার দিকে আসেন। ওই দিন সন্ধ্যায় চুয়াডাঙ্গার মাথাভাঙ্গা নদীর ব্রিজটি পাক-বাহিনী বোমা বিস্ফোরণ করে উড়িয়ে দেয়, যাতে মুক্তিবাহিনী তাদের অনুসরণ করতে না পারে। ৭ ডিসেম্বর সন্ধ্যার মধ্যে পাক-বাহিনী চুয়াডাঙ্গা শহর ও আলমডাঙ্গা ছেড়ে কুষ্টিয়ার দিকে চলে গেলে চুয়াডাঙ্গা স¤পূর্ণ শত্রুমুক্ত হয়।

চুয়াডাঙ্গা জেলা আওয়ামী লীগের কর্মসূচি:
নানা কর্মসূচির মধ্যদিয়ে যথাযোগ্য মর্যাদায় ৭ ডিসেম্বর চুয়াডাঙ্গা মুক্ত দিবস পালন করেছে চুয়াডাঙ্গা জেলা আওয়ামী লীগ। দিবসটি উপলক্ষে গতকাল বুধবার সকাল ৭টায় চুয়াডাঙ্গা বড় বাজারের শহীদ হাসান চত্বরে শহীদ স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পমাল্য অর্পণ করা হয়। এরপর সকাল আটটায় দামুড়হুদার নাটুদাহে অবস্থিত আটকবর স্মৃতি কমপ্লেক্সে আট বীর শহীদের সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও দোয়ার অনুষ্ঠান করা হয়। সকল কর্মসূচিতে সভাপতিত্ব করেন চুয়াডাঙ্গা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুন।

এসময় এমপি ছেলুন জোয়ার্দ্দার বলেন, ‘অনেক ত্যাগ, তিতিক্ষা ও কষ্টের বিনিময়ে আমরা স্বাধীন রাষ্ট্র পেয়েছি। একে একে পুরো দেশকে পাক হানাদারবাহিনী মুক্ত করতে বুকের তাজা রক্ত দিয়েছে বাঙালি জাতি। এ দেশ স্বাধীন করতে বীরঙ্গণাদের ত্যাগও কম নয়। বঙ্গবন্ধু সঠিক নির্দেশনা দিয়েছিলেন বলেই আমরা স্বাধীন রাষ্ট্র পেয়েছি। চুয়াডাঙ্গাকে হানাদার বাহিনী মুক্ত করতেও অনেকে শহীদ হয়েছেন। তাঁদের সেই আত্মত্যাগকে আমরা ভুলতে পারি না।’
এসময় উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক রিয়াজুল ইসলাম জোয়ার্দ্দার টোটন, সাংগঠনিক সম্পাদক মুন্সি আলমগীর হান্নান, মুফতি মাসুদুজ্জামান লিটু বিশ্বাস, মুক্তিযোদ্ধাবিষয়ক সম্পাদক নুরুল ইসলাম, কার্যনির্বাহী সদস্য অ্যাড. বেলাল হোসেন, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি আলাউদ্দিন হেলা, সাবেক জেলা কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু হোসেন, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি শাহাবুল হোসেন, চুয়াডাঙ্গা কলেজ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ও যুবলীগ নেতা তানিম হাসান তারেক, যুবলীগ নেতা ফিরোজ জোয়ার্দ্দার, বাপ্পি আহমেদ, ছাত্রলীগ নেতা সোয়েব রিগান, রেজোয়ান, মুন্না, আলিফ নূর, রহিমসহ অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীবৃন্দ।