ইপেপার । আজ বৃহস্পতিবার, ২৪ অক্টোবর ২০২৪

জীবননগরে ধর্ষণের পর শিশুকে গলা কেটে হত্যার ঘটনা

ময়নাতদন্ত শেষে লাশ দাফন, থানায় মামলা

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৪:২৩:৪৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৩
  • / ৩৫ বার পড়া হয়েছে

জীবননগর অফিস:

জীবননগরে শিশু ময়িরম হত্যার ঘটনায় তাঁর বাবা ইয়াকুব মন্ডল বাদী হয়ে অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামি করে থানায় মামলা করেছেন। গতকাল শুক্রবার বিকেলে এই মামলা করা হয়। গতকাল রাত ৮টার দিকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জীবননগর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এস এম জাবীদ হাসান।

তিনি জানান, বিকেলে লাশ দাফনের পর মামলা রেকর্ড করা হয়েছে। এ পর্যন্ত জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৮-১০ জনকে থানায় আনা হয়েছিল। জিজ্ঞাসাবাদ করে তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। তিনি আরও বলেন, ‘এখন পর্যন্ত আমরা আসামিকে সনাক্ত করতে পারিনি। আশা করছি দ্রুতই আসামিকে গ্রেপ্তার করতে পারব।’

এর আগে ময়নাতদন্ত শেষে লাশ সকাল ১০টার দিকে ময়িরমের বাড়ি গোয়ালপাড়া দক্ষিণ নতুন মসজিদ পাড়ায় পৌঁছায়। বিকেলে দাফন করা হয় হয় তাকে। চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. রবিন বলেন, সকালে ওই শিশুর ময়নাতদন্ত করে লাশ হস্তান্তর করা হয়েছে। ময়নাতদন্তে হত্যার বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে। ধর্ষণের বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার জন্য পরীক্ষা করা হচ্ছে। রিপোর্ট পেতে ১৫ দিন মতো সময় লাগতে পারে।

উল্লেখ্য, ময়িরম গত বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে প্রতিবেশী কয়েকজন শিশু আর তার ছোট বোনের সঙ্গে মাঠে শাক তুলতে যায়। দুপুরের দিকে ময়িরমের সঙ্গে যারা ছিল তারা বাড়ি এসে জানায় ময়িরমকে একজন ভুট্টার মধ্যে নিয়ে গেছে। তাকে খুঁজে পাচ্ছে না। পরে পরিবারের লোকজন মাঠে গিয়ে খোঁজাখুজি করে ভুট্টার খেতে তার গলাকাটা লাশ পড়ে থাকে দেখে। এসময় ময়িরমের গায়ে গেঞ্জি থাকলেও পরনের পায়জামা পাশে পড়েছিল।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

জীবননগরে ধর্ষণের পর শিশুকে গলা কেটে হত্যার ঘটনা

ময়নাতদন্ত শেষে লাশ দাফন, থানায় মামলা

আপলোড টাইম : ০৪:২৩:৪৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৩

জীবননগর অফিস:

জীবননগরে শিশু ময়িরম হত্যার ঘটনায় তাঁর বাবা ইয়াকুব মন্ডল বাদী হয়ে অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামি করে থানায় মামলা করেছেন। গতকাল শুক্রবার বিকেলে এই মামলা করা হয়। গতকাল রাত ৮টার দিকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জীবননগর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এস এম জাবীদ হাসান।

তিনি জানান, বিকেলে লাশ দাফনের পর মামলা রেকর্ড করা হয়েছে। এ পর্যন্ত জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৮-১০ জনকে থানায় আনা হয়েছিল। জিজ্ঞাসাবাদ করে তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। তিনি আরও বলেন, ‘এখন পর্যন্ত আমরা আসামিকে সনাক্ত করতে পারিনি। আশা করছি দ্রুতই আসামিকে গ্রেপ্তার করতে পারব।’

এর আগে ময়নাতদন্ত শেষে লাশ সকাল ১০টার দিকে ময়িরমের বাড়ি গোয়ালপাড়া দক্ষিণ নতুন মসজিদ পাড়ায় পৌঁছায়। বিকেলে দাফন করা হয় হয় তাকে। চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. রবিন বলেন, সকালে ওই শিশুর ময়নাতদন্ত করে লাশ হস্তান্তর করা হয়েছে। ময়নাতদন্তে হত্যার বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে। ধর্ষণের বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার জন্য পরীক্ষা করা হচ্ছে। রিপোর্ট পেতে ১৫ দিন মতো সময় লাগতে পারে।

উল্লেখ্য, ময়িরম গত বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে প্রতিবেশী কয়েকজন শিশু আর তার ছোট বোনের সঙ্গে মাঠে শাক তুলতে যায়। দুপুরের দিকে ময়িরমের সঙ্গে যারা ছিল তারা বাড়ি এসে জানায় ময়িরমকে একজন ভুট্টার মধ্যে নিয়ে গেছে। তাকে খুঁজে পাচ্ছে না। পরে পরিবারের লোকজন মাঠে গিয়ে খোঁজাখুজি করে ভুট্টার খেতে তার গলাকাটা লাশ পড়ে থাকে দেখে। এসময় ময়িরমের গায়ে গেঞ্জি থাকলেও পরনের পায়জামা পাশে পড়েছিল।